মন ভালো করার উপায়

মন ভালো করার উপায়
মন ভালো করার উপায়। আমাদের ভালোটা শুরু হয় সকাল থেকে  । আমরা যদি প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ,ফজরের নামাজ পড়ি এরপর কিছুক্ষন হাঁটতে পারি ।  তাহলে সারাদিন শরীরটা অনেক  সুস্থ  থাকে। আমাদের মন ভালো থাকে  । তাই আমাদের প্রতিদিন চেষ্টা করতে হবে খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা । সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে দিন টা অনেক বড় হয়ে যায় ।  মনে হয় দিন  এত বড় ।  তবে সকাল উঠে আপনার  সারাদিনে কাজ গুলো  প্রস্তুত করা যায় । 


আমাদের বাঙ্গালীদের একটা কথা আছে যে শরীর সুস্থ থাকলে আমাদের মন ও সুস্থ থাকে ।  তাই মন ভালো রাখা জন্য প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে।  তাহলে আপনার সারাদিনের  মন ভালো থাকবে । এরপর হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকে, ও স্বাস্থ্য ঠিক থাকে , এতে করে আপনার মন ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বক ভালো থাকবে । সকালের ওঠার একটি কারণ, হচ্ছে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ।  এবং সারাদিনের ক্লান্তি ভাব দূর হবে । সঙ্গে আপনার আরেকটি কাজ হচ্ছে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাবেন  এবং হজম শক্তি বাড়ে । আপনার মানসিক ক্লান্তি দূর হবে ।  এবং শরীরের দুর্বলতার কেটে যাবে ।  আপনি যদি নিচে  বর্ণিত নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার মন অনেক ভালো থাকবে এবং শরীরও ভালো থাকবে । 

মন ভালো করার উপায়। মন ভালো নেই। মন ভালো করার কবিতা

 সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি খালি  পেটে এক গ্লাস পানি পান করুন । অনেকে আবার সকালে খালি পেটে শুধু পানি খেতে পারে না ।  তবে আপনি  সামান্য পরিমাণ  লেবু পানির সঙ্গে চিপে নিয়ে খেতে পারেন । এর কারণ আপনার সারাদিনের দুর্বলতা ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যাবে, এবং মন ভালো থাকবে শরীর ভাল থাকলে ,অবশ্যই মন ভালো  থাকে। 

সকালে উঠে আপনি শরীরের রোধ আলো-বাতাস লাগিয়ে নিবেন,এতে করে আপনার মন অনেক ভালো লাগবে ।  আমরা  সারা দিন কাজ শুরু করা আগে গোসল করে নিব ।  তাহলে আমাদের ঘুম ঘুম ভাব দূর হবে ।  সকালে গোসল করা সবার  উচিত । 

সুখ-দুখঃ আনন্দ-বেদনা সবকিছু মিলেই আমাদের জীবন  ।সবকিছুর মাঝে হাসিখুশি নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় । মন ভালো থাকলে সব  কাজে ভালো লাগে ,  এবং শরীর ভালো লাগে । তাই মন ভালো রাখার জন্য সব সময় ভালো কিছু চিন্তা করতে হবে । সব সময় হাসিখুশি থাকতে হবে । অনেক সময় দেখা যায় আমরা সহজ কাজগুলোকে কঠিন করে ফেলি এর ফলে আমাদের কষ্ট হয় ।  এরপর মন খারাপ হয়ে যায় এবং শরীর অনেক দুর্বল লাগে ।  তবে সহজ উপায় কাজ  করতে হবে । আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে । শুধু  শুধু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার আকাশ কে কঠিন করে ফেলি এরপর আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। 

শরীর অনুযায়ী বা মন বুঝে আমরা যতটুকু কাজ করতে পারব ঠিক ততটুকু চেষ্টা করব ।  আমরা যদি সব সময় পরিমাণ অনুযায়ী কাজ বা যেকোনো কাজ করে থাকি তাহলে আমাদের কাজে মনোযোগ থাকবে এবং ভালো লাগবে ।   এর পর আমাদের মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে ।  তাই চেষ্টা করুন সব সময় নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য ।  নিজের প্রতি খেয়াল ও সচেতন হন । নিজেকে নিয়ন্ত্রণ অথবা ভালো রাখার জন্য একটি কাজ হচ্ছে নিজের প্রতি খেয়াল রাখা । 

নিজেকে সবসময় নিজেরই খেয়াল রাখতে হবে ।  হাসিখুশি আনন্দ বেদনা ইত্যাদি সবকিছু নিজের ওপর নির্ভর করে ।  কারণ কারো কষ্ট বেদনা অন্য কেউ বুঝতে পারে না এবং নিজেকে বুঝতে হয় ।  তাই সব সময় চেষ্টা করবেন নিজেকে সুস্থ ও ভালো আনন্দ বেদনা সবকিছুই ভেতর থেকে আপনাকে হাসিখুশি রাখার জন্য নিজেকে চেষ্টা করতে হবে । 

আপনি আপনাকে সব সময় প্রশ্ন করুন; আপনার শক্তি  মনোবল আপনাকে কি উত্তর দিচ্ছে, সেটি খেয়াল রাখুন, তবে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে আমি যেটা করছি সেটা কি ঠিক না ভুল । 

দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করুন ।  আমরা দুশ্চিন্তা করে নিজের জীবনটা কেন নষ্ট করে দেব ।  এটি  স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ।  তাই চেষ্টা করতে হবে সবকিছুর ভিতরে হাসিখুশি থাকা ।  আপনি যদি দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকতে চান তাহলে দুঃশ্চিন্তাকে এড়িয়ে চলুন ।  তাহলে জীবন হবে অনেক আনন্দের ।  সব সময় নিজেই নিজেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন ।  হাসি খুশির মাঝে ।

তবে আপনি যদি সব সময় কাজের ভিতর থাকেন তাহলে আপনার মন অনেক ভালো থাকবে । অগোছানো জীবনযাপন না করে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন ।  অত্যন্ত জরুরি একটি লক্ষ্য স্থির রাখতে পারেন ।  নিজেকে কর্ম শক্তিতে রূপান্তর করুন । একটু বেশি সময় নিয়ে ভাবতে থাকুন এবং ধীরে ধীরে বুঝে নিন আপনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না ।  

 আমরা অল্প কিছুতেই বা অল্প সময়ের মধ্যেই যে কোন কারণে মন খারাপ করে থাকি ।  কিন্তু অপহরণ, লজ্জা  ইত্যাদি এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে না ।  যখন আপনার এসব বিষয়ে মন খারাপ হয়ে যাবে তখন আপনি ভুল শুধরাতে চেষ্টা করবেন । এটি নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য একটি ভাল পদ্ধতি  ।  

মানসিক যন্ত্রণাকে  কাজে মধ্যে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন ।  এটি আপনার জীবনে হাসিখুশি এনে দেবে । এই অভ্যাস খুবইগুরুত্বপূর্ণ ।  তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে । এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আপনার জীবন পরিবর্তনের চাবিকাঠি হিসেবে নিতে পারেন ।  আপনি কষ্ট নিয়ে থাকতে পারেন যদি  এতে আপনার জীবনে কোন উন্নতি হয় ।  তাহলে কোন সমস্যা হবে না । এটি করে কোনো পরিবর্তন আসবে না ।  

সব সময় ভাবতে হবে কোন বিষয়গুলোতে আপনার ভালো লাগবে । তাহলে আপনার মানসিক চিন্তা, দুশ্চিন্তা, টেনশন, কষ্ট ইত্যাদি এসব থেকে বের হওয়ার জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে আপনার হাসি খুশি আনন্দ ।  আমাদের সবার  শখের  একটি বিষয় রয়েছে । আমাদের সাথে যা যা হয় সেসব এর ওপর বেশিরভাগ সময় আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই ।  শখ ও অনুভবের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে । তাই শখ পছন্দর কাজে গুরুত্ব দিন । 

ভুল করলে ভুল স্বীকার করার সাহসী হতে হবে ।  আমরা মানুষ তাই আমাদের ভুল হতেই পারে ।  তাই স্বীকার করে নিন ।  ভুল তো মানুষেরই হয় ।  তাই স্বীকার করতে আপত্তি কিসের ।  ভুল স্বীকার করলে এর ভিতরে অনেক কিছু শেখা যায় । এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে চেষ্টা করুন ।  ছোট ছোট ভুল বিষয়গুলো না ভেবে  ভুলতে  চেষ্টা করুন । আমরা সাধারণত জীবনে একটি জিনিস বিরাট ভুল করি সেটা হচ্ছে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করে থাকি ।  এতে করে আপনার শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে ।  তাই কিছুক্ষণ বসে তারপর চিন্তা করুন আপনার জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিসগুলো । 

 সমাজ নিয়ে ভালো থাকুন এবং ভালো পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করুন । তাহলে অনেক সুখে এবং শান্তিতে বসবাস করা যাবে । এবং সব সময় এর জন্য মন ভালো থাকবে এবং শরীর ভালো থাকবে ।  মনভালো রাখার জন্য আপনি এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন ।

চুপচুপ এক জায়গায় বসে না থেকে কিছু কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন ।  একদম চুপ থাকলে মন আরো নষ্ট হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের চিন্তা মাথায় চলে আসে এরপর মন খারাপ হয়ে যায় ।  তাই একেবারে নিরব না থেকে কিছুক্ষনের জন্য বাইরে বের হন বাহির থেকে ঘুরে আসুন এবং দুই একজনের সঙ্গে কথা বলুন তাহলে দেখবেন মন অনেক ভালো লাগবে । 


 মন ভালো রাখার জন্য কিছু টিপস 

১.আপনার মন ভালো রাখার জন্য সবথেকে গুরুত্ব একটি জিনিস হচ্ছে হাসি ।  হাসি এক নাম্বার ঔষধ ।  সব সময় হাসি খুশি থাকেন তাহলে দোকানের কোন ঔষধ আপনার লাগবে না ।  মনে যতই কষ্ট থাকুক যদি একটু হাসতে পারেন তাহলে দুঃখ সব মুছে যাও । শুধু মনকে চাঙ্গা না করে শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন এবং প্রাণ খুলে হাসুন ।  হাসি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখে ।  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । 


২. শরীরচর্চা মনকে ভালো করে

শরীর চর্চার ও মন ভালো রাখার জন্য এন্ডোরফিন নামক হরমোন নির্গত হয় । গবেষণায় দেখা যায় শরীরচর্চা ও মানসিক  অবসাদ কমাতে সাহায্য করতে পারে ।  তাই শরীর সবসময় শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন ।  এবং পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন ।  এতে করে আপনার মন ভালো থাকবে । 


৩. মন ভালো রাখা ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য সকালে  হাঁটতে পারেন

 সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি এক গ্লাস লেবুর রস এর পানি পান করে  15 থেকে 20 মিনিট হেঁটে আসুন ।   সকালের সূর্যের আলো বা হালকা রোদ এবং হালকা বাতাস শরীরে লাগার পর আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে ।  শরীরে সূর্যের আলো বাতাস  লাগলে আপনার শরীরের রোগ দূর হয়ে যাবে এবং স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে ।  এবং মানসিক সুস্থ রাখে ।


৪. হঠাৎ মন খারাপ

আপনার হঠাৎ করে মন খারাপ হতেই পারে ।  ওই মুহূর্তে আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগবে ঠিক সেই কাজটি করুন ।  যার  ফলে আপনার মন যেন ভালো  হয়ে যায় ।  অনেকেই আছে মন খারাপ থাকলে গান শুনে সেটাও করতে পারবেন ।  আবার অনেকে আছে মিউজিকের তালে তালে নাচার অভ্যাস আছে ।  ওইটা পড়লে আপনার যদি মন ভাল থাকে তাহলে করতে পারেন ।  হঠাৎ মন খারাপ থাকার পর আপনার যে কাজটি সবথেকে হাসির হয় সে কাজটি আপনি করতে পারেন  ।  এরপর হঠাৎ করে আপনার মনে হয়ে যাবে সুখের কোন স্মৃতি । গবেষণায় দেখা যায় গান মন ভালো রাখার পাশাপাশি মানসিক শারীরিক দুর্বলতা সমস্যা দূর করে । 


৫. মন খারাপ  থাকলে  অ্যালবামের ছবি দেখতে পারেন

মন খারাপ থাকলে আপনি অ্যালবামের পুরনো ছবি  ছোটবেলার পুরোনো ছবি দেখলে আপনার মন ভাল লাগবে এবং সঙ্গে সঙ্গে হাসি পাবে । ছবিগুলো এদিক-ওদিক উল্টোপাল্টা করে দেখুন তাহলে এতে অনেক আনন্দিত লাগবে ।  অ্যালবামের ছবিগুলো আপনার মন অনেক তাড়াতাড়ি ভালো করার চেষ্টা করবে ।  অ্যালবামের পুরনো ছবিগুলোতে আপনার অনেক স্মৃতি মনে আসবে তখন আপনার মনে অনেক আনন্দ লাগবে ।  তখন আর আপনি দুঃখ খুঁজেও পাবে না ।  ওই মুহূর্তে আপনার মনে শুধু আনন্দ আর হাসি আসবে দুঃখজনক কোথায় চলে যাবে । 

 

৬.মন ভালো রাখার জন্য আয়নার সাহায্য নিন  । আপনি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াবেন ।  অটোমেটিক মন ভাল হতে ।  কারণ আপনি যখনআয়না সামনে দাঁড়াবে তখন  আপনাকে  দেখতে খুব অদ্ভুত লাগছে । তখন আপনার মন বলবে যে একটু সাজলে ভালো লাগবে ।আপু আপনি সব ভুলের শাস্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।  আপনার মন খারাপ বা কষ্টের এই মুহূর্ত দুটোই চলে যাবে ।  তবে আপনি এই কাজটি করতে পারেন । 


৭.কিছুটা সময় নিজেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন

  মাঝে মাঝে নিজেকে নিজের কাছে  সময় দিতে হবে ।  আপনি নিরবে থাকুন  এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন এবং নিজেকে সময় দিতে চেষ্টা করুন ।  যে আমি কিভাবে ভাল থাকব হাসি খুশি থাকব এসব নিয়ে সামান্য পরিমাণ ভাবতে থাকো এর পরিবর্তে আপনি অনেক কিছু সমাধান পাবেন ।  সারাদিন কি  কি কাজ করলে কি শিখলে ইত্যাদি ।  বসে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে প্রশ্ন করুন । অতীতের কথাগুলো মনে করতে চেষ্টা করুন দেখবেন আপনার মনে অনেক আনন্দ চলে আসব । 


৮. অনেক সময় পড়ালেখা করলে মন ভাল থাকে

 আপনার পছন্দ অনুযায়ী কিছু বই পড়ুন। এবং মজার গল্প করতে পারেন ।  আপনার আনন্দ ও মন ভালো করতে সাহায্য করবে ।  তাই একটু সময় করে বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন ।  এক থেকে দু পাতা হল বই পড়বেন  ।  


9.মন ভালো রাখার জন্য পরিবারের  সঙ্গে একটু সময় দিতে  পারেন । 

আপনি একটু সময় করে যদি পরিবারের সঙ্গে বা সদস্যের সঙ্গে বসে কিছুক্ষণের জন্য একটু মজার গল্প করেন তাহলে দেখবেন মন অনেক ভালো লাগবে । আপনার যদি কাছের কোন বন্ধু বান্ধবী থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে মন খুলে কিছু কথা বলতে পারেন এবং মনের কষ্টগুলো তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন এর জন্য আপনার মন অনেক ভালো থাকবে ।  মন খারাপ   থাকলে সব সময় চেষ্টা করবেন সবার সঙ্গে মিশে থাকার জন্য ।  সবার মাঝে থাকলে আপনার মন ভালো ভাল থাকবে । 

১০.মন খারাপ থাকলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে হাঁটতে বের  হবেন

 কোন বিষয়ের ও কোন কারনে  যেভাবেই হোক আমাদের অনেকের অভ্যাস আবারো মন খারাপ হতে পারে তবে আপনি যদি ওই অবস্থায় ঘরের না বসে থেকে একটু বাইরে বের হন তাহলে মনটা অনেক হালকা হবে এবং মন ভালো লাগবে ।  মন ভাল রাখার জন্য আপনি যদি একটু হাঁটাচলা করতে পারেন ।  তাহলে মন অনেক ভালো লাগবে ।  কারণ বাহিরে বের  আলাদা একটি বিষয় ।  তাই আপনার মন খারাপ থাকলে আপনি একটু হেঁটে আসতে পারে । 

১১. মন ভালো রাখার জন্য আরেকটি কাজ হচ্ছে বন্ধুদের সাথে ফোনে কথা বলা

 আপনি  ঘরে বসে কিন্তু ওই সময় আপনি যে আপনি  বন্ধু  সাথে একটু কথা বলেন ।  অনেকে  ফোনে  কথা বলতে ভাল মনে করে ,আবার  অনেকেই ফোনে মেসেজ করে আনন্দ পায়  । আপনাদের কাছে যেটা করলে মনে ভালো লাগবে সেটাই করতে পারেন  । তবে কখনো মন খারাপ করে থাকবেন না এতে করে আপনার শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে এবং মন টা নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনি কোনদিনও আর আনন্দ অনুভব করতে পারবেন ।  বেঁচে  থাকার জন্য আপনাকে সব সময় হাসিখুশিভাবে থাকতে হবে । 

১২. নতুন কিছু করুন মন ভালো রাখার জন্য

প্রতি নিয়ত ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কিছু ভাবার চেষ্টা করুন ।  পছন্দ অনুযায়ী একটি কাজ করতে পারেন সেটা হচ্ছে ।  কোন  হয়নি রান্না হন রান্নার  ক্লাস ভর্তি হন ।  এবং জিনে ভর্তি হতে পারেন । আগামীকাল থেকে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করুন । 

13. মন ভালো রাখার জন্য আপনি আপনার শখের কাজ গুলো করতে পারেন

মন ভালো রাখার জন্য আপনি আপনার শখের কাজ গুলো করতে পারেন। যেমন ছবি আঁকা গান শোনাও বই পড়া লেখালেখি করাইত্যাদি । এরপরে আপনার মনে যদি আরো অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে তাহলে সেই গুলোও করতে পারেন ।   মন ভালো রাখার জন্য আপনি কাজগুলো করতে পারেন । 

১৪.মন ভালো রাখার জন্য আপনি দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে  পারেন । 

আমাদের সবারই যেকোনো পরিস্থিতিতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে তাই মন খারাপ থাকলে আপনি দূরে কোথাও একটু ঘুরে আসুন ।  এতে করে আপনার  মন অনেক ভালো লাগবে ।  অনেকে ঘুরতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে ।  এরপর মনে অনেক আনন্দ চলে আসে এবং মন খারাপ ঠিক হয়ে যায় এবং আর থাকে না ।  বাইরের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে অপরুপ সুন্দর ।  আলো-বাতাস আকাশ ইত্যাদি এসব এর মাঝে অনেকটা ভালো লাগে সবার ।  তাই মন ভালো রাখার জন্য দূরে কোথাও ঘুরতে চলে যান । এতে করে আপনার মন অনেক ভালো হয়ে যাবে । 

শেষ কথা

মন ভালো রাখার সহজ একটি ঔষধ হচ্ছে হাসি বা আনন্দ ।  আপনার মন যদি চাঙ্গা করতে চান বা হাসি-খুশি রাখতে চান তাহলে অতীতের কোনো স্মৃতির কথা মনে না রেখে বর্তমান হাসিখুশি থাকুন।হাসিখুশি আনন্দ-বেদনার শিশুদের মাঝে আমাদের শান্তি ফিরে আসে এবং শরীরের যেকোনো অসুস্থতা বা দুর্বলতা বা চিন্তা ইত্যাদি এসব থেকে আপনি একদমই নিরাপদে থাকতে পারবেন ।  তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সব সময় ভালো থাকার জন্য । আপনি নিজে ভাল থাকুন এবং পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থাকুন একটু মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন।  তাহলে দেখবেন আপনার মন ভালো থাকবে । 


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads