rfl গ্যাসের চুলা price in bangladesh
গ্যাসের চুলার প্রাইস ইন বাংলাদেশ। দিনে দিনে বাংলাদেশের মানুষ আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে এবং সৌখিনতার দিক থেকেও এগিয়ে চলেছে। শৌখিনতা একটি মাপকাঠি হচ্ছে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি। আমি বলতে চাচ্ছি গ্যাস দিয়ে রান্না করার কথা। শহরের মানুষ অনেক আগে থেকেই গ্যাসের চুলায় রান্না করে কিন্তু বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ন গ্যাসের চুলায় রান্না করার প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল বাজারজাতকরণ। যেহেতু বর্তমানে প্রত্যেক এলাকাতেই গ্যাসের বোতল কিনতে পাওয়া যায়, তাই শহর কিংবা মফস্বল এলাকা সবজায়গাতেই গ্যাসের চুলায় রান্না করার প্রচলন বেড়েছে ।
- আরো পড়ুনঃ ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি ?
গ্যাসের চুলার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
উপরে আমরা গ্যাসের চুলার দাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যাদের গ্যাসের চুলার দাম জানার প্রয়োজন আশা করছি তারা এখান থেকে একটা ভালো আইডিয়া পেয়েছেন। বাংলাদেশ অল্পকিছু প্রতিস্থান দেশীয়ভাবে এ সকল গ্যাসের চুলা তৈরি করছে এবং কিছু বিদেশী প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বাংলাদেশ গ্যাসের চুলা বাজারজাত করছে।
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওয়ালটন, টপার, আরএফএল, গাজী ইত্যাদি এছাড়াও বিদেশি কোম্পানির গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়। দামের দিক থেকে বলতে গেলে দেশি-বিদেশি সবাই একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে বাজারে মাল বিক্রি করার চেষ্টা করছে। তাই চুলা কেনার আগে দামের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে ।
কি দেখে গ্যাসের চুলা কিনবেন
গ্যাসের চুলা কেনার পূর্বে বুঝতে হবে যে, আপনার কি ধরনের চুলার প্রয়োজন। যদি পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ডাবল চুলা নিতে হবে। আর যদি সদস্য সংখ্যা কম হয় তবে সিঙ্গেল চুলা নিলেও চলবে।
- আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ইসলামিক নাম
নেওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনি যে চুলা নিচ্ছেন সেটাতে কালি হবে কিনা। যদি চুলা থেকে কালি বের হয় তাহলে, পরবর্তীতে এটার জন্য আপনাকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাই সোনা কেনার আগে সেলসম্যানের কাছ থেকে নিশ্চিত হয় নেবেন যে কোন মডেলের চুলায় কালি হয় না।
অটো গ্যাসের চুলা ভার্সেস মেনুয়েল গ্যাসের চুলা
বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটা গ্যাসের চুলাতেই অটোমেটিক আগুন জ্বলার পদ্ধতি রয়েছে। তাই চুলা কেনার আগে এই বিষয়টিও নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে, অটোমেটিক আগুন জ্বলবে কিনা। যদি অটোমেটিক আগুন জলে তবেই সেই চুলগুলো নেবে।
কোথায় পাওয়া যায়
আপনি যত মফস্বল এলাকায় বসবাস করেন না কেন সেখানেও এই গ্যাসের চুলা গুলো পেয়ে যাবে। এর জন্য নীলনদ পাড়ি দিতে হবে না ইনশাআল্লাহ। ওয়ালটন, আরএফএল এদের তো নিজস্ব শোরুম রয়েছে। শোরুমগুলোতে কে প্রোডাক্ট কিনলে যদিও 100% সঠিক মাল পাওয়া যায় তবে দাম একটু বেশি পড়ে। শোরুম ছাড়া বাইরের দোকান থেকে মাল কিনলে একটু কম দামে কিনতে পারবেন।
গ্যাসের চুলা ব্যবহারের কিছু সতর্কতাঃ
- রান্না ঘরের জানালা সব সময় খোলা রাখুন যাতে পর্যাপ্ত আলো আসে।
- প্রথম অবস্থায় দক্ষ কারিগর দিয়ে সোলার সেটআপ করে নিন। সেটাপ করার পর ভালো করে চেক করে নিন। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সাথে সাথে ঠিক করে নিন।
- ঘরের বাইরে যাওয়ার পূর্বে চুলা ভাল করে বন্ধ করে নিন।
- গ্যাসের চুলার বারনার দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করুন যাতে এটাতে ময়লানা জমে।
- গ্যাসের চুলা পরিষ্কার করার পূর্বে আগুন নিভিয়ে নিন তারপর সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
- বাচ্চাদেরকে গ্যাসের চুলার কাছে আসতে দিবেন না।
- আগুন থেকে সবসময় নিরাপদ থাকার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবেন।
ওয়ারেন্টি এবং মেরামতের ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি
বেশি অথবা বিদেশি যে কোন কোম্পানির জুলাই কিনুন না কেন, প্রত্যেক কোম্পানি বিভিন্ন মেয়াদের ওয়ারেন্টি প্রদান করে। যদি ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে যেখান থেকে গ্যাসের চুলা মেরামত করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। যারা শহর এলাকায় থাকেন তারা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে গ্যাসের চুলার কারিগর বাসায় এনে মেরামত করে দিতে পারবেন।
গ্যাসের চুলার যন্ত্রাংশের দাম
গ্যাসের চুলা মেরামত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ প্রয়োজন হয়। এগুলোর দাম সম্পর্কে জানতে হলে ইউটিউবে সার্চ করুন। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের চুলার যন্ত্রাংশের দাম বলে দেওয়া আছে। এছাড়াও ওয়ালটন অথবা আরএফএল কিংবা গাজী গ্যাসের চুলার ওয়েবসাইট এর থেকেও তাদের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। তবে গ্যাসের চুলার যন্ত্রাংশের দাম ওয়েবসাইটের না খুজে আপনার বাড়ির পাশের দোকান রয়েছে সেখানে খোঁজ করুন।