জরায়ুতে ঘা কেন হয়
আজকে আলোচনা করব জরায়ুতে ঘা কেন হয়। সারাবিশ্বে অনেক লোক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন এবং ভুগে যাচ্ছেন। তার মধ্যে একটি রোগ হচ্ছে জরায়ুতে ঘা হওয়ার কারণ। জরায়ুতে ঘা নিয়ে অনেকেই ভুগে থাকেন তাই আজকে তাদের জন্য আলোচনা ঘা কেন হয় এবং কিভাবে দূর করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব জেনে। তবে আগে জানতে হবে জরায়ুতে ঘা কেন হয়।
কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা মনে করেন যে জরায়ু শুধুমাত্র সন্তান জন্মদানের কাজে লাগে আর কোন কারণে এ প্রয়োজন হয় না এরকম অনেকেই ভেবে থাকেন। এই ধারণাগুলো আসলে ঠিক না। আজকে জেনে নিবেন জরায়ুতে ঘা কেন হয়। শুধু বাচ্চা জন্মদানের জন্য না এর সঙ্গে আপনি জীবনের কয়েকটি পর্যায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী।
- আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্ন নিন
জরায়ুর মধ্যে জীবনে অনেক কিছুই হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে হচ্ছে মাসিকের সময় সহবাসের সময় সন্তান জন্মের সময় গর্ভকালীন সময় মেনোপজ এর আগে ও পরে ওপরে। জরায়ু পরিচর্যায় আগে সমস্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা ভালো। জরায়ু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা খুবই জরুরী কারণ কোন কারণের জন্য ভুলে পদক্ষেপের জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং জরায়ু সম্পর্কে অনেক তথ্য রয়েছি।
মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব, নির্ধারিত সময় ছাড়া মাসিক হলে পর পর মাসিক না হলে, দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব হলে, সহবাসের সময় রক্ত বের হলে, পেট ব্যাথা হলে, জড়াইতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত পেট ব্যাথা, অতিরিক্ত গ্যাস হলে ইত্যাদি।
এসব যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি খুবই জরুরী ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জরায়ুতে এই সমস্যাগুলো যদি আপনি দেখিয়ে থাকেন এবং ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুনঃ চোখ লাল হওয়ার কারণ
জরায়ু ভালো রাখার জন্য আপনাদের জরুরী কিছু তথ্য জানা খুবই জরুরী। তাই আজকে জেনে নিন জরায়ুতে ঘা কেন হয় এবং জরায়ুতে ঘা হলে করণীয় কি।’এর মধ্যে নিম্নচাপ লাগে, গ্যাস্ট্রিক বেশি হওয়া, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, হালকা খাবার খাওয়ার পর মনে হয় পেট ভরে গিয়েছে, পেটে অতিরিক্ত, ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া, ক্ষুধা কম লাগে, ওজন কম বেশি হওয়া, ক্লান্তি অনুভব হয়, যৌন মিলনের ব্যথা লাগে, ইত্যাদি এসব যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত অল্প বয়সে বিয়ে, অল্প বয়সে সন্তান হওয়া, ঘনঘন সন্তান ধারণ, আগে জরায়ুর কোনো সমস্যা, বহুগামিতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ইনফেকশন, তামাক গ্রহণ বা ধুমপান, বংশগত ইত্যাদি কারণেও জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা জরায়ুতে নানা রোগ হতে পারে।
দেশের প্রত্যেক জেলা ও সদর হাসপাতালে জরায়ু এবং ব্লাড ক্যান্সারের জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যে। জরায়ুর যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন।