ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ । ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে। বাংলাদেশ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ অতিরিক্ত। তাই আজকে আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন। বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত দুই বছরে অন্তত 8 জন মারা গিয়েছেন। যাদের সঙ্গে চিকিৎসকরাও রয়েছেন।
সাধারণভাবেই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মানুষের মাঝে প্রভাব তৈরি হয়ে থাকে। শরীরের কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তার করণীয় কি জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ
সূচিপত্রঃ
- ১ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি?
- ২. ডেঙ্গু হলে করণীয় কি?
- ৩ ডেঙ্গুজ্বরে কি বিশ্রামে থাকতে হবে?
- ৪ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন?
- ৫ ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব ঔষধ খাওয়া ঠিক না?
- ৬ প্লাটিলেট বা রক্তকণিকা নিয়ে চিন্তিত?
- ৭ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে?
- ৮ ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
- 9 এসিড মশা একই সমস্যা কখন কামড়ায় জেনে নিন
- ১০ পানি জমিয়ে না রাখা
১. ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি?
প্রথমে জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি। আপনার যদি ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে তাহলে বোঝার উপায় মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরানো, শরীর ঘেমে যাওয়া, শরীরের চামড়া লালচে দাগ হওয়া, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া, 101 ডিগ্রী বা 102ডিগ্রী হওয়া ইত্যাদি । ডেঙ্গুর সাধারণত জ্বর। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর ঘামছে থাকবে তারপর কি হবে।
ডেঙ্গু প্রকোপ: মশা নিধনে অ্যাম্বাসেডরদের কাজ কী?
- ঢাকার একটি হাসপাতালে চিহ্নিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি
- ঢাকায় কোন হাসপাতালে জায়গা নেই কারণ ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর পরিমাণে বেশি
২. ডেঙ্গু হলে করণীয় কি ?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বললেন এখন যেহেতু দীর্ঘসময় সেজন্য জ্বর হলে কখনো অবহেলা করা ঠিক না। তিনি আরো বলেছেন সাধারণ জ্বর হলেই যেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করে। যার ফলে আপনার শরীরের সাধারণ জ্বর না ডেঙ্গুজ্বর তার একটি প্রমাণ পেয়ে যাবেন এজন্য আপনাকে অবশ্যই জ্বর হলেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।
এবিএম আব্দুল্লাহ আরো বলেছেন যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীরা বেঁচে ফিরে আসতে পারে না। ডেঙ্গু জ্বর হলে কখনো অবহেলা করা ঠিক না। জ্বরের সঙ্গে যদি সর্দি-কাশি প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোন বিষয় জড়িত হয়ে থাকে তাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্য কিছু হতে পারে। সেক্ষেত্রেও আপনাকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
৩. ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা?
সরকারের কমিনিউটি সেন্টার কন্ট্রোল বা সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্যতম পরিচালনা ডক্টর সানিয়া তাহমিনা বলেন জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। তিনি আরো বলেছেন জ্বর হলে দৌড়াদৌড়ি না করে বরঞ্চ ঘরে বসেই আপনি শরীরের যত্ন নিতে পারেন এবং বিশ্রামের খুবই প্রয়োজন। একজন মানুষ সাধারণত প্রতিদিন যে সকল কাজে পরিশ্রম করে থাকেন সেই কাজগুলো করা উচিত নয় তাকে অবশ্যই বিশ্রামে থাকতে হবে।
৪. ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন?
ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনাকে যে খাবারগুলো খেতে হবে সেগুলো জেনে নিন। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি লেবুর রস ফলের জুস খাবার স্যালাইন এবং পরিমাণমতো পানি খেতে হবে। অতএব ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনাকে অবশ্যই তরল জাতীয় যেকোনো খাবার হওয়া দরকার।
৫. ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব ঔষধ খাওয়া ঠিক না?
অধ্যাপক ডক্টর তাহমিনা বলেছেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত না। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স ব্যক্তিপ্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবেন।
চিকিৎসক বলেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম যদি কোন ব্যক্তি লিভার কিডনি এসব জটিলতা হয়ে থাকে তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই দরকার।
অতএব ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনাকে অবশ্যই ওষুধ খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনার শরীরে হার্টের সমস্যা লিভারের সমস্যা কিডনিতে সমস্যা রয়েছে কিনা যদি এসব সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তারপরে ডেঙ্গু জ্বরের ওষুধ খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যাথার জন্য এসপিরিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না।ডেঙ্গুর সময় এসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহন করলে রক্ত চলাচল হতে পারে।
৬. প্লাটিলেট বা রক্তকণিকা নিয়ে চিন্তিত?
অধ্যাপক ডক্টর তাহমিনা উল্লেখ করেছেন ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্লাটিলেট বা রক্তকণিকা এখন আর মূল অ্যাক্টরস 9।
ডক্টর তাহমিনা তিনি আরো বলেছেন ব্ল্যাক টেন্ডার নিয়ে উদ্দীপন হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই বিষয়টি চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। সাধারণত একজন মানুষের রক্তে প্ল্যাটিলেট কাউন্ট থাকে দেড়-লাখ থেকে সাড়ে চার-লাখ পর্যন্ত।
৭. ডেঙ্গু জ্বর হলে কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে?
- ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি বিভাগ রয়েছে
- একটি ভাগ হল এ, বি ,এবং সি।
- প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা নর্মাল জ্বর হয়ে থাকে
- নর্মাল ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই ।বি ডেঙ্গু রোগীদের স্বাভাবিক যেই যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় ।পেট ব্যথা বমি বমি ভাব শরীরের কিছু পরিবর্তন কিছু খেতে পারবেন না ।এইসব দেখা দিলে আপনাকে স্বাভাবিক ডেঙ্গুজ্বর হিসেবে তুলে ধরতে হবে।
- 1,2 দিন পর যদি ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার পরে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে।ৎ
- সী ক্যাটাগরি ডেঙ্গুজ্বর সব থেকে খারাপ ডেঙ্গু জ্বর। কিছু কিছু সময় বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিটি প্রয়োজন হতে পারে।
৮. ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকল্প থাকে জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এই কয়েক মাস এসিড মশার বিস্তার ঘটে থাকে।
কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরের সময় কাল দিন দিন আরও এগিয়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরের জুন মাস থেকে শুরু হয়।
৯. এসিড মশা কখন কামড়ায় জেনে নিন
সাধারণত এসিড মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য আসিফ মশার কোন কাজ নাই কারন এসিড মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। এসিড মশা কখনো অন্ধকারে কামরাতে চায় না।
১০. পানি জমিয়ে না রাখা । ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ডঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, এসিড মশা ভদ্র মশা হিসেবে পরিচিত। এসিড মশা সুন্দর সুন্দর ঘর বাড়িতে বাসা বেঁধে থাকেন। ডক্টর আব্দুল বলেছে এসিড মশা উল্লেখ উল্লেখ্য তিনি বলেছে।ে
আপনি যদি সাধারণত দুই থেকে তিনদিন পাঁচদিন পানি জমিয়ে রাখেন তাহলে এসিড মশা আক্রান্ত হতে পারেন। পারে না তাই পারেন উচিত পানি জমিয়ে না রাখা। সাধারণ এসিড মশা জমিয়ে রাখা ডিম পাড়ে।
বৃষ্টির পানি বা যেকোনো পানি আপনার বাড়ির ছাদে বা বারান্দা সিলেটে রাস্তাঘাটে করে কোন পাত্রে ইত্যাদি পানি জমিয়ে রাখা তে সেই পানিতে এসিড মশা বিস্তার ঘটে। তাই কোথাও বা এখানে-সেখানে পানি জমে থাকা দেখে সঙ্গে সঙ্গে পানি শুকিয়ে যাওয়ার একটি ব্যবস্থা করবেন যার ফলে আপনি এসিড মশা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।