ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নিন
বছরের শেষে ঈদ হল মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় একটি উৎসব ।মুসলমানরা প্রতিবছরই দুটি ঈদ উদযাপন করে থাকেন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আজকে আলোচনা করব ঈদের নামাজ নিয়ম কিভাবে তা। ঈদের নামাজ আদায় করা হলো ওয়াজিদ। ঈদের নামায বছরে দুইবার হয়ে থাকে এজন্য অনেকেই ঈদের নামাজ কি ভুলে যায়। তাই আজকে আলোচনা করব ঈদের নামাজ কিভাবে নিয়ম মেনে পড়তে হয়।
ঈদের নামাজ পড়তে হয় খোলা জায়গায় বিহীন জায়গায় আদায় করা সুন্নত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি খোলামেলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করতেন বা পড়তেন। খোলা বা ছাদবিহীন জায়গায় ব্যবস্থা না থাকলে তবে আপনি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নিন
বছরে দুইটি ঈদের নামাজ পড়ার জন্য খোলামেলা জায়গায় মসজিদ বা বাশবাড়ি যেখানে আপনি ঈদের নামাজ আদায় করুন না কেন অবশ্যই আপনাকে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। জুম্মা নামাজ আনুষ্ঠানিক হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন সেই সকল শর্ত গুলো মেনে নামাজ আদায় করতে হবে।
তাই ঈদের নামাজ আমরা চাইলে যেকোন সময়ে পড়তে পারবো না। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হলো জামায়াতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য বাসায় মা ও বোনেরা যারা রয়েছে তাদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে জামায়াতের সাথে।
ঈদের নামাজ
ঈদের নামাজ পড়ার জন্য কোন আযান ও ইকামত নেই। জুম্মার নামাজের মতই ঈদের নামাজ উচ্চ আওয়াজে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে।
ঈদের নামাজের পার্থক্য
ঈদের নামাজ পড়ার এস পার্থক্য হলো অতিরিক্ত৬ তাকবীর দিতে হবে
প্রথম আয়াতে আল্লাহ হু আকবর বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিয়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
দ্বিতীয় রাকাতে সূরা মিলানোর অতিরিক্ত তাকবীর দিয়ে রুকুতে যেতে হবে
নামাজের নিয়ত
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত 6 তাকবীরের সঙ্গে এই ইমামের পিছনে কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি আল্লাহু আকবার।
প্রথম রাকাত
১. তাকবীরে তাহরীমা বলা
ঈদের নামাজ নিয়ম করে তাকবীরে তাহরীমা বলে আল্লাহু আকবর বলার পর হাত বাধতে হবে
২. ছানা পড়া
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা তাবারা কাসমুকা ওতা আলা জাদু কা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা
৩. অতিরিক্ত ৩ তাকবীর দেওয়া
তাকবীর হতে আরেক তাকবীর এর মধ্যে 3 তাসবীহ পরিমাণ বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া তৃতীয় তাকবীর দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া
৪.আউযুবিল্লাহ- বিসমিল্লাহ পড়া
৫. সূরা মিলানো অতঃপর নিয়মিত নামাজের মত রুকু সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাত শেষ করা
দ্বিতীয় রাকাত
- ১. বিসমিল্লাহ পড়া
- ২. সুরা ফাতেহা পড়া
- ৩. সূরা মিলানো
- ৪. সূরা মিলানোর অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া
প্রথম রাকাতের মত দুই তাকবীরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর ছেড়ে দেওয়া অতএব তৃতীয় তাকবীর দিয়ে হাত বাধা
৫. তারপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া
৬. সেজদা আদায় করে তাশাহুদ দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পূর্ণ করা
তারপর খুতবা পড়া
ঈদের নামাজ পড়ার সময় ইমাম খুতবা দেবে আর মুসলিমরা খুতবা মনোযোগী শুনবে। অনেকে খুতবা না দেওয়ার ব্যাপারে শিথিলতার কথা বলেছেন। ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে খুতবা না দিলেও বলে দিয়েছেন।
৭. তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তাকবীরে দিয়ে থাকেন। এর জন্য কোন সমস্যা নেই।
বর্তমান যুগের করো না পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশে মসজিদ বা বাইরে বিশাল জামায়াতে ঈদ নামাজ আদায় রয়েছে বিধিনিষেধ। বর্তমান যুগের করোনার পরিস্থিতির জন্য আপনি চাইলে ঈদের নামাজ বাড়িতে আদায় করতে পারবেন।
আপনি ঈদের নামাজ বাহিরে ঘরে যে যেখানে নামাজ আদায় করবেন আপনাকে মনে রাখতে হবে জামায়াতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে খুতবা দেওয়া ।
ঈদের নামাজ পড়ার জন্য লোক নেই তবে আপনি কি করবেন সেটা জেনে নিন এর জন্য আপনি ঈদের নামাজ পড়তে হলে তিনজন মুসলিম ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ইমাম যদি না থাকেন তাহলে আপনি ফ্যামিলি নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আপনি চাইলে ফ্যামিলির সঙ্গে যেকোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারবেন
আল্লাহতালা মুসলিম উম্মতদেরকে যথাযথ নিয়ম মেয়েদের নাম তাওফিক দান করেছেন। ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে যথাযথ নিরাপদ স্থান বজায় রেখে সুস্থ থাকার তাওফীক দান করুন।