ব্যবসা যদি করে থাকেন, তাহলে তো এ কথা অবশ্যই শুনেছেন যে টাকা আসতে টাকা লাগে। অথবা টাকা ছাড়া টাকা হয় না। তো বিষয় একই, যদি আয় করতে হয়, আগে বিনিয়োগ করতে হয়। তবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তটা খুব সহজ নয়। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই ভাবতে হবে এই অর্থ ফেরত আসবে কি না। উদ্যোক্তাদের সহায়তাকারী ওয়েবসাইট অন্থ্রোপ্রনার জানিয়েছে, নিজ ব্যবসায় বিনিয়োগের আগে কোন তিন প্রশ্ন করবেন নিজেকে।
১. লক্ষ্য নির্ধারণ: বিনিয়োগ করার আগে লক্ষ্যটা নির্ধারণ করতে হবে। টাকা ঢেলে আসলে কী পেতে চাচ্ছেন? সেটা অর্জন করতে কী কী দরকার হবে? টাকাগুলো কোন কোন খাতে খরচ করলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে? ছোট ছোট পথগুলো কোনটা কোন দিকে বাঁক নেবে? কোনো একটা বিফল হলে পরবর্তী পরিকল্পনা কী? সবকিছু যদি আগে থেকে পরিষ্কার না হয়, তবে সেখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। বিনিয়োগের আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে পর্যন্ত প্রতিটা পথ খুব ভালো করে যাচাই করতে নিতে হবে।
২. নিজের সীমা যাচাই করা: পথ জানার পর পরের ধাপ হচ্ছে কীভাবে সেই পথ পাড়ি দেওয়া যায়। ধরা যাক, একটা পথ পাড়ি দিতে হলে সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। অথচ ব্যবসার সক্ষমতা আছে মাত্র ১০ ঘণ্টা কাজ করার। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ না করাই ভালো। শুধু কাজের সীমা নয়, চিন্তার সীমাকেও বাড়িয়ে নিতে হবে।
নতুন উদ্যোগ বা ব্যবসায় নতুন এলে নিজের মধ্যেই অনেক দ্বিধা থাকে। এসব দ্বিধা দূর করে কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন মূল্য ছাড় দিলে হয়তো লাভ কম থাকে। তবে এটা পরীক্ষিত যে মূল্যছাড়ে আয় কম হলেও ব্যবসার সফলতায় এটি প্রয়োজন। যদি লক্ষ্যের সঙ্গে সীমার কোনো দ্বন্দ্ব না হয়, তবেই কেবল সামনে আগানো উচিত।
৩. সহায়তার মাত্রা নির্ধারণ: যদি ব্যবসা একটা যাত্রা হয়, বিনিয়োগ একটা বাহন। এই বাহন দিয়ে আমরা এক অবস্থান থেকে আরেক অবস্থানে পৌঁছাই। এখন সেই পর্যন্ত পৌঁছাতে আমরা কতটা সহযোগিতা পেতে পারি, তা-ও নির্ধারণ করতে হবে বিনিয়োগের আগে। ধরুন আপনি একটি পণ্য কারওয়ান বাজার থেকে মিরপুরে নেবেন। এখন সেই পণ্যটা ভ্যানেও নিতে পারেন অথবা ট্রাকেও। জানতে হবে কতটা খরচ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আছে। অথবা বেশি খরচ করে দ্রুত কাজ করলে কোনো সুবিধা পাওয়া যায় কি না। মোট কথা, বিনিয়োগ যদি সঠিক ফল দেয়, তবে সেই বিনিয়োগ করতে হবে।