বাংলাদেশের রিজার্ভ কত ২০২২

বাংলাদেশের রিজার্ভ কত ২০২২

বাংলাদেশের রিজার্ভ কত ২০২২

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ 37 মিলিয়ন ডলারের নিচে নামব। এমনকি আগামী বছর জুড়ে 40 বিলিয়ন ডলারের বেশি থাকবে। দুই বছর পর ঋণ পরিশোধ কিছুটা হলেও ভবিষ্যতে কখনোই তা তিরিশ মিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এ তথ্য।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছেন ইউক্রেনের যুদ্ধ ও করো না পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উদ্যোগ এর সুফল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশা করছেন উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হলে কখনোই রিজার্ভ 30 বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে না। 

দেশে আমদানি ব্যয় রপ্তানি আয় রেমিট্যান্স বৈদেশিক ঋণ ঋণ এর ভিত্তি ও বৈদেশিক অনুদানসহ সম্ভাব্য ভবিষ্যত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এমন ধারণা করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022 বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ 40 বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি থাকবে। ইতিমধ্যে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। রেমিটেন্স বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022

 রেমিটেন্স বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

 সেই ধারা ঠিক থাকলে কোন সমস্যা হবে না, তিনি উল্লেখ করেন 30  বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে 2023 ও 2024 সাল দূরে 38 থেকে 40 বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি থাকবে।

আরো পড়ুনঃ জুমার দিনের ফজিলত

এদিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে সামঞ্জস্য ফেরাতে চলতি অর্থবছর 20 বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

এদিকে চলতি বছরের প্রথম দিন থেকেই রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে বেশ খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাই দেশের রপ্তানি বেড়েছে 14 দশমিক বাহাত্তর শতাংশ। একই সাথে রেমিটেন্স প্রবাহ 12 শতাংশ বেড়েছে।

চলতি ও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022 এ ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি আগস্ট এ। চলতি আগস্টেও রপ্তানিও রেমিট্যান্স প্রবাহের বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের এলসি খোলা হয়েছে 5.8 বিলিয়ন ডলারের। এ সময়ে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স খাতে 6.8 বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

সেই হিসাবে জুলাই এর চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। একই ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি আগস্ট আগস্ট এর প্রথম 11 দিনে প্রবাসীরা ৮১ কোটি 30 লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। 2021 সালে আগস্টের প্রথম দশদিনের দেশে 67 কোটি 50 লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন আমদানি ব্যয় কমাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিলাসবহুল 27 ধরনের শতভাগ মার্জিন রাখা বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022 আমদানির এলসি যার প্রভাব পড়ছে ডলারের বাজারে। তিনি আরো বলেন রেমিটেন্স বেড়েছে। রপ্তানি আয়। সব মিলিয়ে অর্থনীতি যথেষ্ট ভাল অবস্থানে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার শামসুল আলম বলেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে। তিনি উল্লেখ করেন 2021, 22 অর্থবছরে আমরা প্রায় 10 লাখ শ্রমিক বিদেশে পাঠিয়ে ছিলাম। এতে রেমিটেন্স আরো বাড়বে বর্তমান তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না কারণ বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সবকিছুর দাম কমতে শুরু করেছে।

এদিকে বাংলাদেশে কোন সংকটময় পরিস্থিতিতে নেই বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল  আইএমএফ। মঙ্গলবার 16 আগস্ট অনলাইন সভায় বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের রাহুল আনন্দ এ মন্তব্য করেন তিনি বলেন অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামূলক অল্প জিডিপির কত শতাংশ।

এদিকে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের আমদানি ব্যয় কমাতে শুরু করেছে। ঋণপত্র খোলার হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিষ্পত্তির হার কমেছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022 বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে জুলাই আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে 658 কোটি ডলারের। তাজুলের তুলনায় 117 কোটি ডলার কম। এক মাসের ব্যবধানে 9 দশমিক 23 শতাংশ কমেছে।

আরো পড়ুনঃ স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বাড়ানোর উপায় 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০২২

জুলাই পাঁচশো পঞ্চান্ন কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, দাদু ছিল 796 কোটি ডলার। জুন থেকে জুলাই এলসি খোলা কমেছে 30.20 শতাংশ।   জুন  এ নিষ্পত্তি হয়েছিল 755 কোটি ডলার। 117 কোটি ডলার কমে দাঁড়িয়েছে 658 কোটিতে।

 যেসব কারণে কমবেনা রিজাভ

বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, সামনের দিনগুলোতে আমদানি ব্যয় আর বাড়বেনা। রপ্তানি আয়ে যেমন আছে তেমনি থাকবে। সামান্য কিছু বাড়তে পারে, তবে কমবে না। তবে বৈদেশিক ঋণের কিস্তির পরিমাণ এক বছর পর বাড়বে 2 বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে আবার দুই বিলিয়ন ডলারের এফডিআই বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে এতে ঘাটতি হবে না।

ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আসছে মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে চলতি অর্থবছরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হবে 13 শতাংশ। আমদানি ব্যয়  বাড়বে 12  শতাংশ। রেমিটেন্স ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং তা 15 শতাংশ বাড়বে।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা বাংলাদেশ 

আবার সাধারন প্রতিমাসে গড়ে দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসে কম  আসে। ঈদের আগে কোন কোন মাসে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বেড়েছে। এর সুফল পাওয়া যাবে আগামী বছর থেকে। ধারণা করা যাচ্ছে তখন মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসবে। বাংলাদেশের দিদাত কত 2022

দ্বিতীয়তঃ প্রতিমাসে গড়ে তিন বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়। এটি বার্থডে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের বৈচিত্রের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। তাই আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই মাসে রপ্তানি আয় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।

তৃতীয়তঃ প্রতিমাসে গড়ে তিন বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়। এটি বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আমদানি ব্যয় কমছে। এদিকে গড়ে 6 বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হয়েছে আমদানিতে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের নানামুখী উদ্যোগে আগামী মাস থেকেই খরচ 5 মিলিয়নের ঘরে নেমে আসবে। ডিসেম্বর নাগাদ নামবে 4 বিলিয়ন ডলারে।

চতুর্থ, আইএমএফ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ পাওয়া যাবে কয়েক বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং থেকে রেমিটেন্স আসে।

ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় করতে চান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের আইডি কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন সারাদেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এলে আইটি খাতে বিপ্লব ঘটবে।

সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড 2022 পেয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র দেশীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলা কার্স।

দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারার ক্যাটাগরিতে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি সেরা পুরস্কার পেল প্রতিষ্ঠানটি। বৃহষ্পতিবার 22 সেপ্টেম্বর ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি জহির হোসেন। 

বাংলা  কার গ্রুপের সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের হাইকমিশনার। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নিত্য নতুন উদ্ভাবন ও দক্ষতার বিচারে প্রতিবছর এই পুরষ্কার জিতে সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ এপিএস আয়োজন করা হয়।

পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান নেপাল শ্রীলংকা মালদ্বীপ আফগানিস্তান ও ভুটানের বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিবেচনা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের পঞ্চ বঁটিতে নিজস্ব কারখানায় নিজস্ব নকশায় মাসে অন্তত 30 টি গাড়ি তৈরি করছে বাংলা কার্টুন ইমিটেড। গাড়িগুলোতে লেখা থাকছে মেইড ইন বাংলাদেশ। আশাকরি বাংলাদেশের রিজার্ভ কত 2022 সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিতে পেরেছি, আমাদের ব্লগ পোস্ট পরে যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, আর যদি খারাপ লাগে তাও কমেন্ট করে জানাবেন, ভুল ত্রুটি মার্জনীয় ধন্যবাদ। 



Md:Aklacur Rahaman

মোঃএখলাছুর রহমান,আমি উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত আছি,আমি sorolmanus.com ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।আমার ব্যক্তিগত arnilofficial.com একটি তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকি।টেকনোলজির প্রতি আমি পাগল।বই পড়তে আমার ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads