থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে আলোচনা করব থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে । থানকুনি পাতা খুবই কার্যকরী। থানকুনি পাতা আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে কাজ করা হয়। থানকুনি পাতার উপকারিতা। থানকুনি পাতা খুবই খুবই কার্যকরী ।
কারণ থানকুনি পাতা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক উপায়ে থানকুনি পাতা খুবই কার্যকরী। এ পর্যন্ত থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে। থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
থানকুনি পাতার উপকারিতা এদেশে তো কাজে লাগে বটেই, তাছাড়াও খ্রিষ্টপূর্ব সেই ১৭ শতক থেকে আফ্রিকা, জাভা, সুমাত্রা, ফ্রান্স, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপিন্সে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে থানকুনি পাতা। কারণ, একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো জটিল ত্বকের রোগ সারিয়ে তুলতে যেমন এই প্রাকৃতিক উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার, তেমনি এই গুল্মটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের দেখভালেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সূচিপত্রঃ
- থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- থানকুনি পাতার ক্ষতি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- থানকুনি পাতা নিয়ে কিছু উত্তর জেনে নিন
থানকুনি পাতার উপকারিতাঃ
থানকুনি পাতার রস খুবই কার্যকরী। আপনি আপনার শরীরের যত্ন জন্য থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন। শরীরের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণা ব্যথা ইত্যাদি এসব হলে আপনি থানকুনি পাতার রস খান।
থানকুনি পাতার ক্ষতি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
থানকুনি পাতার উপকারী ও অপকারিতা জেনে নিন। আপনার শরীরে কথা যদি কেটে যায় তাহলে আপনি থানকুনি পাতা বেটে কাটা স্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এই পদ্ধতি আপনার কাটা স্থানকে খুবই ভালো রাখতে সাহায্য করবে। থানকুনি পাতা কেটে যাওয়া স্থানকে খুব দ্রুত শুকিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
- আরো পড়ুনঃ সুলতানা নামের অর্থ কি?
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়মঃ
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । থানকুনির পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন কার্যকরী। আপনি যদি চান থানকুনি পাতা চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। চাইলে থানকুনি পাতার বড়আব্বা পেস্ট তৈরি করে খেতে পারেন।
থানকুনি পাতার ক্ষতি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
এখন আলোচনা করব থানকুনি পাতার থানকুনি পাতার ক্ষতি বলতে এক থেকে দুই চা-চামচ থানকুনির পাতার রস অল্প করে কাঁচা থানকুনি পাতা খেলে কোন ক্ষতি হবে না। পরিমাণের থেকে অতিরিক্ত যদি খেতে জানো সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। থানকুনি পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার কারনে কি কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো জেনে।
- প্রচন্ড মাথা ব্যথা ও যন্ত্রণা শুরু হবে
- প্রচুর পরিমাণে পেটে ব্যথা শুরু হবে
- আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যদি অপারেশন হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- এলার্জি ও চুলকানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- রক্তচাপ কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে
- যারা লিভারে ভুগছেন তারা অবশ্যই থানকুনি পাতা কি এড়িয়ে চলুন।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
থানকুনি পাতা খায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা খুবই কার্যকর। থানকুনি পাতার রস নিয়মিত আপনি খেলে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। স্মৃতিশক্তি উন্নতি হবে। এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের থানকুনি পাতার রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বয়স্ক মানুষরাও যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খান, তা হলে শেষ বয়সে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
- আরো পড়ুনঃ জয়তুন তেলের উপকারিতা
অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ঃ
থানকুনি পাতা তে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার খুবই কার্যকর করবে। কোন ব্যক্তির যদি রাতে ঠিকমতো ঘুম না হয় সে ব্যক্তি থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন। থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো তথ্য জানতে পেরেছি।
থানকুনি পাতার জ্বরের জন্য খুবই কার্যকরঃ
জ্বরের জন্য থানকুনি পাতা খুবই কার্যকরী। আপনার শরীরের প্রচুর পরিমাণ জ্বর থাকে তাহলে আপনি থানকুনির পাতার রস খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে এক চা-চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে আপনার মারাত্মক ঝড় মুক্তি হতে সাহায্য করবেন। থানকুনি পাতার রস আপনার সর্দি এবং কাশির জন্য খুবই কার্যকরী।
থানকুনি পাতা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
প্রচুর পরিমাণে যুগে ব্লাড প্রেসার হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি থানকুনি পাতার রস খেলে আপনার প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। থানকুনি পাতার রস হার্টের সমস্যা মুক্তি করে ফেলে।
থানকুনি পাতার রস ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
থানকুনি পাতার প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। থানকুনি পাতার রস খেলে আপনার শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। থানকুনির পাতার রস হজম শক্তি কমাতে সাহায্য করে। থানকুনির পাতা রকার্যকর একটি বাংলাদেশ।
থানকুনি পাতার বড়া তৈরীর পদ্ধতিঃ
থানকুনি পাতার বড়া খুবই সুস্বাদু এবং খুবই কার্যকরী থানকুনি পাতা খেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই থানকুনি পাতার বড়া করে খাওয়ার চেষ্টা। থানকুনি পাতা কুঁচি করে এর মধ্যে লবণ অল্প পরিমাণে হলুদ মরিচের গুঁড়া লবণ বা চাউলের গুড়া দর্শন ইত্যাদি এসব উপকরণ গুলো একসঙ্গে মিশিয়ে তারপরে বড়া তৈরি করে নিন তেলে ভেজে।
- আরো পড়ুনঃ কনডম ব্যবহার করার নিয়ম
থানকুনি পাতা গুলো ভালো করে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিতে হবে। একটি পাত্রে পরিমান মত তেল দিয়ে থানকুনি পাতার বড়া তৈরি করে নিন। থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
থানকুনি পাতা বাটার পদ্ধতিঃ
থানকুনি পাতার পেস্ট তৈরি করে এর সঙ্গে দুটো কাঁচামরিচ কালোজিরা এক চা-চামচ তেল অল্প পরিমাণে চিনি তারপরে পেস্ট করে নিন।
সময় হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিন। এরপরে মিক্সিতে থানকুনি পাতা, কালো জিরে, নুন, চিনি এবং কাঁচা লঙ্কা ফেলে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার হালকা আঁচে এক চামচ সরষের তেল গরম করে তাতে পেস্টটা মিশিয়ে ২ মিনিট একটু নাড়িয়ে নিন। তারপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
থানকুনি পাতা দিয়ে পানীয় তৈরি করুনঃ
অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার নিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। থানকুনি পাতা গুলো নিয়ে তারপর পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপরেই থানকুনি পাতা এবং পানি ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। তারপর ছেঁকে নিয়ে পরিমাণমতো চিনি এক চিমটি লবণ সঙ্গে সঙ্গে গরম করুন। যতক্ষন পর্যন্ত চিনি ভালোভাবে গলে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত গরম করে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা করে নিন। এর এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল থানকুনি পাতার পানীয়।
থানকুনি পাতা দিয়ে সাধারণত কিছু উত্তর জেনে নিনঃ
জেনে নিন থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে এবং গুনাগুন সম্পর্কে।
থানকুনি পাতা হবু মায়েরা কি খেতে পারবেঃ
আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা থেকে এড়িয়ে চলুন। গর্ভবতী মহিলারা থানকুনির পাতার রস খেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে কিছু গবেষণা করা হয় নি। এই বিষয়ে একজন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া খুবই ভালো।
থানকুনি পাতা লিভারের কি ক্ষতি করেঃ
তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি থানকুনি পাতা লিভারের সমস্যার জন্য ক্ষতি কিনা। এমন ধারণা রয়েছে যে, থানকুনি খেলে লিভারের কর্ম ক্ষমতা বাড়ে। এ বিষয়ে একমাত্র চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
থানকুনি পাতা ত্বকের যত্ন কাজে লাগে কিনা জেনে নিনঃ
থানকুনির পাতা পেস্ট করে আপনি আপনার মুখে লাগিয়ে দিতে পারেন। তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। থানকুনি পাতা রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামক মাত্রা বাড়ায় কারণে জেল ও চোখে পড়া।
থানকুনি পাতা শরীর কে বিষ মুক্ত করেঃ
নানা ভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা টক্সিক উপাদানদের যদি সময় থাকতে-থাকতে বের করে দেওয়া না যায়, তা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ, সেক্ষেত্রে এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলির কারণে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- আরো পড়ুনঃ স্ত্রী সহবাসের দোয়া
এখন প্রশ্ন হল, টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন, থানকুনি পাতার উপরে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠা মাত্র ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে যদি ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলি প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
থানকুনি পাতা আমাশা এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করেঃ
থানকুনি পাতার রস প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন আপনার আমাশয় এর মত যে সমস্যাগুলো রয়েছে সে সমস্যা দূর হতে সাহায্য করবে। থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন আপনার আমার সাধ দূর হয়ে যাবে। থানকুনি পাতা বেটে পেস্ট করে নিয়ে এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে চিনি মিশিয়ে তারপর সকালে খালি পেটে খেতে হবে। থানকুনি পাতার রস দিনে দুই বেলা খেতে হবে।
থানকুনি পাতার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেঃ
আমাদের শরীরে কত ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে গ্যাস্টিকের সমস্যা। গ্যাস্টিকের সমস্যা আম মারাত্মক একটি সমস্যা যা আপনাকে খুবই দুর্বল করে ফেলবে। গ্যাস্টিক হওয়া রকিছু কারণ। শুকনা খাবার খাওয়ার কারণে, ভাজা পোড়া খাবার খেলে, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থেকে পড়ে পেট ভরে খাবার খেলে, অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে, বাহিরের খাবার খেলে, বাহিরের ভাজাপোড়া ইত্যাদি। সব আপনার কি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার লক্ষণ।
গ্যাস্ট্রিক মুক্ত করার জন্য থানকুনি পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। বাজার থেকে থানকুনি পাতা কিনে এনে তারপর পরিমাণমতো দুধ নিয়ে এর সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে নিন। থানকুনি পাতা দুধের মিশ্রণ প্রতিদিন খালি পেটে সকালে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক সপ্তা যদি আপনি থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার মারাত্মক গ্যাস্ট্রিক থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারবেন।
থানকুনি পাতার রস ঠান্ডা কমাতে সাহায্য করেঃ
আপনার যদি ঠান্ডা লেগে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি থানকুনি পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। খুব অল্প সময়ে আপনার ঠান্ডা ভালো হতে সাহায্য করবে। থানকুনি পাতা বেটে রস বের করে এই রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে তারপর খালি পেটে খেয়ে নিন। ঠান্ডার জন্য থানকুনি পাতা খুবই উপকারী। ঠান্ডা কমানোর জন্য থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন।
ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে ।
এখন আলোচনা করব থানকুনি পাতার অপকারিতা সম্পর্কেঃ
থানকুনি পাতা চাঁদের ব্যবহার করা উচিত না সেগুলো জেনে নিনঃ
বাচ্চাদের জন্যঃ বাচ্চাদের বুকের দুধ থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত না। যে বাচ্চা বুকের দুধ খায় সে বাচ্চা মা যদি থানকুনির পাতার রস খায় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভবতীঃ কোন মহিলা যদি গর্ভবতী অবস্থায় থানকুনি পাতার রস খেয়ে ফেলেছে খেতে আপনার মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। যেমনঃ মা যদি থানকুনি পাতার রস খেয়ে নেয় সেক্ষেত্রে বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে এজন্য গর্ভকালীন অবস্থায় থানকুনি পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
18 বছরের কম বয়সীঃ কারো যদি 18 বছরের কম বয়স হয় সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার রস খাওয়া একদমই উচিত না।
- আরো পড়ুনঃ মহিলাদের নামাজের নিয়ম
ত্বকের ক্যান্সারঃ আপনার ত্বকে যদি ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে আপনি থানকুনি পাতা থেকে বিরত থাকুন। থানকুনি পাতার ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার মারাত্মক বিপদ হতে পারে। কারণ তোকে থানকুনি পাতার রস সহ্য করতে পারবেনা।
থানকুনি পাতার রস ব্যবহারের আগে জেনে নিন কি করতে হবেঃ
যেই যেই সমস্যা থাকলে থানকুনি পাতার রস ব্যবহার করা আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
ডায়াবেটিসের সমস্যা হলে থানকুনি পাতা রস থেকে বিরত থাকুন।
লিভারের সমস্যা হলে থানকুনি পাতা থেকে এড়িয়ে চলুন।
থানকুনি পাতা তে উচ্চ কোলেস্টরেল সমস্যা রয়েছ ইত্যাদি।
আপনার শরীর যদি এই সময় গুলো দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা কে এড়িয়ে চলুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর থানকুনি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন
থানকুনি পাতার রেসিপি জেনে নিনঃ
থানকুনি পাতার ভর্তাঃ
উপকরণঃ
থানকুনি পাতা, কাঁচামরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, আলু সিদ্ধ, রসুন কুচি, স্বাদমতো লবণ, সরিষার তেল।
থানকুনি পাতার ভর্তার প্রস্তুত প্রণালীঃ
থানকুনির পাতা গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।এরপরথানকুনি পাতা কুচি করে নিন।
কুচি করা থানকুনি পাতার সঙ্গে স্বাদমতো লবণ পেয়াজ কুচি কাঁচা মরিচ রসুন আদা সব কিছু এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
তারপরে ব্লেন্ডারে বা পাশে ভর্তা তৈরি করে নিন। সর্বশেষ থানকুনি পাতার ভর্তা তেল মিশিয়ে নিন।
আলুর সঙ্গে থানকুনি পাতার ভর্তাঃ
উপকরণঃ
- থানকুনির পাতা 300 গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ কুচি পরিমাণমতো, আদা রসুন কুচি পরিমাণমতো, আলু সিদ্ধ দুই থেকে তিনটি, সরিষার তেল পরিমান, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- পরিমাণমতো থানকুনির পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কুচি করে নিন।
- সিদ্ধ আলু নিয়ে এর সঙ্গে থানকুনি পাতা কুচি করে একসঙ্গে মিশিয়ে এরশাদও পেঁয়াজ কুচি রসুন কুচি আদা কুচি স্বাদমতো লবণ পরিমাণমতো তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
থানকুনি পাতার বড়াঃ
উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি পরিমাণমতো
- কাঁচামরিচ কুচি পরিমাণমতো
- আদা রসুন কুচি পরিমাণমতো
- অল্প পরিমাণে হলুদ
- পরিমান মত তেল
- স্বাদ মত লবণ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
থানকুনির পাতা নিয়ে ভালো করে দিয়ে তারপর কুচি করে নিন।
থানকুনি পাতার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি মরিচ কুচি আদা রসুন কুচি স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
থানকুনি পাতার বড়া তৈরি করার জন্য একটি পেনের পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল দিয়ে তারপর ডুবোতেলে ভেজে নিন।