কোন কোন পশু কোরবানি দেয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। সকল মুসলিমদের একথাগুলো জানা খুবই জরুরী কোরবানি এই মাসে যার কোরবানি করার নিয়ত রয়েছে এবং নিয়ত করেছেন তাদেরকে অবশ্যই এসব বিষয়ে জানা খুবই দরকার এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই আজকে আলোচনা করবো কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
এই আলোচনা করার একটি কারণ হচ্ছে সব ধরনের পশু কোরবানি করা যায় না এবং বৈধ নয়। এজন্য আপনাকে এসব বিষয়ে জানা খুবই দরকার শুধু শুধু কোরবানি দিয়ে কোন লাভ নেই। সকল তথ্য জেনে তারপর আপনি কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। অবশ্যই আপনাকে কোরবানির দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবে।
চলুন তাহলে দেখে নেই কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সূচিপত্রঃ
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নিন
- কোন কোন পশু কোরবানি দেয়া যায়
- কুরবানীর পশুর বয়সঃ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় জেনে নিন
- যেসব দোষ-ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না দোষঃ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়
- শেষ কথাঃ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়
কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় জেনে নিনঃ
জিলহজ মাসের কোরবানির ঈদ ঈদ উল আযহা এই মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস সামনে আমাদের কোরবানির ঈদ এখন থেকে চিন্তাভাবনা আমাদের রয়েছে যে কোন কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবে তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো কোরবানি দেওয়ার জন্য আপনি কোন কোন পশু কোরবানী দিতে পারবেন। জিলহজ মাস হজের মাস জিলহজ মাস হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্ট মাস।
আরো পড়ুনঃ
জিলহজ মাসে বিভিন্ন ধরনের আমল রয়েছে। জিলহজ্ব মাসের বিভিন্ন ধরনের আমলের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে পশু কুরবানী করা। তাই অবশ্যই আপনাদের সকলকে এসব বিষয় জানা খুবই দরকার কোন কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবে। আবার এদিকে আরেকটি কথা রয়েছে সেটা হচ্ছে যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারাই কোরবানি দিতে পারবে ।
এবং সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেওয়ার ফলে আপনার কুরবানী ওয়াজিব হবে। আবার যাদের সামর্থ্য নেই কিন্তু যদি কোরবানি দেন তারা কুরবানী করার মাধ্যমে অবশেষে সওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন মুস্তাহাব কতগুলো কোরবানি করা আর কোরবানি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম এবং সঠিক সিদ্ধান্ত জেনে তারপর কুরবানী করতে হবে। সকল মুসলিমদেরকে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কোরবানি দেওয়ার ব্যাপারে এসব তথ্য জানা খুবই জরুরী।
আপনি যদি এই নিয়মগুলো মেনে কুরবানি না দিতে পারেন এবং কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে সেটা না জানি আপনি শুধু শুধু যে টাইপ সামনে বলেন সেটাই করবো নিভিয়ে ফেলেন এতে পরে আপনার উপর ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে যার ফলে আপনার এই কুরবানীতে কোন কাজেই আসবে না আপনি যদি কোরবানি দিতে গিয়ে এমন কোনো ভুল করে ফেলেন যে ভুলের কারণে পড়বা নিষিদ্ধ হয় না তাহলে আপনার কুরবানী দেওয়ার কোন ফল আপনি পাবেন না কোরবানিতে নষ্ট হয়ে যাবে।
কুরবানীর উদ্দেশ্যে সাহিত্য হতে হবে। কোরবানি দেওয়ার পূর্বে অবশ্য কোরবানির নিয়ম বলি জেনে রাখা ভালো কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া আপনাদের সকলকে খুবই জরুরী।
তাই কুরবানী দেওয়ার নিয়ত করার আগে আপনাকে ভালো করে জেনে নিতে হবে কোন কোন পশু আপনি কোরবানি দিতে পারবেন এবং বিস্তারিত অনেক কিছুই জেনে রাখা ভালো।
চলুন তাহলে দেখে নেই কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে।
কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবেঃ
নির্ধারিত এইসকল গুন গুলো জেনে সকল প্রশ্ন মধ্যে পাওয়া যাবে কেবলমাত্র সেসকল পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ। তাই আপনাকে অবশ্যই এই ব্যাপারে সবকিছু জেনে রাখা খুবই দরকার। তবে এটা মনে রাখতে হবে সব ধরনের পশু কোরবানি দেওয়া যায় না। কোরবানি করার জন্যজান যদি। পশু কুরবানী দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু গুণাবলী জানা ভালো।
নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলো তে আজকে জানিয়ে দেবো কোন কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবেঃ
যে সকল প্রশ্নের মাংস খেয়ে থাকি। যে সকল পশু হালাল। যে সকল পশু হালাল সবগুলো দিয়ে কোরবানি দেওয়া বেদনা। যেসকল পশু হালাল সেসকল পশুর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন কোন ব্যক্তি যদি হরিণ দিয়ে কোরবানি করে তাহলে কিন্তু তার কুরবানী আদায় হবে না। যদিও হরিণ পাওয়া আমাদের জন্য বৈধ কিন্তু হরিণ দিয়ে কোরবানি বৈধ হতে পারে না। তাই হরিণ কুরবানী দেওয়া ঠিক না। কারণ হরিণ হচ্ছে বনের প্রাণী।
আরো পড়ুনঃ
বনের প্রাণী দিয়ে কখনো কুরবানী হতে পারে না এবং বৈধ না। তবে হরিণ যদি গৃহপালিত ভাবে পালন করা হয় এর পরও সেটি যেহেতু স্বভাবগতভাবে বনে তাই সে পশুদের কোরবানি করা যাবে না। উপলব্ধ যোগ্য বিষয় হচ্ছে কুরবানীর পশু অবশ্যই গৃহপালিত পশু হতে হবে তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে বনের পশু দিয়ে কোরবানি হতে পারে না।
আলেমগণ কোরআন হাদিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত করেছেন মোট ছয় প্রকার পশু কুরবানী করা জায়েয রয়েছে । এর বাইরে অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নাই।
যে যে প্রশ্নগুলো আপনি কোরবানি দিতে পারবেন সেগুলো জেনে নিন যেমন মহিষ ,দুম্বা ,ভেড়া ,ছাগল ,গরু, উট,
কোরবানির পশুর বয়স/ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়
ইতিমধ্যে আমরা যে আলোচনাগুলো করেছি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কুরবানীর জন্য কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে। কুরবানী দেওয়ার জন্য আপনি মহিষ দুম্বা ভেড়া ছাগল উট কুরবানী দিতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।এখন আলোচনা করব কেমন বয়সি পশু কুরবানী দিতে হবে। কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়।
এবং কুরবানীর পশুর বয়স কত হতে হবে তা জেনে নিন। আপনি যে পশু কুরবানী দিবেন সে পশু অবশ্যই আপনাকে কুরবানীর প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। কোন কোন পশু কোরবানি দিবেন সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এর সঙ্গে কেমন বয়স্ক পশু কুরবানী দেবেন সেগুলো আপনাকে নজর দিতে হবে তাই জেনে নিন কোন কোন বয়সে পশু কুরবানী দিতে পারবেন। তবে জেনে নিন পশুর বয়স সম্পর্কে।
যদি ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কুরবানী দিতে চান তাহলে ছাগল ভেড়া দুম্বা বয়স অবশ্যই এক বছরের উপরে হতে হবে। যদি ছাগল ভেড়া দুম্বা এক বছরের নিচে বয়স হয় সে ক্ষেত্রে এইসব পশু আপনি কুরবানী দিতে পারবেন না। এবং এক বছরের নিচে এই ছাগল ভেড়া দুম্বা কুরবানী দিবেন সেটা বৈধ না।
যদিও উট কুরবানী দিতে চান তাহলে কুরবানীর ওয়াজ এর বয়স অবশ্যই পাঁচ বছরের উপরে হতে হবে। কোরবানির উট যদি পাঁচ বছরের নিচে হয় সে ক্ষেত্রে এই উট কুরবানী দিতে পারবেন না। পাঁচ বছরের নিচে যে উট কুরবানী দিতে যাবেন সেই উট কুরবানী দিলে বৈধ হবে না।
যদি গরু মহিষ কোরবানি দিতে চান তাহলে অবশ্যই গরু কিংবা মহিষের বয়স দুই বছরের উপর হতে হবে। গরু মহিষ যদি দুই বছরের নিচে হয় সে ক্ষেত্রে এই প্রশ্নগুলো আপনি কুরবানী দিতে পারবেন না। গরু মহিষ 2 বছরের নিচে হলে সে ঐ পশু কুরবানী দেওয়া জায়েজ না।
পশু কোরবানি দেওয়ার সময় বয়সের ক্ষেত্রে আপনাকে আরও কিছু মনে রাখা দরকার সেগুলো হচ্ছে উপরে কুরবানীর পশুর বয়স উল্লেখ করা হলো বয়সের চেয়ে কম বয়সি কোনো পুরুষ যদি উল্লেখিত বয়সের পরিণত হয় এবং সবল হয় সে ক্ষেত্রে উল্লেখিত বয়সের চেয়েও কম বয়সে পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ।
যেসব দোষ ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না দোষঃ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়ঃ
কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এখন আলোচনা করবো যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না ।যেসব পশ্চিমা দেশ যুক্ত শেষে পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না। কোরবানির পশু যদি দোষ ত্রুটি থাকে তাহলে কুরবানী হবে না।
নিচে উল্লেখ করা হল কোরবানির পশুর দোষ ত্রুটি সম্পর্কেঃ
- শ্রবণ শক্তি না থাকলেঃ যদি কোন কোরবানির পশু ও বধির হয় তাহলে সে পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।
- দৃষ্টি শক্তি না থাকলেঃ যে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেরপুর যদি দৃষ্টি শক্তি না থাকে সে পশু কুরবানী দিতে পারবেন না।
- দুর্বল পশুঃ আপনার পশু যদি একদম দুর্বল হয় সে পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না।
- খোঁড়া পশুঃ পশু যদি খোঁড়া হয় তাহলে সে পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।
- পশুর লেজ এর বেশিরভাগ অংশ কাটা থাকাঃ কোন পশুর যদি বেশিরভাগ অংশ নয় কাটা থাকে তাহলে সেই পশু কোরবানি দেয়া যাবে না।
- কোন পশুর যদি শিং ভেঙ্গে যাওয়াঃ কুরবানীর কোন পশুর সিং ভেঙে যায় তাহলে সেই পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না।
- পাগল হওয়াঃ যদি কোন পশু পাগল হয়ে থাকে সে পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না এবং বৈধ না।
- দাঁত ভেঙে যাওয়াঃ কোন পশুর যদি দাঁত ভেঙে যায় তাহলে সেই পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না।
- রোগআক্রান্তঃ রোগের কারণে যদি কোন পশুর স্তনের দুধ শুকিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সেই পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না।
- স্তনের ত্রুটি থাকাঃছাগলের দুটি স্থানে কোন একটি বা দুটি কাটা থাকলে গরু-মহিষের চরপেশন এর যেকোনো দুটি ভাষা গুলো কাটা থাকলে সে পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া যাবে না।
কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায়ঃ
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে বা আলোচনা করা হয়েছে কোন কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবে সেসব সম্পর্কে। উপরে যে সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমি বলব কোরবানির জন্য আপনাদের এই নিয়মগুলো অবশ্যই কাজে লাগবে।
শুধুমাত্র হালাল পসু হলেই কোরবানির যোগ্য হয়ে যায় না। পশু কুরবানী করার জন্য অনেকগুলো প্রতিক্রিয়া মেইন টেনশন করতে হয়। যে সকল নিয়ম-নীতি কুরবানীর বৈধ হয় না সে সকল নিয়ম-নীতি ওপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি সকলেই আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন কোন কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবে এবং কোন কোন পশু কুরবানী দেওয়া যাবে না।
আজকের আলোচনা তোর হয়েছিল কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে এবং কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক পশু কোরবানি পশু কোরবানি দেওয়া জায়েজ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া বৈধ অবৈধ কম বয়সী পশু কোরবানি দেওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সকলের মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই পোস্ট পড়ে নিন তাহলে আপনার কোরবানি সম্পর্কে সকল তথ্য ভালো করে জানা হবে।