স্বল্প পুঁজি এবং অল্প জায়গায় করতে পারেন লাভজনক কবুতর খামার। (পার্ট ০১)

 


নতুনদের জন্য কবুতর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা 

কবুতর বা পায়রা  এক প্রকারের পাখি যার মাংস মনুষ্যখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কবুতর গৃহপালিত পাখি। প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হতো। কবুতর উড়িয়ে প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। গৃহপালিত কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম Columba livia। এটি "ডমেস্টিকা" পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।  বাংলাদেশ কবুতর পালনের জন্য এখন পৃথিবীর কাছে ভালই পরিচিত।

বিষয় সমূহ

১ খাদ্য
২ জীবনকাল, প্রজনন
৩ রোগ ব্যাধি

৪ ধরন/জাত

খাদ্য

কবুতরের খাবার হছে গম, চাউল, কাউন, ধান, খুদ, চিনা সরিষা, ডাবলি, রেজা, বাজরা, বিভিন্ন বিজ ইত্যাদি খায় । মুরগির জন্য তৈরি খাবারও কবুতর খায়। খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়। ২×২ ফুট স্থানের মধ্যে দুটি কবুতর থাকতে পারে। কবুতরের বাসস্থান কুকুর, বিড়াল, বেজী ইত্যাদি প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হয়। কবুতরের ঘরে যাতে পানি না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।

জীবনকাল, প্রজনন

জঙ্গলী কবুতর ৫ বছর এবং গৃহপালিত কবুতর ১০-১৫ বছর বাঁচে। ৫-৬ মাস বয়স হলে স্ত্রী কবুতর ডিম দেয়। গড়ে প্রতি প্রতি মাসে এক বার ডিম দেয়। বাচ্চা ২৫/২৬ দিন বয়স হলে খাবার উপযুক্ত হয়। এ সময় বাচ্চা সরিয়ে ফেললে মা কবুতর নতুন করে ডিম দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

রোগ ব্যাধি

পাখি হিসেবে মুরগি/হাঁসের রোগগুলো এর মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে। সাধারণত: ককসিডিওসিস বা পাতলা চুণ যুক্ত পায়খানা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত পি এমভি/নিউ ক্যাসল ডিজিজ, কৃমি, ক্যাংকার বা মুখে ঘা, ক্রণিক রেসপিরেটরি ডিজিজ সি আর ডি, পক্স, বার্ড ফ্লু ইত্যাদি রোগ হতে দেখা যায়। প্রায় সব রোগের জন্যই বিভন্ন কোম্পানির ঔষধ পাওয়া যায়। তাছাড়া পশু সম্পদ গবেষণাগার হতে রাণীক্ষেত , পক্স ইত্যাদির টিকা বা প্রতিষেধক পাওয়া যায়।

ধরন/জাত

জাত বা ধরন গুলো কোন নির্দিষ্ট কিছু নয়। বিভিন্ন রং, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, চোখ ইত্যাদি এর উপর ভিত্তি করে নামকরণ বা জাত ঠিক করা হয়। এছাড়া ক্রস ব্রিডিং -এর মাধ্যমেও নতুন জাত তৈরি হয়ে থাকে। সচরাচর লভ্য জাতগুলো হলোঃ

হোমার (উড়াল প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হয়)
গোলা (দেশী কবুতর)
লাক্ষা (সৌখিন) - ভারত থেকে এসেছে
সিরাজী (সৌখিন ) - লাহোর নামে পাওয়া যায়
গিরিবাজ - (উড়ানোর জন্য বিখ্যাত)
কাগজি (সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো)
চিলা (অনেকটা চিল এর মতো দেখতে )
গোররা (শরীর সাদা কালো মিশ্রণ, যেমন মাথা সাদা, পিঠ কালো, ডানা সাদা)
চুইনা (সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো নয়)
মুসল দম (সমস্ত শরীর কালো কিন্তু দম বা লেজ গুলো সাদা)
লোটন (মাটিতে ডিগবাজি দেয়)
রান্ট
প্রিন্স
পটার
ফ্রিল ব্যাক
জ্যাকোবিন
স্ট্রেসার
মডেনা
কিং  ইত্যাদি 

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads