প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয়
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানার প্রয়োজন। তাই আজকে আমরা জানব প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয় সম্পর্কে । বর্তমান যুগে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া। বর্তমান মানুষের এত পরিমাণে রোগ হয়ে থাকে যে রোগ গুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এজন্য প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কিভাবে কমাবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করার সমস্যা হচ্ছে কম পানি খাওয়া। কম করে পানি খাওয়ার কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করার সম্ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করা ব্যাথা হওয়া এবং অস্থির অস্থির ভাব হলে এসব টেনশনের কারণ নেই এটা রোগ হিসেবে ধরা হয় না।
শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকার কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং প্রস্রাবের জ্বালা থেকে মুক্ত থাকুন। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করা এটি নারী বা পুরুষ সবারই হয়ে থাকে। এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ঠিক হয়ে যাবে।
যখনই আপনি পানি কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন তখনই এই সমস্যাগুলো দেখা দেবে। এবং শুকনা জাতীয় খাবার খেলে অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার খেলে ইত্যাদি এসব খাওয়ার ফলে আপনার জ্বালাপোড়া করার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই এগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখে আপনি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া থেকে মুক্ত থাকুন।
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া সমস্যাগুলো পুরুষদের থেকে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। তাই মহিলাদেরকে বলব আপনারা সকলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটু নিয়ম অবলম্বন করে চলুন দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনার এই সমস্যাগুলো দূর হতে সাহায্য করে।
প্রস্রাবে সংক্রমণ কেন হয় এবং প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয়ঃ
জরায়ুর মুখের প্রদাহ যোনিপথে ছত্রাক সংক্রমণ বা ক্ল্যামাইডিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। মাসিকের ব্যথা তলপেটে ব্যথা কিডনিতে পাথর হওয়া ডায়াবেটিসের সমস্যা ইত্যাদি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পেশাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া খুবই মারাত্মক তাই অবশ্যই প্রসাবে জ্বালাপোড়া সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো তাই প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যুগান্তর এসব বিষয়ে জানিয়েছে যে অ্যাপোলো হাসপাতালে গাইনি কনসালটেন্ট ডক্টর সোনিয়া মুখার্জি।
ডক্টর সোনিয়া মুখার্জি তিনি বলেছেন বেশিরভাগ মহিলারা পরিচিত। প্রসাবে জ্বালাপোড়া সমস্যাগুলো বেশি বয়স্ক লোকদের হয়ে থাকে।
প্রস্রাবে সংক্রমণ সন্দেহ হলে অবশ্যই পরীক্ষা করা ও ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। যাদের ঘন ঘন সংক্রমণ হয়, তারা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে পারেন।
ডক্টরস সোনিয়া বললেন মাসিকের সময় অধিক সময় ন্যাপকিন ব্যবহার সঙ্গীর প্রস্রাবে সংক্রমণ ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াছাড়া বিভিন্ন কারণেই মহিলার প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হতে পারে। প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
চলুন জেনে নেই প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয় সম্পর্কে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুনঃ
প্রসাবে জ্বালাপোড়া সব থেকে মারাত্মক সময় হচ্ছে গরমকালে। গরমের সময় এই সমস্যাগুলো খুবই অতিরিক্ত হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। গরমের সময় অপচয় হয়ে যায় এজন্য পানির খুবই প্রয়োজন। গরমকালে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে প্রসাবে জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া দরকারঃ
পিরিয়ড চলাকালীন অবস্থায় আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আমিষ জাতীয় খাবার না খেয়ে বরং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ঘন ঘন সংক্রমণঃ
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মেয়াদে ও সঠিক মাত্রায় সঠিক এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। চাঁদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া অতিরিক্ত হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার খুবই জরুরী।
পানি খাওয পরিমাণ বাড়ানঃ|
প্রসাবে জ্বালাপোড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।শরীর থেকে পানি দূষিত ব্যাকটেরিয়াগুলো বের করে দেবে। দূষিত ব্যাকটেরিয়াগুলো এটি আপনার প্রস্রাব ঠিকঠাকমতো হতে সাহায্য করে থাকেন। প্রসাবে জ্বালা পোড়ার সমস্যা হলে তরল খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন প্রসাবের জ্বালা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। ফলের জুস প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে ইত্যাদি এসব জাতীয় খাবার খেলে আপনার প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।
গরম চাপঃ
প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে গরম চাপ দিতে পারেন। এতে ব্লাডারের চাপ কমবে এবং ব্যথা কমবে। এ জন্য আপনি হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোনো কাপড় তাপে গরম করে পেটে ব্যবহার করতে পারেন। একে তলপেটে ৫ মিনিট রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার দিন। এভাবে কয়েকবার করুন।
দইঃ
দইয়ে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া । এটি শরীরের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ দই খান।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করণীয় সম্পর্কে আপনারা সকলেই আমাদের এ প্রসঙ্গে থেকে জেনে নিন প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করণীয় গুলো কি কি। এবং এই নিয়মগুলো মেনে চলার অভ্যাস করুন তাহলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া একেবারে কমে যাবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।