বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বি পি এস সি প্রজাতন্ত্রের কর্মে এন্ট্রি লেভেলের নিয়োগের জন্য সাধারণত দুই ধরণের পরীক্ষার আয়োজন করে ক্যাডার এবং নন ক্যাডার। পরীক্ষায় সাধারণত মোট 350 নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং তুলনামূলকভাবে সময় কম লাগে। পক্ষান্তরে,
বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় মোট 13 থেকে 15 নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। দক্ষতা ও যোগ্যতার বিচারে নিঃসন্দেহে যারা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তারা এগিয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ নামাজের ওয়াজিব কয়টি
তাই যারা বিসিএস পরীক্ষায় কঠিন ধাপগুলো সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েও পদ স্বল্পতার কারণে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হন না, তাদের জন্য সরকার কর্তৃক জারীকৃত নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিশেষ বিধিমালা 2010 এবং সংশোধিত বিধিমালা 2014 অনুযায়ী সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে শূন্যপদের চাহিদা পাওয়া সাপেক্ষে পিএসসি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে চূড়ান্ত সুপারিশ করেন।
31 তম বিসিএস নন ক্যাডার এর নিয়োগ শুরু হয় এবং উল্লেখযোগ্য হারে শুরু হয় 34 তম বিসিএস থেকে। এর মধ্যে 35 তম এবং 37 তম বিসিএস এ নন ক্যাডারের আবেদনকারী বেকারদের প্রায় শতভাগ চাকরি পেয়েছে।
পিএসসি 38 তম বিসিএস এর বিজ্ঞপ্ত প্রকাশ
বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা করেছিল 2017 সালের 20 জুন।বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা। বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন এরপর 2020 সালের 30 জুন 38 তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে 2204 জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং 6173 জনকে নন ক্যাডার তালিকায় রাখা হয়। 38 তম বিসিএস এ আবেদন করার সময় যে প্রার্থীর বয়স 27 বছর ছিল, চূড়ান্ত রেজাল্ট পেতে তার বয়স 30 বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। সরকারি চাকরি প্রার্থীরা আর কোন সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবে না। আর যারা একেবারে বয়সের শেষ মুহূর্তে আবেদন করেছিল তাদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অর্থাৎ 38 তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে একটি চাকরি তাদের একমাত্র ভরসা।
গত বছরের শেষের দিকে একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা 3 লাখ 87 হাজার 33৮।এর মধ্য প্রথম শ্রেণীর পদ 50 হাজার 930 , দ্বিতীয় শ্রেণীর 55 হাজার ৪57 টি।বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য থাকায় 38 তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের মধ্যে নূন্যতম একটা চাকরি পাওয়ার আশা সঞ্চার হয়েছে।
সাধারণত একটি বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে পরবর্তী বিসিএস এর চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত
সেই হিসাবে 38 তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ চলমান থাকবে 40 তম বিসিএস এর চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশের পূর্বদিন পর্যন্ত। বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা। কারণ 39 তম বিসিএস বিশেষ ছিল।
পিএসসি ইতিমধ্যে 38 তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকায় সুপারিশকৃত প্রথম শ্রেণীর 984 জনকে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে। পিএসসির উদ্যোগ বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত ।
আশা করি কাগজপত্র জমা দেওয়ার কারণে যতগুলো পদ শূন্য হবে, পিএসসি 38 তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে পরবর্তী সুপারিশের সময় ওই পথগুলো অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং এই ধারা সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে অব্যহত রাখবেন। এতে করে সব বেকার প্রার্থীর চাকরি পাওয়া সহজ হবে এবং নিয়োগের পর আর কোন পদ শূন্য থাকবে না বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা, সরকারি অর্থের অপচয় হবে না।
উপরন্ত জনগণ সেবা পাবে।আর যারা প্রথম তালিকায় সুপারিশ পেলেন তাদের ওপর দাবী হল যদি সুপারিশকৃত পদে যোগদান না করেন তাহলে শুধু শুধু কাগজপত্র জমা দিয়ে অন্য একজনকে বঞ্চিত করবেন না।
আরো পড়ুনঃ সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি?
বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ নিয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ
একজন অভিজ্ঞ 34 তম, 36 তম এবং 38 তম বিসিএস নন ক্যাডার তালিকাভুক্ত ব্যক্তি, এসব অভিজ্ঞতার মধ্য 30 তম বিসিএস নন ক্যাডার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, 36 তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগের জন্য আমার বিষয় পাস সাবজেক্ট সম্পর্কিত অন্যান্য কিছু বিষয় সম্পর্কিত প্রায় 150 টির মত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদ অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করে দুটি অধিদপ্তর থেকে পিএসসিতে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে যথাসময়ে পদগুলো না পাঠানোর কারণে ওই পথগুলো ছাড়াই বিসিএস প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে সুপারিশ করে । পিএসসির সুপারিশের পদগুলো না থাকায় পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা শুধু একটি দপ্তরের একটি ভুলের কারণে সবগুলো পদ পিএসসিতে না পাঠিয়ে আটকে রাখেন। অথচ পদ প্রত্যাশী অনেক প্রার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়স অতিক্রম হয়েছিল। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান থাকবে যেন অসচেতনতা অনিচ্ছাকৃত অসতর্কতা কারো কান্নার কারণ না হয়।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি
তার সামগ্রীক কাজের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে জ্যোতি বা আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্ব মহিমায়। পিএসসির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান ডঃ মোহাম্মদ সাদিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিসিএস নন ক্যাডার থেকে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ পেয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ডঃ মোহাম্মদ সাদিকের মতো বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
বিসিএস নন ক্যাডার কারা,বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা
নন-ক্যাডার চাকরি বলতে কী বোঝায় বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং দপ্তর অধিদপ্তরের বিভিন্ন পোস্টে যেমন নবম গ্রেডে বিসিএস নিয়োগ হয় এবং যে সকল নিয়োগ পিএসসি দেয় শুধুমাত্র নন ক্যাডার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
আরো পড়ুনঃ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য ইসলামের আলোকে
বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কিভাবে নিজেকে তৈরি করব
বিসিএস নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা,দেখুন বিসিএস পরীক্ষা আর বাকি আট-দশটি পরীক্ষার থেকে একটু আলাদা। আপনি বিসিএস ক্যাডার হয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণের সেবা করবেন পাশাপাশি আপনি একজন ক্যাডার হবেন। মানে আপনি এমন একটা কমিউনিটিদের নিজেকে যুক্ত করবেন যারা সরকারের উন্নয়ন ও বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষায়িত বেতনভোগী বাহিনী। আমরা যদি গত চার থেকে পাঁচটা বিসিএস পরিসংখ্যান করি তাহলে দেখব প্রতিবছর বিসিএস পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছেই। 41a আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় 4 লাখ 75 হাজার, এ বছর প্রায় 4 লাখ 25 হাজার, 40 তম ছিল চার লাখ 10 হাজার। সংখ্যা টা একবার দেখুন। কোন লেভেলের, এরা কিন্তু ভাই সবাই স্নাতক বা সমমান ডিগ্রী পাস করা ব্যক্তি।
আসুন এইবার দেখি ক্যাডার সংখ্যা কত,40 তম 1800 জন, 41a 2010 জন, তারমানে ক্যাডার সংখ্যা কিন্তু হাজার আটারোশো থেকে দুই হাজারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।যদিও নন ক্যাডার আটত্রিশ তম প্রায় 15 জনকে এক শ্রেণীর পদে সুপারিশ করা হয়েছে এটা একটা খুব ভরসার জায়গা সহজ কথায় আপনি এই দুই হাজার জনের মধ্যে আসতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে একটু স্পেশাল হতে হবে। আমি বলব আপনি বেসিকের দিকে নজর দিন।
যেমন;
ইংরেজি, গণিত, বাংলা ব্যাকরণ, বিজ্ঞান আইসিটি মুক্তিযুদ্ধ সংবিধান ম্যাপ ইত্যাদি। পাশাপাশি কিছু মূল বই পড়া মুক্তিযুদ্ধের উপর বই পড়া নিয়মিত পেশার উপর রাখা সেগুলো বিশ্লেষণ করা ইত্যাদি। বিসিএস পরীক্ষার জন্য যখন আদাজল খেয়ে প্রিপারেশন নিতে থাকবেন দেখবেন সব কিছু সহজ লাগবে আর পরেও মজা পাবেন।
শুধু প্রিলি ভাইবার জন্য এককভাবে প্রিপারেশন না নিয়ে রিটেন, দুইটার জন্য একবারও প্রিপারেশন নিন এবং সেটি যেন সন্তুষ্টিমূলক প্রিপারেশন হয় ।সুশান্ত পাল বিসিএস এর জন্য অনেক পড়াশোনা করতেন কারণ তিনি চাইতেন যে এই পড়াশোনাটা আর যেন তার না করা লাগে। দেখেন অনেকেই বলবে ভাই গাইড মুখস্ত করো ভাই একটা জিনিশ ভাবুন তো যে চার থেকে পাঁচবার রিটেন দিয়েও ক্যাডার হতে পারছে না তার গাইড মুখস্থ করা আছে।
কিন্তু অনেকেই প্রথম ক্যাডার হোসেন তাদের এই বিসিএস যারনি শুনুন দেখবেন তারা কিন্তু অনার্স মাস্টার্স করার সময় নিজের একাডেমিক পড়া কেউ গুরুত্ব দিয়েছে কিন্তু তারা বেশি বিভিন্ন বই পড়তো বা তাদের পড়াশোনার আলাদা টেকনিক ছিল এজন্যই তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। এখন থেকেই নিজেকে আপডেট করুন নিজেকে বেশি ষ্ট্রং করুন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গভীর পড়াশোনা করুন আর নিজের একাডেমিক পড়াশোনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন।
একটা ঘটনা বলে শেষ করব, সাইত্রিশ তম বিসিএস পরীক্ষার ভাইভা চলছে সবাই খুব চিন্তিত, বিভিন্ন জন ভাইবা দিয়ে আসছে আর বলতেছে এটা পারি নাই ওটা পারি নাই তো এই জাতীয় প্রশ্নগুলোর উত্তর এক পরীক্ষার্থীর এটি শেষ বিসিএস তিনি উত্তরগুলো দিচ্ছিলেন।
আরো পড়ুনঃ রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন নেয়ার এখনই সময়
তিনি যখন ভাইভা বোর্ডে গেলেন ,তিনি যখন ভাইভা বোর্ডে গেলেন তাকে জিজ্ঞাসা করা হল কোন ডিপার্টমেন্টের সে সে বলল পদার্থবিজ্ঞান ফিজিক্স এর তো সেই বোর্ডে ফিজিক্সের একজন প্রফেসর ছিলেন তিনি তাকে ফিজিক্সের কিছু বেসিক প্রশ্ন করা শুরু করলো কিন্তু সেই পরীক্ষার্থী ভাইটি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না।
কারণ তিনি নাকি তার একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রথম থেকে শুধু বিসিএসের পড়াশোনা করতেন। যা হওয়ার তাই হল সেই ভাইটির চাকরি হয়নি, কিন্তু বিসিএসের সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান ছিল এই গল্পটি বলেছিলেন 37 তম বিসিএস এর স্থান অর্জনকারী রহমত আলী। তার এক সাক্ষাৎকারে এটি শুনেছিলাম। ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।