সব মানুষই চায় নিজের সফলতা নিজেই আনতে। কেউই পরনির্ভরশীল হতে চায়না, কিন্তু বর্তমান সমাজ ও দেশের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে অনেকেই তার নিজের স্বপ্নকে মাটি চাপা দিয়ে অন্যের প্রতিষ্ঠানে গাধার খাটুনি খাঁটছে।
সারাদিন নিজেকে সুবাসিত রাখতে এটি অপরিহার্য। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা সুগন্ধির ব্যবহার বেশিই করে থাকে। তাই এর চাহিদাও বেশ। বাড়িতে সুগন্ধি বানিয়ে ভালো আয় করা সম্ভব। এর বিক্রিও বেশ ভালো। হাতে কিছু পুঁজি থাকলে আপনিও শুরু করতে পারেন সুগন্ধি উৎপাদন।
প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই সুগন্ধি তৈরি করা যায়।
তাই এ ব্যবসায় কৃত্রিম উপকরণ চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি রয়েছে। যেমন থফ্লোরাল, মসলা বা স্পাইসি, অ্যালকোহলিক প্রভৃতি। ফুল থেকে যে সুগন্ধি তৈরি হয়, সেগুলো ফ্লোরাল গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। স্পাইসি বা মসলা সুগন্ধি হচ্ছে লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ, এলাচি প্রভৃতি থেকে তৈরি।
অ্যালকোহল-জাতীয় সুগন্ধি তৈরিতে মূলত বিশ্বের নামকরা অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। এছাড়া চামড়া বা তামাক, এমনকি বিভিন্ন জাতের গাছের নির্যাস যেমন চন্দন, কস্তুরি, জাফরান, আগর, ভ্যানিলা, বালসামের মিষ্টি গন্ধ থেকেও নানা ধরনের সুগন্ধি তৈরি করা যায়।
যেভাবে শুরু করবেন: সুগন্ধি ব্যবসার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। একেক ধরনের সুগন্ধি তৈরির প্রক্রিয়া একেক রকম। ফ্লোরাল সুগন্ধি তৈরিতে বেলি, রজনীগন্ধা, গোলাপ, হাসনাহেনা প্রভৃতি তাজা ফুলের পাপড়ি ব্যবহৃত হয়। এজন্য ফুল বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে নিতে পারলে ভালো। আর মসলা পাইকারি বাজার থেকে কিনতে পারেন। বাকিগুলোর ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। সুগন্ধি ভরিয়ে রাখার জন্য মনকাড়া ডিজাইনের পারফিউম কৌটা কিনতে হবে।
বাজারজাতকরণ: ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা যায়। আবার দোকানেও বিক্রি করা যেতে পারে। যেহেতু এর চাহিদা সব সময় থাকে, সেহেতু বাড়িতে দীর্ঘদিন রেখেও ব্যবসা করতে পারবেন। এছাড়া সুগন্ধি বিক্রির জন্য বিভিন্ন গিফট শপেও দেওয়া যেতে পারে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও পণ্য রফতানির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ব্যবসার জন্য বৈধ কাগজপত্র তৈরি ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। তবে বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে প্রচারের কোনো বিকল্প নেই।
সাবধানতা: সুগন্ধি তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সুগন্ধির নাম এবং প্যাকেট আকর্ষণীয় ও যাতে মানসম্পন্ন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুগন্ধির ঘ্রাণ যেন ভালো হয়। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করবে আপনার ব্যবসা।