চুলকানি দূর করার সহজ উপায়
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো চুলকানি দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য । শরীরের চুলকানি মারাত্মক একটি সমস্যা যাদের চুলকানি হয়েছে তারাই একমাত্র বুঝতে পারে চুলকানি কাকে বলে। চুলকানি খুবই খারাপ যা আপনাকে খুবই বিরক্ত করে ফেলে এই চুলকানি থেকে আপনি কিভাবে মুক্তি পাবেন সে বিষয়গুলো জেনে নিন।
চুলকানি কমবেশি অনেকেরই হয়ে থাকে এলার্জির কারণে বিভিন্ন সমস্যার কারণে চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায় এবং প্রচুর পরিমাণে জ্বালা করে থাকে এই বিরক্তকর চুলকানি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে সে বিষয়গুলো জেনে নিন। চুলকানি যদি একবার শুরু হয় তাহলে আপনাকে খুবই বিরক্ত করে ফেলবে। চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আমাদের পোস্ট এর সঙ্গে থাকুন এবং জেনে নিন কি কারণে চুলকানি হচ্ছে এবং কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমে চুলকানির বিভিন্ন তত্ত্ব আলোচনা করব আপনারা অনেকটাই শান্তি ফিরে পাবেন এই চুলকানি থেকে। মাঝে মাঝে দেখা যায় এলার্জির কারণে শরীরের অনেক পরিমাণে চুলকানী হয়ে থাকে এবং এলার্জি ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার কারণে শরীরের চুলকানি হয় যেমন শরীরের ঘাম হলে ময়লা থাকলে বিভিন্ন কারণের জন্য আপনার শরীরের চুলকানি হয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ কম্পিউটারের ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়
চলুন জেনে নেই চুলকানি দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
লেবুর ব্যবহারঃ
লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি লেবু আপনার শরীরের চুলকানি রোগ করতে সাহায্য করে। আপনার শরীরের যেখানে চুলকানি হবে সেই জায়গাটায় লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার শরীরের চুলকানি দূর হতে সাহায্য করবে।
নারিকেল তেলঃ
সবচেয়ে নিরাপদ পর্নো হচ্ছে নারিকেল তেল ত্বকের জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো চুলকানির যেমন উক্তির অতিরিক্ত ঘামের কারণে চুলকানি হয় এলার্জির কারণে চুলকানি হয় পোকার কামড় দিলে চুলকানি হয় ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭ টি উপায়
সবথেকে মেইন কথা হচ্ছে আপনার শরীরের যেখানে চুলকাবে সেখানে আপনার নারিকেল তেল লাগিয়ে দেন দেখবেন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার শরীরের চুলকানি দূর হতে সাহায্য করবে। যদি সম্পূর্ণ শরীরের চুলকানি হয় তাহলে সম্পূর্ণ শরীরের তিল ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। কুসুম গরম পানিতে নারিকেল তেল মিশিয়ে গোসল করে নিতে পারেন।
তুলসীর ব্যবহারঃ
চুলকানির জন্য তুলসী খুবই কার্যকারিতাই চুলকানি হলে তুলসীর ব্যবহার করতে পারেন।পরিমাণমতো তুলসী পাতা নিয়ে তারপর ব্লেন্ডারে বা পাটায় পিষে নিন। এই মিশ্রণটি আপনি আপনার চুলকানি জায়গায় লাগিয়ে দিন দেখবেন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে চুলকানি কমে যাবে।
নিমপাতার ব্যবহার ঃ
শরীরের চুলকানি কমানোর জন্য নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণমতো নিমপাতা বেটে বা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে তারপর নিম পাতার রস গুলো যে জায়গায় চুলকাবে সে জায়গায় লাগিয়ে রাখতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহারঃ
চুলকানি দূর করার সহজ উপায়গুলোর মধ্যে কার্যকর অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা জেল আমরা জানি ঔষধের কাজ করে থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী। এলার্জি আবার আপনার শরীরের চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে থাকেন। অ্যালোভেরা জেল আপনার ত্বকের চুলকানি ও জ্বালা করে। পরিমাণমতো এলোভেরা জেল দিয়ে আপনি এলোভেরা জেল চুলে লাগাতে পারেন। 20 থেকে 25 মিনিট অ্যালোভেরা জেল যে জায়গা চুলকালে সে জায়গায় লাগিয়ে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন আপনার চুলকানি এবং জ্বালা কমে যাবে।
বেকিং সোডাঃ
চুলকানি দূর করার সহজ উপায়গুলোর মধ্যে আরো একটি অন্যতম হলো বেকিং সোডা। শরীরের চুলকানি কমানোর জন্য বেকিং সোডা কার্যকারিতা শরীরের চুলকানি কমানোর জন্য আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ সোডা মিশিয়ে তারপর মিশ্রণ করে নিন। এই মিশ্রণ চুলকানি স্থানে লাগিয়ে রাখুন । বেকিং সোডা দিয়ে আপনি চাইলে গোসল করতে পারেন। বেকিং সোডার মিশ্রণটি পানিতে মিশিয়ে 30 মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আপনার শরীরের চুলকানি কমে যাবে খুব সহজ উপায়।
চন্দন কাঠের ব্যবহারঃ
আপনার শরীরের চুলকানি এবং জ্বালা কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী। তাই শরীরের চুলকানি কমানোর জন্য চন্দন ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান চুলকানির চিকিৎসায় কেবলমাত্র শরীরের বাইরের দিক বা ত্বক নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হবেন তা নয়, আপনার শরীরের ভেতরের দিকটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। ডা. অ্যাডিগান বলেন, ‘প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থেকে আপনার ত্বককেও হাইড্রেটেড বা আর্দ্র রাখতে পারেন।’ ত্বক আর্দ্র থাকলে চুলকানির প্রবণতা কমে যাবে।
আপেল সিডার ভিনিগারঃ
অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাধারণত ওজন হ্রাস এবং হজমজনিত সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয়, তেমনটা নয়। তবে ওজন হ্রাস করা বা ডায়রিয়াস নিরাময়ের জন্য এটি কেবল দুর্দান্ত স্কিনকেয়ার এজেন্টই নয়। এটিতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকে চুলকানি এবং অ্যালার্জির প্রভাব কমায়। তবে সংবেদনশীল ত্বকে এর ব্যবহার ঠিক নয়।
আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি?
এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার তুলার সাহায্যে কার্যকর জায়গায় এই মিশ্রণটি লাগান। এবার এটি শুকনো ছেড়ে রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে আপনি দিনে অন্তত দু'বার এটি করতে পারেন।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায়
উপরে বর্ণিত উপায় গুলো সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতি এবং এগুলো আপনাকে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে করতে হবে। যদি এগুলোতে ভালো কাজ না করে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সমস্যা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় সেক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ না করে আমার পরামর্শ থাকবে কোন একজন বিশেষজ্ঞ চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো। কারণ ডাক্তারেরা আপনার চুলকানির ধরন, মাত্রা, কি ধরনের চুলকানি হয়েছে সেটা দেখে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।