গর্ভ অবস্থায় সহবাস কতটা নিরাপদ
কমবেশি অনেকেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক কিছু ভেবে থাকে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সহবাস করা কতটা নিরাপদ । আপনি যদি গর্ভ অবস্থায় সুস্থ-স্বাভাবিক থাকেন , তাহলে আপনার সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় সহবাস করতে পারবেন । তবে আপনার স্বামী যতদিন পর্যন্ত মানসিক বা দায়না থাকেন । ততদিন পর্যন্ত আপনি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে শারীরিক সহবাস করতে পারেন । যাই কিছু হোক না কেন তবে আপনি গর্ভকালীন অবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যতীত শারীরিক মিলন করা থেকে বিরত থাকতে পারেন ।
গর্ভকালীন অবস্থায় যৌন মিলন কতটা নিরাপদ জেনে নিন
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে অন্তঃসত্বা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস মিলন করলে অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা । বিশেষ করে মহিলাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা সে উদ্দেশ্যে অনেক কৌতুহল হয়ে থাকে । তাদের জাগে । তাদের মনে সবসময়ই দুর্বলতা থেকে যায় সেটা হচ্ছে গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ ।
তবে জেনে নিন গর্ভকালীন অবস্থায় , আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে প্রথম তিন মাস শেষ তিন মাস অবশ্য সেক্স করা থেকে সম্পন্ন বিরত থাকতে হবে । গর্ভকালীন অবস্থায় শুধুমাত্র সহবাস করা নিরাপদ হবে চার , পাঁচ , ছয় , মাসের মধ্যে । গর্ভকালীন অবস্থায় তিন মাসে সহবাস করা নিরাপদ হয়ে থাকে । তবে নিন্মুক্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে । গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের ছয় থেকে সাত মাসে যৌন আকাঙ্খা বেড়ে যায় ।
ওই সময়ে মহিলাদের সহবাস যদি না হয় মহিলাদের মানসিক ক্ষতি হতে পারে । তবে গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস ছাড়া রোমাঞ্চেরএর মাধ্যমে স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে হবে । সাধারণত যেসব কারণে গর্ভ অবস্থায় সেক্স করা উচিত নয় ।
১ ,গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাসের সময় সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে , বা এর পরিণতি ধাক্কা লেগে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
২, গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাসের ফলে পেটে ব্যথা ও মৃদু রক্তচাপ দেখা দিতে পারে ।
৩, অনেক সময় দেখা যায় অসুরক্ষিত সহবাস এর ফলে গর্ভপাত না হলেও শিশু বিকলাঙ্গ জন্মাতে পারে ।
তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই কি কি কারণে গর্ভকালীন সময় সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
১, গর্ভকালীন ওই সময়ে অল্প কিংবা বেশি রক্তক্ষরন পরিলক্ষিতহলে শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে ।
২ . কোন কারণে যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে ।
প্রাক প্রসব বেদনা ঃ প্রাক-প্রসব-বেদনাকে ঝামেলাপূর্ণ করে তুলতে পারে। যা বীর্যের সংস্পর্শে প্রোস্টাগ্লেনডিনস্ সংকুচিত হবার সম্ভাবনা থাকে । আপনার কিংবা আপনার স্বামীর কোন প্রকার যৌন-সংক্রামন ব্যাধি থাকলে গর্ভকালীন শাররীক মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে
জরায়ুর গলদেশে সমস্যা থাকলে ঃ
আপনার যদি জরায়ুর মুখ অকালে খুলতে শুরু করে তাহলে সহবাস করলে রোগ সংক্রমণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে ।
গর্ভের ফুল / অমরা সমস্যা থাকলে ঃ
গর্ভকালীন অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন গর্ভের ফুল / অমরাজরায়ুর মুখ আংশিক অথবা সম্পূর্ণরূপে ঢেকে ফেলে , তবে শারীরিক মিলনের ফলে রক্তপাত ও প্রাক প্রসব বেদনা শুরু হতে পারে ।
গর্ভকালীন অবস্থায় আপনার ডাক্তার আপনাকে যদি সহবাস থেকে বিরত থাকতে বলে তাহলে তার কারণগুলো খুঁজে বের করুন । ডাক্তার আপনাকে কি বুঝাতে চেয়েছে । আপনাকে ডাক্তারের কথাগুলো খুব ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে সেগুলো হচ্ছে ডাক্তার আপনাকে কি সহবাস করতে নিষেধ করেছে ও তৃপ্তি থেকে বিরত থাকতে বলেছে ।
যখন আপনি বুঝতে পারবেন ডাক্তার আপনাকে নিষেধ করেছে , তা অবশ্যই জেনে নিন । ও কত সময়ের জন্য নিষেধ করেছেন । উদাহরণ সহ বলা প্রথম তিন মাসযদি অল্প পরিমাণ রক্ত ক্ষরণ হয় তাহলে ডাক্তার বলে শেষবার রক্তক্ষরণের পর কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময়কাল সহবাস অন্য কোন ভাবে যৌন তৃপ্তি থেকে বিরত থাকেন ।
গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস কিভাবে নিরাপদ করা যায়
অনেকের কাছে গর্ভাবস্থায় সহবাস নিরাপদ হবে এটা সহজ মনে হয় না । গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাসের জন্য আপনাকে অন্য ধরনের ব্যবস্থা চেষ্টা করে দেখা লাগতে পারে । অনেক নিয়ম রয়েছে , গর্ভকালীন অবস্থায় আপনার সঙ্গী আপনার উপরে সহবাস করতে গেলে আপনার সমস্যা হতে পারে । আপনার পেট বড় হওয়ার জন্য আপনার স্তন ওই সময়ে অনেক নাজুক হয়ে থাকে ।
আপনার সঙ্গী যদি অতিরিক্ত প্রবেশ করতে চান তাহলে আপনি সমস্যায় পড়বেন এর পরবর্তীতে আপনি হয়ে শুতে পারেন ও ও আপনার সঙ্গী আপনার সামনে অথবা পেছন থেকে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারে ।
তবে এখানে একটি জিনিস মনে রাখবেন সেটা হচ্ছে ওরাল সেক্স গর্ভকালীন সময় সব থেকে নিরাপদ । এর জন্য আপনাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে আপনার সঙ্গী যেন যোনিপথে কোন ফু না দেয় । এর কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্ত নালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে । যা আপনার জন্য ক্ষতিকর শিশুর জন্য খুব বিপদজনক । তাই সব সময় সবকিছু খেয়াল রেখে কাজ করতে । তবে পায়ু পথে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা ভালো ।
ফলে ব্যাকটেরিয়া আপনার পায়ু হতে জরায়ু পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে । এই সময় যৌন তে কোন লুব্রিকেটিং , তেল বা জেল লাগানো একদম উচিত নয় । এসবের কারণে আপনার যৌন তে চুলকানি বা এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে । আপনার কিংবা আপনার স্বামীর কোন প্রকার যৌন সংক্রামক ব্যাধি থাকলে গর্ভকালীন শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে ।
গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের জন্য আরামদায়ক যৌন আসন ভঙ্গি জেনে নিন
গর্ভকালীন অবস্থায় অন্য সময়কালের মত আসনভঙ্গিতে সহবাস করা যায় না এ সমস্যার কারণে মা ও সন্তানের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায় । তবে গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস করা নিয়ম গুলো ভালো করে মেনে চলতে হয় । এসব ব্যাপারে মাও শিশুকে ভালো রাখার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার ।
মহিলাদের ওপরে কিছু নিয়ম
এসব ব্যাপারে মহিলারা নিয়ন্ত্রণ থাকে কত গভীরতা প্রতিস্থাপন করা হবে । এ পদ্ধতিতে বেশিরভাগ মহিলারা নিজের ইচ্ছে ও সুবিধামতো করতে পারবেন । এইভাবে গর্বের পুরো সময়কাল এমনকি শেষ সময় নারীরা অনেক কম ঝুঁকিতে থাকেন । তাই সব সময় আমাদের সব দিকে খেয়াল রেখে ঝুঁকে থাকা ভালো ।
একপাশে কাত হয়ে শুয়ে বা স্পুনিংঃ মহিলারা হাঁটু ভেঙে পাশে কাত হয়ে শোবেন ও স্বামী স্ত্রীর পিছন থেকে সহবাস করবেন । স্পুনিং ভালো ভাবে কাজ করেন যদি পুরুষ-নারীর ঊরূরর মাঝে দিয়েলিংক সঞ্চালন করেন । এই পদ্দতি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে পেটে কোন রকমের চাপ পড়বে না । খুব ধীরে বা আস্তে আস্তে সহবাস করা জন্য সুবিধা থাকে যা একজন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রয়োজন বা জরুলি ।
হাতে ভর ও হাটুতে ভর দিয়ে
একদম সহজ কথা হচ্ছে হামাগুড়ি দিয়ে এই ভঙ্গিতে সহবাস করে দেখতে পারেন । গর্ভকালীন অবস্থায় ওই সময় হামাগুড়ি দিয়ে সবার করা ভালো তাহলে মহিলাদের জন্য একদম নিরাপদ । এই নিয়ম ভাবে করতে পারলে পেটে কোনরকম চাপ পড়বে না ।
আমাদের দেশে শুধুমাত্র বিভিন্ন বিষয় বা জ্ঞান না থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । আমরা অনেকেই হয়তো অনেক নিয়ম জানি না এর ফলে আমাদের জীবনে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায় । যা অনেক মায়েরা মা হতে পারে না বাচ্চা মারা যেতে পারে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই রকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনি ।
যদি সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে পারেন । এসবের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা বিপদে পড়ে থাকি । তবে উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন সমস্যা বা বিপদ আপদ কষ্ট ইত্যাদি এসব থেকে বিরত থাকতে পারবেন। তাই আপনাকে সঠিকভাবে সব নিয়ম মেনে চলতে হবে ।
স্বামী ও স্ত্রী গর্ভকালীন সময়ে দুজনকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে । আমরা যদি ধৈর্য ধরে গর্ভকালীন সময় টুকু ভালোভাবে পেরিয়ে উঠতে পারে তাহলে সবার জীবনে সুখ শান্তি চলে আসবে । শুভকামনা হতে থাকবে মা ও শিশু পুরো ফ্যামিলির জন্য তাই সবাইকে সবকিছুতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । তাহলে আপনি সুস্থ সবল একটি সন্তান মহান আল্লাহর দরবারে থেকে পেতে পারেন ।
তাই আপনাকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ও উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ভালো করে মন দিয়ে জেনে নিতে হবে তাহলে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন । সব গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই বিষয়গুলো জানা খুব দরকার তাই আজকে এ পর্যন্ত আপনাদের জন্য ।সবাই ভাল থাকবেন সুস্বাস্থ্য কামনা করি ।