টাকা জমানোর সবচেয়ে আধুনিক এবং কার্যকরী পদ্ধতি | The Best Way to Save Money

 


টাকা জমানোর জন্য পদ্ধতি মাত্র একটাই । আর তা হল আপনি যা আয় করবেন তার চেয়ে কম ব্যয় করবেন।  বেশিরভাগ মানুষেরই আপনাকে বলবে আয়ের চেয়ে ব্যয় কম করো,  বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ করো ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এগুলো করা ছাড়াও আরো কিছু  উপায় রয়েছে  খরচ কমানোর ব্যাপারে।  আজকে CEO শব্দটার মধ্যে টাকা জমানোর এক অভিনব কৌশল লুকিয়ে রয়েছে সেটা আপনাদের সামনে উম্মুক্ত করবো। 

The CEO Approach: The Best Way to Save Money

C-Cut Costs

  • The A La Carte Method
  • The Envelope Method

E-Earn More

  • Ask for a Raise
  • Get a Higher Paying Job
  • Start a Business/Start Freelancing

O-Optimize Spending

ট্রেডিশনাল পদ্ধতি গুলো সাধারণত কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম থাকে।  কিন্তু আমরা যদি ভিন্ন কোনো মোবাইল এর মাধ্যমে বর্ণনা করি তাহলে বলবো বেশি উপার্জন করুন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে  খরচ কমিয়ে দিন এবং টাকা জমানোর জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি বের করুন। 

সি ই ও অ্যাপ্রচ এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা জমানো যায় আজকে আমরা সেটা আলোচনা করব।  কিভাবে আজকেই টাকা জমানো শুরু করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেই মনে হয় সময় বেচে যাবে। 

Money Saving Tip 1: Cut Costs



আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকের জানি যে cut costs এর অর্থ কি। কিন্তু এটা দিয়ে আপনি জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিবেন তা নয় ।  অর্থশাস্ত্র এর জন্য এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রকাশ করলে আপনার তেমন কোন ক্ষতি হবে না। কিছু কিছু অভ্যাস চিরতরে বিদায় করার মাধ্যমে টাকা সাশ্রয় করা যায়। এই অংশে আমরা টাকা সাশ্রয় করার দুটো পদ্ধতি জানবো।  প্রথমটি A La Carte Method এবং দ্বিতীয়টি envelope method। 

The A La Carte Method

এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি টাকা জমাতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস সাবস্ক্রিপশন ক্যানসেল করার মাধ্যমে। যেমনঃ

  • Netflix
  • Gym membership
  • Spotify
  • Amazon Prime
  • Magazines

এ ধরনের মেম্বারশিপ গুলোতে আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয়  করি।  একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আমরা প্রতি এক বছরে প্রায় ১৮ হাজার ডলার ব্যয় করি শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন  ফি প্রদানের মাধ্যমে। 

আমার মনে হয় এটা চমৎকার একটা পদ্ধতি টাকা জমানোর জন্য আজকেই আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন কি বন্ধ করে দিতে পারেন। 

 হয়তো এমনটি হয়নি আপনার বেলা।  কিন্তু এমন একটা বিষয় ভাবুন তো কোন একদিন আপনি শপিং  করতে গিয়েছিলেন এবং কিছু একটা পছন্দ হয়েছিল কেনার জন্য কিন্তু কিনেননি। যদি এই বিষয়টার সাথে সাবস্ক্রিপশনের বিষয়টাকে কম্পেয়ার করে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো । দু-একটা সাবস্ক্রিপশন ক্যানসেল করলেও সমস্যা নেই। 

পছন্দের জিনিসটি নাকে নাকে যেমন আপনার কোন ক্ষতি হয়নি ঠিক তেমনিভাবে অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন বিলগুলো বাদ দিলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না । 

যদি আমরা নেটফ্লিক্স ম্যাগাজিন স্পটিফাই এগুলো সাবস্ক্রিপশন বন্ধ করে দেই তাহলে এর পরিবর্তে কি প্রয়োজন। 

  •  নেটফ্লিক্স বাদ দিয়ে আপনি অন্য কোথাও থেকে আপনার পছন্দের মুভি গুলো সংগ্রহ করতে পারেন যার জন্য আপনাকে এত টাকা খরচ করতে হবে না। 
  • জিমের কিছু সরঞ্জাম বাসায় কিনে নিন। 
  • যে গানগুলো শুনতে পছন্দ করবেন সেগুলো বিভিন্ন ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে শুনতে পারেন। 

এ বিষয়গুলো একবার ভাবলাম হয়তো আপনি অনেক খরচ এর হাত থেকে বেঁচে যাবেন।  উদাহরণ এর বাইরে আপনার হয়তো এধরনের প্রচুর অপ্রয়োজনীয় খরচের খাত রয়েছে।  যেগুলো থেকে আপনি টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন।  তাই টাকা সাশ্রয় করার জন্য এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরেকটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন। 

 টাকা জমানোর জন্য আরও একটি কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে The envelope method. 

The envelope method

এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে যে খরচ করেন তার থেকে কিভাবে কিছু টাকা বাঁচাতে পারেন সেটা সম্পর্কে আলোচনা করব । 

উদাহরণস্বরূপ,   হয়তো আপনার প্রতিনিয়ত রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।  এটার জন্য আপনি নির্দিষ্ট একটা বাজে তে থাকা একটা খামে ভর্তি করে রাখতে পারেন।  যখন খামের টাকা শেষ হয়ে যাবে তখন বুঝতে পারবেন যে এ মাসের বাজেট কৃত রেস্টুরেন্ট বিল শেষ হয়ে গিয়েছে।  অর্থাৎ এখানে আপনি রেস্টুরেন্টের খরচের ব্যাপারে একটা হিসাবের মধ্যে থাকতে পারবেন। 

 খুব বেশি প্রয়োজন হলে অন্য একটা খাম থেকে টাকা নিয়ে খরচ করতে পারেন। আমার এক বন্ধু তার খরচ কে ট্রেকিং করতে শিখেছিল  এবং একটা সময় ট্রেকিং করা সেই অতিরিক্ত খরচ গুলোকে একটা ডিপোজিট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

আপনি আরও অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন তবে এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমি কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করছি।  প্রত্যেকটা খাতের ব্যয় এর টাকাটা আলাদা আলাদা খামে ভর্তি করে রাখলে ব্যয়ের পরিমাণ ট্রেকিং করা সম্ভব। 

Money Saving Tip 2: Earn More ( এটাই টাকা জমানোর সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি) 



প্রচলিত একটা বাক্য রয়েছে,  খরচ করার বেলায় সীমাবদ্ধতা থাকে কিন্তু আয় করার বেলায় কোন সীমাবদ্ধতা নেই। 

 এটা সবসময় সম্ভব যে আপনি চাইলে অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু অনেক বেশি খরচ করতে পারবেন না। অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব  যদিও আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন,  পর্যাপ্ত টাকা উপার্জনের সক্ষম নন,  কোথা থেকে শুরু করবেন জানেন না। 

মিস্টার আব্দুর রহমানের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে,  তিনি চাইলে বিভিন্নভাবে তার  উপার্জন বাড়াতে পারেন ।  যেমন অফিসে তার বেতন বাড়ানোর  জন্য রিকোয়েস্ট করতে পারে,  আরো একটা ভালো চাকরি খুঁজে নিতে পারে, একটা ব্যবসা শুরু করতে পারে,  অথবা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। 

Ask for a Raise

মাত্র পাঁচ মিনিটের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চাইলে অনেকেই নিজেদের বেতন বাড়িয়ে নিতে পারি।  এবং বছর শেষে সেটা অনেক বিশাল বড় এমাউন্টে পরিণত হবে। 

এটাই একমাত্র সহজ উপায় মাত্র 5 থেকে 6 মিনিট আলোচনার মাধ্যমে বেতন বাড়িয়ে নেওয়া এবং সেটার মাঝে উপার্জন বাড়ানো। আর যদি এটা করতে পারেন তাহলে প্রত্যেক বছরে আপনার প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

Find a higher paying job

চাকরিটা পরিবর্তন করবেন ভাবছেন?  প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করবেন ভাবছেন ? তার আগে ভাবা উচিত কখন আমাকে সেই রিস্ক টা নিতে হবে এবং এই রিক্স নেওয়ার ফলে  টাকা উপার্জনের পরিমাণটা বাড়বে কিনা? 

কিছু কিছু চাকরিতে আপনি ভালো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না এবং আলোচনার মাধ্যমে বেতন বাড়াতে পারবেন না।  সেই ক্ষেত্রে আমাদের উচিত হবে তারচেয়ে ভালো একটা চাকরি খুঁজে বের করা। আপনি যদি অধিক উপার্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই বর্তমানে যে চাকরি করছেন তার চেয়ে ভালো একটি চাকরি খুঁজে বের করতেই হবে।  কিভাবে নতুন একটা চাকরি খুঁজে বের করবেন তার জন্য গুগোল করতে পারেন।  সেখানে অনেক বুদ্ধি পেয়ে যাবেন কীভাবে নতুন চাকরি খুঁজতে হয়। 

Start a business or start freelancing

নতুন একটা চাকরি খুঁজে বের করা এবং ক্যারিয়ার পরিবর্তন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু আমরা চাইলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই একটা সাইড ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারবো। সেটা হতে পারে একটা ব্যবসা শুরু করা অথবা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা। 

যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপনাকে বিভিন্ন পদ্ধতি দেখিয়ে দেবে।  তারা বলবে আপনি যে কাজ পারেন তার উপরে কিছু Fiverr এ gig তৈরি করুন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে বিশ্বের বাঘা বাঘা ফ্রিলেন্সিংকে সাথে তাল মিলাতে হবে বা প্রতিযোগিতায় যেতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে বুদ্ধিমানের কাজ হবে আপনি বর্তমানে যে চাকরিটা করছেন সেখানে কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি ভালো পারেন তার উপরে gig create করা। 

 নিজেকে প্রশ্ন করুন

  •  আমি কি করতে ভালোবাসি?
  •  অবসর সময় গুলোতে আমার কি করতে ভালো লাগে?
  •  বন্ধু-বান্ধবেরা আমাকে কোন কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি ডাকে , যেটা আমি ভালো পারি? 

আপনি যে কাজটা অফিসে সবচেয়ে ভালো পারেন সেটা মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।  মনে রাখবেন মানুষজন আপনাকে টাকা দেবে তার সমস্যার সমাধান করার জন্য,  আপনার দক্ষতার জন্য নয়। এখন কিভাবে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অপরের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন সেটা আপনিই ভাল জানেন। 

স্কিলঃ আপনি গণিতে ভালো

যে সমস্যা সমাধান করতে পারবেনঃ  যেহেতু আপনি গণিতে ভালো আপনি চাইলে গণিতের উপর টিচিং করিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদেরকে পড়ানোর জন্য ভালো টিচার খুঁজছে। 

তাই আপনি চাইলে ফেস টু ফেস  টিচিং করিয়ে অথবা zoom এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

যদি এভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় তাহলে আপনাকে খরচ কমাতে হবে না।  কোন ধরনের খরচ না কমিয়ে ইনকাম বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। 

টিউশনি করার ব্যাপারটা শুধুমাত্র উদাহরণ হিসেবে ধরা হলো আপনি চাইলে আরো অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।  যেটার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় এবং সঞ্চয় করা সম্ভব। 

Money Saving Tip 3: Optimize your spending 

একটা ফোন কলের মাধ্যমে আমরা চাইলে খরচ কমাতে পারি । আমরা চাইলে যে কোন একটা কোম্পানি কে ফোন করে বলতে পারি যে আমি আপনার কোম্পানির সব ধরনের  প্রোডাক্ট ব্যবহার করব অথবা করি কিন্তু তার জন্য আমাকে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের ডিসকাউন্ট দিতে হবে।  কোম্পানিটি চাইবে আপনাকে ধরে রাখার জন্য। এবং তার বিনিময় নির্দিষ্ট একটা ডিসকাউন্ট দিতে সম্মত হবে । 

এই উদাহরণটা শুধু মাত্র কোম্পানির বেলায় না দিয়ে বরং আমরা প্রতিনিয়ত যে দোকান থেকে বাজার করি,  যে রেস্টুরেন্টে খাবার খাই  ইত্যাদি ইত্যাদি সবার সাথে আলোচনা করে নিতে পারি। প্রত্যেক ব্যবসায়ী চাইবে আপনাকে ধরে রাখার জন্য । 

এ ধরনের আলোচনা করতে গিয়ে অবশ্যই অতিরিক্ত দামাদামি করা ঠিক হবে না। মাত্র 45 জায়গায় কথা বলে আমরা মাসে 1000 টাকা ও যদি সেভ করতে পারি তাহলে বছর শেষে 12000 টাকা সেভ করতে পারব। 

মনে রাখবেন টাকা জমানোর সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হচ্ছে খরচ কমানো,  অনেক বেশি ইনকাম করা অথবা একটা সাইড ইনকামের ব্যবস্থা করা।  এই তিনটা পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থ জমানোর পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব।  এর জন্য যে আপনাকে নিজের শখ আহ্লাদ বিসর্জন দিতে হবে তা নয়।  আশা করছি আজকের আর্টিকেলটা অনেকটা  গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  এই পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads