এটা বোঝা খুব কঠিন যে কখন আপনাকে চাকরিটা ছেড়ে দিতে হবে, কিন্তু মাঝে মাঝে চাকরিটা ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হয়। আজকে আমরা এই বিষয়টাকে সহজ করার চেষ্টা করব কখন চাকরিটা ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
প্রত্যেকটা চাকরি আমাদের জন্য ফিট থাকে না কিন্তু কখন চাকরিটা ছেড়ে দেব সেটাও বোঝা সহজ না। যখন আপনি আপনার চাকরি নিয়ে অসন্তুষ্ট এবং আপনি সেটাতে মনোযোগ দিতে পারছেন না তখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে চাকরিটা ছেড়ে দাও এবং পাশাপাশি এর চেয়ে ভালো কিছু খুঁজে বের করা। প্রায়শই শীর্ষস্থানীয় পারফর্মাররা প্রতি এক থেকে দুই বছরে চাকরি পরিবর্তন করে তা নিশ্চিত করার জন্য যে তারা ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ নিতে পারছে। যদি আপনি ভাবছেন যে আপনার চাকরিটি ছেড়ে দেওয়া উচিত কিনা, আপনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করার কথা ভাবতে পারেন।
Note: এই নিয়মটি কেবল তখনই প্রযোজ্য যদি আপনার ব্যক্তিগত সুরক্ষা কাজের ক্ষেত্রে বিপন্ন না হয়।যদি চাকরির ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করেন তাহলে আপনার অধিকার রয়েছে কোন একটা চাকরি নেওয়ার আগে চাকরি ছাড়া । আসলে, এটাই হতে পারে ডিসিশন । কিন্তু এই ট্রিক্সটা তখনই কাজে লাগবে যখন ব্যক্তিগতভাবে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হবেন।
কিভাবে বুঝবেন চাকরি ছাড়ার সময় এসেছে?
চাকরিটা ছাড়ার আগে একবার ভাবা উচিত যে, কোন বিষয়টা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সেটা হতে পারে যে আপনি ভালো বেতন পাচ্ছেন না অথবা অফিসে যাতায়াতের অসুবিধা।
উদাহরণ হিসেবেঃ মিস্টার আব্দুর রহমান সাহেব যেখানে চাকরি করে সেখানে যাতায়াত বাবদ যে খরচ দেন তাতে সন্তুষ্ট নয়- এটা চাকরি ছাড়ার জন্য উপযুক্ত অজুহাত নয়।
যখন আপনি আপনার অসন্তুষ্টির কারণটা খুঁজে বের করতে পারবেন তখন এটা নিয়ে আপনার অফিসের বসের সাথে আলোচনায় বসুন। তার সাথে খোলামেলা ভাবে আপনার অসুবিধার কথা গুলো বলুন। যেটা আমরা অনেকেই করতে চাইনা।
আরেকটি উদাহরণঃ আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে যদি কোন অফিসের বস জানতে পারে যে তার একজন কর্মচারী 2000 কি 3000 টাকা বেতন কম দেওয়ার কারনে অফিস থেকে চাকরি ছেড়ে যেতে চাচ্ছে। সে কখনোই তাকে চাকরি ছাড়তে দিবেনা, যদি সে ভালো কেনডিডেড হয়। কেননা প্রত্যেকটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি একজন ভালো কর্মচারী রাখার জন্য প্রচুর টাকা ব্যয় করতে রাজি থাকে।
Iwillteachyoutoberich.com থেকে এই পিকচারটি সংগ্রহ করেছি যেখানে বলা হয়েছে যে কিভাবে আপনি আলোচনার মাধ্যমে বেতন বাড়িয়ে নিতে পারেন।
আমরা চাইলে আলোচনার মাধ্যমে বসকে কনভেন্স করে আমাদের বেতন বাড়িয়ে নিতে পারি।
চাকরি ছাড়ার আগে একবার চিন্তা করা উচিত যে, কেন আমি চাকরিটা ছাড়তে চাচ্ছি? শুধুমাত্র একটা আলোচনার মাধ্যমেই আমরা চাইলে অনেক কিছু সমাধান করতে পারি।
সবার আগে আলোচনা করে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সো নিজেকে বলুন বসের কাছে যেতে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে । বসকে বোঝান যে আপনি এই চাকরিটা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
বর্তমান চাকরিতে অবস্থান করার জন্য, আরো নানা ধরনের সমাধান আসতে পারে। যেমন হয়তো বছরে আরো বেশি ছুটি বাড়িয়ে দিতে পারে, অথবা সপ্তাহে দু একদিন বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ দিতে পারে। এভাবে আরো নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা কোম্পানি আপনাকে দিতে পারে। যেটার মাধ্যমে আপনি হয়তো চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে দিতে পারবেন। এবং বর্তমানে যে চাকরি করছেন সেটা নিয়ে সুখী থাকতে পারেন।
যদি প্রত্যেকবারই আপনার বস আপনার কথা না শোনে, তাহলে চাকরিটা ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। প্রত্যেক বসে চেষ্টা করে একটা ভালো সমাধান বের করার জন্য। কিন্তু যখন কোন সমাধান খুঁজে না পায় তখন আপনাকে ক্লিয়ার করে বলে দেবে যে তুমি চাকরি ছেড়ে দাও অথবা থাকো তাতে আমাদের কোন প্রবলেম হবেনা। এমন মেসেজ পেলে চাকরি ছাড়ার সময় চলে এসেছে বলে বুঝতে হবে। তখন আপনি চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ স্বাধীন।
যদি চাকরি ছাড়ার প্রয়োজন হয় তাহলে কি করবেন
বর্তমান চাকরি থাকা অবস্থাতেই আরও একটা চাকরি খুঁজে নেওয়াটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। কয়েক সপ্তাহ সময় দিয়ে যদি আপনি বর্তমানে চাকরির চেয়ে ভালো কিছু খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে খুঁজতে থাকুন। যদি এক থেকে দুই সপ্তাহের সময় নিয়ে চাকরি খোঁজার সুযোগ পায় তাহলে খুঁজতে থাকুন হয়তো এর চেয়ে ভালো কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
keyowrd: when to quit your job,when to quit job,when to quit my job,when it's time to quit a job,when is it time to quit a job