রমজান মাসে ফরজ গোসল ছাড়া কি রোজা হবে তা নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমরা রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অসুবিধা খুঁজে থাকি অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন আসে এই রমজান মাসে তাই আজকে এই আলোচনাটি আপনাদের জন্য। অপবিত্র অবস্থায় রমজান মাসে রোজা রাখা যাবে কি না । রমজান মাসে অপবিত্র ভাবে রোজা রাখা যাবে কি না তা নিয়ে আজকের এই আলোচনা আপনাদের সঙ্গে বলে দেব। এর জন্য আপনাকে ফরজ গোসলের নিয়ম জানতে হবে। তাই ফরজ গোসল ছাড়া রোজা হবে কিনা সেটা আগে জানতে হবে তারপর ফরজ গোসল কিভাবে করতে হয় সেটা জানতে হবে। তাই আজকে আমাদের সঙ্গে থেকে আপনারা জেনে নিন রমজান মাসে অপবিত্র ভাবে রোজা রাখা যাবে কিনা।
তাহলে চলুন দেখে নেই ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখা যাবে কিনা। এবং অপবিত্র ভাবে রোজা রাখা যাবে কি না তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
রমজান মাসে ফরজ গোসল ছাড়া কি রোজা হবে
- রমজান মাসে ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখা যাবে কিনা
- ফরজ গোসল ছাড়া খাওয়া দাওয়া করা যাবে কিনা
- অপবিত্র অবস্থায় সেহরি করে রোজা রাখলে সহীহ হবে কিনা
- নাপাক অবস্থায় কোন কোন কাজগুলো করা যাবে না
- রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম জেনে নিন
রমজান মাসে ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখা যাবে কিনা
এই মাহে রমজান মাসে আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের দূর চিন্তা করে থাকি। এসবের মধ্যে একটি হচ্ছে ফরজ গোসল ছাড়া রোজা হবে কিনা। এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আপনি রমজান মাসে অপবিত্র অবস্থায় বা নাপাক অবস্থায় সেহরি করতে পারবেন কিন্তু সেহরির পর আপনাকে ফজরের নামাজ পড়তে হবে অপবিত্র ভাবে আপনি ফজরের নামাজ পড়তে পারবেন না। ফজরের নামাজ না পড়া তে আপনার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যাবে। আমরা মুসলমান আমরা ভালো করেই জানি অপবিত্র অবস্থায় থাকাটা ঠিক নয়। তাই অবহেলার কারণে আপনি যদি ফজরের নামাজ কাজা করে ফেলেন তাহলে আপনার কবিরা গুনাহ হবে। আপনি অপবিত্র অবস্থায় সেহরি ও রোজা দুটোই করতে পারবেন নামাজ পড়তে পারবেন না । তাই আমরা এসব অহেতুক চিন্তাভাবনা না করে বরঞ্চ পবিত্র হয়ে মহান আল্লাহতালার হুকুম মেনে চলবো ইনশাআল্লাহ।
ফরজ গোসল ছাড়া খাওয়া দাওয়া করা যাবে কিনা
আপনি ফরজ গোসল ছাড়া খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে এবং রোজা রাখতে পারবে। কিন্তু আপনি সারাদিন অপবিত্র থেকে যদি নামাজ না পড়তে পারেন তাহলে আপনার রোজা থাকা বা না থাকা সমান। কারণ শুধু শুধু রোজা রাখলেই হবে না নামাজ ও কোরআন করতে হলে আপনাকে পবিত্র হয়ে মহান আল্লাহর তালার বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। অপবিত্র অবস্থায় আপনি সেহরি খাবেন সারাদিন রোজা রাখবেন কিন্তু নামাজ পড়তে পারবেন না কোরান পড়তে পারবেন না এতে করে আপনার অনেক বড় সমস্যা হবে এবং বড় ধরনের গুনাহ হবে। তাই আমরা ফরজ গোসল ছাড়া কখনো অপবিত্র অবস্থায় কোন কাজ করার চেষ্টা করব না। অতএব আমরা সবসময় চেষ্টা করব পবিত্র হয়ে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করা। পবিত্র হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ তাই আমরা সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকবো ইনশাআল্লাহ।
অপবিত্র অবস্থায় সেহরি করে রোজা রাখলে সহীহ হবে কিনা
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে বা বিভিন্ন ধরনের কাজের কারণে শরীর অপবিত্র হয়ে যায়। এর জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি রমজান মাসের সেহরি ও রোজা রাখতে পারবেন কিন্তু এখানে একটি সমস্যা রয়েছে
। সেটা হচ্ছে আপনি কোনভাবেই সালাত আদায় করতে পারবেন না। আমাদের সবথেকে বড় জিনিস হচ্ছে নামাজ আমরা যদি নামাজ না পড়তে পারি তাহলে কবরের জান্নাতের চাবি পাওয়ার আশা করা যায় না।
তাই নামাজের সঙ্গে সেহরি বা রোজা রাখার কোনো তুলনা করা যাবেনা। আপনি সারা দিন রোজা রাখতে পারেন এতে করে আপনার শুধু শুধু কষ্ট হবে কারণ একজন ব্যক্তি যদি রোজা রেখে নামাজ না পড়ে তাহলে তার রোযা না থাকাই ভালো।
তাই আমরা পবিত্র হয়ে সেহেরী রোজা এবং নামাজ আদায় করে নেব । আপনি যদি নামাজ কাজা করে ফেলেন তাহলে আপনার বড় ধরনের কবিরা গুনা হবে। তাই আমরা চেষ্টা করব কবিরা গুনাহ থেকে মাফ পাওয়ার জন্য পবিত্র হয়ে মহান আল্লাহতালার সকল বিধি-বিধান মেনে চলা। তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি খুশি হবেন তাই আমরা চেষ্টা করব সব সময় পাক-পবিত্র হয়ে থাকা
নাপাক অবস্থায় কোন কোন কাজগুলো করা যাবে না
আপনি রমজান মাসে ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখতে পারবেন রোজা সহীহ হবে কিন্তু ফরজ গোসল না করলে আপনি নাপাক থেকে যাবেন। শরীর নাপাক ও অপবিত্র থাকা অবস্থায় যেসব কাজগুলো করা যাবে না এবং যে কাজগুলো করলে হারাম হয়ে যাবে সেগুলো জেনে নিন।
তাহলে চলুন দেখে নেই নাপাক অবস্থায় কোন কোন কাজগুলো করা হারামঃ
- নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া হারাম
- নাপাক অবস্থায় কোরআন শরিফ ধরা বা হারাম
- নাপাক অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা হারাম কাজ
- নাপাক অবস্থায় কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা যাবে না
- নাপাক অবস্থায় কাবাঘর স্পর্শ করা যাবে না
ফরজ গোসলের নিয়ম কয়টি নিন
ফরজ গোসলের নিয়ম তিনটি। ফরজ গোসলের নিয়ম হচ্ছে তিনটি এই নিয়ম তিনটি যদি সঠিক ভাবে না করতে পারেন তাহলে ফরজ গোসল হবে না। তাই আমাদেরকে এই নিয়ম তিনটি সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেই ফরজ গোসলের নিয়ম গুলো কি কিঃ
- গড়াসহ কুলি করা
- নাকে পানি দেওয়া নাকের ভেতরের নরম অংশ ভেজাতে হবে
- এবার সমস্ত শরীরে পানি ঢালা
- পুরো শরীরে এমন ভাবে পানি ঢালতে হবে যেন শরীরের কোন অংশ শুকনা না থাকে।
- রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম জেনে নিন
- রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম সাধারণত দিনের ফরজ গোসলের নিয়ম থেকে আলাদা রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসল করতে হয় তা জেনে নিন
- কুলি করতে হবে এমনভাবে যেন গলা ভিতরে পানি না ঢুকে যায়
- নাকে পানি দিতে হবে এমনভাবে যেন নাকের ভেতর দিয়ে পানি ঢুকে না
- পুরো শরীরে ভালো করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে যেন শরীরের কোন অংশ শুকনা থাকে
প্রিয় দর্শক আশা করবো আজকের আলোচনাটি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। রমজান মাস উপলক্ষে ফরজ গোসলের নিয়ম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর আমাদের এই পোস্টটিতে রয়েছে। আমরা খুব অল্পতেই বুঝতে পেরেছি যে অপবিত্র অবস্থায় রোজা দুটোই করা যাবে কিন্তু নামাজ পড়া যাবে না। এবং নামাজ কাযা করা যাবে না। নামাজ কাজ করার পুর্বে আপনার কবিরা গুনা হবে। তাই আমরা অপবিত্র না থেকে সবসময়ের জন্য মরণের আগ পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্য অপবিত্র থাকবো না। এবং পবিত্র থাকার জন্য অনেক অনেক চেষ্টা করব।
অপবিত্র কারণের জন্য আমাদের জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা এবং গুনাগার পাপী বান্দা হতে হবে মহান আল্লাহর কাছে। আপনি যদি অপবিত্র অবস্থায় সেহরি রোজা রাখে রাখতে পারবেন কিন্তু নামাজ পড়তে পারবেন না এবং নামাজ কাজা হয়ে যাবে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে আমরা যদি রোজা রাখি এবং নামাজ না পড়তে পারি তাহলে এই রোজার কোন মূল্য নেই।
কারণ সারাদিন কষ্ট করে রোজা রেখে আপনি যদি এক অক্ত নামাজ না পড়েন তাহলে আপনারই রোজার কোন ফজিলত আসবেনা। তাই আমরা মহান আল্লাহতালার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে পালন করব। তাই আমরা ফরজ গোসলের জন্য অবহেলা না করে বরঞ্চ ফরজ গোসলের জন্য খুব গুরুত্ব সহকারে গোসল করে নেব। আমরা যদি পবিত্র হয়ে থাকি তাহলে মহান আল্লাহতালা অনেক খুশি হন এবং আমরা যদি মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করতে পারি তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি আরো বেশি খুশি হন। তাই আমরা চেষ্টা করব সব সময় পবিত্র হয় মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করার জন্য তৈরি থাকব ইনশাআল্লাহ।