আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে চন্দ্রগ্রহণের সময় ভুলেও এই কাজ গুলো করবেন না । তাহলে আপনার জীবনে খুব বড় ধরনের বিপদ আসতে পারে ।

 আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে চন্দ্রগ্রহণের সময়  ভুলেও এই  কাজ  গুলো করবেন না  । তাহলে আপনার জীবনে খুব বড় ধরনের বিপদ আসতে পারে ।

আমাদের জীবনকে পরিচালনা করে থাকে একাধিক উপায় সূর্য ও চাঁদ । সূর্য ওএরা দুইজন শুধুমাত্র দিন ও রাতের ইঙ্গিত  নয় । তাদের  অবস্থান পৃথিবী থেকে  জ্যোতিষশাস্ত্রের পাশাপাশি জ্যোতির্বিদ্যাতেও অত্যন্ত  তাৎপর্য  বহন করে । শুক্রবার ঘটতে চলেছে এমন একটি ঘটনা । 

এর মানে হলো বছরের শেষ আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে হাজার ১৯ নভেম্বর অর্থাৎ   এই চন্দ্রগ্রহণ স্বর্গীয় একটি  ঘটনা । যেখানে পৃথিবী এসে পরো চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে । সেইসময়ে সূর্যের আলো চাঁদের উপর পরে না । ভারতে চন্দ্রগ্রহণ নভেম্বরের সকাল  11  টা  34 মিনিট থেকে বিকেল 5 টা 33 মিনিট পর্যন্ত চলবে ।

 প্রত্যেক স্বর্গীয় গ্রহণের ঘটনা মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ।  কারো জীবনের ওপর ভালো আবার কারো জীবনের উপর খারাপ প্রভাব দেখা দেয় । চন্দ্র গ্রহ নিয়ে একাধিক বিশ্বাস  নীতি  রয়েছে,  এসবের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ বিশ্বাস হবে কি চন্দ্রগ্রহণ গর্ভবতী মায়েদের জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিকারক হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ । তাই গর্ভবতী মায়েদের এই সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে । চলুন জেনে নেই কিভাবে তার উপায় খুঁজে পাওয়া যায় ।

প্রচলিত যে বিশ্বাস

চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েদের কিছু নিয়ম সেগুলো আমাদের পুরনাঙ্গ যুগ থেকে চলে এসেছে , চন্দ্রগ্রহণ গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুব ক্ষতিকর আদি যুগ থেকে চলে এসেছে মা ও শিশু স্বাস্থ্য যাতে ভালো থাকে তার জন্য চন্দ্রগ্রহণের সময় বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন নেওয়া হত বেশি বেশি ।

 সবচেয়ে প্রয়োজনে যে কথা সেটা হচ্ছে প্রচলিত বিশ্বাস হলো চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলারা কোনভাবেই যেন বাড়ির বাইরের না চলে আসে ।  চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েরা যখন বাড়ি থেকে বাইরে চলে আসে তখন তাদের শিশুর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি দেখা দিতে পারে ।  এমনকি গর্ভপাত হওয়ার আগেই প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই সব সময় সতর্ক ভাবে থাকা ভালো । 

চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া-দাওয়া ঘুমের কিছু নিয়ম ।

চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী  নারীদের খাওয়া-দাওয়া কোন রকম পানি খাওয়া যাবে না । ইউনিয়নগুলোর অনেকে বিশ্বাস করে । তবে গর্ভাবস্থায় চন্দ্রগ্রহণের সময় খাওয়াও ঘুমের কারণে শিশুর ক্ষতি হতে পারে ।  এই বিষয়ে অনেকেই হয়তো কৌতুহল কারণ আসলে কি সত্যি ঘটনা । সবারই মনে এরকম প্রশ্ন জাগে তাই জেনে নিন । কিন্তু এসব দাবির পেছনে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই ।  

একথা একথা বলে প্রচার কারণ , ভারতীয়  সাংস্কৃতিক গভীর শিকড়ে এই প্রচলিত বিশ্বাস গুলি প্রবেশ করে ফেলেছে তাই অনেকেই বিশ্বাস করেন । আসলে এসব নিয়মের কোন কারণ নেই বা বৈজ্ঞানিকভাবে আলোচনা করা হয়নি ।   শুধুমাত্র বিশ্বাস কুসংস্কার মেনে ভারতী পরিবারগুলোতে এই রীতি অনুসরণ করে থাকে । 

চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের সুস্থ-সবল ও সাবধান থাকার কয়েকটি টিপ

আসলেই সত্য একটি কথা হচ্ছে এসব অহেতুক চিন্তা বা কুসংস্কার ইত্যাদি । এ ধরণের অদ্ভুত কথা পেছনে বৈজ্ঞানিক কোন কারণ নেই । কিন্তু জ্যোতিষ বিদায়ী বিশ্বাসী হন তবে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ করতে পারেন ,  গর্ভকালীন অবস্থায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এ কাজগুলো করতে পারেন ।

১. জ্যোতিষ মতে  চন্দ্রগ্রহণের আগে কোন রান্না করা খাবার খাওয়া ঠিক নয় ।

২. চন্দ্রগ্রহণের সময় চেষ্টা করবেন বাইরের না যাওয়া ।

৩. চন্দ্রগ্রহণের সময় কোন খাবার বা পানি খেতে পারবেন না । 

৪. চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের কোন কাজ করা যাবে না । চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম করতে হবে ।

৫. ঘরের জানালা গুলি মোটা পর্দা দিতে হবে । কার্ডবোর্ড ও খবরের কাগজ দিয়ে ভাল করে ঢেকে রাখুন । এর ফলে যেন চন্দ্রগ্রহণের কিরণ আপনার ঘরের ভেতরে না ঢুকে । 

৬. গ্রহণ  শেষ হয়ে যাওয়া পর স্নান করে নিন । 

বছর শেষে চন্দ্রগ্রহণের ঐতিহাসিক সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বভারত থেকে কখন দেখা যাবে জেনে নিন ।

আপনার যদি পুরনো অভ্যাস থাকে সেগুলো ত্যাগ করুন ।

 আমার খুব ভালোভাবে মনে   রাখতে হবে  চন্দ্রগ্রহণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা আপনার গর্ব অবস্থায় উপর কোন প্রভাব পড়বে না ।  অতএব আপনাদের সবার পুরনো সময়ের অভ্যাসগুলোকরা বা না করা সম্পূর্ণরূপে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী। 

সুতরাং আপনি যদি গর্ভবতী হন সব সময় চেষ্টা করবেন দীর্ঘ সময় খাবার ও পানি বাইরে না কারণে ,  ডিহাইড্রেশন হতে পারে ।  তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ডি হাইড্রোজেন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ,  নিয়মমতো পানি পান করা খাবার খাওয়া হাঁটাচলা করা বাহিরে আলো-বাতাস লাগানো হালকা ব্যায়াম করা , অল্প বিশ্রাম করা  ইত্যাদি । 

 এসব গর্ভকালীন অবস্থায় সবথেকে প্রয়োজন ।  তাই সুস্থ সন্তান পাওয়ার জন্য আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন তাহলে আপনার সুস্থ সবল একটি সন্তান পাবেন । 

তবে আমাদের উচিত কুসংস্কারগুলো পরিহার করে সুন্নত অনুযায়ী চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের সময় এই এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সমাধান চাইতে হবে । 

উপরে উল্লেখিত  লেখা গুলো মন দিয়ে পরে নিতে পারেন তাহলে গর্ভবতী মায়েদের চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা দেবে না । আজকে এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবে ।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads