জিলহজ্ব মাসের 10 দিনের ফজিলত ও আমল ও রোজা
আজকে আলোচনা করব জিলহজ্ব মাসের 10 দিনের ফজিলত ও আমল এবং রোজা সম্পর্কে। বাংলাদেশ জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ জিলহজ মাসে শুরু হয়ে গিয়েছে তাই আজকে আলোচনা করব জিলহজ্ব মাসের রোজার ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা সকল মুসলিমরা একথা জানিয়ে জিলহজ মাসে অনেক ফজিলত রয়েছে। তাই আজকে আলোচনা করব জিলহজ্ব মাসের আমল ফজিলত সম্পর্কে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল রোজা সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ জিলহজ্ব মাসের আমল ও ফজিলত
- জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল/ জিলহজ মাস কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
- জিলহজ মাসের রোজা
- জিলহজ মাসের ফজিলত
- জিলহজ মাসে আমল
- শেষ কথাঃ জিলহজ্ব মাসের আমল ও ফজিলত
জিলহজ্ব মাসের আমল ও ফজিলত এবং জিলহজ মাস কেন এত গুরুত্বপূর্ণঃ
জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থাকুন। অনেকে আছেন যারা জিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ বুঝে না বোঝার চেষ্টাও করে না তাই আজকে তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা জেনে নিন জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল রোজা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জিলহজ্ব মাসের রোজার ফজিলত ও আমল
আরবি ক্যালেন্ডার এ বারটি মাসের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এরমধ্যে জিলহজ মাস সবথেকে বেশি অন্যতম একটি মাস। জিলহজ মাসে এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অনেকগুলো ঘটনা রয়েছে যা আল্লাহ তা'আলার অনেক পছন্দ হয়েছে। জিলহজ মাসে হযরত ইব্রাহিম আল্লাহর হুকুমে তার সন্তান হযরত ইসমাইল আল্লাহ তা'আলার জন্য কুরবানী করতে চেয়েছিলেন তাই আল্লাহ তাআলা হযরত ইব্রাহিম এর প্রতি খুবই খুশি হন এজন্যই জিলহজ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। হযরত ইব্রাহিম আল্লাহর হুকুমে তার সম্পূর্ণ পরিবারকে ত্যাগ করেছিলেন।
- আরো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে নগদে টাকা ট্রান্সফার
জিলহজ মাসের রোজাঃ
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জিলহজ মাসের প্রথম দিন থেকে 9 তারিখ পর্যন্ত রোজা আদায় করতেন। যাদের হজ করার সামর্থ্য নেই এবং হজের যায়নি তাদের জন্য আরাফার দিবস জিলহজ মাসের 9 তারিখ রোজা পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেউ যদি মনে করে যে প্রথম দিন থেকে শুরু করে 9 তারিখ পর্যন্ত সিয়াম পালন করবে তাহলে করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। আপনি চাইলে এর থেকে বেশি বা কম করতে পারবেন।
- আরো পড়ুনঃ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য এমনকি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন রোযা পালন করতে পারেন। শুধু ঈদুল আযহার দিন বাদ দিয়ে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন আরাফার দিনে রোজা রাখলে অবশ্য আল্লাহতালা তার এক বছর পূর্বের ওয়েন বছর পরের স্বার্থ দু'বছর সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন তবে যারা উপস্থিত থাকবে তাদের জন্য এই বিধান নেই।
জিলহজ্ব মাসের আমলঃ
আল্লাহর কাছে চারটি মাসের মধ্যে জিলহজ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। জিলহজ্ব মাসের 10 দিন ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। গ্রহনযোগ্য কারণ প্রথম দশকের রোজা এক বছর রোজা এক বছর রোজা রাখা সময় এবং রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদত এর সমান। জিলহজ মাসের প্রথম থেকে 9 তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা উত্তম একটি কাজ বিশেষ করে আরাফার দিন রোজা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাজীদের যারা আরাফা অবস্থা করেন জন্য প্রযোজ্য নয়।
জিলহজ মাসের প্রথম থেকে 9 তারিখ পর্যন্ত কিছু আমল এবং তাকবীর তাহরিমা পড়াঃ এই দিনগুলোতে তাকবির-আল্লাহু আকবার' আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু সুবাহানাল্লাহ পড়া অনেক সুন্নত এই জিলহজ মাসে। এই দিনগুলোতে দিনে সিয়াম পালন করা এবং রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা কারণ এই দিনে একটি উপজাতি পুরো বছর রোজার সাথে তুলনা করা হয়েছে এ জন্য আপনাকে অবশ্যই জিলহজ মাসের যে এবং রোজার ফজিলত রয়েছে সেগুলো খুব গুরুত্ব দেওয়া। এক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত এর সমান।
জিলহজ মাসের ফজিলতঃ
আল্লাহতালার কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি মাস হচ্ছে জিলহজ মাস। ইসলামিক ক্যালেন্ডার এ বারটি মাসের মধ্যে চারটি মাস আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক প্রিয় মাস। তার মধ্যে একটি হচ্ছে জিলহজ মাস। জিলহজ মাসের প্রথম থেকে 10 দিন আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল মুসলিমদেরকেঅবশ্য জিলহজ মাসের ফজিলত রোজা আমল আদায় করতে হবে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ইবাদতের থেকে অধিক প্রিয়।
আরো পড়ুনঃ ১০০ টি ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ ২০২২
জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের একটি করে রোজা এক বছরের সমতুল্য তাই প্রত্যেক মুসলমানদের জিলহজ মাসের ফজিলত রয়েছে সেগুলো খুবই গুরুত্ব দেয়া খুবই দরকার। জিলহজ মাসে এই পবিত্র মাসে 10 তারিখের কোরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মুসলমান আল্লাহর প্রিয় বান্দা হযরত ইব্রাহিম আঃ হযরত ইসমাইল আঃ অতিলিয়া অনুগ্রহ এবং মহান ত্যাগের সৃষ্টি বহন করেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহর প্রতি বছর হজ পালন করে পশু কুরবানী করে আল্লাহকে খুশি রাখার জন্য। তাই জিলহজ মাসের ফজিলত রয়েছে।
শেষ কথাঃ উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তো ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে। জিলহজ মাস কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং জিলহজ মাসে কি কি ঘটনার জন্য মহান আল্লাহতালা খুশি হয়েছিলেন সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনারা যারা জিলহজ মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে চান অবশ্যই আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং আমাদের এই পোষ্টের সঙ্গে থাকুন মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।