সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম
আজকের আলোচনাতে রয়েছে সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম । আজ আপনাদের জানাবো সিজারের কত দিন পর সহবাস করা যাবে। বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর পরবর্তীতে সহবাস করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ছয় সপ্তাহ পর তিন মাস পর সহবাস করতে হবে। সিজারের পর সহবাস করা মেয়েদের আখাঙ্কা কম থাকে। প্রসবজনিত কাটাছেঁড়া ক্ষত থেকে সেরে ওঠা কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই এই কয়দিন আপনাকে অবশ্যই সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ সময়ে নবজাতক বাচ্চার আপনাকে দরকার হয়। হরমোন লেভেলের পরিবর্তন।নবজাতককে স্তন পান করানোর কারণে স্তনে কালশিটে দাগ পড়া। আবেগ সংক্রান্ত ব্যাপার, যেমন প্রসব পরবর্তী বেদনা, মাতৃত্বের কারণে তৈরি হওয়া উদ্বেগ অথবা পারিবারিক ঝামেলা ইত্যাদি। কাটাছেঁড়া ও ক্ষত সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেলে এবং আপনার গোপনাঙ্গের স্পর্শকাতর টিস্যুগুলি সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে গেলে সহবাস করাটা নিরাপদ। ঠিক হতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।
আরো পড়ুনঃ
তার সাথে সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো, আবেগের দিক থেকে প্রস্তুত থাকা, শারীরিকভাবে(Physically) আরামদায়ক এবং রিল্যাক্সড থাকা। আপনার এবং আপনার স্বামী উভয়ের জন্যই এ সময়ে ধৈর্য্য ধরা উচিৎ। দেখা যায় প্রথম সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে আগের মত সম্পূর্ণ আনন্দময় সহবাস মত অবস্থায় ফিরে আসতে একটু বেশি সময় দরকার হয়। এই সময়কাল গর্ভকালীন অবস্থা ও প্রসব পরবর্তী সময় সব মিলিয়ে এক বছরের মত হতে পারে।
সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম
মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার পরে শুরু হয় যৌন মিলন গর্ভ অবস্থা আগের মতই সমান গুরুত্বপূর্ন কিন্তু প্রায় মহিলাদের শরীরের প্রসবের পর নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে ।যেমন যৌনাঙ্গ শুষ্ক হয়ে যায় । রক্তপাত হয়ে থাকে, অনেক বেশি চাপ পড়ে যায় তাই আপনাকে খবর শুনেছি জন্মের পর সহবাস করার নিয়ম করে চান করবো।
তাছাড়া শারীরিক সমস্যার মধ্যে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেটা আছে শিশুর যত্নের ব্যস্ততা হয়ে পড়ার কারণে অনেক দাম্পত্যে সঙ্গীর সাথে পুরনো এক ঘনিষ্ঠ হওয়ার সঠিক সময় ঠিক সময় ঠিক করতে পারেন না। তবে আপনার যদি সবেমাত্র সন্তান হয় তাহলে প্রসবের পরে যৌনতা সম্পর্কে আপনার কয়েকটি বিষয় জানা দরকার।
আপনার যদি সবেমাত্র সন্তান প্রসব হয় তবে আপনাকে এই সময় জানতে হবে যৌন মিলনের সম্পর্কে কিছু দরকারি কথা বা কাজ।
প্রথম পর্বঃ সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম
সন্তান জন্ম হওয়ার পর কতদিন পরে আপনি সহবাস করতে পারেন তার কোন নির্ধারিত শর্ত নেই। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নরমাল বা সিজারিয়ান সবক্ষেত্রে প্রায় চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, তারা এই দুটি সময় বলে দেয়।
একজন মহিলার সন্তান জন্মের পর জোনি রক্তক্ষরণ পেরিনিয়াল টিয়ার বা এপিসি ও টমিস সমস্যা ভুগে থাকেন। তাই আপনি চেষ্টা করবেন শরীরে এত পেশার না দিয়ে মনকে বুঝিয়ে সুজিয়ে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সহবাস না কড়াই উত্তম। সন্তান জন্ম হওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে অন্ততপক্ষে এক মাস সময় লাগবে সুস্থ হতে । আপনি যদি এর জন্য মাত্র 40 দিন কষ্ট করে থাকতে পারেন তাহলে আপনার দ্বিতীয় বার আর কোন অসুস্থ বোধ হবে না। তবে আপনি যদি সন্তান জন্ম হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সহবাস করতে চান তাহলে আপনার বড় বিপদ হতে পারে। একটু ভুলের কারণে আপনার জরায়ুতে সংক্রমণ বা রক্তক্ষরণ হতে পারে।
গবেষণা অনুসারে প্রায় 83 শতাংশ মহিলারা প্রসবের পরে প্রথম তিন মাস যৌন সমস্যার মুখোমুখি হন। গর্ভ অবস্থার পরে ইনফেকশনের মাত্রা হ্রাস পায়। স্তন্যপান করানোর কারণে যোনি শুকনো, ব্যথা, রক্তপাত, যৌন শক্তি হ্রাস, যোনি স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস, ক্ষত এবং আরও অনেক সাধারণ সমস্যার মুখোমুখি হয় তারা।
আপনাকে মনে রাখতে হবে সন্তানের জন্মের পর সহবাস শুরু করতে হবে আপনার তুলনায় গর্ব নির্ধারণ ব্যবহার করা উচিত কারণ প্রথম প্রসবের পর আবার গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
সিজার হওয়ার পরে যৌনতাঃ সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম
সাধারণত সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায় সবচেয়ে ভালো কিন্তু অনেকের সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হয়। তাদের অবশ্যই যৌন জীবনে ফিরে যাওয়া খুব কঠিন। নর্মাল প্রসবের পর শরীরের সমস্ত অঙ্গ 4 থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু সিজারের ক্ষেত্রে আলাদা একটি বিষয়। সিজারের ক্ষেত্রে বড় অপারেশনের কারণে একজন মহিলা অস্ত্রোপচারের ব্যথা এবং অন্যান্য অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে আরো বেশি পরিমানে সময় লাগে।
নরমাল ডেলিভারি - সিজারিয়ান ডেলিভারি দুটো আলাদা বিষয়। আপনার যদি নরমাল ডেলিভারি হয় তাহলে আপনি তো বেঁচেই গেলেন । আর যদি সিজারিয়ান ডেলিভারি হয় তাহলে কষ্টের শেষ নেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কিছুদিন পর পর শুরু হতেই থাকবে।
তাই আপনাকে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেগুলো কাজ করা যাবে সেগুলো করবেন । আর যেসব কাজ করা যাবে না সেগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনার যৌন জীবনকে প্রবাবিত করতে পারে। বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর কিভাবে যৌনতা প্রবাবিত হতে পারে ।
কয়েকটি বিষয় সমূহ আলোচনা করোঃ
- আলগা যোনি
- বেশি দুর্বল হওয়ার কারণে যৌনমিলনের সময় প্রভাব সৃষ্টি হওয়া
- যোনি ছিন্ন হওয়ার কারণে অস্বস্তি বোধ হওয়া
- প্রসবের সময় স্নায়ুর আঘাতের কারণে যোনি এলাকায় সংবেদন বা অনুভব কম হয়
- যৌনতায় হতাশা
- রুক্ষ জরায়ুর কারণে হালকা রক্তপাত হওয়া
- সন্তানকে দুধ পান করার কারণে যৌন ইচ্ছার হার বৃদ্ধি পায়।
প্রসবের পর যৌন মিলনের স্বাস্থ্যকরঃ
দীর্ঘ এতদিন যাবৎ সহবাস না করার কারণে। আপনি এত উত্তেজনা না হয় আপনি সবথেকে ভালো একটি কাজ করতে পারেন সেটা হচ্ছে আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে কাজ শুরু করুন এবং ধৈর্য সহকারে। আপনি যদি আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে কাজ করেন তাহলে কোন সমস্যাই হবে না।
আপনার শরীরের যত্ন নিনঃ সিজারের পর সহবাস করার নিয়ম
সন্তান জন্ম হওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে খুবই কষ্টকর একটি কাজ। এটা মেনে নিতে হবে মহিলাদের জন্য এই কষ্টকর কাজটি করতে হবে মহান আল্লাহতালা হুকুম মেনে আপনাকে কষ্টকে জয় করতে হবে।
বিগত 9 মাস যাবত একটি মায়ের গর্ভে পালিত হয় একটি সন্তান। একজন মানুষ তার গর্ভে আরো একজন মানুষ এটা একটা কষ্টকর বিষয়। তবে আমরা কিছু কাজ বা কিছু নিয়ম হলে চাই সেটা হচ্ছে জন্ম হওয়ার পর আমরা ভাবি হয়তো আর কষ্ট করতে হবে না এখানে শেষ।
এটা আসলে ভাগ্যে জোটে না একজন মহিলার অনেকগুলো দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাকে তার ফেমিলি সহকারে সন্তান লালন-পালন খাওয়া-দাওয়া বরমপুর ইত্যাদি সবকিছু একজন মহিলাকে করতে হবে। এই সময় আপনার বিশ্রামের খুবই দরকার।
কেগেল এক্সারসাইজ : এই এক্সারসাইজটি প্রসব সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিরাময় করতে পরিচিত। এটি পেলভিক পেশী শক্তিশালী করতে, যোনি শক্ত এবং সংবেদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
লুব্রিক্যান্ট : ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম হওয়ার কারণে প্রসবের পরে মহিলাদের যোনি শুষ্ক হয়ে যাওযা সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। তাই, প্রায়ই সহবাসের সময় ব্যথা হয়। সুতরাং, লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন কারণ, এটি আপনার জন্য আরামদায়ক হবে এবং যৌন ক্রিয়াকলাপের সময় কোনও ব্যথার অনুভূতি হবে না।
আজকের আলোচনায় এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আবার নিয়ে আসবো নতুন কোন পোস্ট সে বোঝেনা সবাই ভালো থাকুন।