রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি জেনে নিন

রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি জেনে নিন

আমাদের মধ্যে  অনেকের এরকম একটি বদঅভ্যাস হয়েছে সেটা হচ্ছে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে ।

 এই রকম সমস্যা হলে রমজান মাসে আমরা কি করব তার করণীয় কি এসব বিষয়ে আজকের এই আলোচনায়।  রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হয় বা হয়ে থাকে তার করণীয় কি কি জেনে নিন।  আমাদের আজকের এই আলোচনায় রয়েছে রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি।

 তাই চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি করতে হবে। আজকের সূচিপত্র

  • রোজা থাকা কালীন অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে তার করণীয় কি
  • রোজা রেখে যদি স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে তার করণীয় কি জেনে নিন
  • রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে  ফরজ গোসলের নিয়ম
  • রোজা রেখে ফরজ গোসলের সঠিক  নিয়ম কি তা জেনে নিন
  • রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে তার করণীয় কি জেনে নিন
  • রোজা রেখে যদি স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে তার করণীয় কি জেনে নিন

পুরুষ ও নারী মধ্যে অনেকেরই স্বপ্নদোষ হতে পারে।  এই নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা  না করে বরঞ্চ তার নিয়ম জেনে নিন । রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে তার করণীয় জেনে নিন।   স্বপ্নদোষ  অন্য সময় হলে ফরজ গোসল করে নিলে কোন সমস্যা হয় না।  কিন্তু রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে তার করণীয় কি জেনে নিন ।  আমরা অনেকেই হয়তো এই বিষয়ে কিছুই জানিনা আজকে তাদের জন্য এই আলোচনা। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভেবে থাকেন স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে যায় ,  কিন্তু এটা সত্য কথা নয়। আমরা বাঙালি তাই আমাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন সবসময় থেকে যায় যেটা হচ্ছে রমজান মাসে রোজা থাকা অবস্থায় অনেকেরই  স্বপ্নদোষ হতে পারে এ নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা করে রোজা ভেঙ্গে গেছে বলে অনেকেই ভেবে নেয় ,  এবং তারা রোজা ভেঙ্গে খাবার খেয়ে থাকেন,  আমরা অনেকেই হয়তো এসব বিষয়ে কোন কিছুই জানিনা তাই তাদের জন্য স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো কারণ নেই ,  বরঞ্চ আপনি যদি রোজা ভেঙে গিয়েছে বলে মনে করে খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি মারাত্মক ভুল করবেন।  রোজা  থাকা  অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে আপনি যদি ভুল করে রোজা ভেঙে ফেলেন তাহলে তা আবার পরবর্তীতে রোজা  রাখবা করে নিতে হবে।

রোজা থাকা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে তাহলে এ নিয়ে হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যদি ভেজা দেখতে পাও তাহলে নারী ও পুরুষ উভয়েই ফরজ গোসল করে নাও।

হাদিসে বর্ণনা করা রয়েছে, যেমনঃ  তিনটি কারণে কখনও রোজা ভাঙ্গে না সেগুলো হলোঃ

রোজা থাকা অবস্থায় অল্প বা বেশি বমি করলে 

আপনার শরীরের রোগের জন্য শরীরের টিকা দেওয়া

 নারী ও পুরুষের দিনের বেলা স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না, বরঞ্চ আপনি ফরজ গোসলের মাধ্যমে পাক পবিত্র হতে পারেন । 

 রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে  ফরজ গোসলের নিয়ম । রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে ফরজ গোসলের নিয়ম জেনে নিন।

 আমাদের ফরজ গোসলের নিয়ম হলো মোট তিনটি ।  ফরজ গোসলের নিয়ম তিনটির মধ্যে যদি যেকোনো একটি ভুলে যায় তাহলে ফরজ গোসল আদায় করা হবে না।  তাই ফরজ গোসলের নিয়ম তিনটি খুব সতর্কভাবে  আদায় করতে হবে,  ফরজ গোসলের নিয়ম তিনটি সঠিকভাবে আদায় করে নিন।

১.  গরগরা সাথে কুলি করা,  কিন্তু রোজা রেখে গরগরা কুলি করা যাবেনা,  এর ফলে গলার ভেতরে পানি ঢুকে যেতে পারে খুব সাবধানে গরগরা কুলি করতে হবে।

২. এরপর নাকে পানি দেওয়া নাকে পানি দিয়ে নরম অংশ আংগুল দিয়ে ভিজিয়ে নেওয়া,  রোজা খুব সাবধানে স্বাভাবিকভাবে নাকে পানি দিতে হবে,  রোজা রেখে নাকে পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে না কে নরম অংশে পানি যেন না যেতে পারে,  নাকি নরম অংশকে পানি যদি ঢুকে যায় তাহলে পানি  গলা দিয়ে ঢুকে যাবে ,  রোজা রেখে এই কাজটিও খুব সাবধানে করতে হবে।

৩. এরপর পুরো শরীরে পানি ঢালা এবং ভালো করে সর্ব শরীর ভিজিয়ে গোসল করা, মাথার চুল সর্ব শরীরের পশম ও নাভির ভেতর আঙুল দিয়ে ভেজানো পুরো শরীরে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।  নারীদের লজ্জাস্থানের সুন্দরভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

রোজা রেখে ফরজ গোসলের সঠিক  নিয়ম কি তা জেনে নিন।রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্ন দোষ হলে করণীয় কি জেনে নিন।

রোজা অবস্থায় ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ

১. ফরজ  গোসল করার জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। ( নিয়ত করার সময় মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করা যাবে না) 

২. দুই হাতের কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।

৩. তারপর ডান হাতে পানি দিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান ও তার আশেপাশে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবং শরীরের অন্য কোন জায়গায় যদি নাপাক লেগে থাকে তাহলে সেগুলো ধুয়ে নিতে হবে।

৪. এরপর বাম হাত ভালো করে নাপাক ধুয়ে নিতে হবে ।

৫.এবার সঠিকভাবে ওযু করে নিন, ওযু করার শেষ হলে  দুই পা   ধৌত  করা যাবেনা।

৬.ওযুর শেষ হওয়ার পর মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।

৭. এবার সর্বশরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ডানে তিনবার তারপরে বামে তিনবার পানি ঢেলে ভালোভাবে শরীর দিতে হবে, গোসল করার সময় শরীরের  অংশ বা একটি   লোম  শুকনা থাকে। লজ্জাস্থান নাবি সমস্ত জায়গায় ভালোভাবে পানি দিয়ে দিতে হবে।

৮. গোসল শেষ হওয়ার পর একটু দূরে সরে গিয়ে দুবার তিনবার ভালো করে ওযু মত করে দিতে হবে।

মনে রাখবেনঃ পুরুষদের ক্ষেত্রে দাড়ি ও মাথার চুল সেই সাথে মহিলাদের ক্ষেত্রে মাথার চুল ভালোভাবে পিছাতে হবে।  এক্ষেত্রে এই নিয়মে গোসল করলে কি ওযু না ভাঙ্গে তাহলে আর নতুন করে ওযু করার প্রয়োজন হবে না। 

শেষ কথাঃ রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়

আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম রোজা থাকা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে আমাদের করণীয় কি।  অর্থাৎ রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ এর ব্যাপারে সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি এই পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। 

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads