এখনি শুরু করতে পারেন এক্সপোর্ট কাপর এর ব্যবসা!

 


Graduation শেষ করে ঘুরতে হবে কেন? 

দেশের অবকাঠামো একটু নাড়াচাড়া করলেই তো অনেক নতুন নতুন সুযোগ তৈরী হয়।

বাংলাদেশের বিশেষ করে গাজীপুর,সাভার,নারায়নগঞ্জে তৈরী হয় H&M, Zara, American Eagle, Polo সহ  প্রায় সব গুলা নামীদামী চেইন স্টোরের গার্মেন্টস আইটেম সারা দুনিয়াতে পাওয়া যায়।

চীনের শহর  চাংগী,চ্যাংদু,গুয়াংজু, সাংহাই,  মালোয়শীয়ার কুয়ালালামপুর তারপর জাকার্তা সহ অনেক বড় বড় এবং ছোট শহরেও দেখেছি এদের আউটলেট আছে! 

কিন্তু আফসোস আমরা যারা বানাই আমাদের দেশেই নাই? আমরা কি শুধুই দর্জি? বিক্রির ক্ষমতা কি আমাদের নাই? আরে ১৬ কোটি মানুষের দেশের না হলেও ১কোটি লোক এসব ব্রান্ড বাইরে থেকে কিনে বা কেনার ক্ষমতা রাখে!

এভাবে ছোট বড় প্রত্যেকটা কাজে আমাদের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে! আমার মনে হয় ৫০ ডলার/১০০ ডলার খরচ করে টি-শার্ট, ডেনিম কিনার ক্ষমতা আমাদের দেশের প্রায় সব বড় শহরের মানুষের আছে! 

Starbucks,7/11,costco,aldi,walmart এসব থেকে কেনার ক্ষমতা আমাদের আলহামদুলিল্লাহ আছে! 

এইগুলোও আসলে দেশের নানা University Students রা Part time এইগুলোও তে জব করে নিজের পড়াশোনা এবং Pocket Money জোগাড় করতে পারবে। 

এখন বলবেন ভাই এসব থেকে লাভ কি? আমরা গরীব!

ভাই এসব না থাকলে টুরিস্টরা এদেশে কেন আসবে?

এখানে এসে টিশার্ট ব্রান্ডের না কিনতে পারলে, কফি খাইতে না পারলে! ২৪ ঘন্টা দোকান খোলা না পাইলে আসবে কেন? আর কি আছে আমাদের দেশে?

ভাই ব্রান্ডের একটা ভ্যালু আছে। অধিকাংশ মানুষ কমফোর্ট জোনের বাইরে বেরুতে চাই না।

ভাই পাহাড়, পর্বত,সমুদ্র বীচ প্রায় সব দেশেই আছে! তাও কেন মানুষ বাইরের দেশে যায়?

কালচার টা ফিল করতে! 

এদেশে এসে এসব দেখলে ওরা আমাদের কে ওদের সমমনা ভাববে!

তারপর প্যান্ট পাল্টাইয়া শখ করে লুঙ্গি পরবে!

ফেসবুক,ইন্সটা,স্ন্যাপচ্যাটে,ছবি দিবে লুংগি পরে শো অফ করবে।

দেশের প্রমোট হবে একটা ব্রান্ড ভ্যালু তৈরী হবে!

অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে! 

বিদেশীরা এসে টাকা খরচ করবে, মাগনা থাকবে না এইখানে কেউ।

আমরা সব কিছুতে অবহেলিত হচ্ছি।

আমাদের পূর্বপ্রজন্ম ২০০ বছর ব্রিটিশদের গোলামী করেছে। এদেশে নীল চাষ হয়েছে!

নীল চাষ বন্ধ হইছে কিন্তু বাইরের দেশের গোলামী,মজদুরি বন্ধ হয় নাই!

গার্মেন্টস শিল্পে আমরা ২য় এত বড় বড় কথা বলি অথচ আমাদের নিজের দেশের ৯০% মানুষ এগুলো পরে দেখে নাই!

বিষয়টা এমন মাছ ভাজলো আমার মা ১০০০ টাকা খরচ করলো আমার বাবা। মেহমান ভাজা মাছ খেয়েও গেলো বাটিতে করে নিয়ে গেলো! 

সেই ভাজা মাছ বিক্রি করে ৩০০০ টাকা লাভ করলো!

গার্মেন্টস এর দিকে নজর দেওয়া উচিৎ! 

মজুর না বানাইয়া মহাজন বানানোর চিন্তা করা উচিৎ।

আমাদের তৈরী জিনিস আমাদের নিজেদের বিক্রির সুযোগ দেন!

নিজেদের সেসব ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া উচিৎ! 

শ্রমিকরা ব্যবহার করে দেখুক তাদের বানানো জিনিস তারা নিজেরা ক্রয় করার সাধ্য রাখছে!

আমার মায়ের ভাজা মাছ শুধু অন্যরাও না খাক আমরাও খাই।

দেশের Culture যত উন্নয়ন করবো ততোই Tourism বাড়বে এবং দেশের ছাত্র ছাত্রীরা কিংবা যারা Graduation শেষ করে বাহির হচ্ছে তাদের অনেক কাজের জায়গায় সৃষ্টি হবে।

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads