ই-কমার্স ব্যবসার আইডিয়া এবং বিস্তারিত!

e-commerce business idea in Bangladesh


"ই-কমার্স ব্যবসা"  যাকে আমরা সাধারণত বুঝি অনলাইনের মাধ্যমে কোনো পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা ।

বর্তমান বিশ্ব আধুনিকতার বিশ্ব, এ বিশ্বে সবকিছুই এখন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে ,তাই সবার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।


বর্তমানে ছোট থেকে বড় সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে এবং বর্তমানে ই-কমার্স অর্থাৎ অনলাইন বিজনেস এ সকল পেশার এবং সকল বয়সের লোক যোগ দিচ্ছে।


বর্তমানে ই কমার্স ব্যবসার একটি লাভজনক দিক হচ্ছে প্রচুর ক্রেতা রয়েছে এখানে যারা শুধুমাত্র ঘরে বসেই তার পছন্দের সেবাটি পেতে পারে সে আশায়,আর সেই সেবা পৌঁছে দিতেই রয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা। তাই বর্তমানে সবাই শুধু মাত্র মুঠোফোন ব্যবহার করেই  ই-কমার্স ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। আর সেই সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। 


চলুন তাহলে ধারনা নেওয়া যাক এ ব্যবসায়ে সফলতা নিশ্চিত করতে কি কি করা দরকার সে সম্পর্কে। ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনি কোন ধরনের পন্য বিক্রি করবেন তা নির্দিষ্ট করা। পন্য নির্ধারন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচক্ষন হতে হবে। কারন আপনার নির্ধারিত পন্যের এর চাহিদা কেমন হবে, পন্য বিক্রয় করে কেমন লাভ হবে, পন্য ক্রেতার নিকট পৌছানোর পরিবহন খরচ কেমন পরবে তা চিন্তা না করে যেমন খুশি তেমন সাজো এর মত পন্য সিলেক্ট করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসার শুরুতেই।


আবার নিজের বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই এরকম পন্য সিলেক্ট করা ও বোকামি। পন্য নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনার প্রতিদ্ধন্দী কারা, তাদের মার্কেট পজিশন কোন স্তরে তা বিবেচনা করা উচিত। কখোনই এমন পন্য বিক্রির চেষ্টা করবেন না যেটি অন্য বিখ্যাত ইকমার্স ওয়েবসাইট দ্বারা মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ চাহিদা পুরন করা হচ্ছে সফলতার সাথে। আর পন্য মানের সাথে কার্পণ্য করা চলবে না। সব সময় বাজারের সেরা পন্যটি আপনার ক্রেতার হাতে তুলে দেবার চেষ্টা রাখতে হবে।


পন্য নির্ধারনের পর নির্দিষ্ট করুন পন্যগুলো কোন কোন ক্যাটাগরীতে পড়ছে। ক্যাটাগরী নির্দিষ্ট করার সুবিধা হচ্ছে, পন্যগুলো কিনতে সুবিধা হবে এবং দাম নির্ধারন করতেও সুবিধা হবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টোমাররা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পন্য গুলো খুজে নিতে পারবে।


কোন কোন পন্য বিক্রি করবেন তা নির্ধারন করার পর আপনি পন্য কীভাবে কাস্টোমারর হাতে পৌছাবেন তা ঠিক করুন। হোম ডেলিভারী দেবার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কোন কুরিয়ার সার্ভিস/পরিবহন ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারী কোন কোন এলাকার জন্য রাখবেন তা নির্ধারন করুন। হোম ডেলিভারীর আগেই পেমেন্ট নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।


সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ওয়েবসাইট তৈরীতে হাত দেওয়ার আগে নির্ধারন করুন পেমেন্ট অপশন হিসেবে আপনি কোনগুলো রাখবেন। অর্থাৎ কোন কোন মাধ্যমে আপনার ক্রেতা আপনার পন্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবে।


মানুষ কোন পেমেন্ট অপশন ব্যাবহারে স্বাচ্ছন্দ্যতা বোধ করে তা বিবেচনা করে পেমেন্ট অপশন নির্ধারন করুন। পেমেন্ট অপশন হিসেবে ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাকিং ব্যবস্থা বিকাশ, সহ পেজা, মানিবুকার রাখতে পারেন। তবে উপরের সবগুলো রাখতে হবে এমন না কারন কাস্টোমারের সেটিসফিকশন যেমন দরকারী তেমন নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারাটাও দরকারি।


একটা ইকমার্স ওয়েবসাইটের অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে একটি সুন্দর ডোমেইন নেম। আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য একটি সুন্দর এবং ইকমার্স রিলেটেড নাম সিলেক্ট করুন। যেমন ইকমার্সের জন্য আপনি যদি চিন্তা করেন অামি-তুমি-সে-ডটকম নাম রাখবেন তাহলে তা মানানসই হবে না, কেউ বুঝবেও না এটা কি ওয়েবসাইট। কিন্তু যদি ইবাজারডটকম রাখেন তবে সবাই বুঝবে এটি কিসের ওয়েবসাইট।


 একটি উদাহরণ দেই, দারাজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট।তাদের মাসিক আয় বলা  বাহুল্য।


 এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, কারণ বর্তমানে তাদের পুঁজি কম।


 ই-কমার্স ব্যবসা এমন একটি  ব্যবসা এখানে স্বল্প পুজিতে ঘরে বসেই যেকোনো পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যায়।

e-commerce business idea in Bangladesh


যেমন আমি যদি কয়েকটি উদাহরণ দেই, যদি গ্রীষ্মকাল হয় এবং আমের মৌসুম হয় তখন কিন্তু বহু লোক ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে তাদের নির্দিষ্ট আম সারা বাংলাদেশের ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারছেন।


অন্যদিকে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারা বিশ্বে লকডাওন ছিল তখন কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মানুষের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যটি পৌঁছে দিয়েছেন।


 যার কারণে আজকে ই-কমার্স ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনার যদি ইচ্ছে থাকে একটি ই-কমার্স বিজনে্স শুরু করার  সে ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র একটি ফেসবুক পেজ খুলে এবং হাতে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা পুঁজি ্নিয়েই  শুরু করতে পারেন আপনার ই-কমার্স ব্যবসা। কিন্ত আপনার যদি সপ্ন বড় থাকে এবং হাতে পুজি থাকে তাহলে চাইলেই আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে তারপর বিজনেস শুরু করতে পারেন।


মনে রাখবেনঃ আপনি যদি ধৈর্যশীল এবং কঠোর পরিশ্রমী হোন তাহলে আপনি অবশ্যই সফলতার মুখ দেখতে পারবেন ইনশাল্লাহ।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads