তলপেটে ব্যথার কারণ
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো তলপেটে ব্যথার কারণ সমূহ । তলপেটে ব্যথা মেয়েদের মারাত্মক একটি সমস্যা। তলপেটে ব্যথা এত অতিরিক্ত হয়ে যায় যা সহ্য করার মতো না। তলপেটে ব্যথা মেয়েদের যে সব সময় হয় তা না। হঠাৎ মাঝে মাঝে তলপেটে ব্যাথা হয়। ডিম্বাশয়, জরায়ু, ইত্যাদি ।
এসব কারণে মেয়েদের তলপেটে ব্যাথা হয়ে থাকে। তলপেটে ব্যথা কখনো মেনে নেওয়া যায় আবার কখনো এত অতিরিক্ত হয়ে থাকে যা সহ্য করার মতো না। কি সমস্যার কারণে তলপেটে ব্যথা হয় এবং তলপেটে ব্যাথা হয় কেন তলপেটে ব্যথার ট্যাবলেট বা ঔষধের নাম ইত্যাদি সকল বিষয়ে কারণসমূহ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
তলপেটে ব্যথার কারণঃ
মহিলাদের যখন পিরিয়ড হয় তখন তলপেটে ব্যথা হতে পারে। মাসিক হওয়ার সময় ব্যাথা হয়ে থাকে । কারো কম কারো বেশি। 10 জনের মধ্যে একজনের কি সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তলপেটে ব্যথার কারণ জরায়ুতে টিউমার,ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রোসিস,এসব থাকলে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার সময় কারও কারও ব্যথা অনুভূত হয়।
মহিলাদের প্রস্রাবের সংক্রমণ খুব কম। এ কারণে তলপেটে ব্যাথা হতে পারে। এর সঙ্গে প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণা প্রসাবের সময় ব্যথা জ্বর জ্বর ভাব ইত্যাদি এসব দেখা দিলে আপনার তলপেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ দুই অক্ষর দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
যদি জরায়ুর আশেপাশে সংক্রমণ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার এই সমস্যাটা হতে পারে। পেলভিক ইনফ্লামাটরি ডিজিজ বলে।এর কারণে তলপেটে ব্যথা জ্বর ইত্যাদি । লক্ষণ দেখা দিতে পারে এগুলোই হচ্ছে তলপেটে ব্যথার কারণ। অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা প্রথমে শুরু হয় নাভির চার দিকে, তারপর তা স্থায়ী হয় তলপেটের ডান দিকে। সঙ্গে বমিও হতে পারে।
মেয়েদের তলপেট ব্যথা বিভিন্ন সমস্যা কারণে হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি একটু নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে রাখতে পারেন তাই তাহলে এসব সমস্যা থেকে আপনি খুব দ্রুত মুক্তি হতে পারবেন তাই অবশ্যই পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকার চেষ্টা করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে আপনার তলপেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হার্নিয়া ও পেশি ব্যথাঃ
আপনি যদি প্রচন্ড ভারী ব্যায়াম বা বাড়ি কোন কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দৌড়াদৌড়ি করলে তলপেটে ব্যথা আশঙ্কা বেশি। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি যখন অতিরিক্ত কোন কিছু করতে যাবেন এবং আপনার শরীরে বেশি নাড়াচাড়া দেবেন তলপেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পানি আমাদের জীবন আপনার দেহে যদি পানির পরিমাণ কম থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারবে। পানি কম খাওয়ার কারণে তলপেটে ব্যাথা হবে। পরিস্থিতি এড়িয়ে প্রতিবাদের কারণে অবশ্যই আপনার তলপেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যায়ামের সঙ্গে আপনি যদি ভারী কোন কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার তলপেটে ব্যথা হবে। রোগে শরীরের অভ্যন্তরীন একটি অঙ্গ যে পেশির সাহায্যে শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেই পেশির উৎপত্তিস্থল দিয়ে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে। তাই ভারী ব্যায়াম করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সবসময়।
অ্যাপেন্ডিসাইটিসঃ
পেটের ডান পাশে ব্যথা হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে অ্যাপেন্ডিসাইটিস।অ্যাপেন্ডিক্স’ হল আঙ্গুলের মতো আকৃতির একটি থলে যা পেটের নিচের দিকের ডানপাশ থেকে শুরু হওয়া বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর এই ‘অ্যাপেন্ডিক্স’য়ের প্রদাহকেই বলা হয় ‘অ্যাপেন্ডিসাইটিস’।আপনার যদি এই সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনার নাভির চার পাশ দিয়ে পেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পেট ব্যথা কমানোর উপায়
এই সমস্যা গুলোর কারণে আপনার ব্যথা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুরুষ-মহিলা তলপেটে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
আদা ও আদা চাঃ
প্রাচীনকাল থেকে চলে এসেছে আদার উপকারিতা। আদা খুবই কার্যকর। তাই তলপেটে ব্যথা দূর করার আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদা ওষুধের মতো কাজ করে। আদা বমি বমি ভাব দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও প্রদাহ বিরোধী গুণ থাকায় এটি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। তাই প্রকৃতিকভাবে পেটের ব্যথা কমাতে আদা কুঁচি করে অথবা চিবিয়ে খেতে পারেন।
আপেল ও কলাঃ
আপেলে ও কলাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আপেল কলা পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপেল কলা বমি বমি ভাব ডায়রিয়াতে খুবই উপকার।
পুদিনা পাতাঃ
পুদিনা পাতা পেটের ব্যথা বমি বমি ভাব পেট খারাপের জন্য অনেক কার্যকরী। পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। পেট ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায় উপায়ে পুদিনা পাতা।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসিড। যা আপনার হজম শক্তি দূর করতে সাহায্য। ব্যাকটেরিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পেট ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী। এক কাপ পানিতে কয়েক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে তারপর খেয়ে নিন। পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে অনেক মুক্তি পাবে।
পিআইডিঃ
সন্তান জন্মদানে কাজ করে এমন সব অঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এক্ষেত্রে। রক্তপাতের সাথে থাকে প্রচুর পেটব্যথা। জ্বরও থাকতে পারে একইসাথে।