নির্দিষ্ট সময় চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য। হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন| ।সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ।আমরা সবসময় চেষ্টা করি চুল সুরক্ষিত রাখার জন্য।তাই আমাদের চুলের যত্ন খুব প্রয়োজন। সব সময় চেষ্টা করতে হবে সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে ।রৌদ্রের তাপ না লাগানো। ধুলোবালুর থেকে দূরে থাকা ।এসব মেনে চলতে পারলেই চুলের জন্য খুব ভালো।নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া বন্ধ হয় ।চুলের গোড়া শক্ত হয় ।জমাট বেঁধে থাকে না ।
ছেলেদের চুলের যত্ন বলেন অথবা মেয়েদের চুলের যত্নের কথা বলেন সবার ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। রুক্ষ চুলের যত্ন বলেন আর স্বাভাবিক চুলের যত্নে কোথায় বলেন না কেন নিচে বর্ণনাকৃত নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ভালো ফল পাবেন বলে আশা করি।
এগুলো মেনে চলতে পারবে আমাদের চুলের জন্য খুব উপকারিতা রয়েছে। এরপর আমরা চেষ্টা করব রোদ্রে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় কোনো রকম কাপড় বা ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখতে। এতে আমাদের চুল অনেকটাই সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আমাদের চুলের কালার নষ্ট হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায়, চুল লাল হয়ে যায়, এসব বিভিন্ন কারণের জন্য আমাদের চুলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা চেষ্টা করব সবসময়ের জন্য চুলের ঠিকভাবে যত্ন নেওয়া জন্য। চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তার পূর্ণাঙ্গ একটি গাইডলাইন নিচে দেওয়া হল।
চুলের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি ধাপ:
প্রথমে বলব আমরা সবসময় ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে ।তবে এখানে যদি আমরা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নেই, তাহলে মাথার চুল অনেক নরম হতে পারে ।তাই সব সময়ের জন্য আমরা চেষ্টা করব ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাথা ধোয়ার জন্য ।
চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন
ভালো রাখার জন্য হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। চুলের গোড়া শক্ত করে।অনেক উপকারে আসে হেয়ার প্যাক এর ব্যবহার 15 থেকে 16 দিন পর চুলের হেয়ার প্যাক লাগাতে হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করব ঘরে তৈরি উপাদান দিয়ে যে কোন কাজ করার জন্য। কারণ ঘরের তৈরি জিনিস অনেকটাই সুরক্ষা থাকে।
চুলের যত্নে নিয়মিত চুল ব্রাশ করা
আমরা সবসময় চেষ্টা করব নিয়ম অনুযায়ী চুল ব্রাশ করা। তাহলে চুল অনেক ভালো থাকে। আমরা অনেক সময় নিয়মিত না করার জন্য চুলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করব নিয়ম অনুযায়ী চুলের যত্ন নেওয়া ।দুই থেকে তিনবার ব্রাশ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে চুল ব্রাশ করে নিন।
ভেজা চুলের যত্ন
আমরা কখনো এই ভুলগুলো করবো না ।যে ভুলগুলোর কারণে আমাদের চুলের অনেকটাই ক্ষতি করে দেয় ।যেমন, আমরা অনেকেই অনেক সময় এই ভেজা চুল বেঁধে রাখি। এই কাজটি একেবারেই ঠিক না ।ভেজা চুল বেঁধে রাখলে আমাদের চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এরপর চুলের আগা ফেটে যায় এবং চুল লম্বা হতে কোন ভাবে সাহায্য করে না। এভাবে আমাদের চুলের সৌন্দর্য টা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা ভুলেও এই কাজটি কখনো করবোনা, যেটা আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় ।আমরা চেষ্টা করব ভেজা চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়ার জন্য ।
চুলে শ্যাম্পু করা ;
আমরা অনেকেই চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করার নিয়ম জানিনা। তাই প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে চার পাঁচদিন অনিয়ম ভাবে চুলে শ্যাম্পু করে থাকি। এই জিনিসটি আমাদের আরো ক্ষতি করে দেয়। তাই বুঝতে হবে চুলের শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম। বাহিরে বের হলে আমাদের চুলে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালু আর ময়লা জমে থাকে। তাই ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়। আর শ্যাম্পু করার সময় ভালো করে ম্যাসাজ করতে দুই হাত দিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় শ্যাম্পু ঘষতে হবে ।একবার শ্যাম্পু লাগিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। যদি অতিরিক্ত ময়লা জমে থাকে তাহলে দুইবার শ্যাম্পু করুন ।
কন্ডিশনার ব্যবহার করার নিয়ম
আমরা সচরাচর যে কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করে ।ওই শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে মাথা ধুয়ে নিন। যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। ভেজা অবস্থায় কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কেউ যদি চান মাথা ধুয়ে নিতে পারেন। অথবা কন্ডিশনার ব্যবহার করে রেখে দিতে পারেন।কোন সমস্যা হবে না তবে ভেজা চুলে ব্যবহার করতে হবে।কন্ডিশনার এর কাজ হচ্ছে চুলকে মসৃণ করে। অথবা চুল সিল্কি করে।
এখানে একটা জিনিস খেয়াল করতে হবে । কমিশনার যেন কোনোভাবেই চুলের গোড়ায় না লাগে।1 ইঞ্চি দূরে থেকে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে ।চুলের গোড়ায় যদি কমিশনার লেগে যায় তাহলে চুলপড়া আশঙ্কা থাকে ।
চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা ’
আমরা সবসময় চেষ্টা করব। নিয়মিত চুলের তেল দেওয়া। তবে তবে অতিরিক্ত না হলেই ভালো ।প্রথমে ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথায় নিয়ে নেব।এরপর চুলগুলোর শুকিয়ে। পরিমাণ অনুযায়ী তেল দিয়ে নেব। তেল দেওয়ার নিয়ম সপ্তাহে 1থেকে 2 দিন ।
চুল ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার ;
আমরা যদি স্বাস্থ্যকর থাকি ।তাহলে আমাদের চুল ও স্বাস্থ্যকর থাকবে ।অতিরিক্ত টেনশন করলে মাথার চুল নষ্ট হয়ে যায়। ঘুম কম হলে চুলের অনেক সমস্যা দেখা দেয় ।তাই আমাদের চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন লোহা এবং প্রোটিন জাতীয় পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে ।নিয়মিত পরিচর্যা আর প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি উপাদান ।আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে দেবে।
তাই আমাদের বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় শাকসবজি ও ফলমূল বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সঠিক সময়ে ঘুমোতে যান। চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। এই নিয়ম গুলো যদি আমরা মেনে চলতে পারি ।তাহলে আমাদের ফুলের জন্য খুব ভালো একটি উদ্দেশ্য।
চুলের যত্নে আরও একটি উপায়
আমরা যখন চুলে তেল ব্যবহার করব। কমবেশি অনেকেই চুল এলোমেলো করে রেখে দেয়। তবে এর একটি নিয়ম থাকে।দিনে আমরা যখনই তেল ব্যবহার করব। তবে রাত্রে ঘুমানোর আগে শক্ত করে ফেনী বেনি করে ঘুমাতে হবে।ঘুমানোর আগে আমরা যদি চুল টাইট করে চুল বেনী অবস্থায় ঘুমোতে যায় তাহলে চুলের আগা ফেটে যাওয়ার কোন চান্সই থাকে না ।
চুলে গামছা বা তোয়ালে ব্যবহারের নিয়ম;
আমরা সচরাচর গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে থাকি। কিন্তু আমরা এখানে একটা জিনিস ভুল করে থাকি। সেটা হচ্ছে মোছার সময় অনেক জোরে চেপে চেপে চুলের পানি মুছে নেই। কিন্তু এতে করে আমাদের চুলে অনেক ক্ষতি হয়। চুলের গোড়া চাপ লেগে নরম হয়ে যায় এরপর এমনিতে চুল পড়ে যায় এবং চুলের আগা ফেটে যায়। এই সমস্যার কারণে আমাদের চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই আমরা চেষ্টা করব গামছা অথবা তোয়ালে দিয়ে আমরা যে যেভাবেইমাতা মুছে থাকি। কিন্তু একদমই আলতোভাবে বুঝতে হবে ।তাই যতটা সম্ভব আলতোভাবে চুল মুছে নেব।
আমরা যদি প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে বা নিয়ম অনুযায়ী চুলের যেসব যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন সেগুলো মেনে চলি তাহলে আমাদের চুল পড়া বা গোড়া নরম হয়ে যাওয়া চুল ভেঙে যাওয়া এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি তাই আমরা একটু কষ্ট করে যে যেভাবে পারি চুলের যত্ন নিতে দ্বিধাবোধ করব না। আমাদের নারীদের সৌন্দর্য হচ্ছে চুল। তাই আমাদের সবসময় চুল সুন্দর রাখতে হবে।