আমাদের দেশে একটা সমস্যা হচ্ছে পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না । এখানে খুব অল্প পারিশ্রমিকের শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই আমরা চাইলেও কেউ বেশি বেতনে বেশি পারিশ্রমিক এ কাজ করতে পারেনা আপনি যদি কোন চাকরির বিজ্ঞাপন গুলো পড়েন তাহলে দেখতে পারবেন যে আমাদের দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পারিশ্রমিক টা দেওয়া হয় তা নামমাত্র একটা পারিশ্রমিক। সেই পারিশ্রমিক দিয়ে আসলে একজন লোকের স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা সম্ভব হয় না অর্থাৎ তার পারিবারিক খরচ ব্যক্তিগত খরচ মেটানো সম্ভব হয় না। আপনি এখন bdjob.com অথবা kormo.com নামের ওয়েবসাইটটিতে যে দেখে আসতে পারেন যে আসলে যে ধরনের বেতন আমাদেরকে দেওয়া উচিত সে ধরনের বেতন আমরা পাচ্ছি না।
আমার মতে এখানে আমরা একটা বড় প্রতারণার শিকার হচ্ছে এই দিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ নজরদারি করত তাহলে আমরা সাধারন মানুষেরা একটুও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারতাম। আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি যেন অচিরেই আমাদের এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
তবে আমরা যদি শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কিছু করার চেষ্টা করি তাহলে মনে হয় এখানে আমরা চাকরির চেয়ে আরো বেশী পারিশ্রমিক পেয়ে যাব। সাথে সাথে পরিশ্রমের পরিমাণ কমে আসবে। আমরা যদি অতীতের মনীষীদের দিকে তাকাই তাহলে দেখব তারা কিন্তু অনেক ছোট ছোট কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আমাদের নবী রাসুল (স) এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাই আমরা যদি এই পারিশ্রমিকের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই তাহলে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারি। একমাত্র ব্যবসার মাধ্যমে আপনি আপনার পারিবারিক খরচ মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পয়সা উপার্জন করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। এছাড়াও যদি ব্যবসা ভালোভাবে করা যায় তাহলে জীবনটাকে উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
আজকে আমি একটা দারুন ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই ব্যবসাটি চাইলে বাড়িতেই শুরু করা সম্ভব এমনকি যারা গৃহিণী রয়েছেন তারাও এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। হ্যাঁ আমি কেক তৈরি করার ব্যবসার কথা বলছি। বিভিন্ন ধরনের কেক এর মধ্য থেকে যদি আপনি জন্ম দিনের কেক তৈরির ব্যবসা টি বেছে নিতে পারেন তাহলে আমার মনে হয় আপনি একটি ভাল এবং স্মার্ট পেশা বেছে নিতে পারবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা দেখে আসি এই ব্যবসাটি কিভাবে করবেন।
প্রথম ধাপ
সর্বপ্রথম আপনাকে কিভাবে জন্মদিনের কেক বানাতে হয় সেটা জানতে হবে। আমাদের দেশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কেক বানানোর উপরে ট্রেনিং দিয়ে থাকে অথবা ফুড রিলেটেড ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে সেগুলোও কমপ্লিট করা যেতে পারে। এছাড়া শুধুমাত্র কেকের উপর ট্রেনিংয়েরও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অথবা ফেসবুকে খুজলে আপনি এদের ঠিকানা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন বাড়িতে কেক এর কারিগর থাকে তাদের কাছ থেকেও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শিখে নিতে পারেন।এছাড়া আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠান না যে কেক বানানো শিখতে চান তাহলে ইউটিউবের সহযোগিতা নিতে পারেন। এ সম্পর্কে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপ
কেক বানানোর প্রক্রিয়া শিখে যাবেন তখন আপনাকে ব্যবসায় নেমে যেতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসায় নামার জন্য কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে যেমন কেক মৌল্ড, উইপিং ক্রিম, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা ইত্যাদি। আরে সকল সরঞ্জাম আপনি ঢাকার নিউমার্কেটে পেয়ে যাবেন। নিউমার্কেটে বেকিং সরঞ্জামের প্রচুর দোকান রয়েছে সেখান থেকে আপনি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নেবেন। সরঞ্জাম কেনা হয়ে গেলে এবার কেক বানানো তে নেমে পড়ুন।তৃতীয় ধাপ
কেকের ব্যবসা করার জন্য তৃতীয় ধাপটি হচ্ছে মার্কেটিং। অর্থাৎ কেকগুলো বিক্রি করার ব্যবস্থা করা। এগুলো বিক্রি করার জন্য আপনি অনেকগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি আপনার পরিচিত জনদের বলে বলে আপনার প্রচারণা শুরু করতে পারেন। পরিচিতজনেরা আপনার কাছ থেকে কেক কিনে নেবে এবং তাদের মাধ্যমেই আপনার পরিচিতি বাড়তে থাকবে।প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে যখন আপনি একটু প্রফেশনাল হবেন তখন আপনি আরেকটু বড় পরিসরে প্রচারণা চালাতে পারেন। যেমন ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে বিলি করা। এছাড়াও আপনি একটি ফেইসবুক পেইজ ক্রিয়েট করতে পারেন যেটার মাধ্যমে আপনার বন্ধু বান্ধব জেনে যাবে যে আপনি কেক বানিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকেও প্রচুর কাস্টমার আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।