চুল পড়া বন্ধের উপায় নিয়ে কথা বলবো আজ । মেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। চুল হলো মানুষের সৌন্দর্য। তাই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতে হবে ।আমরা জানি কম-বেশি অনেকেরই চুল পড়ে কারো বেশী কারো কম । আমাদের সবার নির্দিষ্ট একটি আয়ু থাকে।
চুল পড়া বন্ধের উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আরেকটি বিষয় জানতে হবে। তা হল চুলের আয়ু শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়া শুরু হয়। বয়স হলে মানুষের চুল পাতলা হয়ে যায় । তারপর একটু একটু করে কমতে থাকে। অনেকেরই চুল পড়তে পড়তে মাথা টাক হয়ে যেতে পারে, যাকে বলা হয় অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া ।
এভাবে আমাদের চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ রয়েছে, যেমন রোগ বা অপুষ্টির কারণে, আয়রন ও ভিটামিন এর অভাব, ঘুম কম হলে।
এছাড়াও চুল পড়া, চুল গজানো, খুশকি, এসব নিয়ে মানুষের মনে কৌতহুল বা আগ্রহ অনেক বেশি । চুল পড়া রোধে ঔষধ, বর্তমানে বাংলাদেশে চুল পড়া নিয়ে অনেক ধরনের চিকিৎসা করা হয় । তবে সবার জন্য সব চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না ।
চুল পড়ার চিকিৎসা, অনেকেই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে চুল পড়া বা চুল গজানো অথবা খুশকি দূর করার জন্য । তবে চুল পড়া রোগের চিকিৎসায় কেউ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, যেহেতু এ ধরনের চিকিৎসা সবার কাজে লাগবে কিনা, তা জানা জরুরি।
চুল পড়ার চিকিৎসায় অথবা টাক পড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার নাম মিনোক্সিডিল।
চুল পড়া রোধে ঔষধ এর জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির কথা এখন বলে দেব। প্রাকৃতিক ঔষধ গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে চুল পড়া কমানো সম্ভব। প্রকৃতি থেকে পাওয়া এই মূল্যবান জিনিস গুলো যদি আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে খুব সহজেই চুল পড়া রোধ করতে পারব। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো হলো-
- পিয়াজ
- আমলকি
- নারকেলের দুধ
- ডিম
লেবুর রস
পেঁয়াজের ব্যবহার হলো প্রথমে ভালো করে সাবান দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। তারপর ভিজা অবস্থায় পেঁয়াজের রস আমরা সাধারণত মাথায় ঠিক যেভাবে তেল ব্যবহার করি ওই ভাবে পেঁয়াজের রস আগা গোড়া সমান ভাবে দিতে হবে । 40 থেকে 50 মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর সাধারণত আমরা যে শ্যাম্পু ব্যবহার করি তা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে ।
পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার নিয়ম সপ্তাহে দুই দিন । পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া বন্ধ করে, খুশকি খুশকি দূর করে।
আমলকি ব্যবহারের নিয়ম। প্রথমে নারিকেল তেল পরিমাণমতো নিতে হবে। এরপর শুকনো আমলকি একটু পরিমাণ নিয়ে তেলের সাথে মিশিয়ে ফুঁটিয়ে নিতে হবে । তেল কালচে হয়ে গেলে নামিয়ে নেবে। হালকা কুসুম গরম অবস্থায় চুলের গোড়া বা আগা ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। 20 থেকে 30 মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এছাড়াও নারিকেলের দুধ চুলের গোড়ায় আর্দ্রতা জোগায়। দুধে ভিটামিন-ই, ফ্যাট,প্রোটিন,উপাদান রয়েছে যা চুল পড়া বা চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দূর করবে।নারিকেলের দুধের ব্যবহার সময় 15 থেকে 20 মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
ডিমের ব্যবহার এর ক্ষেত্রে ডিম একটি বা দু'টি ও নেওয়া যাবে। এখানে আমরা ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করব একটু লেবুর রস পরিমাণমতো চুলের আগায় লাগিয়ে রাখুন। তারপর 1 ঘন্টা রেখে দিন । এক ঘন্টা পর কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।
আগের অপশনে আমি বলেছি যে কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে । কিন্তু ডিম বা লেবুর রস ব্যবহার করার পর এখানে কন্ডিশনার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। কারণ চুলের আগা ফেটে যায় বা ভেঙে থাকে এর জন্য আমরা কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। আরেকটি কথা আপনি যদি সরাসরি শুধু ডিমের সাদা অংশ লাগাতে চান তাহলে সেটাও করতে পারবেন।
লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। লেবু আমাদের শরীর সুস্থ করে খাবারের টেস্ট বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারি। হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলপড়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। হেয়ার প্যাক লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশালে তাকে হেয়ার প্যাক বলে।
নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে খুশকি জন্য লেবুর রস সবচেয়ে বেশি উপকারিতা