অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার 6 টি সহজ উপায়
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার সহজ উপায় সমূহ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী কিংবা তরুণী নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড হওয়া স্বাভাবিক আমরা সকলেই জানে। পিরিয়ড বা মাসিক অনিয়মিত যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বিপদজনক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনিয়মিত মাসিকের জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বর্তমান যুগে খুবই খুবই বেড়ে চলছে। তাই অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার টিপস আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আপনারা সকলেই আমাদের এই পোস্টে থেকে জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার সহজ উপায়। মাসিক যদি অনিয়মিত হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার শারীরিক অনেক সমস্যা রয়েছে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই মাসিক নিয়মিত করার চেষ্টা করতে হবে। মহান আল্লাহতালা আমাদের নির্দিষ্ট একটি সময়ে দিয়েছেন মাসিক বা পিরিয়ড হওয়ার জন্য।
কিন্তু এর মধ্যে অনেকেরই হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে চিন্তার একটি কারণ। এই চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে খুবই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। শরিলে কোনো অসুস্থতা ভর করেছে কিনা জীবনচর্চায় কোন ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হয়েছে কিনা তার দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।
আরো পড়ুনঃ
মাসিক হওয়া কালীন অবস্থায় আমাদেরকে খুবই সর্তকতা অবলম্বন করে চলতে হবে অতিরিক্ত কাজের চাপ ওজন-হ্রাস থাইল্যান্ডের সমস্যা মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম হরমোন ভারসাম্যতা ইত্যাদি এসব থেকে বিরত থাকুন কারণ এসব যদি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার মাসিক অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা নারীরা মাসিক যদি অনিয়মিত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা অনেকদূর চিন্তা করে থাকি। দুশ্চিন্তা আমাদেরকে খুবই ক্ষতি করে ফেলে। আপনার যদি হঠাৎ করে মাসিক নিয়মিত হয়ে থাকে সেদিকে নিয়মিত করার উপায় রয়েছে। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার মাসিক নিয়মিত করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই মাসিক নিয়মিত করার উপায় সমূহ।
ব্যায়ামঃ
মাসিক নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। যদি কারো অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি রেগুলার ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।যেসব মহিলারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের সমস্যা থাকবে না। নিদৃষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে সেগুলোর জন্য অনিয়মিত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যায়ামের কারণে পেশি বাঁধা পেয়ে থাকে, যার কারণে পেশি সংকোচন শুরু করে, শরীরে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে থাকে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর ব্যায়াম করলে পরবর্তী সময়ে সঠিক সময়ে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টক জাতীয় ফলঃ
টক জাতীয় ফল যেমনঃ জলপাই, মালটা, তেতুল ইত্যাদি। এই ফলগুলো মাসিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে থাকেন। তেতুলে সঙ্গে পরিমাণমতো পানি দিয়ে অল্প পরিমাণে চিনি দিয়ে তারপর এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর সঙ্গে লবণ চিনি মিশিয়ে নিন। এই দিনে দুইবার খেতে হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হবে।
আদাঃ
মাসিক অনিয়মিত সমস্যা দূর করতে আদা খুবই কার্যকরী। পরিমান মত পানি নিয়ে এক থেকে দুই পিস আদা কুচি করে 5 মিনিট সিদ্ধ করে নিন পানিতে মিশিয়ে নিন। খাবার খাওয়ার পর দিনে দুইবার পান করেন। নেমত যদি এই খাবার এক মাস খেতে পারেন তাহলে আপনি ভালো একটা রেজাল্ট পাবেন।
তিলঃ
তিল খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। আপনার মাসিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত করার জন্য খুবই কার্যকরী।ভ তেলের উপাদান হরমোন উৎপাদন রয়েছে। অল্প পরিমাণে ভিজিয়ে রাখুন। এর সঙ্গে এক চা চামচ গুঁড়ো মিশিয়ে। তারপর প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়া। এই নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি কাজ করে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ভালো একটা রেজাল্ট পাবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে হবে। এই মিশ্রণটি আপনার রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। এবং মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনঃ
যেসব মহিলাদের মেনোপজ বয়স হয়ে এসেছে তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আরো বেশি দরকার। মেনোপজ এর পরেই অনেক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
একবার যদি মাসিক দেরিতে হয় চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। তবে মাসিকের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার যদি তিন মাস টানা মাসিক না হয় বছরে নয় বারের কম মাসিক হলে বা প্রতিবার মাসিক হওয়ার মাঝে 35 দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচনাতে হয়েছিল অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার সহজ উপায় উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সকলে আমাদের সঙ্গে মনোযোগ সহকারে পড়েন। সবাইকে সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলেই ভালো থাকবেন।