কবুতরের চিকিৎসা ও পরিচর্যা

কবুতরের চিকিৎসা

কবুতরের চিকিৎসা

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব কবুতরের চিকিৎসা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই  কবুতর খুব পছন্দ করে থাকি তাই কবুতর পালন করি । বাসা বাড়িতে আমরা  কবুতর পালন করি কিন্তু কবুতরের চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের আজকের এই আলোচনা।পশু পালন করতে গেলে তাদের অসুখ-বিসুখ অসুস্থতা হতে পারে। কবুতর পালন ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন। কিভাবে কবুতরের চিকিৎসা করাবেন  ঘরোয়া পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নিন।    

 কবুতর এমন একটি পাখি যাক আজ থেকে দশ হাজার বছরের বেশি সময় মানুষের সাথে রয়েছে এই কবুতর। যুগ যুগ ধরে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কবুতর পালন করে আসছে।  বর্তমান যুগে কবুতর পালন অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই অবশ্যই আমাদের সকলকে জানতে হবে কবুতরের চিকিৎসা সম্পর্কে কবুতর পালন করা সম্পর্কে কবুতর খাবার সম্পর্কে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আলোচনা।

বর্তমান যুগের মানুষ কবুতর খুবই ভালোবেসে থাকেন তাই কবুতর পালতে সবাই পছন্দ করে। বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির থেকে কবুতর আসলে এক সৌন্দর্য তাই সবাই  পালতে  পছন্দ করে। কবুতর পালন প্রচুর পরিমানে বেড়ে চলছে তাই কবুতর পালন করতে হলে কবুতরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে সেই সমস্যাগুলো কিভাবে দূর করবেন এবং কবুতরের চিকিৎসা কিভাবে করাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব। 

কবুতর পালন করা খুবই সহজ আপনি চাইলে আপনার বাড়ির কোনায় আঙিনায় যেখানেই অল্প পরিমাণে জায়গা থাকবে সেখানে আপনি কবুতর পালন করতে পারবেন। চাইলে বাসা বাড়ির ছাদে কবুতর পালন করতে পারবেন গ্রাম বাড়িতে কবুতরের খাঁচা তৈরি করে কবুতর পালন করতে পারবেন। 

চলুন তাহলে জেনে নেই কবুতরের চিকিৎসা সম্পর্কে।

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ও তার চিকিৎসা জেনে নিন

  •  কবুতরের রক্তপাত
  •  কবুতরের হ্যান্ড ভাঙ্গা
  • কবুতরের কিছু জীবাণুযুক্ত রোগের নাম
  •  প্রতিকার

কবুতর পালনের সুবিধা সমূহ সম্পর্কে জেনে নিনঃ

আবহাওয়া কবিতর  বিচরণের অনুকূল হওয়ার কবুতর পালনের জন্য বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে কম খরচে খুব সহজে কবুতর পালন করা যায়। প্রথমে আপনাকে ভাবতে হবে কম খরচে সহজ উপায় কিভাবে কবুতর পালন করা যায় সে সম্পর্কে জেনে তারপর কবুতর পালন করতে হবে।

তা না হলে আপনার প্রচুর পরিমাণে ঘাটতি হবে। সবকিছুর ঘাটতি দিক ভেবে তারপরে আপনার আইডি খুজে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কবিতার পালন করতে হবে।

কবুতর পালনের খরচ সম্পর্কে জেনে নিনঃ

কবুতর পালনের জন্য খুব বেশি মূলধন এর প্রয়োজন হয় না। এর কারণ হলো বাসস্থান খরচ একদম কম খরচ। কবুতর পালন করার সহজ পদ্ধতি হচ্ছে আপনি  বাড়ির কিনারায় বা ঘরের কোনায় এবং বাড়ির ছাদে দেওয়ালে ঝুলন্ত বক্সের ভেতরে আ বাড়ির আঙিনায় ইত্যাদি এসব স্থানে কবুতর পালন করতে পারবেন।  খুবই অল্প জায়গায় কবুতর পালন করা যায় তাই এই দিকটা একটু খরচ কম।  

লাভজনকভাবে একটি প্রাণী পালনের প্রথম শর্ত  হল কম খরচ। যে কোন প্রাণী পালার সময় খরচ যত পরিমাণে কম হবে তত পরিমাণে আপনারা লাভজনক বৃদ্ধি পাবে তাই চেষ্টা করতে হবে কবুতর পালন করতে হলে কম খরচে কিভাবে লাভজনক হওয়া যায়। সর্বনিম্ন আপনি চাইলে 300 থেকে 400 টাকা দিয়ে এক জোড়া কবুতর কিনতে পারবেন আপনার আস্তে আস্তে বেড়ে যাবে তেমন খরচ হয় না। 

খাবারের দিকটা যদি ভাবতে চান সে ক্ষেত্রে শহর এলাকায় একটু কবুতরের খাবার নিয়ে সংকোচ হতে পারে সেটা হচ্ছেঃ শহর এলাকায় কবুতরের খাবার গুলো কিনে খাওয়াতে হয় যার ফলে এতে একটু বেশি খরচ হতে পারে।

আরো পড়ুন: 

 তবে আপনি যদি গ্রাম অঞ্চলে কবুতর পালন করতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ একেবারেই কম কারণ গ্রাম অঞ্চলে কবুতরের খাবার গুলো কিনে খাওয়াতে হয় না যে খাবারগুলো কবুতরকে খাওয়ানো হয় সেই খাবারগুলো কৃষকদের বাড়িতে সবার ঘরেই পাওয়া যায়। কবুতরের খাবার গুলো হচ্ছে যেমন গম ভুট্টা ধানসিঁড়ি ইত্যাদি। তাই এই খাবারগুলো গ্রাম অঞ্চলে পাওয়া খুবই সহজ কারণ গ্রাম অঞ্চলের সবাই কৃষকের কাজ করে থাকেন তাই তাদের ক্ষেত্রে কবুতর পালন করা অনেক সহজ হবে এবং কম খরচেই কবুতর পালন করা যাবে। 

কবুতর পালন করার জন্য কবুতরের যে খাবারগুলো খাওয়ানো হয় সেই খাবারগুলো গ্রাম অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।  কিন্তু  শহর এলাকায় খাবার গুলো পাওয়া যায় না।  যার ফলে শহর এলাকায় কবুতর পালন করা একটু খরচ বেশি হয়ে যায়। 

দিন দিন যদি কবুতর পালন বাড়ানো যায় তাহলে লাভজনক অনেক বেশি তাই কবুতর পালন করতে হলে পাল বাড়াতে হবে। 

 কবুতরের চাহিদা সম্পর্কে জেনে নিনঃ

সারাবিশ্বে কবুতর পালন করার চাহিদা বেড়ে চলছে প্রাচীনকাল থেকে চলে এসেছে কবুতর পালন করা। কবুতর পালন করা বর্তমান যুগে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে চলছে। তাই আজকে তাদের জন্য আমাদের পোস্ট আপনি যদি কবুতর পালন করতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টে যে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে সেই তথ্যগুলো জেনে তারপর কবুতর পালন চেষ্টা করুন কবুতরের আপনি অনেক লাভজনক বৃদ্ধি পাবে। কবুতর পালন করে দেশে মূলত তিনটি কাজের জন্য কবুতর পালা হয় যেমনঃ

  • কবুতর রেস
  • মাংস উৎপাদন
  • শখের বশে কবুতর পালন করা

আমাদের দেশে এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা শখের বশে কবুতর পালন করে থাকেন আবার এমন কিছু লোক রয়েছে যারা কবুতরের মাংস উৎপাদনের জন্য কবুতর পালন করে থাকেন আবার কিছু লোক রয়েছেন যারা  কবুতর পালন করে থাকেন। কবুতরের বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর চার সপ্তাহের মধ্যে খাওয়াবা বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়।  একজন একজন সুস্থ সবল কবুতর বছরে 12 জোড়া কবিতা বাচ্চা দিয়ে থাকেন। তাই বলা হয় কবুতর পালন করা খুবই লাভজনক।   

কবুতরের  রেসর জন্য  ও শখের জন্য অনেকেই অনেক দামি দামি কবুতর পালন করে থাকে লাভজনক এর আশায়। প্রজাতি ভেদে এসকল কবুতরের দাম হতে পারে 5 থেকে 7 হাজার থেকে 1 লক্ষেরও বেশি।  কবিতা শুনে অনেকেই হয়তো অবাক কি করে সম্ভব কিভাবে সম্ভব এটাই সত্য আপনি কবুতর পালন করে দেখুন আপনি লাভবান হতে পারবেন। আপনার যদি অধিক বুঝি থাকে তাহলে বেশি দামের কবুতর পালন করতে পারেন। কমদামের কবিতা গুলোর কারণে আপনি বেশি লাভজনক হতে পারবেন না তাই চেষ্টা করবেন বেশি দামের  কবুতর পালন করা ।  তাহলে বেশি বেশি পরিমাণে লাভজনক হতে পারবেন। 

কবুতরের  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জেনে নিনঃ

কবুতর পালন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কবিতরের ভালো যত্ন নিতে হবে পরিষ্কার পরিছন্নতা রাখতে হবে আপনি যদি পরিষ্কার পরিছন্নতা রাখতে পারেন তাহলে কবুতরের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।  আমার পাখি পালন সবার কাছে পোস্ট প্রাণীর রোগ-বালাই একটি আকর্ষণীয় নাম।  কবুতরের ক্ষেত্রে কিছুটা কম । কবুতর পালন করতে হলে আপনি যে নিয়ম মুহূর্ত চলতে পারেন বেশি রোগের সম্ভাবনা থাকেনা। কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ভালো। কবুতরের যদি রোগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে যত্ন নিয়ে পরিষ্কার পরিছন্নতা করে সেইক কবুতরগুলোকে সুস্থ করার চেষ্টা করতে হবে। 

কবুতরের উর্বরতা পোস্ট করাঃ

কবুতরের খুবই উর্বর একটি প্রাণী। মুরগি ও হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর সম্ভাবনা যেখানে 80% থেকে 85 শতাংশ সেখানে কবুতরের ক্ষেত্রে 98% থেকে 99 পর্যন্ত। মুরগি ও হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর সম্ভাবনা যেখানে 80% থেকে 85 শতাংশ সেখানে কবুতরের ক্ষেত্রে 98% থেকে 99 পর্যন্ত । কবুতর পোষ মানে ও বেশ উন্নত।

কবুতরের জীবনকালঃ

কবুতরের জীবনকাল সাধারণত 12 থেকে 15 বছর হয়ে থাকে।  কবুতর ডিম দেওয়ার পর সাধারণত  18 দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।  ডিম থেকে বের হওয়ার পর মাত্র এক মাস বয়সে কবুতরের বাচ্চা মাংস হিসেবে খাবার উপযুক্ত 5 থেকে 6 মাস বয়সের বংশবিস্তারের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করে। তারপর তারা নিজেই ডিম দেওয়া শুরু করে। এভাবেই কবিতর তিন মাস পর পর ডিম উৎপাদন এবং বাচ্চা ফুটিয়ে থাকেন।

কবুতরের জাত নির্বাচনঃ

বর্তমান যুগে আমাদের দেশে মূলত 20 থেকে 30 প্রজাতির কবুতরের দেখা যায়। কবুতরের জাত নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপক। কবিতর যদি ভাল জাতের না হয় সে ক্ষেত্রে কবুতর পালন করা খুবই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। উদ্দেশ্য না কবুতর পালন করবেন তার উপর নির্ভর করে জাত নির্বাচন করতে হবে।  মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে যদি শকের কবুতরের জাত নির্বাচন করেন তাহলে ভয়ঙ্কর ক্ষতিসমূহ হতে হবে। তাই জেনে নিন কবুতরের জাত নির্বাচন আদর্শ কিছু নিয়ম।

শখের কবুতরঃ

লক্ষ ফ্যানটেল সিরাজী জ্যাকলিন পটার সার্চিং জ্যাকোবিন রোলার নান লোটন  গেলাতি মাঝারি দাম   ফ্রেজার বোখারা  আউর  ফিলম  ব্যাগ ভিক্টোরিয়া  বেশি দামি।

 মাংস উৎপাদনঃ

  • কিং  হোমার

 রেসার কবুতরঃ রেস এর জন্য সবচেয়ে ভাল হল রে জাত। কবুতরকে রেসের খেলাতে চাইলে ছোটবেলা থেকেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে। 

কবুতরের খাদ্যঃ

কবুতরের খাবার গুলো হাঁস-মুরগি যে খাবারগুলো খেয়ে থাকে সাধারণত সেই খাবারগুলো কি খাওয়ানো যায়।  তবে  কবুতরকে ভাত ও  চাউল খাওয়ানো যাবে।  ভাত ও চাউল খাওয়ার কারণে কবুতর ডিম দিতে পারে না এবং বাচ্চা হয় না কারণ কবিতরের শরীরের ওজন অনেক বেড়ে যায়।

শর্করা আমিষ খনিজ লবণ ভিটামিন ইত্যাদি থাকা খুবই প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে একটি পাখির পালকের 80 শতাংশ আমিষ দ্বারা গঠিত। সুষম খাদ্য 15 থেকে 16 শতাংশ আমিষ থাকা আত্মবাচক। তাছাড়া প্রতি কেজি খাবারে ২৫০০-২৬০০ কিলোক্যালরি  থাকা প্রয়োজন। সাধারণত কবুতর তার ওজনের দশ ভাগের এক ভাগ খাবার খেয়ে থাকেন। সাধারণত কবুতর তার ওজনের 10 ভাগের এক ভাগ খাবার খেয়ে থাকেন কবুতরের খাবার হিসেবে কবুতর গম  ভুট্টা  সরিষা জব খেসারি ডাল ইত্যাদি এসব খাবার খেয়ে থাকেন। এছাড়া আরো অনেক কিছু কবি তোর খেয়ে থাকেন সেগুলো জেনে নিন কয়লার গুড়া ইটের গুড়া চুনাপাথর লবণ ইত্যাদি।  উপরের যে খাবারগুলো কথা বলা হয়েছে সে খাবার গুলোর সঙ্গে এই খাবারগুলো মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।

কবুতরের খাদ্য   উপাদান শর্করার পরিমাণঃ

  •  কবুতরের খাদ্য উপাদান -  খাদ্যের পরিমাণ
  •  মটর-  35  পারসেন্ট 
  • গম- 30 পার্সেন্ট
  •  ভুট্টা- ৩০পার্সেন্ট
  •  লবণ-০১ পার্সেন্ট
  •  ঝিনুকের গুড়া ইটের গুড়া চুনাপাথর-০৭পারছেন

এ খাবার গুলো রেখে দিলে তারা প্রয়োজনমতো খাবার খেতে পারেন বাণিজ্যিকভাবে কবুতর উৎপাদনের জন্য নির্মল খাদ্য মিশ্রণ ব্যবহার করা উত্তম। তবেই রেসার কবুতরের ক্ষেত্রে খাদ্য বিশেষ নজর রাখতে হবে। যেমন দূরপাল্লার খাবারের চর্বির পরিমাণ কিছুটা বেশি রাখতে হয়। কারণ দূরপাল্লার  কবুতর কবে থেকে শক্তি লাভ করে। 


কবুতরের বাসস্থান ও খাঁচার মাপঃ

 উপর উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে কবুতর পালনের সুবিধা সম্পর্কে এখন আলোচনা করব কবুতরের বাসস্থান ও খাঁচার মাপ সম্পর্কে। কবিতার বালা একদমই সহজ এবং খুবই শান্তিময় কারণ কবুতর পালতে হলে আপনার অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন হবে না অল্প জায়গাতে আপনি কবুতর পালন করতে পারবেন যেমন ঘরের কোনায় আঙ্গিনায় বাসার ছাদে ইত্যাদি কবুতর পালন করুন অথবা দেয়ালের সাইডে ঘরের মতো করে কবুতর পালন করতে পারেন খুব অল্প জায়গা নিয়ে কবিতার পালন করা যায়। ছোট কবিতার জন্য কবিতা খাঁচার মাপ 30 সেন্টিমিটার 30 সেন্টিমিটার বড় কবুতরের জন্য 500 সেন্টিমিটার যথেষ্ট। কবুতরের  খোপ এর সাধারণ তালা বিশিষ্ট করতে পারে।

আরো পড়ুন: 

কবুতর পালন করতে হলে আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে কোবিতোরের তারা আলো-বাতাস পাচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর কবুতরের ঘর তৈরি করতে হবে।  এখানে আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে কবুতর পালন এমন জায়গায় এমন ভাবে করতে হবে যেন কুকুরের নাগালের নাগাল পাওয়া যায়।

কবুতর পালন করার সুবিধা এবং আরামদায়ক এর জন্য আপনাকে একটি    খোপ  এক জোড়া কবুতর রাখতে হবে । কবুতরের বাচ্চা জন্মের ছবি দেওয়ার জন্য একটি মাটির পাত্র দিয়ে রাখতে হবে।

কবুতরের খাঁচা পোকামাকড় ময়লা-আবর্জনা জীবাণু ইত্যাদি এসব থেকে নিরাপদে রাখতে হবে।

কবুতরের ঘরের ভেতরে অশোকনগর রেখে দিলে নিজেরাই সেগুলো দিয়ে ভেতরে সুন্দর বাসা তৈরি করতে পারে। কবুতর ডিম পারার সময় শুকনো ঘাসে ঘাসে জাতীয় উপাদান দিতে হয়।


কবুতরের প্রজনন প্রক্রিয়াঃ

কবুতর পালনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  কবুতরের প্রজনন। কবুতর পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো কবুতর প্রজন্মের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন ও বিক্রি। কবুতরের  প্রজন্ম প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয় ও নিচের ধাপগুলো মাধ্যমে আলোচনা করা হল জেনে নিনঃ

প্রথম ধাপ জোর বাধাঃ

কবিতরের প্রজন্মের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে জোর বাধা।  মুরগি হাঁস কবুতর হঠাৎ করে জড়বাদের না। সাধারণত একটি মদ্দা  ও মাদি কবুতরকে  একসাথে  এক সপ্তাহ রাখলে জোড়া বাঁধে।

 দ্বিতীয় ধাপঃ ডিম পাড়াঃ

জোড় বাঁধা মাদী কবুতরের  জন্মস্থান ডিম উৎপাদন হয়। কবিতর একেবারে সাধারণত 2 টি ডিম পেয়ে থাকে। ডিম পাড়ার 40-44 ঘন্টা পূর্বে ডিম্ব সচল হয়। ডিম পাড়ার আগে মাদী কবুতর কে একবার দুই দিনের জন্য বসে থাকতে দেখা যায় ডিম পাড়ার 24 ঘন্টা পূর্বে এটি নিষিদ্ধ হয়। অতএব মাদী কবুতর ডিম পাড়ে।

 তৃতীয় ধাপঃ ডিমের পরিচর্যাঃ

ডিমের পরিচর্যা  মদ্দা ও মাদি দুজনে করে থাকে। ডিম পাড়ার পর থেকেই তাদের ডিম কে চাপ দিতে শুরু করে। প্রক্রিয়া মূলত নিজের শরীরের উত্তাপ অন্যের সাহায্য তার ডিমের ভেতর বাচ্চা কবুতরকে বেড়ে উঠাতে সাহায্য করে থাকেন। ডিম পাড়া পঞ্চম দিনে দিনের মাথায় নিশ্চিত ডিম থেকে বাচ্চা হবে। সূর্যের আলো বাতির সামনে ধরলে উপসর্গ ডিমের ভেতর রক্তনালী দেখা যাবে। অনুরোধ ডিমের ভেতর তা দেখা যায় না। ডিম পাড়ার 17 থেকে 18 দিনের মধ্যেই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে যায়।

 চতুর্থ ধাপঃপিজিয়ন মিল্কঃ

 কবুতর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। কবুতর ডিম দিতে শুরু কর আর কিছুদিন পর থেকেই নিজেদের শরীরের ভেতরে কবিতার জন্য খাবার তৈরি করতে শুরু করে যা পিজিয়ন মিল্ক নামে পরিচিত।পিজিয়ন মিল্ক এটি তৈরি হয়ে থাকে কবিতরের দেহের থেকে নামক স্থানের কোষগুলো মধ্যে। কবুতরের খাদ্য পরিপাক করার আগে তীব্র খাদ্য জমা থাকে। এখন থেকেই কবিতার জন্য মাতা-পিতা দুজনেই উৎপাদন করে থাকে। এটি খুবই পুষ্টিকর থানার প্রাকৃতিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। এতে রয়েছে 70 পার্সেন্ট পানি  17 পয়েন্ট 17.5 পার্সেন্ট আমি  আমিষ 10% স্নেহ  2   5পয়েন্ট খনিজ পদার্থ রয়েছে।

কবিতরের সানা জন্মের পর 10 দিন অবধি মা-বাবা তাকে এ খাবার খায়। এসব  মাদি  ও মদ্দা  কবুতর কে বেশি করে তরল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হয়। এতে করে বিভিন্ন মিল্ক এর উপাদান প্রচুর পরিমাণে ভালো হয়।

 পঞ্চম ধাপঃ কবুতরের বাচ্চা ঃ

কবুতরের বাচ্চার জন্মের পরেই চার থেকে পাঁচ দিন পর তাদের চোখ ফোটে। জন্মানোর পর এদের দেহ হলুদ লোম দিয়ে ঢাকা থাকে। তার 13 থেকে 15 দিন কবুতরের বাচ্চার সারা শরিলে  পালক ওঠে। হাজার 900 থেকে 20 দিনের সময় এদের ডানা ও লেজ পূর্ণতায় লাভজনক বৃদ্ধি পায়। 26 থেকে 30 দিনের মধ্যে কবিতাটি পূর্ণাঙ্গ রূপে তৈরি হয়।চাইলে বাচ্চা কবুতর গুলো 15 থেকে 30 দিনের সময় বিক্রি করতে পারেন। কবুতরের বাচ্চার বয়স যখন এক মাস হয় তখন মা কবুতর খাবার  ডিম দিতে পারে। 

কবুতরের রোগ ও তার চিকিৎসাঃ

 রক্তপাতঃ

রক্তপাত কবিতরের সাধারণ একটি সমস্যা বা দুর্ঘটনা আঘাতজনিত কারণে হতে পারে। কবুতর উড়তে গিয়ে করতে গিয়ে ধরা কিছু সাথে বাড়ি খেলে বা বিড়াল বাজপাখি কারণে রক্তপাত হতে পারে। অতিরিক্ত যদি রক্তপাত হয় সে ক্ষেত্রে কবুতরের মাথা  ঢোল পড়ে । এইসময় কবুতরকে আলতো করে যাতে বুকে চাপ না লাগে এমন ভালো ভাবে ধরে রাখতে হবে। 

হাড়ভাঙ্গাঃ

  কবুতরের  হাড়ভাঙ্গা এটি একটি আরেক সমস্যা। হার সম্পূর্ণ ও আংশিক দুইভাবেই ভাঙতে পারে আংশিকভাবে ভাঙ্গা হাড় সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।

  •   হাড়ের কিছু অংশ খসে পড়তে
  •  হাড়ের চির ধরতে পারে
  •  হাড় বাঁকা হয়ে যেতে পারে

কবিতরের শরীরের হাড় সম্পূর্ণ হাড় ভাঙলে হাড়ের দুই বা ততোধিক অংশের সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে হারকে যথাসম্ভব সঠিক অবস্থানে এনে ত্বকের বাইরে তিন থেকে চার টুকরা কাঠি বাস সহকারে বলে দিতে হবে। চাইলে প্লাস্টার করতে পারেন। সাধারণত কবিতরের ব্যান্ডেজ 21 থেকে 40 দিন রাখতে হবে। কবিতার এর বসা সুবিধা করতে হবে। হাড় ভাঙ্গার সময় তরল খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। এসবের কারণে হারদুত্ত ভালো হতে সাহায্য করে।

শেষ কথাঃ

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে কবুতর পালন করার চিকিৎসা সম্পর্কে। সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমাদের সঙ্গে থেকে জেনে নিন কবুতর পালন করা সম্পর্কে সকল তথ্য।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads