ফার্মেসি বিজনেসের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া

drug license in bangladesh


ফার্মেসি বিজনেস একটি সৌখিন বিজনেস সেই সাথে বেশ লাভজনক একটি বিজনেস।  তরুণ যুবক  বর্তমানে এই পেশার প্রতি ঝুঁকছে।  আপনি যদি ঔষধ এর ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে চান তাহলে আপনাকে এই ব্যবসা করার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে। 


বৈধভাবে ফার্মেসি বিজনেস করতে হলে drug license করা বাংলাদেশ আইনে বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর কাছ থেকে drug license নিতে হয়।  আজকে আমরা জানবো ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে অথবা কি কি কাগজপত্র দরকার হবে।  আশা করছে মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে যারা ঔষধের দোকান খুলে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তারা ড্রাগ লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। 


1.ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে

2.ব্যাংক স্বচ্ছতার সনদপত্র

3.ট্রেড লাইসেন্স এর কপি

4.ফার্মাসিস্ট ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকার পত্র অঙ্গীকারপত্র মূল কপি

5.দোকান ভাড়ার রশিদ  অথবা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ।  নিজস্ব দোকান হলে দলিলের ফটোকপি অথবা সর্বশেষ মাসের বিদ্যুৎ বিল এর ফটোকপি। 

6.15 পারসেন্ট ভ্যাট সহ লাইসেন্স ফি জমা দেয়ার ট্রেজারি চালান। 

7.মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। 

8.ফার্মাসিস্ট রেজিস্ট্রেশন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি। 

9.পূরণকৃত ফরম । 

how to apply for drug license in bangladesh


ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া

মডেল ফার্মেসি জন্য 300 স্কয়ার ফিট জায়গা (উপরে ঢালাই ছাদ থাকতে হবে),  শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং একজন এ গ্রেড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। 

ঔষধের দোকানের জন্য 120 স্কয়ার ফিট জায়গা,  রেফ্রিজারেটর,  একজন বি-গ্রেড/ সি-গ্রেড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। 

দোকানের ছবি তুলে ড্রাগ লাইসেন্স এর আবেদন এর সাথে জমা দিতে হবে। 


ফার্মাসিস্ট এর জন্য ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে আপনাকে তিন মাসের মেয়াদে একটি কোর্স কমপ্লিট করতে হবে।  যে কোর্স পরিচালনা হয় বিভিন্ন জেলার কেমিস্ট এবং ড্রাগিস্ট সমিতির মাধ্যমে। ড্রাগ লাইসেন্স বিতরণের ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস পর পর ওষুধ প্রশাসনের সভা হয় যেখানে,  ড্রাগ লাইসেন্স প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে কার্য সম্পাদন করা হয়। লাইসেন্স ফি সাধারণত ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।  পৌর এলাকার জন্য 2500 টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে হলে 1500 টাকা। 


লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার জন্য যে ট্রেজারি চালান এর কোড এর প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে ১-২৭১৫-০০০০-১৮৬৩। লাইসেন্স নবায়ন করা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া বা চলমান প্রক্রিয়া তাই ড্রাগ লাইসেন্স এর বেলায়ও এই নিয়মটি প্রযোজ্য।  ড্রাগ লাইসেন্স সাধারণত দুই বছর পর পর নবায়ন করতে হয়।  পৌর এলাকার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন ফি 800 টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে 700 টাকা। সেইসাথে সকল ফ্রিজের উপর 15 পারসেন্ট ভ্যাট দিতে হয়।  ভ্যাট চালান কোড ১-১১৩৩-০০১৫-০৩১১। 


নতুন লাইসেন্স নিতে হলে আপনাকে দুই থেকে তিন মাস সময় অপেক্ষা করতে হবে যাচাই-বাছাই এর কাজের জন্য।  আই লাইসেন্স নবায়নের জন্য পাঁচ থেকে সাত দিন সময় অপেক্ষা করতে হয়।  আরো বিস্তারিত আপনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যোগাযোগ করতে পারেন।  যার ঠিকানা 


ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ঔষধ ভবন, মহাখালী, ঢাকা-১২১২।


ঔষধ প্রশাসন, ১০৫-১০৬, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০।

টেলিফোন: ৮৮০-২-৯৫৫৬১২৬, ৯৫৫৩৪৫৬ ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯৫৬৮১৬৬

ই-মেইল:drugs@citech.net


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads