আপনি কি আপনার সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন, নতুন নতুন মানুষদের সাথে উঠাবসা করতে চাচ্ছেন কিন্তু নিজের অতিরিক্ত লজ্জা বোধের কারনে সেটা করে উঠতে পারছেন না।
মিস্টার আব্দুর রহমান ঠিক এমনই একজন লোক ছিলেন। তিনি জানতেন না যে, কিভাবে তার লজ্জা বোধ থেকে বেরিয়ে আসবেন।
যদিও তিনি এখন প্রচুর আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ় প্রত্যয়ী, এটা বেশিদিন আগের কথা নয় যখন তিনি অনেক লাজুক ছিলেন কিন্তু এখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন এবং অনেক মানুষের সাথে উঠাবসা করতে পারেন।
মিস্টার আব্দুর রহমান সম্পর্কে একটা গল্প বলার চেষ্টা করব যেটির মাধ্যমে আপনি কিছুটা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখছি। এবং জানতে পারবেন how to not be shy।
মিশর আব্দুর রহমান কিছুদিন আগে কয়েকটি নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেখানে তিনি কারো সাথে একটা শব্দও উচ্চারণ করতে পারেননি। তার মতো আরও অনেক লোক ছিল সেই ইভেন্টে তারা সবাই একটি বিষয়ের উপরে আগ্রহী ছিল, কিন্তু মিটিং শেষ হয়ে গেল মিস্টার আব্দুর রহমান শুধুমাত্র তার ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
কারণ তিনি খুব লাজুক ছিলেন, যার ফলে ওই ইভেন্টে আরো যত লোকজন ছিল তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারেননি। তিনি চাইলে সেখানে অনেক বন্ধু বানাতে পারতেন কিন্তু অতিরিক্ত লজ্জা পদের কারণে সেটা করতে পারেননি।
এরপর থেকেই আব্দুর রহমান ভাবতে শুরু করলেন যে, কেন আমি এমন করলাম। কেন আমি এত লাজুক আর কিভাবে আমি এখান থেকে বেরিয়ে আসবো। তারপরে কিভাবে সেই লজ্জা বোধ থেকে বেরিয়ে গেল সেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
অতিরিক্ত লজ্জা বোধ বোধ করার জন্য আপনার জীবনে আহামরি কোনো পরিবর্তন আনতে হবে না। এমন কিছু করতে হবে না যেটা করা অসম্ভব।
নিচে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ লিখে দিলাম সেগুলো ফলো করলে অতিরিক্ত লজ্জাবোধ দূর করা সম্ভব।
- Step 1: Embrace who you are নিজেকে চিনতে শেখো
- Step 2: Change the way you think about shyness চিন্তাধারাকে পরিবর্তন করুন
- Step 3: Study other people অন্যের কাছ থেকে শিখব
- Step 4: The invisibility cloak
- Step 5: Gamify it
- Step 6: Fake it ‘til you make it
- Step 7: 3 step rejection
- End the shy habit for good
Step 1: Don’t judge your shyness নিজেকে লাজুক ভাববেন না
অতিরক্ত লজ্জাবোধ দূর করার প্রথম উপায় হচ্ছে নিজেকে লাজুক না বলা । এটা কখনোই নিজের জন্য ভালো নয় এবং এটা সব সময় আপনাকে শুধুমাত্র নেগেটিভ চিন্তা করতে সহায়তা করবে, সেইসাথে আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এই মুহূর্তে আমার পরামর্শ থাকবে, আপনার এই লাজুকতা টাকে পজিটিভলি নিবেন । এটা হতে পারে আপনি প্রাকৃতিকভাবেই ছোটবেলা থেকেই এমন, অবশ্যই এটা আপনার জন্য ভালো। অনেকেই তার এই স্বভাব নিয়ে ভালো কিছু করতে পেরেছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি সহায়তা করবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন যে কিভাবে আপনার জীবন পরিচালনা করতে হবে আপনার মত করে। নিজের সম্পর্কে সতর্ক থাকা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ।
আমি যা ভাবছি আপনি যদি তার চেয়েও বেশি লাজুক হন তাহলে প্রথম স্টেপটি এড়িয়ে যান। দ্বিতীয় স্টেপ থেকে শুরু করুন হয়তো সেখানে আরো ভালো সমাধান পেয়ে যাবেন।
Step 2: Change the way you think about shyness ( চিন্তাধারাকে পরিবর্তন করুন )
শুনুন, আপনি হয়তো আপনার এই অতিরিক্ত লজ্জাবোধ দূর করার জন্য অনেক আর্টিকেল এবং বই পড়েছেন। যেগুলো আপনার সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে কিন্তু একটু বেশি সময় সময় লাগবে। কিন্তু দিন শেষে আমরা চাচ্ছি এইগুলো যেন, আপনার জীবনে বাস্তবে কাজে লাগে।
অতিরিক্ত লজ্জাবোধ দূর করার জন্য একমাত্র এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে এটি অর্থাৎ নিজের চিন্তাকে পরিবর্তন করা।
অতিরিক্ত লজ্জাবোধ দূর করার জন্য আপনি একটা “অদৃশ্য স্ক্রিপ্ট’’ ফলো করতে পারেন।স্ক্রিপ্ট পড়ার সময় আমরা যেমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখি অন্যের সাথে কথোপকথনের সময় আমাদেরকে সেই ধরনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে অন্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের একটা গোপন রহস্য। একটু পরে উদাহরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবো।
উদাহরণ হিসেবে, কিছু লোক এমন আছে যারা অন্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না কারণ গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো অল্প কথার মধ্যে শেষ করতে চায়। তারা অতিরিক্ত কথা বলতে চায় না এবং সরাসরি মূল কথায় চলে যায়। হাস্যকরভাবে, শর্টকাট কথা বলার কারনে তারা একে অন্যের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।
আপনি যদি কোন পয়েন্ট ছাড়া অল্প কথায় শেষ করেন আবার একটা সম্পর্ক তৈরি করার জন্য কথোপকথন করেন। তাহলে এই কনভারসেশন টি কেমন হওয়া প্রয়োজন।
আপনি প্রায় সময় নিজের জন্য যে স্ক্রিপ্টটা বেঁধে রাখেন তা হচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি আমাকে কথোপকথনটি শেষ করতে হবে। এবং আপনি কখনো এটা বুঝতে পারেন নি যে তাড়াতাড়ি কথোপকথন করার কারণে তার সাথে আপনার ভাল সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে না।
একটা রেস্টুরেন্টের কথা ভাবুন। রেস্টুরেন্টে গিয়ে তো আমাদের জাস্ট বসলাম খেলাম চলে এলাম এমনটা হয় না? রেস্টুরেন্টের স্টাফেরা আপনাকে অভিবাদন জানায়, তারপর কিছু ড্রিঙ্কস এনে দেয়, তারপর আপনার কাছ থেকে অর্ডার নেয়, তারপর আপনাকে প্রশ্ন করে।
তারা এই কাজটা করে পর্যায়ক্রমে। অন্যের সাথে কথোপকথনের সময় আমাদের এ ধরনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
Step 3: Study other people (অন্যকে দেখে শিখুন)
কিভাবে লজ্জাবোধ দূর করা যায় এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের টিপস এন্ড এক্স পড়তে পারেন কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা উপায় হচ্ছে আপনাকে দেখে দেখে শেখা ।
আপনার সেই বন্ধু সম্পর্কে ভবন 4 সমাজে একটা ভালো প্রভাব রয়েছে । এর পেছনে অবশ্য একটা কারন রয়েছে। পরেরবার আপনি যখন তাদের সাথে চলবেন আপনি একজন বিজ্ঞানীর মত পর্যবেক্ষণ করবেন যে, তারা মানুষদের সাথে কি ধরনের আচরণ করছেন বা কিভাবে সবার সাথে মিশছে।
কথা বলার সময় কি ধরনের ভাষা ব্যবহার করছে? তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কেমন ছিল? তারা কি শক্তিশালী আই কন্টাক্ট করেছে কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি …
সবগুলো অবজারভেশন কে একসাথে মিলিয়ে আপনার আচরণ এর সাথে তুলনা করবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি নিজের মধ্যে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারবে। আর এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ আপনার লজ্জাবতী টেন্ডেন্সি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। আপনার উদ্দেশ্য থাকতে হবে যে আপনাকে আরো সামাজিক খ পরিণত হতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখানে পৌছতে পারছি ততক্ষণ ট্রাই করতে হবে।
Step 4: Overcome shyness with the invisibility cloak
মিস্টার আব্দুর রহমান এবং তার কিছু বন্ধু ছোটবেলায় একটা হ্যালো ইন হান্ড্রেড হাউস বেড়াতে গিয়েছিলেন। যেখানে সবাইকে মুখে পড়তে হয়েছিল।
মুকেশ করার পর তিনি একটি ইন্টারেস্টিং বিষয়ে আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন যে তিনি খুব ক্রেজি আচরণ করছেন। তুমি অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন, অন্যকে ভয় দেখাচ্ছিলে না, এবং এমন কিছু কাজ করছিলেন যেটা স্বাভাবিকভাবে করতে পারতেন না। কিন্তু মুখোশ করার পর অনেক কিছুই করতে পেরেছিলেন।
কেন?
কারণ মুখোশ করার পর সে নিজেকে নিরাপদ মনে করেছিল। হঠাৎ করেই তিনি জানতে পারলেন যে মুকেশ করার পর তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন এবং যা খুশি তাই করতে পারছেন জাগে পারতেন না। আব্দুর রহমান সে কে এটা নিয়ে ভাবল না বরং সে কিভাবে এটা করল সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করব।
পনিও চাইলে এমনটা ভাবতে পারে । মনে মনে নিজেকে কোনো কিছু দিয়ে কবার করে ফেলবেন। ভাববেন যে কেউ আপনাকে দেখছে না।
যখন অদৃশ্য মুখোশটি পড়ে ফেলব, মনে মনে সিদ্ধান্ত নেবেন যে আপনি কি করতে চাচ্ছেন আজকের দিনে এবং আপনার ব্যবহারে কি ধরনের পরিবর্তন আসছে আজকের দিনে।
মনে রাখবেন, আপনি কে সেটাকে পরিবর্তন চাচ্ছেন না বরং আপনি কি ধরনের আচরণ করবেন সেটাই পরিবর্তন করতে চাচ্ছি ।
সব ধরনের বাধা, বিপত্তি, উদ্বিগ্নতা, নার্ভাসনেস কি ক্যাপ দিয়ে ঢেকে ফেলুন। আপনার কাছে মনে হতে পারে এটা একটা অদ্ভুত আইডিয়া কিন্তু এটা খুবই কার্যকর।
কেন এটা কাজ করবে কারণ আমরা যখন অনেক মানুষের সামনে কথা বলি আমাদের সবার মাঝেই এ ধরনের বাধা বিপত্তি ভয় কাজ করে। যদিও কারো কারো বেলায় এমনটা হয় না। এই অদৃশ্য ক্যাপ্টেন আপনাকে অনেক ভাবে সহায়তা করতে পারে।
Step 5: Overcome shyness by turning it into a game (চলুন কিছু খেলা শিখি)
আপনার অতিরিক্ত লজ্জাবোধ কে দূর করার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে তবে আরো একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে নিজেকে নিয়ে গেম খেলা। নিজেদের লজ্জা বোধ করার জন্য কয়েকটি গেম খেলব।
60 সেকেন্ডের গেম
প্রথমটি হচ্ছে 60 সেকেন্ডের খেলা। হয়তো আপনি কোন ইভেন্টে গিয়েছেন অথবা কফি শপে অথবা যে কোন জায়গায় 60 সেকেন্ডে হেলো বলে ফেলুন।
যদি আপনি মনে করেন যে প্রথম কাজটি করে ফেলেছেন তাহলে দ্বিতীয় বাক্যটি উচ্চারণ করার চেষ্টা করুন এবং সেটি 60 সেকেন্ডের মধ্যে। চেষ্টা করবেন হেলো বলার পর দ্বিতীয় বাক্যটি বলতে জেনো দেরি না হয়। অর্থাৎ নার্ভাসনেস আপনার কাছে আসার আগেই তাকে বিদায় দিতে হবে।
দি কমপ্লিমেন্ট গেম
দ্বিতীয় খেলাটির নাম হচ্ছে কমপ্লিমেন্ট ক্রিম। এই খেলাতে আমরা 24 ঘণ্টার মধ্যে 3 জন লোকের সাথে দেখা করবো এবং তাদেরকে ছোট্ট বাঁকে প্রশংসা করবো।
“তোমার শার্টটা অনেক সুন্দর”, “তুমি তো অনেক সুন্দর করে হাসো” এতোটুকুই। ২৪ ঘণ্টায় তিন বার।
আর এই কথাগুলো শুধুমাত্র আপনার জন্য উপকার বয়ে আনবে তা নয় বরং তাকে প্রশংসা করছেন দিনটা ভালো যাবে।
ফোন গেম
আমি যার সাথে কথা বলবে তার হাতে যদি কোন মোবাইল থাকে তাহলে তোকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, “ এটা কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল” আমি অনেকদিন যাবৎ ভাবছি এই ধরনের একটা মোবাইল কিনব। অথবা আপনি যদি কাউকে বই পড়তে দেখেন তাহলে জিজ্ঞেস করতে পারেন “কি বই পড়ছেন” আমারও ভাল কিছু পড়তে ইচ্ছা করছে।
এই কাজটাও ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনবার চেষ্টা করুন।
প্রথম গেম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা গেমি যদি প্রতিদিন খেলতে পারেন। তাহলে আশা রাখা যায় ধীরে ধীরে আপনি সামাজিক ভাবে আরো একটু দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন।
Step 6: Fake it ‘til you make it.
আমি চাই আপনি চিন্তা করুন যে, আপনি নিজেকে কি ধরনের ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চান।
আপনি কি এমন হতে চান খুব বন্ধুসুলভ এবং মানুষকে যখন তখন হাসাতে পারে এবং কাঁদাতে পারে? আপনি কি এমন লোক হতে চান যে লোকটা মনের কথা মন দিয়ে শুনে কিন্তু নিজে কম কথা বলে? আপনি কি এমন লোক হতে চান মানুষের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে পারে?
আপনি যে ধরনের লোক হতে চান না কেন সবকিছুই মিথ্যা আমার কাছে, যতক্ষন না আপনি এটা করতে পারছেন।
এখন একটা সুন্দর টেকনিক যেটা ট্রাই করি দেখতে পারেন। নিরাপদ এবং নির্জন একটা জায়গা খুঁজে বের করুন যেখানে আপনাকে কেউ দেখতে পাবে না এমন কি আপনিও কাউকে দেখতে পাবেন না। এমন একটা নির্জন জায়গায় গিয়ে নিজেকে সে ধরনের মানুষ পাবেন প্রত্যেক মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারে।
এখন ধরে নিন আপনার সামনে একজন লোক আছে এবং তাকে আপনি একের পর এক প্রশ্ন করবেন। ধরুন আপনাকে প্রশ্ন করতে পারেন তুমি কিভাবে চাকরিটা পেলে? এ ধরনের নানা প্রশ্ন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কী আসবে সেগুলো আমাদের জানা।
এখন এ পর্যায়ে কিভাবে প্রশ্নের উত্তর দেবে সেটা প্র্যাকটিস করুন। অর্থাৎ নিজেই প্রশ্ন করবেন আবার নিজেই বিভিন্নভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
যদিও এই পদ্ধতিটা আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন তাহলে নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। বছরখানেক পর হয়তো আপনার ব্যবহারিক দিক থেকে কোন পরিবর্তন হবে না কিন্তু আপনার অ্যাটিটিউড এর অনেক পরিবর্তন হবে।
নিচে বিখ্যাত স্ট্যান্ড কমেডিয়ান Jimmy Fallon's একটি ভিডিও দেওয়া হল। এটা তার 15 বছর আগের ভিডিও। তখনকার পারফরম্যান্স আর এখনকার পারফরমেন্সে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
Step 7: 3 step rejection
আব্দুর রহমানের জিমেইল একাউন্টে একটি ফেইলর ট্যা্ব রয়েছে । প্রতি মাসের শেষের দিকে তিনি সেটা চেক করেন। যদি তিনি কমপক্ষে 10 টা ফেইলর না পান তাহলে মনে করেন যে তিনি সে মাসে পর্যাপ্ত চেষ্টা করেননি।
আপনি যত বেশি ফেল করবেন এটার মানে হচ্ছে আপনি অনেক বেশি চেষ্টা করছেন। তাই ফিল হচ্ছেন বলে নিজেকে ছোট ভাববেন না। মনে রাখবেন, আপনি যত ফেল করবেন আপনি তার চেয়েও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
এ বিষয়টা আপনার এবং আমার সবার জীবনেই সমভাবে কাজ করবে।
আমরা সবাই নিজে নিজে কথা বলি। মনে মনে বিড়বিড় করে কথা বলি। মনে মনে কথা বলার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে নিজেদের সাথে পরিচিত করতে পারি। যেমন ধরুন, আমরা অনেক সময় বলি।
কেউ আমার গল্প শুনে হাসবে না, কারণ আমি ভালো গল্প বলতে পারিনা।
কেউ আমার কথা শোনে না, কেন আমার কথা শুনবে?
এভাবে আমরা বারবার নিজেদের সম্পর্কে বিড়বিড় করব এবং একটা সময় বুঝতে পারব কোথায় আমার দুর্বলতা রয়েছে।
3 step rejection হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি যেখানে আপনি তিনবার করে ফেল করবেন। ধরুন আপনি কাউকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই আপনি কেমন আছেন? প্রতিউত্তরে যদি তারা কিছু না বলে আলুর ভাববেন এটা একটা রিজেকশন। এভাবে তিন জনকে জিজ্ঞেস করুন। যদি তিনজনই রিজেক্ট করে। তাহলে চতুর্থবার অন্য পদ্ধতিতে জিজ্ঞেস করুন।
নতুন একটা বাক্য বার করুন যেটা মানুষকে আরো বেশি আকৃষ্ট করবে। তিনবার ফেল করার মানে আপনি ফেল করেননি বরং আপনি তিনবার চেষ্টা করেছেন।
এভাবে প্রত্যেকবারই নতুন নতুন ভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত লজ্জাবোধ এর অভ্যাস ত্যাগ করুন
অতিরিক্ত লজ্জাবোধ একটা খারাপ অভ্যাস ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন। আশা করছি আপনার অতিরিক্ত লজ্জাবোধ খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারবেন। আজকের মত এখানেই সমাপ্ত করছি। সবাই অনেক ভালো থাকবেন।