কিভাবে ব্যবসার জন্য (trade mark) ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের আবেদন করবেন ?



আসসালামু আলাইকুম,

আজকে আমরা আলোচনা করব trade mark সম্পর্কে । ট্রেডমার্ক করা হয় মূলত একটা ব্যবসাকে অন্যান্য ব্যবসা থেকে স্বতন্ত্র ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বা আলাদা করার জন্য।  আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রেডমার্ক করার থাকলে বা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নামের ট্রেডমার্ক লাইসেন্স করা থাকলে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার প্রতিষ্ঠান মত করে নাম নির্ধারণ করতে পারবে না।  যদি করে তাহলে আপনি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।  চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে অথবা কোন পদ্ধতিতে ট্রেডমার্ক লাইসেন্স করতে হয়। 


একটা স্বতন্ত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্য trade mark নিবন্ধন করা খুবই জরুরী। সাধারণত ট্রেডমার্কের মেয়াদ থাকে সাত বছর পর্যন্ত।  কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণের পর আপনি আবার সেটাকে নবায়ন করতে পারবেন। 


কিভাবে ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করবেন? 

 বাংলাদেশ পেমেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বরাবরে পণ্যের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ( www.dpdt.gov.bd) ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করা যাবে।  অবশ্য আবেদন করার সময় সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। নিবন্ধন ফি নির্ধারিত হয়, কত ধরনের পণ্য বা সেবা প্রদান করবেন তার উপর ভিত্তি করে। নিবন্ধন ফি নির্ধারণ এর আরো একটা পদ্ধতি রয়েছে তা হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী আপনার পণ্য কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হবে তা দেখে নিতে হবে । 


আন্তর্জাতিক এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী পণ্য চেনি চেনি নিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রটি ত্রুটিপূর্ণ বা আপত্তিকর হলে কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানিয়ে দেবে। এবং আপনি তার উত্তর বা জবাব দেওয়ার সুযোগ পাবেন। আপনার জবাব যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স নিবন্ধনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে আর আপনার জবাব যদি সন্তুষ্টিমূলক না হয় তাহলে আপনার আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না দিলেও আবেদনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে । 


ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন টি যদি সন্তুষ্ট জনক নয় তবে সেটাকে জার্নালে পাঠানো হয়। তখন আপনাকে জার্নাল ফি জমা দিতে হবে। 


কিভাবে আবেদনের বিরোধিতা করবেন ? 

জার্নাল প্রকাশ এর দুই মাসের মধ্যেই সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আবেদনের বিরোধিতা করতে পারেন।  সে ক্ষেত্রে একটি বিরোধী দল মামলা করতে হবে।  মামলার ফলাফল নিবন্ধন আবেদনকারীর বিপক্ষে গেলে নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে এবং ফলাফল নিবন্ধনকারী পক্ষে গেলে নিবন্ধন প্রদানের লক্ষ্যে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ  করতে হবে। 


 কি ধরনের মার্ক নিবন্ধন করা যায় না? 

বিতর্কিত কোন বিষয়ই আসলে আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।  ট্রেডমার্ক নিবন্ধন এর বেলায় কোন ধরনের বিতর্কিত বিষয় কে আমলে নেওয়া হয় না।  যেমন কুৎসা মুলক বা দৃষ্টিকটু মার্ক,  প্রতারণামূলক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী মার্ক,  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করে এমন মার্ক,  বিদ্যমান আইনে আইনের পরিপন্থী,  কোন দেশ,  আন্তর্জাতিক সংস্থা বা অফিসের নাম,  মনোগ্রাম,  জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মার্ক,  পতাকা,  রাসায়নিক পণ্য প্রভৃতি মার্কেট জন্য আবেদন করা যাবে না। 


ট্রেডমার্ক নকল করলে কিভাবে প্রতিকার চাইবেন? 

 ট্রেডমার্ক আইন 2009 অনুযায়ী কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করলে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য মামলা করা যাবে। আর যদি কোন অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করা হয় তাহলে পাসিং অফের মামলা করা যাবে।  এর মাধ্যমে আপনি অন্যকে নিজের নামে বানিয়ে নিতে পারবেন।  এসব মামলা করতে হয় জেলা জজ আদালতে।  এছাড়া মিথ্যা ট্রেডমার্ক ব্যবহারের জন্য প্রথম শ্রেণীর বিচারিক হাকিম মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে।  দায়ী ব্যক্তির সর্বনিম্ন 6 মাস থেকে 2 বছর পর্যন্ত জেল অথবা সর্বনিম্ন 50 হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। 


 তথ্যসূত্র আমিওপারি ডট কম 


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads