জেনে নিন, ব্যবসা শুরু করার উত্তম সময় কখন!

ব্যবসা শুরু করার উত্তম সময় নির্ভর করে কখন ব্যক্তি এটি শুরু করতে চায় তার উপর। ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে তখন, যখন আপনি এর প্রতি পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারবেন। এর অর্থ এই নয় যে আপনি খন্ডকালিন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না কিংবা চাকুরিতে থাকা অবস্থায় ব্যবসা করতে পারবেন না। একেকজন মানুষের শক্তি ও সামর্থ একেক রকম। ব্যবসা করার ধরণ আপনার শক্তি ও সামর্থের উপর নির্ভর করে। এক কথায় ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

কিভাবে বুজবেন এখন আপনার সময় হয়েছে 

আপনি যখন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে জিবন অতিবাহিত করছেন তখন ব্যবসা শুরু করা উচিৎ নয়। আপনি বিবাহ বিচ্ছেদ কিংবা চাকুরি হাড়িয়ে হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন, এক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসা শুরু করা উচিৎ নয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগতে পারেন এবং সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। ফলে ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসা করতে বয়স নয়, চাই মানসিক শক্তি

ব্যবসা শুরু করার উত্তম সময় আপনার বয়স কত সেটার উপর নির্ভর করে না। যেকোনো বয়সে মানুষ চাইলে ব্যবসা শুরু করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন দৈহিক ও মানসিক শক্তি। তবে বেশি প্রয়োজন হলো মানসিক শক্তি। জেনে অবাক হতে পারেন, আমেরিকাতে ছোট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ৫২% মালিকের বয়স হচ্ছে ৫১-৮০ বছর , ৩৩% এর বয়স ৩৪-৪৮ বছর এবং ১৫% এর বয়স ৩৫ বছর কিংবা এর কম। এটি বয়সের কোনো বিষয় নয়। এটি আপনি আপনার জীবনের কোন পর্যায়ে আছেন এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আপনি মানসিকভাবে কতটুকু প্রস্তুত তার উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।

ব্যবসা শুরু করার উত্তম সময় নির্ভর করে আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রস্তুতির উপর।

আপনার ব্যক্তিত্ব

একজন ব্যবসা মালিক হিসেবে অনেকে যথাযথ ব্যক্তিত্বের অধিকারি নাও হতে পারে। একজন সফল ব্যবসায়ির শিল্প সম্পর্কে বিস্তৃত জ্ঞান এবং বিভিন্ন ধরনের সাংগঠনিক ক্ষমতা, বিপনন ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, ক্রেতা ও বিক্রেতাকে ভালভাবে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। একজন সফল উদ্যোক্তা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে থাকে। উদ্যোক্তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করার মত গুনাবলী সম্পন্ন হতে হয়। সকল পরিস্থিতিতে নমনীয় ও দৃঢ় থাকাও একটি বড় গুণ। এই গুণাবলী গুলো আপনার মধ্যে থাকলে আপনি ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

আপনার আর্থিক অবস্থা

অর্থকে ব্যবসায়ের রক্ত সঞ্চালনের সাথে তুলনা করা হয়। আপনার আর্থিক অবস্থা ব্যবসা শুরু করার মূল চাবিকাঠি। আপনি দক্ষ ও মেধাবি হলেও অর্থ ছাড়া কোনভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত মূলধন। ব্যবসা শুরু করার পূর্বে পর্যাপ্ত মূলধন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ব্যবসা শুরু করার পূর্বে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। যেমন- নিজস্ব তহবিল, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বিনিয়োগকারী, ব্যাংক ঋণ, বীমা ইত্যাদি উৎস থেকে অর্থসংস্থান করা যেতে পারে।

 পারিবারিক প্রভাব

আপনি যদি বিবাহিত হন ব্যবসা পরিচালনার চেয়ে পারিবারিক সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণত চাকুরির তুলনায় ব্যবসায় অধিক পরিমাণে সময় ব্যয় করতে হয় এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাপ সামলাতে হয়। যা আপনার পারিবারিক সম্পর্কে কলহ সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্র্ আপনি আপনার পরিবারকে ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত করে নিলে খুব উপকার হতে পারে।

তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads