বাংলাদেশের চাকরির বাজারে উচ্চ বেতনের চাকরি বলতে আমরা বুঝি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার । কারণ এতদিন পর্যন্ত এই পেশা গুলোতেই প্রকৃত অর্থে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ ছিল এবং এখনো আছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত পেশাগুলো এদের চেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে বলে আমরা জানতে পারছি। আধুনিক যুগে বেশি বেতনের চাকরি মানেই হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত যেকোন পেশা। গত দশকে এই ধরনের চাকরির ক্ষেত্র যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে বেড়েছে এই ধরনের পেশায় নিযুক্ত হওয়ার আগ্রহ। আগামীতেও এই প্রযুক্তি খাতের অগ্রাধিকার থাকবে এটা আমরা নিশ্চিত বলতে পারি।
আগামীতে যে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রাধিকার থাকবে এমনটা নয় বরং পাশাপাশি অন্যান্য পেশার চাহিদা থাকবে। আজকে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে উচ্চ বেতনের কিছু চাকরি সম্পর্কে জানব যেগুলো তথ্যপ্রযুক্তি খাত ছাড়াও অন্যান্য খাতেরও অবদান থাকবে ।
averagesalarysurvey.com এর তথ্য অনুসারে 2020 সালে বাংলাদেশের উচ্চ বেতনের চাকরি
১. হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার
ইতিপূর্বে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে h.r. নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা ছিল না । কিন্তু বর্তমান সময়ে এইচআর সেকশনের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে । কারন একটা প্রতিষ্ঠানে এইচ আর সেকশন এর কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সেটা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। যার ফলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেই এখন এইচআর ডিপার্টমেন্ট এর জন্য আলাদাভাবে বাজেট রাখা হয় । এইচআর সেকশনের লোকেদের কাজ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন সংখ্যক কর্মকর্তা অথবা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের কাজের তদারকি করা । এছাড়াও কর্মীদের বেতন কাঠামো, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা সেইসাথে একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের চাহিদা অনুসারে লোকবল নিয়োগ করা এদের কাজ । বাংলাদেশের বড় বড় কোম্পানিতে এইচআর সেকশনে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অবশ্যই মাস্টার্স অথবা এমবিএ হতে হবে । কিছু কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আরো বেশি অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
২. আইটি ব্যবস্থাপক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন
প্রযুক্তি সংক্রান্ত যেকোন প্রতিষ্ঠানের আইটি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা পরিচালনা করাই একজন আইটি ম্যানেজার এর কাজ। আমরা সাধারণত যে ধরনের পেশার সাথে পরিচিত এই পেশাটি মোটেও তাদের মত নয়। এই পেশাতে প্রচুর চ্যালেঞ্জ নিতে হয় এবং অনেক জটিল জটিল বিষয় সামলাতে হয়। নতুন সব আধুনিক প্রযুক্তির সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে হয়। একটু চেষ্টা করলেই সফটওয়্যার ডেভেলপার ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা কম্পিউটার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হওয়া যায় কিন্তু আইটি ম্যানেজার হতে গেলে প্রচুর সময় দিতে হবে এর নিচের পেশা গুলোতে । বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তির উপর আন্ডার গ্রাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার সুযোগ রয়েছে । তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আইটি ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতে চাইলে অবশ্যই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে গ্রাজুয়েশন থাকতে হবে । তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক সময় শুধুমাত্র কাগজ-কলমে সার্টিফিকেট থাকলে হয়না এখানে বাস্তবিক অর্থে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
৩. সফটওয়্যার ডেভেলপার একটি লাভজনক পেশা
Typing Man |
সফটওয়্যার ডেভেলপার এর কাজ কি? এদের কাজ হচ্ছে কোন না কোন সফটওয়্যার নির্মাণ, প্রক্রিয়, উন্নত করনের সাথে যুক্ত থাকা। সফটওয়্যার নির্মাতা যে ধরনের কাজ করেন তার মধ্যে প্রচুর বৈচিত্র্যতা রয়েছে। যদি একটা সময় সফটওয়্যার নির্মাতারা গুটিকয়েক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে এটার পরিধি প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে । আপনি হয়তো খেয়াল করবেন বিভিন্ন ব্যাংক, অফিস, আদালত, ভূমি অফিসের তথ্য সংরক্ষণের জন্য বেশ ভুগতে হত । কিন্তু বর্তমানে সফটওয়্যার ডেভেলপারদের পরিশ্রমের ফলে এই কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে এসেছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে যতটা সুবিধা এসেছে ঠিক তেমনিভাবে সেটাকে নিরাপদে রাখার ক্ষেত্রেও সহজলভ্যতা এসেছে। বর্তমানের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নামের যে সিকিউরিটি সিস্টেম চালু হয়েছে সেটার ফলে তথ্য সংরক্ষণ করা আরো বেশি নিরাপদ হয়েছে । তাই একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এটাতে কোন সন্দেহ নেই। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা আইটি বিষয়ে স্নাতক করা সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ পায় । কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রাপ্ত প্রার্থীরাও সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে পারে। আইটি থেকে পাশ করা স্টুডেন্টরাই সাধারণত এই ধরনের পেশায় বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে ।
৪. আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার
বাংলাদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি গুলোর মধ্যে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ হচ্ছে আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার। একজন আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার কে আইটি সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে হয়। প্রজেক্ট ম্যানেজার কে সাধারনত কম্পিউটার হার্ডওয়ার সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হয়। নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তির আপডেট রাখা, ডাটা ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি, নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত কার্যাবলী সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পেশা গড়তে চাইলে আপনাকে কম্পিউটার এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি তে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হবে।বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে । এই বিষয়গুলোতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারলে আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
৫. ইঞ্জিনিয়ার
সারা বিশ্বের নেই বাংলাদেশেও ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে পারলে একদিকে চাকরি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে অন্যদিকে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কিছু একটা করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেন বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে বাংলাদেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো থেকে প্রকৌশলী ডিগ্রি অর্জন করা যায়। প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে যে সকল কোর্স করতে পারবেন তা হচ্ছে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং , সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
৬. ডাক্তারগণ সম্মান এবং উচ্চ বেতন দুটোই সমান হারে পায়
আমাদের বাংলাদেশ সম্মানীয় পেশা গুলোর মধ্যে ডাক্তার অন্যতম। ডাক্তার পেশা যেমন সম্মান রয়েছে তেমনি ভাবে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। ডাক্তারি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাচেলর অব মেডিসিন এন্ড ব্যাচেলর অব সার্জারী অথবা এমবিবিএস ডিগ্রী পাস করে এ পেশায় নিয়োজিত হতে হবে । এমবিবিএস ডিগ্রী ডাক্তারদের জন্য একটি সূচনা ডিগ্রী মাত্র। এমবিবিএস পাশ করার পর ডাক্তারগন চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। যেমনঃ মেডিসিন, নিউরোলজি, গাইনিকোলজি, অনকোলজি, গ্যাস্ট্রোলজি ইত্যাদি । বাংলাদেশে মোট স্বীকৃত 36 টি সরকারি এবং 70 টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যেখান থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করা যায় । সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করতে হলে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে ভর্তি হতে হয় অপরদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এমবিবিএস পাশ করতে হলে প্রচুর ব্যয় বহন করতে হয়।
৭. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার
একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ম্যানেজার পদে চাকরি নিতে চাইলে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে যেতে হবে। একজন ম্যানেজারের কাজ হচ্ছে একটি দলের উপযুক্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করা। যেকোনো লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যবস্থাপকের ভূমিকা হচ্ছে 70 পার্সেন্ট। কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং তাদের কাছ থেকে লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত কাজ আদায় করে নেওয়া এসব কিছুই ম্যানেজারকে দেখভাল করতে হয়। একটি কোম্পানিতে ম্যানেজার পদে চাকরি নিতে হলে আপনাকে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনি যে পেশায় নিযুক্ত আছেন সে পেশায় নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলেই সে প্রতিষ্ঠান বা সে কাজের ম্যানেজার পদে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারবেন। যেহেতু ম্যানেজার চাকরি পথটি কবি লোভনীয় তাই ওই জায়গায় নিজেকে দেখতে হলে কি কি করতে হবে অবশ্যই সেটা আপনার বোধগম্য আছে।
৮. মার্কেটিং ম্যানেজার
একটি প্রতিষ্ঠান সফলতা নির্ভর করে মার্কেটিং স্ট্রাটেজির উপর । একটি প্রতিষ্ঠান এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন মার্কেটিং ম্যানেজার গণ। একজন মার্কেটিং ম্যানেজার এর প্রাথমিক দায়িত্ব বাজার গবেষণা করা এবং মূল্য গবেষণা করা।তারপর কাজ হচ্ছে এগুলোকে বিপণন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন মাধ্যম বেছে নেওয়া এবং জনসংযোগ ব্যবহার করে সমগ্র প্রতিষ্ঠানের জন্য সফল বিপণনের মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি করা । এ পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলে ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকলে ভালো হয়। তবে মাস্টার্স ডিগ্রির প্রাধান্য রয়েছে এছাড়াও মার্কেটিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থাকলে যেকোনো ডিগ্রিতে অগ্রাধিকার রয়েছে।
৯. স্থপতি হতে পারে আপনার স্বপ্নের পেশা
আধুনিক যুগের শিক্ষাব্যবস্থায় কোথাও যদি শিল্প বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটে থাকে সেটা হচ্ছে স্থাপত্যবিদ্যা বা আর্কিটেকচার। আর্কিটেকচার সাধারণত কোন বিল্ডিং এর বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ নকশা করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই কারিগরি জ্ঞানের পাশাপাশি সৃজনশীলতা ও উন্নত রুচির পরিচয় দিতে হয়। সারা বিশ্বে যেমন আর্কিটেকচার স্থপতিদের চাহিদা রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও আর্কিটেক্ট এর ওপর পড়ানো হয়। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে কাজে আসে।
১০. একাউন্টস ম্যানেজার
অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারগণ একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নির্দিষ্ট গ্রাহকের সাথে বিক্রয় এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কোন ক্লায়েন্ট অথবা ক্লায়েন্টের গ্রুপের সাথে কোম্পানির বিদ্যমান সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন এবং যাতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত থাকে তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কোন সংস্থায় গ্রাহক পরিষেবা এবং বিক্রয় দলের মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে। একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে নির্ধারিত ক্লায়েন্টের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সুসম্পর্ক বজায় রাখা। অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এর আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গ্রাহকের চাহিদা বোঝা এবং সেই চাহিদা কিভাবে পূরণ করবেন তার জন্য পরিকল্পনা করা এবং সেই সাথে কোম্পানির বিক্রি বৃদ্ধি করা। এ পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলে ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। এছাড়া যোগাযোগ দক্ষতা হচ্ছে এ পেশার মূল চাবিকাঠি।
পরিশেষে বলতে চাই আপনি যে পেশাতেই নিজেকে নিযুক্ত করতে চান না কেন অবশ্যই সেই পেশা আপনার নিজের ভালো লাগতে হবে। এখানে যে দশটা পেশার কথা বলেছি দশটা পেশা যে পৃথিবীর ভাল সবচেয়ে ভাল পেশা তা নয়। এই দশটা পেশা ছাড়াও পৃথিবীতে আরো অনেক ভালো ভালো পেশার রয়েছে এবং ভালো সম্মানীয় রয়েছে। শুধুমাত্র টাকার অংক হিসাব করে অনেক সময় পেশা বাছাই করা ঠিক হয় না। আপনি যে পেশায় নিজেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেই পেশাতেই নিজেকে নিয়োজিত করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আশা করছি আবারো কোন একটা আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব খোদাহাফেজ।
পিকচার ঃ freepik.com