ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি
আসসালামুয়ালিকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন, আজকে আপনারা জানতে পারবেন বা আমাদের ব্লগ টি হবে ছাত্র জীবনের সেরা পার্টটাইম চাকরি এ বিষয় নিয়ে এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা হবে।আসলে ছাত্র জীবনের সেরা পার্টটাইম চাকরি কি এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা আছে বা বিষয়টি অনেকের কাছে ক্লিয়ার না আমাদেরকে ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানতে হবে চাকরি কি? এবং পার্ট টাইম চাকরি কি?
চাকরি কি?
চাকুরী আসলে জীবন তরীর নয় যে তাকে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ধরতে হবে। চাকরি সোনার হরিণ। একটি সামান্য পদার্থ যা তার জায়গায় স্থির। চলতে ফিরতে পারে না। কাজেই আপনি যদি যোগ্য হন সেই সোনার হরিণ পাওয়ার, তাহলে তা অন্য নিয়ে যাবে সেই সাধ্য কারো আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যোগ্যতা বোঝা যাবে কিসেযোগ্যতা বোঝানোর অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে পার্টটাইম জব বা চাকরি। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি করা কেন জরুরি ও বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করার ক্ষেত্রে কি কি বাধা আসে এবং পার্টটাইম চাকরি করলে কি সুবিধা পাওয়া যায় বা উপকারে আসে। ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি কি এবং চাকুরী ছাত্রজীবনে আর্থিকভাবে কতটুকু সফলতা বয়ে নিয়ে আসে এ সম্পর্কে আমরা খুঁটিনাটি সকল বিষয়ে জানতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুনঃ জিকিরের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন
পার্ট টাইম জব কি?
পার্ট টাইম জব বা খণ্ডকালীন চাকরি সাধারণত দিনে কয় ঘন্টা কিংবা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সেটা হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন কল সেন্টারের কাজ কোন প্রতিষ্ঠান বিক্রয় নির্বাহী হিসেবে কাজ, বা উন্নত মানের রেস্টুরেন্টে কাজ সহ আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ হতে পারে।যেটা নির্দিষ্ট একটি সময়ে তিন ঘন্টা বা চার ঘণ্টা বা 5 ঘন্টা কাজ করা ইত্যাদি। তারমানে, আপনি সহজেই পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে নিজের মেধা এবং শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন খণ্ডকালীন চাকুরির মাধ্যমে। যা দিয়ে আপনি আপনার ছাত্রজীবনের ব্যয় কিছুটা হলেও মেটাতে পারবেন বা আপনি সচ্ছল ভাবে চলতে পারবেন আপনার ফিনান্সিয়াল প্রবলেম গুলো অনেকটাই সহজ করে দিবে।এমনকি যাদের অস্বচ্ছল পরিবারের তাদের জন্য এই ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরির খুব প্রয়োজন বা দরকার যারা নিজের পড়াশুনার খরচ নিজেরাই চালিয়ে থাকেন।
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব করাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারব বা পারি এসব দেশের প্রায় সব স্টুডেন্ট ছাত্র জীবনে পার্টটাইম চাকরি করে থাকলে ও বাংলাদেশের ছাত্র দের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে আমরা এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করে থাকি। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালে আপনি দেখতে পারবেন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন যে তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি একই সময় কাজের জন্য ফিক্সড করা থাকে বা কাজের জন্য সুযোগ করে দেয়া হয়। যা দিয়ে ইসটুডেন এরা তাদের পড়াশোনার খরচ সহ তাদের আনুষঙ্গিক খরচ চালিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা একটু ব্যতিক্রম।
বাংলাদেশ পাট টাইম জব করায় বাঁধা
- আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটির উপকারিতা
আমরা মুখে অনেক বলছি পার্ট টাইম জব ভালো, কিন্তু আমরা কি সেটা মেনে নিচ্ছি আমরা ছেলেমেয়েদের ল্যাপটপ দিচ্ছি তারা গেম খেলে সময় নষ্ট করছে। নিজের থেকে তাদের কোনো তাগিদ নেই কাজ করার, আর বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করা কালীন কিছু করতে দিবেনা। আমাদের দেশের কোন স্কুলের শিক্ষক যদি স্স্কুলের বাগান বা স্কুলের মাঠ বাচ্চাদের দিয়ে পরিষ্কার করায়, তাহলে সেই শিক্ষকের চাকরি ওটাই হবে শেষ দিন। আর রাস্তা পরিষ্কার করাতে গেলে মনে হয় শিক্ষকদের দেশ ছাড়তে হবে। আর ফ্রেশারদের ক্ষেত্রেও মানবসম্পদ বিভাগের লোকদের কম জিজ্ঞাসা থাকে, আপনার কোন অভিজ্ঞতা আছে এ ধরনের কাজ আগে করেছেন তারা আসলে জানতে চাই আপনার কোন কো কারিকুলাম একটিভিটিস পার্ট টাইম জব এসব অভিজ্ঞতা আছে কিনা। আমি আপনাকে পার্সেন্ট ডিপারমেন্ট এর দায়িত্ব দিব এখন আপনি যদি কোনদিন বাজার সদাই কেনাকাটা নাই করেন আমি কিভাবে ভরসা করব আপনার উপর আপনি কি তাহলে সেটা পেতেন
মনে রাখবেন ইন্টারভিউয়ের সময় ফ্রেশারদের চাকরির অভিজ্ঞতা জিজ্ঞেস করা হয় না। একই রকমের কাজ আগে করেছেন কিনা সেটা জিজ্ঞেস করা হয়। আমি ত প্রেসার কাজের অভিজ্ঞতা পাব কোথায়। এই বাণী এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। কোম্পানি আপনাকে চাকরিতে দায়বদ্ধ নয়।
বিদেশে পিএইচডি ছাত্রছাত্রী স্টুডেন্ট সুপারশপে পার্ট টাইম জব করে। পড়াশোনার সাথে সাথে নিজের খরচটা যাতে হয়ে যায়, সেই আক্কেল বিদেশিদের মাঝে স্কুলজীবনেই হয়ে যায়, এবং এজন্যই তারা সবাইকে ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরি করতে উত্সাহ দিয়ে থাকে। এসবের মধ্যে তাদের লেখাপড়া চলে এতে তাদের কোন বিঘ্ন ঘটে না।
কি ধরনের পার্ট টাইম জব করা উচিত
বাংলাদেশে স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব মূলত টিউশনি। কিন্তু সামান্য টিউশনি পড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা পরিবার থাকে। যারা এত কিছুর পরেও কিছু একটা করে তাদের আবার এমন কমেন্ট শুনতে হয় টাকার প্রতি লোভ এসে যাবে মন বসবে না পড়ার টেবিলে। মা হয়তো বলবে কি আমার ছেলে কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় বলাবাহুল্য তা হচ্ছে টিউশনি আপনাকে কোন স্বীকৃতি দেয় না। এটা কিছু টাকা দেয় মাত্র। কিন্তু যে কোন কোম্পানিতে ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরি আপনাকে স্বীকৃতি ও সম্মান দেয়। ধরুন একজন শেষ বর্ষের ছাত্র ছাত্রী টিউশন করাচ্ছে। তার মাসিক আয় 30 হাজার টাকা। কিন্তু চাকরির বাজারে অভিজ্ঞতা শুন্য। উপরন্তু তিনি যদি পাশ করার পর 15 হাজার টাকা বেতনের চাকরিতে জয়েন করেন তাহলে তার জন্য সেখানে টিকে থাকা খুব কঠিন হবে।কিছু আদর্শ পার্ট টাইম জব হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কম্পিউটারের ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়
আসুন তাহলে আমরা এখন জেনে নিব ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি কি এবং সেগুলো কিভাবে করতে হবে।
কিছু আদর্শ পার্ট টাইম জব হতে পারে
এই ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত হলে তা যে আপনাকে পরবর্তী কি পরিমান শামনের দিকে নিয়ে যাবে তা ভাবতেও পারবেন না। তাছাড়া ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরি আপনার সিভিকে করবে অনন্য আপনাকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময় করে তুলবে আরো আত্মবিশ্বাসী। rf
ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি কি আসলে কি চাকরি করে টাকা উপার্জন করা নাকি দেশ ও জনগণের উপকারে আসা এই বিষয়গুলো আমাদের মাঝে অনেকেরই অজানা রয়েছে আমরা চাইলে চাকুরির মাধ্যমে নিজের পারিবারিক আর্থিক সমস্যাগুলোকে যেমন সহজ করে নিতে পারি, ঠিক একইভাবে এই চাকুরির মাধ্যমে দেশ ও জনগনের সেবা করতে পারি শুধু আমাদের স্বদিচ্ছা অভাব। সদিচ্ছা থাকলে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব ছাত্র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় দিকে যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠনে আরো বেশি মনোযোগী হোন বা বেশি পরিশ্রমী হোন তাহলে আপনার আগামী দিনগুলো হবে আরও উজ্জ্বল ও সুন্দর এবং সুখময় তাই আমরা এখন থেকে ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরি কি বা ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি কি এই বিষয়গুলোকে ভালো করে জানার চেষ্টা করব এবং ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি কি সেগুলো খুঁজে বের করে চাকুরী পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি কি কেন করবেন পার্ট টাইম চাকরি
অর্থ উপার্জন
পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের উপায় হল ছাত্রজীবনে সেরা পার্টটাইম চাকরি করা ।অর্থ উপার্জনের ফলে যেমন স্বাবলম্বী হওয়া যায়, ঠিক তেমনি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বহুগুণে। টানা একমাস পরিশ্রমের পর মাস শেষে পারিশ্রমিক হাতে পেয়ে এবং তা দিয়ে শখ পূরণ করে এক স্বর্গীয় আনন্দ লাভ করতে পারবেন ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরি করার মাধ্যমে। ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকুরী করে যারা নিজেদের খরচ নিজেরা চালিয়ে থাকেন তারা হয়তো খুব ভাল করেই বুঝবেন যে ছাত্রজীবনে নিজে ইনকাম করে চলার মধ্যে কতটুকু আনন্দের এবং সার্থকতা ছাত্রজীবনে যারা ইনকাম করেনি তারা কখনোই বুঝব না আনন্দটা কতটুকু তাই আমরা ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি এই বিষয়টিকে খারাপ চোখে বা এই কথাটিকে কেউ খারাপ মাইন্ডে নেবো না। ছাত্রজীবনে ইনকাম করে যেমন নিজের শখ আহ্লাদ নিজে পূরণ করতে পারবেন, ঠিক তেমনি ভ্রমণে যাবার শখ থাকলে নিজেই যেতে পারবেন কিনতে পারবেন একান্ত শখের কোন জিনিস। আর সেটা যদি হয় নিজের উপার্জনে টাকায় তবে সুখ তা বোধহয় বহুগুণে বেড়ে যায়।
নতুন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন
স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এটা করার মধ্য দিয়ে এমন কিছু দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব যা শুধু পড়াশোনা থেকে অর্জন করা যায় না। তাই অনেক গুণীজনেরা বলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে নেয়া সম্ভব না এমন কিছু শিক্ষা আছে বা এমন কিছু শেখার আছে যা আপনার রাস্তাঘাট থেকেও শিখতে পারবেন বা শেখার আছে তাই ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরির কোন বিকল্প নেই। ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন
যেমন ঃ
যোগাযোগ দক্ষতা।
দলগত ভাবে কাজ করা।
পরিকল্পনা পড়া এবং তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা।
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা ইত্যাদি দক্ষতা অর্জন করা যায়।
পরিশেষে
অন্যের স্বপ্নে বেঁচে থাকতে চেষ্টা করা এই সকল হতাশ ছেলেমেয়েরা চূড়ান্ত ধরাটা খায় পাশ করার পর। চাকরি বাজারে হাহাকার। সকলেই এক্সপেরিয়েন্স চায় এক্সপেরিএন্স পাব কোথায়তাই আমরা যারা স্টুডেন্ট একটু চেষ্টা করব ছাত্র জীবনের সেরা পার্টটাইম চাকরি কি এবং সেগুলো খুঁজে বের করে নিজেকে যথা সময়ে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা যোগ্যতা কে আরো বেশি শক্তিশালী এবং উন্নত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
...
ReplyDelete