আপনি কি জানেন ইলান মাস্ক এর মাসিক বেতন কত?

 

how much salary of elon musk worth


বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীদের তালিকা পরিবর্তনের জন্য একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে । হঠাৎ করেই ঘোষণা Elon Musk হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। Elon Musk তার টুইটার অ্যাকাউন্টে জেফ বেজোস কে পেছনে ফেলে লিখেছিলেন ‘’কি আশ্চর্য’’। করোনাকালে তার সম্পদ বৃদ্ধির হার আমরা দেখেছি তাতে করে ধনীদের শীর্ষস্থানে ছিল কেবল মাত্র সময়ের ব্যাপার। 


বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা প্রকাশকারী ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারের ইনডেক্স এর তথ্য অনুযায়ী মার্কিন গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।  তার নিচে অবস্থান করছেন জেফ বেজোস যার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৬০০ ডলারেরও বেশি । এই খবরটি চোখে পড়ার পর মনে হল যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষটি আসলে কত টাকা বেতন পান? 


টেসলা ও স্পেসএক্সের মত প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অংশের শেয়ারহোল্ডার এলন মাস্ক অর্থাৎ তিনি এটার মালিক পক্ষ। তাই বরং আমরা বেতনের চেয়ে শেয়ারের মূল্য লাভ ক্ষতির হিসাব করি।  সেটাই বরং যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমরা মনে করছি। পাশাপাশি তিনি হচ্ছেন তার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী সেই দিক থেকে তিনি কর্মী বাহিনীর প্রধান।  যার ফলে সেভাবে বেতনের হিসাব করলে কেউ আমাকে লাঠি নিয়ে তাড়াতে আসবেনা। 


তার সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে তার শেয়ারের দাম বৃদ্ধি।  তিনি তার প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার।  তার মোট শেয়ারের পরিমাণ ২১% এর আশেপাশে। 


বলা হয়েছিল, ইলন মাস্ক টেসলায় তাঁর কাজের প্রতিদানের প্রথম কিস্তি পাবেন যখন প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার পেরোবে


এবার জেনে নেবো এলন মাস্ক এর বেতন কত


শে। ২০১৮ সালের টেসলার পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এলন মাস্ক একটা অদ্ভুত চুক্তি করেন।  সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল টেসলার প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি কোনো বেতন বোনাস নেবেন না।  কিন্তু কাজের প্রতিদান হিসেবে যা পাবেন তা তিনি বারোটি কিস্তিতে পাবেন সেটা নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠান মনের উপর।  মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে যার বাজার মূল্য। 


আর সেই চুক্তিতে বলা ছিল যে,  এলন মাস্ক টেসলা তাঁর কাজের প্রতিদান এর প্রথম কিস্তি পাবেন যখন প্রোতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করবে। এই চুক্তিতে আরো উল্লেখ্য ছিল যে,  ২০১৮ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে বাজারমূল্য ৬৫ হাজার কোটি ডলার নিয়ে যেতে হবে। আর সেই লক্ষ্য গুলো পূরণ করতে পারলে মোট ৫৫৮০ কোটি ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পাবেন তিনি। 


চুক্তির সময় টেসলার বাজার মূল্য ছিল পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।  প্রথম দুই বছরে যদিও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা থেকে বহুদূরে পিছিয়ে ছিল টেসলার বাজার মূল্য।  কিন্তু গত বছর তা কিভাবে প্রতি লাখে কতগুলো সিঁড়ির ধাপ গেছে তা তো আমরা অনেকেই দেখেছি। কেউ আসলে বুঝতেই পারেনি যে তার প্রতিষ্ঠান মূল্য এত দ্রুত আজ ৮৩ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারে এসে দাঁড়াবে।  এটাও কেউ ভাবেনি যে ২০২৮সালের লক্ষ্য পূরণ হবে ২০২১সালেই । 


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads