বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা |
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা
আজকে আমাদের পোস্ট রয়েছে বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা । একটি বাচ্চা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে পুষ্টি খাবার মাধ্যমে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে বাচ্চাদেরকে। জন্মের পর আপনাকে ভাবতে হবে বয়স অনুযায়ী বাচ্চাদের খাবার তালিকা সম্পর্কে।
আমরা সবাই জানি শিশু মানে সুন্দর শিশু মানে যত্নের আদরের একটুকরো সম্পদ তাই মায়েদের চিন্তা থাকে বাচ্চা জন্মের পর খাবার তালিকার সম্পর্কে। কোন বয়সে কোন সময় কি খাবার খাওয়াতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সাধারণত আমরা জানি বাচ্চা জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ এক থেকে দুই বয়সে খাওয়াতে হয় । মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই প্রয়োজন নেই।
আপনার বাচ্চার ক্ষুধা লাগবে মায়ের বুকের দুধ খাবে। একজন মা বুঝতে পারেন নবজাত শিশুর কখন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং কখন খেতে চায়। তবে শিশু যখন ছয় মাস বয়স হবে তখন মায়ের বুকের দুধের সাথে অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ছয় মাস বয়স সময় মায়ের বুকের দুধের সাথে অন্যান্য বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫টি নতুন গেম ডাউনলোড করুন
আপনার বাচ্চাকে আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সঠিক পুষ্টিকর খাবার দিয়ে তাকে নিয়মিত খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার বাচ্চা ধীরে ধীরে খুব দ্রুত বড় হতে সাহায্য করবে এবং সুস্থ থাকবে কখনো অসুস্থ হবে না তাই পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই খাবেন। বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য মা-বাবার ভাবনা চিন্তা কোন শেষ নেই। আপনার শিশুকে আপনি যদি সুস্থ রাখতে চান সেক্ষেত্রে বাচ্চা খাবার তালিকা করতে পারেন। বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ছয় মাস অনেকে এর বেশিও খেয়ে থাকা। তবে আপনি চেষ্টা করবে বুকের দুধ দুধ খাওয়া সাথে সাথে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করব।
চলুন জেনে নেই বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা সম্পর্কে।
বাচ্চা জন্মের পর 6 মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে ।
বাচ্চার বয়স যখন ছয় থেকে সাত মাসঃ
এই সময় মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন যেমনঃ কমল, আপেল, মিষ্টি, পাকা পেঁপে, পাকা কলা, মিষ্টি জাতীয় ফল, চাউলের গুড়া, সুজির হালুয়া, গাজরের হালুয়া, ইত্যাদি।
বাচ্চার বয়স যখন 7 থেকে 9 মাসঃ
বাচ্চা যখন 7 থেকে 9 মাস বয়স হয় তখন বাচ্চার কিছুটা পরিবর্তন ঘটে যার ফলে আপনি ফল ও শস্যজাতীয় খাবার খাওয়াতে পারেন। এই সময় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। যে খাবারগুলো একদমই নরম তুলতুলে খাবারগুলো খাওয়াতে হবে। এই সময় বাচ্চাদের এমন খাবার দিতে হবে যেন তারা নিজে নিজে হাত দিয়ে খেতে পারে। যেমনঃ ফুলকপি, বরবটি পেঁপে, শাকসবজি, ডাল, সবজি অতএব যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে সেই খাবারগুলো এ সময় খাওয়ানো খুবই দরকার।
আরো পড়ুনঃ সেরা ৫টি ব্যবসা আইডিয়া
বাচ্চার বয়স যখন 9 থেকে 12 মাসঃ
বাচ্চার খাবার তালিকা এই সময় প্রায়ই বড়দের মতো খাবার খাওয়াতে পারবেন। আগের থেকে এখন আরো একটু খাবার তালিকা বাড়াতে হবে। আগের থেকে এখন একটু বেশি খাবার খেতে পারবেন যেমনঃ ভাত, ডিম সিদ্ধ, ডিম পোচ, নরম খিচুড়ি, সবজি খিচুড়ি, দুধ,, রুটিন, ডাল, চিকেন সুপ, ক্ষীর, পায়েস, গাজরের হালুয়া, ইত্যাদি।
1 থেকে 2 বছরের বাচ্চার খাবার তালিকাঃ
বাচ্চার বয়স এক বছর ও দুই বছর তখন বাবা মা যে খাবার গুলো খেয়ে থাকো সে খাবার গুলো খাওয়াতে পারো। কিন্তু এ সময় একটু নরম খাবার মুখে ঝাল কম খাবার খেতে হবে । এ সময় আপনি আপনার শিশুকে মাছ-গোশত সবজি জাতীয় খাবার খাওয়াতে পারবেন।
জেনে নিন বাচ্চার ক্যালরি চাহিদা একটি চার্ট নিচে উল্লেখ করা হবে।
বয়স (মাস )- ক্যালরি চাহিদাঃ
০৩=১২০
৩-৬=১১৫
৬-৯=১১০
৯-১২=১০৫
২ বছর এর অধিক বয়সীঃ
- জাঙ্ক ফুড এবং কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। ক্রিস্প, কুকিজ, কেক, সোডা এবং ক্যান্ডির মতো কারখানায় তৈরি স্ন্যাকসগুলি অস্বাস্থ্যকর। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, লবণ, চর্বি এবং রাসায়নিক রয়েছে যা শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পড়ুনঃ পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে করণীয়
- এরুপ বয়সের শিশুদের দৈনন্দিন স্বাভাবিক খাবারের সাথে ধাপে ধাপে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।
- শুধু মাত্র সহজপাচ্য, তরল বা নরম নয় বরং শক্ত, তৈলাক্ত, তুলনামূলক পরিমাণ বৃদ্ধি করে এমন সব ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত ও অভ্যস্ত করা উচিত।