ADU BHAI ATTENTION PLZ,, THIS CONTENT IS CREDIT FOR PROTHOM ALO,, SO ITS A COPY PEST ARTICLE BUT IT IS VERY SEO FRIENDLY AND QUALITYFULL.
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উচ্চশিক্ষার আর্ন্তজাতিকীকরণ। দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তীব্র প্রতিযোগিতা আর কিছুসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অতি-ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির কারণে অভিভাবকেরাও এখন তাঁদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় বিদেশে পাঠাতে মনোযোগী হয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে অজ্ঞতা আর সচেতনতার অভাবে অনেকেই হচ্ছেন ভোগান্তির বা মধ্যস্বত্বভোগীদের লালসার শিকার। অথচ সামান্য সচেতনতা আর আগ্রহ থাকলে নিজেই সম্পন্ন করা সম্ভব ভর্তিপ্রক্রিয়ার পুরো ধাপ।
শিক্ষাব্যবস্থার উন্নত মান ও ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের চাহিদার কারণে সুইডেন বাংলাদেশি ছাত্রদের একটি ভালো গন্তব্য হতে পারে। উল্লেখ্য, পূর্বে উচ্চশিক্ষা ফ্রি থাকলেও সুইডেন ২০১১ সাল থেকে বিদেশি (নন-ইইউ) শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি আরোপ করেছে। তবে পাশাপাশি তারা স্কলারশিপের পরিধিও বাড়িয়ে দিয়েছে। সুইডেনে বছরে দুইটি এডমিশন রাউন্ড হয়। জানুয়ারি রাউন্ডে (অটাম সেশন) আবেদনকাল ১৬ অক্টোবর-১৫ জানুয়ারি আর আগস্ট রাউন্ডে (স্প্রিং সেশন) আবেদনকাল ১ জুন-১৫ আগস্ট।
আবেদন: সুইডেনে ভর্তিপ্রক্রিয়া কেবল একটি অনলাইন এপ্লিকেশন সার্ভিসের (www.universityadmissions.se) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়৷ এটা অত্যন্ত সহজ ও ঝামেলাবিহীন। একবার অ্যাকাউন্ট করলেই যেকোনো বিষয়ে, যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যায়। উল্লেখ্য, এই পোর্টাল ছাড়া সুইডেনে আবেদনের আর কোনো দ্বিতীয় পথ নেই।
প্রথম ধাপে এখানে একটি অ্যাকাউন্ট করে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হলে আবেদন করতে হবে। পরবর্তী ধাপ হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো। সঙ্গে আবেদনের কভার পৃষ্ঠা পাঠাতে হবে। ভুলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় কোনো কাগজপত্র পাঠানো যাবে না। সব ডকুমেন্ট পাঠানোর ঠিকানা হলো: University Admissions in Sweden, FE 20102SE-839 87 stersund SWEDEN.
উল্লেখ্য, পাঠানো সব ডকুমেন্টই স্ক্যান করে মূল সিস্টেমে অ্যাটাচ করা হবে৷ পরবর্তী সব আবেদনের জন্য কোনো কাগজ পাঠানোর দরকার নেই। ভর্তিপ্রক্রিয়ার পুরোটা ধাপে ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদনকরীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
সাধারণত দুই মাস পর প্রথম নোটিফিকেশন দেওয়া হয়, যাতে সম্মতি বা প্রত্যাখ্যান বাধ্যতামূলক। পরবর্তীতে আরেকটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। ভর্তি আবেদন গৃহীত হলে ভিসার আবেদন করতে হয়। ভর্তি না হলেও একই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরবর্তী সময় আবেদন করা যায়।
আবেদন ফি: অনলাইন আবেদনের পরবর্তী ধাপে ৯০০ ক্রোনার (প্রায় ১১ হাজার টাকা) অ্যাপ্লিকেশন ফি পরিশোধ করতে হয়। স্কলারশিপের আবেদন করার আগেই এই টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পরিশোধিত না হলে আবেদন বিবেচিত হবে না।
স্কলারশীপ: ভর্তি আবেদন সম্পন্ন করার পর স্কলারশিপ আবেদন করতে ভুলবেন না। বাংলাদেশিসহ ১২টি দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সুইডিস ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। প্রতি বছর ২০০ জনশিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য মনোনীত হন।
সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করার পরও প্রায় ১ লাখ টাকার মতো মাসিক ভাতা দেওয়া হয় মনোনীত শিক্ষার্থীকে। আবেদনের জন্য ভিজিট করুন http://www.studyinsweden.se/Scholarships/SI-scholarships/
যেসব বিষয় এই প্রোগ্রামের আওতাভুক্ত জানতে পারবেন এখানে। http://www.studyinsweden.se/upload/studyinsweden_se/Documents/SI-Study-Scholarship-List-of-eligible-progams2013-14.pdf
লক্ষণীয়, SI ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক স্কলারশিপ সুবিধা রয়েছে। তাই চেষ্টা করুন যত বেশি সম্ভব আবেদন করা যায়। কারণ স্কলারশিপ আবেদন ফ্রি এবং এতে আপনার বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে। তবে স্কলারশিপ আবেদনের সঙ্গে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের CV আর Motivation Letter দিতে ভুলবেন না।
ভিসা আবেদন: সর্বশেষ ধাপ ভিসা আবেদন। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপনাকে ছাত্র বা ছাত্রীরূপে গ্রহণ করলে আইনগতভাবে আপনি ভিসা পাওয়ার দাবিদার। তাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভিসার আবেদন করুন। ভিসা আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলো সিলেকশন রেজাল্ট (যা আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করবেন),
মেডিকেল ইনস্যুরেন্স (শিক্ষাকাল এক বছরের চেয়ে কম হলে), পাসপোর্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং ব্যাংক স্টেটম্যান্ট। আপনি যদি স্কলারশিপের জন্য মনোনীত না হন, তবে আপনার ১০ মাসের খরচ নিজ ব্যাংক হিসাবে দেখাতে হবে। মাসে ৭৩০০ ক্রোনার হিসেবে তা ৭৩,০০০ ক্রোনার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় নয় লাখ টাকা)।
তবে স্কলারশিপ পেলে আপনার ব্যাংক বিবরণীর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ থেকে ভিসা প্রসেসিংয়ে ২-৪ মাস সময় লাগে। তাই সিলেকশন রেজাল্ট পাওয়া মাত্রই আবেদন করুন।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: একটি হলো, ইংরেজি ভাষা দক্ষতা। অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা না থাকায় ভুল করে থাকেন। সুইডেনে বিষয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ন্যূনতম যোগ্যতা চাওয়া হয় IELTS 6.5 বা TOEFL 575।
তবে স্কোর কম থাকলেও ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ পূর্বঅভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পূর্ব শিক্ষা যদি ইংরেজি মাধ্যমে হয় কিংবা কাজের ক্ষেত্রে ইংরেজির ব্যবহার এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, Motivation Letter বা Statement of Purposes. মনে রাখবেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এটিকে বিশেষ বিবেচনা করে থাকে। হয়তো আপনার পূর্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা আশানুরূপ নয়, কিন্তু একটি সুন্দর Statement of Purposes–এর কারণে আপনি ভর্তির জন্য বিবেচিত হতে পারেন।
তাই এটি তৈরি করুন ভালোভাবে, কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনার আগ্রহ, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুন। তবে ২ পৃষ্ঠার অধিক না হওয়াই ভালো। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের Statement of Purposes–এর জন্য নিজস্ব ফরম্যাট রয়েছে । তা অনুসরণ করুন। সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিষয় নির্ধারণ।
যতটা সম্ভব আপনার পূর্ববর্তী বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ে আবেদন করুন। আপনি একটি সেশনে সর্বোচ্চ চারটি মাস্টার্স বা আটটি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। তাই বিষয় নির্ধারণে সচেতন হউন। উদাহরণস্বরূপ, সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে যদি আপনার গ্রাজুয়েশন থাকে, কম্পিউটার সায়েন্সে আবেদন করলে আপনার ভর্তির সম্ভাবনা থাকে না।
এ ছাড়াও আপনার সর্বাধিক কাঙ্ক্ষিত বিষয় হতে শুরু করে ক্রমানুসারে বিষয়গুলোকে সাজান, কারণ ভর্তিপ্রক্রিয়ায় আবেদিত বিষয়গুলো ওপর হতে ক্রমানুসারে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, ১ নাম্বার অবস্থানে আবেদিত বিষয়ে আপনি ভর্তির জন্য বিবেচিত হলে নিচের ২,৩,৪ অবস্থানের বিষয়গুলো মুছে ফেলা হবে এবং বিবেচিত হবে না।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা কেবল জ্ঞানার্জন নয়, ব্যক্তিজীবনের জন্য বিশাল এক অভিজ্ঞতা, যা অর্জনে চাই যথাযথ আত্মবিশ্বাস আর নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া। হতাশ না হয়ে চেষ্টা করুন, বিজয় সুনিশ্চিত।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গন্তব্য। উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক শেষ করা অনেকের এই স্বপ্ন থাকে। এজন্য তারা স্কলারশিপ পেতে আবেদন করেন। তবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিলে কিন্তু স্কলারশিপ পাওয়া সহজ হয়। কী কী যোগ্যতা থাকলে স্কলারশিপ পেতে পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে থাকবেন—
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে
কেউ যদি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়তে চান তাহলে উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে—
এসএটি স্কোর: স্নাতক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়তে গেলে এসএটি স্কোরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশভেদে ভিন্ন স্কোর গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ‘অ্যাপ্লাই’ লিংক থেকে যোগ্যতার মাপকাঠি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
সামাজিক কার্যক্রম: ভর্তির আবেদনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব বিকাশের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য দেশে স্কুল ও কলেজে পড়ার সময়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হওয়া যায়। গণিত অলিম্পিয়াড, পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন মেধাবৃত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ভর্তি কার্যক্রমে দারুণ সহায়তা করে। স্কাউটিং, সামাজিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সনদও এসব ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
সুপারিশপত্র: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হয়। আলোচিত কোনো ব্যক্তিত্ব, স্কুল বা কলেজের শিক্ষক, প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তিত্ব যিনি শিক্ষার্থীকে চেনেন, তার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে জমা দিতে হয়। যিনি সুপারিশপত্র লিখবেন তিনি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তিক দক্ষতার পাশাপাশি জ্ঞান অন্বেষণের আগ্রহসহ সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রকৃতি সম্পর্কে উল্লেখ করবেন।
ভাষাদক্ষতার প্রমাণ: সাধারণভাবে যেকোনো দেশেই ইংরেজি ভাষার কোনো বিষয়ে পড়তে গেলে আইইএলটিএস ও টোয়েফল স্কোরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীর ভাষাভিত্তিক দক্ষতা প্রমাণের জন্য এসব সনদ গ্রহণ করা হয়।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য: কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কেন পড়াশোনা করতে চায়, পড়াশোনার মূল লক্ষ্য কী, ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে কাজ করতে চায়—এসব নানা বিষয়ে জানার জন্য আবেদনের সঙ্গে আগ্রহের কথা লিখতে হয়। অন্য কারও আবেদনপত্র থেকে হুবহু অনুকরণ করে অনেকেই নিজের কথা লিখে জমা দেয়, যেটি কোনোভাবেই করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে নিজের আগ্রহের কথা বুঝে ব্যাখ্যা করে লিখতে হবে, অনুকরণ করা যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে
স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই খোঁজখবর রাখতে হবে। যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে—
গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ: পৃথিবীর যেকোনো দেশেই স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর গবেষণা ও নিবন্ধের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে বিষয়ে পড়ছেন বা গবেষণা করছেন তার ওপর নিবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের চেষ্টার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই নিচু মানের জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশের চেষ্টা করেন, যা কখনোই করবেন না। এতে ভবিষ্যতে বিপদে পড়বেন, ভর্তি বাতিল হয়ে যেতে পারে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নিন। বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা, পোস্টার উপস্থাপনের অভিজ্ঞতা ভর্তির কার্যক্রমে ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে।
ইন্টার্নশিপ বা চাকরির অভিজ্ঞতা: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে বিষয়ে পড়তে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ বা চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে তা ভর্তি ও স্কলারশিপ পেতে বেশ কার্যকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ খুঁজে বের করুন।
অধ্যাপক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ: সাধারণভাবে স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃত্তি বা ফান্ডের জন্য আবেদন করা যায়। প্রতিবছর বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের জন্য অর্থ গ্রহণ করেন শিক্ষকেরা। আগে থেকে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সেই অধ্যাপকের মাধ্যমে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়ে পড়ছেন, কেন সেই বিষয়ে ভবিষ্যতে পড়বেন, যে অধ্যাপক বা শিক্ষককের অধীনে গবেষণা করতে চান, তা বিস্তারিত ই–মেইলে জানাতে হবে।
সুপারিশপত্র: স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা যার অধীনে গবেষণা করছেন তাঁর কাছ থেকে সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। সুপারিশকারী যেখানে আবেদন করছেন, সেই কর্তৃপক্ষ বরাবর আপনাকে চেনেন, জানেন, আপনার মেধা ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে ধারণা আছে, এমনটা লিখলে আপনি এগিয়ে থাকবেন।
গবেষণা প্রস্তাব: দেশভেদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেটমেন্ট অব পারপাজ বা কেন পড়বেন, কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চান সে সম্পর্কে লিখে জমা দিতে হয়। অন্যের প্রস্তাব কখনোই অনুকরণ করে জমা দেবেন না। নিজের আগ্রহ, লক্ষ্য ও উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে প্রস্তাব লিখুন।
ভাষাদক্ষতা প্রমাণ: আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর বিভিন্ন দেশে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয় এমন মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে আবেদনের জন্য বাধ্যতামূলক।
জিআরই, জিম্যাট স্কোর: যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে আবেদনের জন্য জিআরই স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমবিএ বা ব্যবসায় অনুষদের কোনো বিষয়ে পড়তে গেলে জিম্যাট স্কোরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেক বিজনেস স্কুল এখন জিম্যাটের পাশাপাশি জিআরই স্কোর গ্রহণ করে থাকে। স্কোরভেদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয়।
আরও যা খেয়াল রাখতে হবে
আবেদনের ফি: যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন ফি জমা দিতে হয়। যেকোনো ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যায়।
নম্বরপত্র জমা: ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে নম্বরপত্রের কপি (ট্রান্সক্রিপ্ট) জমা দিতে হয়, যা অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় লেখা হতে হবে কিংবা ইংরেজিতে ভাষান্তর করে জমা দিতে হবে। কুরিয়ার করে পাঠাতে হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ই-মেইলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বরপত্র তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই করিয়ে নিতে হয়।
সময়ক্রম ধরে আবেদন করা: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সেশনে আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে ‘ফল সেমিস্টার’ (আগস্ট থেকে), ‘স্প্রিং সেমিস্টার’ (জানুয়ারি থেকে) ও ‘সামার সেমিস্টার’ (মে থেকে) বিভিন্ন ভাগে আবেদন করা যায়। প্রধানত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফল সেমিস্টারে আবেদন করতে হয়।
ওয়েবসাইটে নজর রাখা: যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান তার ওয়েবসাইট, ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে নানা তথ্য জানা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে বিভিন্ন সেশনও পরিচালনা করে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
Credite: Prothom Alo