নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য বা ভাষণ




প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,
তোমাদের স্কুলে কলেজে অথবা মাদ্রাসায় অনেক সময় তোমাদেরকে ভাষণ দিতে হয় । কিন্তু অনেক সময় তোমরা বুঝ উঠতে পারো না কিভাবে শুরু করব এবং কি বলবো।  কখনো মঞ্চে উঠে ভাষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই এক্ষেত্রে আমার কি করার আছে।  আজকে আমি ভাষণ দেওয়ার জন্য একদম সহজ একটি পদ্ধতি বলে দেবো।  যে পদ্ধতিটি অনুসরণ করে যে কেউই খুব সহজেই ভাষণ দিতে পারে।

ভাষণ দেওয়ার খুব সাধারণ একটা নিয়ম হচ্ছে যে, প্রথমে যারা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছে এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত রয়েছে তাদের সবাইকে সম্ভাষণ অথবা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করতে হবে । অবশ্যই সভাপতি সাহেব কে সবার আগে সম্ভাষণ জানাতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে একে একে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা বিনিময় করে তারপর মূল আলোচনায় ঢুকতে হবে।

সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়ে গেলে যে বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করবে সেই বিষয়ে ধীরে ধীরে আলোচনা সামনে এগিয়ে নিতে থাকো। চেষ্টা করতে হবে যেন তথ্যবহুল একটি বক্তব্য প্রদান করা যায়।  এরপর মূল আলোচনা বিশেষ করে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে।  বক্তব্য শেষে সবার প্রতি একটি অঙ্গীকার নিতে হবে।  আজকের এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কি এবং কেন আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকে কি নিয়ে যাচ্ছি এধরনের কয়েকটা অঙ্গীকার নিয়ে বক্তব্য শেষ করা ভালো। কয়েকটা নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজে বক্তব্য দিতে পারবে।

নিচে একটি নমুনা বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করছি তোমাদের কাছে এটা ভালো লাগবে।


আমি মো:,,,,,,,,, আজকের এই নবীন বরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান অথিতি,বিশেষ অথিতি সহ আমার প্রিয় নবীন ভাই ও বোনেরা সবাইকে আমার পক্ষ থেকে সালাম, প্রিতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে এই রকম নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে আজ থেকে আমার নতুন শিক্ষা জীবন শুরু করছি। এই প্রতিষ্ঠান একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা শিক্ষা দেন তারা অত্যন্ত আন্তরিক ও সহযোগীতাপূর্ণ মনোভাব রাখেন এটা আমারা শুনে এসেছি। তো আজকের এই দিনে আমি আশা রাখবো যে আগামী দিনেও যেনো এই প্রতিষ্ঠান তার সুনাম আরো বৃদ্ধি করতে পারে, সেই সাথে আজ থেকে এই প্রতিষ্ঠানে আমাদের যে নতুন পথচলা শুরু হলো সেটা যেনো সফলতার সাথে আমরা সমাপ্ত করতে পারি .

জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্বের সফল সমাপ্তির পরে আমরা  আজ সম্পূর্ণ নতুন এবং মুক্ত জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করেছি । এখানে রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত অবকাশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অপূর্ব সুযোগ। নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে বিকশিত হোক আমাদের মেধা ও মননশীলতা— এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

আমরা জেনে খুুশি হয়েছি যে  আমাদের এ কলেজ থেকেই অতীতে পড়ালেখা করে জ্ঞানীগুণী পণ্ডিত হিসেবে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন অনেকে। ডাক্তার, প্রকৌশলী, রাজনীতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীই পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন সমাজে। আমরাও তাদের মতোই দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করব ।

আমাদের এ শিক্ষালয়ের দীর্ঘদিনের এক সুমহান ঐতিহ্য ও খ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী। এখানকার শিক্ষা-শৃঙ্খলা, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক, পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রতিবছরই। আজ আমরা যারা নতুন প্রাণশক্তি ও অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এখানে এসেছি, আমাদের সাদরে বরণ করে নিয়ে আমাদেরকেও ঐতিহ্য রক্ষার সুমহান দায়িত্বে অংশীদার করার জন্য অনুরোধ করছি । আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধিতে আমরাও অবদান রাখতে পারব।

এ প্রতিষ্ঠানে আমাদের শিক্ষাজীবন সফল-সার্থক ও গৌরবময় হোক এটার জন্য সকলে কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি । এখানকার শিক্ষা নিয়ে আমরা দেশ-জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হতে চাই। 
 এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ, সবার জন্য শুভকামনা।
শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads