মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা ।আমরা প্রায় চিকন ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানতে পারি বা শুনতে পাই । তাদের মনে সব সময় প্রশ্ন থাকে কিভাবে মোটা হওয়া যায় । তারা সব সময় আতঙ্কে থাকে যে এত খাচ্ছি তবুও কেন মোটা হচ্ছে না । যারা একেবারেই চিকন বা রোগীদের মত তারাই হয়তো ভাবে একটু মোটা হলে ভালো হত । দেখতে ভালো লাগবে । তবে বেশি শুকনা লোক দেখতে আসলেই খারাপ লাগে।
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকার ব্যপারে অনেকের মনে অনেক রকমের প্রশ্ন থেকে যায় । তবে বেশি চিকন অথবা বেশি মোটা হওয়া একেবারে ঠিক নয় । তাই যাদের শরীর একেবারে শুকনা বা চিকন তারা মোটা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন । তবে চিকন বা মোটা অনেকেই হতে পারে না । মোটা থেকে চিকন হওয়ার যেমন কষ্টকর । তেমনি চিকন থেকে মোটা হওয়া একই রকম কষ্ট । তবে আপনি যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেতে পারেন বা শরীরের যত্ন নিতে পারেন তাহলে পরিবর্তন আসতে পারে । নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেলে । রাতের ঘুম ঠিক রাখা । এরকম বিভিন্ন ধরনের নিয়ম মেনে চললে । আপনি মোটা হতে পারবেন । খেতে খেতে পেট ভরে যায় তারপরও অনেকেই মজা পেয়ে খেতেই থাকে ।
আরো পড়ুনঃ VIVO Y20 Price in Bangladesh
এই যে আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে অনেকেই মোটা হয়ে যায় । আবার অনেক লোক আছে যারা এত এত খেতে পারে । কিন্তু কোনোভাবেই তারা মোটা হচ্ছে না । আপনার শরীরের অন্য অন্য পুষ্টিকর খাবার যেমন কাজ করবে তেমনি রুটি ভাত ইত্যাদি । এসব কারণে আপনার শরীরের পুষ্টিকর খাবার বৃদ্ধি পাবে । এরপর আপনি ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকবেন । কোন রকম চিন্তা চেতনা দুশ্চিন্তা টেনশন ঘুম কম হলে । এসবের কারণে আপনি কখনো মোটা হতে পারবেন না । একটা প্রশ্ন আসে যে অতিরিক্ত খাবার খাচ্ছি এবং নিয়ম অনুসারে চলছে কিন্তু মোটা হচ্ছে না কেন । তবে এর কারণগুলি হচ্ছে আপনি নিয়ম অনুযায়ী খাবার খাচ্ছেন না এবং নিয়ম অনুযায়ী অনেক কিছু করছেন না । কিন্তু আপনি মোটা হচ্ছেন না ।এসব নিয়ে আপনি বেশ চিন্তিত আছেন
খাবারের প্রতি মনোযোগ না থাকলে। অরুচি খাবার খেলে আবার শুধু ক্ষুধা মিটানোর জন্য খাবার খেয়ে থাকি । অতএব আপনি ঠিকমতো খাবার খাচ্ছেন । কিন্তু অন্য নিয়মগুলো আপনি মেনে চলছেন না । এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে আপনার সফল হবে না। সেটা হচ্ছে মোটা হওয়া । তাই সব কিছুতে মনোযোগ দিয়ে করলে ভালো হয় । অনেকেই রাতে ঠিক সময় ঘুমোতে যায় না । অনেক রাত ধরে মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে বিজি থাকে । তাদের জন্য মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা হতে পারে না ।
আরো পড়ুনঃ চুল সিল্কি করার উপায়
আপনার প্রতিনিয়ত ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে । তবে উল্টাপাল্টা খাবার খেলে চলবে না, এতে করে গ্যাসের প্রবলেম হতে পারে । বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে । শুধু শুধু অতিরিক্ত খাবার খেলে চলবে না । প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে । আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার শরীরের পরিবর্তন দেখা দেবে । তাই প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো খেলে দেহে নতুন নতুন কোষ তৈরি করে । চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে আপনার শরীরের পরিবর্তন আসতে পারে । যদি আপনি নিয়ম মেনে চলতে পারেন ।
মোটা হওয়ার জন্য খাবার তালিকা
প্রথমে বলবো সকালের খাবারের কথা। সকালের খাবার আমাদের সারাদিনের শক্তি সরবরাহ করে । সকালে খাবার খাওয়ার নিয়ম ঠিক সময় সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত । এর মধ্যেই খেতে হবে । তবে আপনার তবে প্রতিদিন এক সময় খেতে হবে । আবার অনেকেই আছে নির্দিষ্ট একটি সময়ে ছাড়া বিভিন্ন সময়ে খাবার খেয়ে থাকে তাদের জন্য মোটা হওয়া কোনভাবেই সম্ভব না । আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে সবগুলো নিয়ম অনুসারে চলা খুব জরুরী । চিনি মানুষকে অনেক মোটা করে দেয় । তবে অতিরিক্ত চিনি খেলে আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা দিতে পারে । ডায়াবেটিস হলে আপনি মোটা হতে পারবেন না । ডায়াবেটিস শরীরের অনেক ক্ষতি করে দেয় ।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া কমানোর চমৎকার সব উপায়
শাক সবজির মিষ্টিকুমড়া কাঁচা কলা পেঁপে সবকিছু পরিমাণমতো নিয়ে খেতে পারেন । এরপর আছে গরুর মাংস গরুর মাংস তে রয়েছে প্রচুর চর্বি । এই খাবারগুলো যদি খেতে পারি তাহলে দ্রুত মোটা হতে পারব। গরুর মাংস খেতে পারেন মোটা হওয়ার জন্য তাহলে তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন । ফাস্ট ফুড খাবার তেলে ভাজা খাবার ঘি মাখন দুধ । ইত্যাদি ইত্যাদি ।
মোটা হওয়ার জন্য সকালের খাবার
১ কিসমিস ও বাদাম
মোটা হওয়ার জন্য কিসমিস ও কাঠ বাদাম পরিমাণমতো নিয়ে সারা রাতের জন্য ভিজিয়ে রাখুন । ঘুমানোর আগ মুহূর্তে । সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন । সাতটা অথবা 8 টার ভিতরে খেয়ে নিন । সঙ্গে ভেজানো পানি খেতে পারবেন । এক থেকে দুই মাস খেলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের ওজন আগের চেয়ে কত পরিবর্তন আসছে । আপনার শরীর আগের থেকে অনেক সুন্দর হবে । এবং শক্তিশালী হবে ।
২. ডিম
ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালোরি ।ডিমের কুসুমে রয়েছে অনেক ফ্যাট । মোটা হওয়ার জন্য অনেক জরুরি । সকালের দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে পারেন । ডিম সিদ্ধ থেকে ভাজি করে খাওয়া অনেক কার্যকারী । তবে চেষ্টা করবেন ভাজি করে খাওয়ার জন্য ।
৩. পরোটা
পরোটা ভরপুর তেলযুক্ত তৈরি হয় । আপনি যদি মোটা হতে চান। তাহলে পরোটা খেতে পারেন । কিন্তু এসব তেলেভাজা জিনিস খেলে আপনার গ্যাসের প্রবলেম হতে পারে । তবে বেশি বেশি করে পানি পান করুন । আরেকটি কথা আপনি যদি বাইরে থেকে না খেয়ে বরঞ্চ ঘরে বসে বানিয়ে খান তাহলে অনেক ভালো হবে ।
৪. সবজি
আপনি চাইলে পরোটার সঙ্গে যে কোন সবজি নিয়ে খেতে পারেন । যেমন কলিজা ভুনা আলু গাজর সিম ডাল ইত্যাদি এসব ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ।
৫. নেহারি কলিজা ও গিলা
আপনি মোটা হতে পারেন । তবে আপনি পরোটা বা রুটির সঙ্গে সবজি না খেয়ে । আপনি কলিজা গিলা ও নেহারি খেতে পারেন । গিলা কলি নেহারী রয়েছে প্রচুর ফ্যাট ।
৬.ফলমূল
সকালের নাশতাতে রাখবেন ফলমূল ।ফলমূলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন । ফলের মধ্যে থাকবে কলা,আপেল,আঙ্গুর,কমলা,মিষ্টি জাতীয় জিনিস ইত্যাদি ।
সকালের খাবার এর সময় সাতটা আটটার দিকে খেতে হবে । এর পর 11-12 সময় হালকা কিছু খাবার খেতে হবে । আপনার জন্য খুব কার্যকরী । কি কি খাবার খেতে হবে । যেমন; সিঙ্গারা,সমুচা, ডাল পুরি
১. ডালপুরি
ডালপুরি খুব তেলে ভাজা খাবার । এবং খুব সুস্বাদু একটি লোভনীয় খাবার । ডালপুরি স্বাস্থ্যও মোটা হতে সাহায্য করে ।
২. সমুচা
সমুচা বা যে কোন তেলে ভাজা খাবার আপনারা বাহির থেকে না খেয়ে বরং ঘরে বসে তৈরি করে খেতে পারেন । সেটা হবে স্বাস্থ্যমান খাবার ।
৩. সিঙ্গারা
আমরা সাধারণত বাহিরের যেকোনো তেলে ভাজা জিনিস খেয়ে থাকি। হোটেলে বা যে কোন রেস্টুরেন্টে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি । এসব খাবার ঘরে তৈরি করে খেতে পারেন । স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো ।
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকায় এসব এর পরিবর্তে আপনি আরও অনেক কিছু খেতে পারবেন যেমন চা কফি বিস্কুট কেক করা ইত্যাদি ।
মোটা হওয়ার জন্য দুপুরের খাদ্য তালিকা
দুপুরের খাবার খেতে হবে পেট ভরে । কিছুক্ষণ 1 থেকে 2 ঘন্টা ঘুমাতে পারেন । এতে করে আপনার স্বাস্থ্য মোটা হতে পারে । বেশি বেশি ঘুমাতে পারলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন । দুপুরে খাবার পর ঘুমানো একটি কারণ হচ্ছে । আপনি খাবার দেহে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি গুন বাড়াতে সাহায্য ।
১.ভাত
ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পরিমাণে ফ্যাট । আমরা যদি অতিরিক্ত ভাত খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরে শুধু চর্বি জমে যাবে । বা ভুঁড়ি জমে যাবে । আমরা অনেক ভাত মানুষ মোটা হয় । কিন্তু এটা আসলে ভুল ধারণা । আমাদের সব সময় মত খেতে তাহলে মত মত তাহলে আপনি । কিন্তু সব আবার পরিমাণ মত খেতে হবে ।
২ আলু ও পরোটা
আমরা অনেককেই ভাত খেতে পারি না । এর জন্য আপনি ভাতের পরিবর্তে আলুর পরোটা খেতে পারবেন ।এর সঙ্গে খিচুড়ি বিরানি এবং রুটি খাওয়া যাবে ।
৩. কফি- চা
দুপুরে খাওয়ার পর আপনি ইচ্ছা মতে চা খেতে পারেন । বা কফি খেতে পারেন । কিন্তু আপনি যদি সময় মত খেতে পারেন ।তাহলে অল্প দিনে আপনি মোটা হতে পারবেন ।
৪ শাক-সবজি
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা দুপুরে খাবার এর সঙ্গে শাক, সবজি ,ভর্তা, ভাজি ,ও সবুজ, তরকারি সবকিছু বেশি বেশি খেতে হবে । শাক সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন । বিভিন্ন ধরনের খাবার একসঙ্গে অনেকগুলো খেতে পারবেন ।
৫. মাংস
আপনার শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন মাংস খেতে হবে। মুরগির মাংস খাসির মাংস গরুর মাংস ইত্যাদি । মাংস তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমাত্রার প্রোটিন । ক্যালরি ফ্যাট ওজন বাড়াতে সাহায্য করে । তবে আমরা সব সময় শেষ করব চর্বি চর্বিজাতীয় মাংস খাওয়ার জন্য । চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর । তবে মোটা হওয়ার জন্য আপনি এসব খাবার খেতে পারবেন ।
৬. মাছ
মাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন । মাছ শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে । বড় মাছ 2 পিস খাবেন । বড় মাছ যেমন পাঙ্গাশ তেলাপিয়া মাগুর বোয়াল ইলিশ রুই কাতলা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট । এবং ক্যালরি আছে । আবার মাঝে মাঝে শুটকি মাছ খেতে পারেন । শুটকি মাছে অনেক পুষ্টি । শুঁটকিতে রয়েছে প্রোটিন ।
এইসবের পাশাপাশি আপনি দুপুরের খাবার খিচুড়ি বিরানি ইত্যাদি খেতে পারেন । রাতের বেলা এই খাবারগুলো খেতে পারবেন । তবে আপনি যদি প্রতিনিয়ত সময় মত রেগুলার খাবার ঠিকমতো খেতে পারেন তাহলে অল্প কিছু দিনে আপনার শরীর হবে মোটা ও স্বাস্থ্যবান ।
বিকেলে যেসব খাবার খেলে মোটা হওয়া যায়
বিকেলের নাস্তা হালকা কিছু খেয়ে নিবেন । আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে বিকেলের নাস্তা অবশ্যই খেতে হবে । বিকেলে অথবা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে কিছু খেয়ে নিন । বিকেলের নাস্তা দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে । তবে চলুন কি কি খেলে আপনি অতি তারাতারি মোটা হবেন সেগুলো দেখে নিন । যেমন; ফলমূল, মোগলাই পরোটা, মিষ্টি, বিস্কিট ও কেক, চিকেন ফ্রাই
১.চিকেন ফ্রাই
চিকেন ফ্রাই অথবা গরুর মাংসের কাবাব বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট । বিকেলে বা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আপনি চিকেন ফ্রাই খেয়ে নিবেন । মোটা হওয়ার জন্য চিকেন ফ্রাই সবথেকে বেস্ট একটি খাবার । তাই বিকেলের নাস্তা আপনি চিকেন ফ্রাই খেতে পারেন ।
২ বিস্কুট ও কেক
বিকেলের নাস্তার আপনি চাইলে দুধ চা ও কফি দিয়ে আপনি বিস্কুট খেতে পারেন । বিকেলের নাস্তা আপনি খেতে পারবেন । কেক ও বিস্কুট আপনি পরিমাণমতো খেয়ে নিন ।
৩. ফলমূল
বিকেলের নাস্তা আপনি ফলমূল খেতে পারেন । ফলমূল শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে । আপনি যেকোন ধরনের ফল খেতে পারবেন । যেমন; কলা , কমলা, জাম, পেয়ারা, খেজুর, পাকা পেঁপে, কাঁঠাল, আম, কামরাঙ্গা, কালোজাম, বেদেনা, ইত্যাদি। এইসব ফল আপনার শরীর স্বাস্থ্য বা মোটা হতে সাহায্য করবে । তাই নিয়ম অনুযায়ী আপনি এই ফলমূল খেতে পারেন ।
৪. মিষ্টি
যে কোন দেশে অনেক ধরনের বা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় । তাই আপনি বিকেলের নাস্তার সাথে মিষ্টি খেতে পারেন । মিষ্টি যেমন; রসগোল্লা ,রসমালাই, স্পঞ্জ মিষ্টি , জিলাপি, ছানার মিষ্টি, গোলাপজাম, সন্দেশ, ছানা জিলাপি, মিষ্টি দই, ইত্যাদি । মিষ্টি আপনি যদি পারেন তাহলে আপনি অতি তারাতারি মোটা হতে পারবেন । আরেকটি কথা আপনার সব সময় খাবারের সাথে থাকতে হবে তাহলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে ।
৫. মোগলাই পরোটা
বিকেলের নাস্তার জন্য আপনি মোগলাই পরোটা খেতে পারেন । বিকালের নাস্তার জন্য সুস্বাদু একটি খাবার । তবে আমরা যদি বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হবে ।
বিকেলের নাস্তার জন্য অনেক কিছুই খাওয়া যায় । সিঙ্গার, পুরি, সমুচা, কমলা ,আপেল,, কলা,বিস্কুট, কেক,, ফল, মোগলাই পরোটা, রুটি, ইত্যাদি ইত্যাদি।
মোটা হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকা, মোটা হওয়ার সহজ উপায়
মোটা হওয়ার জন্য রাতের খাবার খুব কার্যকারী । কারণ সারাদিনের খাবার আপনার পরিশ্রম করার পর খাবার শরীরে ভালোভাবে কাজ করে না । পরিশ্রম পরিশ্রম করলে আপনার খাবারগুলো অতি তাড়াতাড়ি খরচ হয়ে যায় বা শেষ হয়ে যায় । রাতে খাওয়ার পর আমরা অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি । এই জন্য আমাদের শরীরের কোন নড়াচড়া না হওয়ার কারণে রাতের খাবার গুলো অতি তারাতারি মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ।
প্রয়োজনীয় ক্যালরি এবং প্রোটিন রাতে অতিরিক্ত শরীরের জমে থাকে । সকালে ও দুপুর এবং বিকেলে খাওয়ার পর আমরা সবাই সারাদিনের কাজগুলো করে থাকে এর ফলে আমাদের স্ক্রিল এ মোটা হওয়ার জন্য যে খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি সেগুলো শরিলে কাজ করে কম । তবে আপনি যদি দুপুরে খাওয়ার পর এক থেকে দুই ঘন্টা ঘুমাতে পারেন তাহলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । রাতের খাবার খেতে হয় সাতটা অথবা 8 টায় । আটটায় এর আগ মুহূর্তে হালকা পাতলা কিছু খেয়ে তারপর ঘুমাতে যান ।
রাতের খাবার মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
১.ভাত
আমরা সাধারণত রাতে ভাত খেয়ে থাকি । তবে অল্প পরিমাণে ভাত নিয়ে আপনি যদি অতিরিক্ত বা বেশী পরিমানে সবজি তরকারি খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের জন্য অনেকটা উপকারে আসবে । আমরা বাঙালিরা সব সময়ের জন্য খাবারের তালিকায় ভাতের পরিমাণ বেশি রেখে দেই । বেশি খেয়ে থাকি । তবে এই বেশি ভাত খাওয়ার কারন ভাতে প্রচুর ফাইবার । ফাইবার পেট ভরানো বা চর্বি কমানোর জন্য কাজ করে । অতএব শরীরের অন্য কোন কাজে লাগে না । তবে আমরা সবসময় চেষ্টা করব ভাতের থেকে সবজি বেশি খাওয়ার জন্য ।
২.মাংস
রাতে খাবারের জন্য আপনি সাধারণত মুরগির মাংস খেতে পারেন না । এক পিস মাংস করা করে ভেজে তারপর আপনি করা করে ভেজে তারপর আপনি কয়েকটি সালাত দিয়ে খেতে পারেন । মুরগির মাংসের হাড় গুলো বেশি বেশি খেতে হবে । তবে মুরগি বুকের মাংস প্রচুর ফাইবার থাকে । তাই আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর । তবে আপনি সবসময়ের জন্য মুরগির হাড় গুলোই খাবেন । বুকের অংশ খাওয়া একেবারেই নিষেধ । মাংস যে যেভাবে খেতে ভালো লাগে ঠিক তৈরি করে ।
৩. রুটি
রাতের জন্য আপনি রুটি খেতে পারেন । তবে বেশি খাওয়া যাবেনা দুই থেকে চারটি রুটি খেতে পারেন । রুটির সঙ্গে গরু খাসি মুরগি এর মাংস বা বিভিন্ন ধরনের সবজি মিষ্টি দিয়ে ও ডাল ভুনা দিয়ে খেতে পারেন।
৪. মাছ
ওজন বাড়ানোর জন্য বা মোটা হওয়ার জন্য আপনি রাতের বেলায় ছোট মাছ খেতে পারেন । বড় ও ছোট দুটি খেতে পারবেন । কিন্তু ছোট মাছ খেলে বেশি ভালো হবে । মাছ খেলে আপনার শরীলে পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি প্রচুর ক্যালোরি পাওয়া যাবে ।
ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তে আপনি দুধ ও মধু খেতে পারেন । ওজন বাড়ানোর জন্য ও মোটা হওয়ার জন্য আপনি এই নিয়মগুলো অবলম্বন করতে পারেন । রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যইআপনার পুষ্টিকর কিছু খাবার খেতে হবে । ঘুমানোর তিন থেকে চার মিনিট আগে আপনি এক গ্লাস গরম দুধ এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন । এতে করে আপনার শরীর অতীত তাড়াতাড়ি মোটা হতে সাহায্য করবে ।
মোটা হওয়ার জন্য বা ওজন বাড়ানোর জন্য খাবারের পাশাপাশি আপনি সময় মত ঘুমাতে যাবেন । তবে এখানে একটি কথা আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমাতে পারেন এতে করে আপনার শরীর দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে । খাওয়ার পর পর আপনি সাধারণত তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন এর ফলে আপনি অনেকটাই মোটা হয়ে যাবেন অতি তাড়াতাড়ি । দুপুরে খাওয়ার পর আপি সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ুন । দুপুরে খাওয়ার পর আপনি যদি কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারেন তাহলে মোটা হতে পারবেন । সারাদিন আমরা এত এত খাবার খাই এই খাবারগুলো শরীরের বিশ্রামের দরকার । আর শরীরের বিশ্রাম হল ঘুম ।
এক পলকে মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
সকালের খাবার
বাদাম কিসমিস, ডিম, পরোটা, রুটি, সিঙ্গারা, গিলা কলিজা, ফলমূল,, সমুচা, সবজি, ডাল পুরি, ইত্যাদি ।
দুপুরের খাবার
ভাত, রুটি, আলু পরোটা, মাছ, মাংস, সবজি, বিরানি,, খিচুড়ি, ইত্যাদি।
বিকেলের খাবার
চা-কফি, বিস্কুট, ফলমূল, মোগলাই পরোটা, মিষ্টি, পুডিং, কেক, ব্রেড, চিকেন ফ্রাই, ইত্যাদি।
রাতের খাবার
ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, দুধ ও মধু, শশা, গাজর টমেটো, ইত্যাদি ।
শেষ কথা
মোটা হওয়ার জন্য আপনি অনেক নিয়ম পালন করতে পারেন । আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে ওপরে যা যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেগুলো নিয়মমতো মেনে চলুন । তাহলে অল্প দিনে মোটা হতে পারবেন । আমরা যদি একটু কষ্ট করে যদি উপরের নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা মোটা হতে পারব ।
আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ পাওয়া যায় । সেগুলো মূলত রুচি বাড়াতে সাহায্য করেনা । আপনি যদি বাহিরে কোন ঔষধ খেয়ে থাকেন । তবে বাইরের জিনিস না ব্যবহার ঘরে ঘর তৈরি যেকোনো যে কোন ধরনের খাবার খেতে পারবেন । মোটা হওয়ার জন্য আপনি অন্তত পক্ষে ঘরে তৈরি জিনিস খান ।
মোটা হওয়ার জন্য আপনি যদি নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন । তবে এর পাশাপাশি আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন ।