জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা জেনে নিন
আজকে আলোচনা করব জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা। বাংলাদেশ জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে সেহেতু জিলহজ মাস শুরু হয়ে গিয়েছে তাই আলোচনা করব জিলহজ্ব মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে যেমন জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কি না অনেকেই হয়তো এসব বিষয়ে কোনো ধারনাই নেই তাই আপনারা আমাদের এই পোষ্টের সঙ্গে থাকুন এবং জেনেনিন জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের সবারই অবশ্য জানতে ইচ্ছে করবে এবং জানা খুবই দরকার যে জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা।
তাহলে চলুন জেনে জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা
- জিলহজ মাসের চুল কাটা
- জিলহজ মাসের গুরুত্ব
- জিলহজ মাসে নখ কাটা/ জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা
- শেষ কথাঃ জিলহজ মাসে চুল কাটা
জিলহজ মাসের গুরুত্ব
আরবি ক্যালেন্ডার বারটি মাস রয়েছে তার মধ্যে চারটি মাস আল্লাহর কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে জিলহজ মাস। জিলহজ মাস বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো জিলহজ মাসে অনেক গুলো ঘটনা ঘটেছে যা আল্লাহ তা'আলার অনেক পছন্দ হয়েছে। জিলহজ মাসে হযরত ইব্রাহিম আল্লাহর হুকুমে তার সন্তান হযরত ইসমাইল রাদিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহ তাআলার হুকুম ও সন্তুষ্টির জন্য কুরবানীর করতে চেয়েছিল ।
আরো পড়ুন:
- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জাম খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
- মাশাআল্লাহ অর্থ কি ? মাশাআল্লাহ এর জবাব কি ?
- আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ এবং ফজিলত
- এশার নামাজ কয় রাকাত
তাই আল্লাহ তা'আলা ইব্রাহিমএর প্রতি অনেক খুশি হন এবং অনেক গুরুত্ব দেন এই মাসটিকে জিলহজ মাস। মাছ মাসটিকে জিলহজ মাস হযরত ইব্রাহিম আল্লাহর হুকুমে তার পুরো পরিবারকে ত্যাগ করেছিলেন
আমরা পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করতে পারি এই জিলহজ মাসে মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে শিক্ষা দেন এবং সন্তুষ্ট করে রাখেন জিলহজ মাসে। এসব ঘটনার কারণে মহান আল্লাহ জিলহজ মাসে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্র হজ পালন করা হয় জিলহজ মাসে।
জিলহজ মাস এজন্যই আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জিলহজ মাসের অনেক কিছু ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি এখন জেনে নেব জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা এইসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা
জিলহজ মাসের নখ কাটা / জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা
হযরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যখন জিলহজের দশ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কুরবানী করার নিয়ম করে তখন সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোন অংশ না কাটে। ইতিমধ্যে আমরা জিলহজ মাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছি।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি কোরবানি করার নিয়ত করে সে ব্যক্তি কেন তার শরীরের যেকোনো অংশে প্রকার পশম কাটা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এজন্যআমাদেরকে বলেছেন এই কাজ থেকে বিরত থাকা। জিলহজ মাসে চুল নখ কাটার ব্যাপারে সবার জন্য একই নিয়ম করতে হবে না শুধুমাত্র যারা কুরবানী দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারাই জন্য কিছুই করতে পারবেন না।
জিলহজ মাসের চুল কাটা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি জিলহজ মাসে কুরবানী করবে সে যেন তার শরীরের পশম বা নখ চুল না কেটে থাকে কুরবানী হওয়া পর্যন্ত। জিলহজ মাসে একটি কথা প্রচলন রয়েছে যে জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে না।
যদি কোন ব্যক্তি কোরবানির নিয়ত করে থাকেন তাহলে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত শরীরের পশম চুলদাড়ি ইত্যাদি কাটতে পারবেন না। যে ব্যক্তি কোরবানীর করবেন শুধুমাত্র তার ওপরেই বিধান রয়েছে। পরিবারের জন্য অন্য কারোর ওপর জিলহজ মাসের জন্য কাটা এই বিধান নেই।
জিলহজ মাসে যে ব্যক্তি কুরবানী করবে তার ওপর এই বিধানটি মুস্তাহাব অনেক ওলামা একরাম তাই মনে করেন। আবার অন্য এক দল করে পড়ে এটি ওয়াজিব । হরযত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যেহেতু বলেছেন সেহেতু তার গুরুত্ব অনেক। এটাই উত্তম হবে যদি আপনি কোরবানি করেন তাহলে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত আপনার শরীরের যেকোনো পশম কাটা যাবে না।
- আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত এই বিধিবিধান বিশেষ করে। কুরবানী হয়ে যাওয়ার পর আপনি চাইলে আপনার চুল নখ ইত্যাদি কাটতে পারেন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের এটির নির্দেশ করে দিয়েছেন সেহেতু সে ব্যক্তির কুরবানী করবে তাকে এই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে অবশ্যই।
কেউ যদি ভুলবশত এই কাজটি করে থাকেন তাহলে আল্লাহর কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যে কোরবানি দিবেন তিনি যেন জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে কুরবানী দেওয়ার আগ পর্যন্ত চুল নখ এবং শরীরের যেকোনো পশম কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষ কথাঃ ইতিমধ্যে আমরা জিলহজ মাসের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি তবে আমাদেরকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে এসব ভুল যেন না হয়। অনেকে আছেন যারা এই ভুলটি করে থাকেন কেবলমাত্র যে ব্যক্তি কুরবানী করবে তার ওপর জিলহজ মাসের চুল নখ কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা চুল মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটতে পারবে কোন সমস্যা নেই।
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি জিলহজ মাসে চুল নখ কাটা যাবে কিনা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সকলে মনোযোগ দিয়ে পড়েন ইন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন ঈদ মোবারক।