তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি | তায়াম্মুমের নিয়ম

তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি | তায়াম্মুমের নিয়ম

আজকে আমরা তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও তায়াম্মুমের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তায়াম্মুম এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল যা অজুর বিকল্প বা পবিত্রতার বিকল্প হিসেবে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দিয়েছেন যেহেতু নামাজের পূর্ব শর্ত বা ইবাদতের পূর্ব শর্ত হচ্ছে পবিত্রতা অর্জন করা আর সেটা আমরা অর্জন করে থাকি পানির মাধ্যমে আর যখন এই পানি পাওয়া না যায় বা পানির ব্যবস্থা না হয় তখন এর বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম বা মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের নির্দেশ আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন। তাই আমাদেরকে তায়াম্মুমের  ফরজ বা কিভাবে করতে হয় নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে হবে। আজকে আমরা আলোচনা করব তায়াম্মুম ফরজ সম্পর্কে।

তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও তায়াম্মুমের নিয়ম নিচে বর্ণনা করা হলো

তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও তায়াম্মুমের নিয়ম সম্পর্কে নিচে কোরআন ও হাদিসের আলোকের আলোচনা পেশ করা হলো। এখানে তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও তায়াম্মুমের নিয়ম সম্পর্কে রেফারেন্স সহকারে আলোচনা পেশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করছি আজ তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও তায়াম্মুমের নিয়ম সম্পর্কে আপনার সম্পুর্ণ আইডিয়া হয়ে যাবে। 

(১) সমস্ত মুখ মাসাহ করা। 

৪: আন-নিসা,:আয়াত: ৪৩,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَقْرَبُوا الصَّلٰوةَ وَ اَنْتُمْ سُكٰرٰى حَتّٰى تَعْلَمُوْا مَا تَقُوْلُوْنَ وَ لَا جُنُبًا اِلَّا عَابِرِیْ سَبِیْلٍ حَتّٰى تَغْتَسِلُوْا١ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَوْ عَلٰى سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَیَمَّمُوْا صَعِیْدًا طَیِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَ اَیْدِیْكُمْ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُوْرًا

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের কাছে যেয়ো না। নামায সেই সময় পড়া উচিত যখন তোমরা যা বলছো তা জানতে পারো। অনুরূপভাবে অপবিত্র অবস্থায়ও     গোসল না করা পর্যন্ত নামাযের কাছে যেয়ো না। তবে যদি পথ অতিক্রমকারী হও, তাহলে অবশ্যি স্বতন্ত্র কথা। আর যদি কখনো তোমরা অসুস্থ হয়ে পড়ো, সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ মলমূত্র ত্যাগ করে আসে অথবা তোমরা নারী সম্ভোগ করে থাকো এবং এরপর পানি না পাও, তাহলে পাক–পবিত্র মাটির সাহায্য গ্রহণ করো এবং তা নিজেদের চেহারা ও হাতের ওপর বুলাও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ‌ কোমলতা অবলম্বনকারী ও ক্ষমাশীল।

(সহীহ বুখারী৩৩৮)

(২) দুই হাতের কনুইসহ মাসাহ করা।

(৪: আন-নিসা,:আয়াত: ৪৩,)

 সহীহ বুখারী ৩৩)

তায়াম্মুমের শর্ত । তায়াম্মুমের নিয়ম 

তায়াম্মুমের নিয়ম এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম তায়াম্মুমের শর্ত কিকি রয়েছে সে সম্পর্কে সুস্পস্ট ধারণা থাকা জরুরি। তাই নিচে তায়াম্মুমের নিয়ম জানার পূর্বে আমরা 

 (১) ওদু বা গোসলের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পানি না পাওয়া।

৫: আল-মায়িদাহ,:আয়াত: ৬,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا قُمْتُمْ اِلَى الصَّلٰوةِ فَاغْسِلُوْا وُجُوْهَكُمْ وَ اَیْدِیَكُمْ اِلَى الْمَرَافِقِ وَ امْسَحُوْا بِرُءُوْسِكُمْ وَ اَرْجُلَكُمْ اِلَى الْكَعْبَیْنِ١ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوْا١ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَوْ عَلٰى سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَیَمَّمُوْا صَعِیْدًا طَیِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَ اَیْدِیْكُمْ مِّنْهُ١ؕ مَا یُرِیْدُ اللّٰهُ لِیَجْعَلَ عَلَیْكُمْ مِّنْ حَرَجٍ وَّ لٰكِنْ یُّرِیْدُ لِیُطَهِّرَكُمْ وَ لِیُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য তৈরী হও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত দু’টি কনুই পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো, মাথার ওপর হাত বুলাও এবং পা দু’টি গোড়ালী পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো। যদি তোমরা ‘জানাবাত’ অবস্থায় থাকো, তাহলে গোসল করে পাক সাফ হয়ে যাও।  যদি তোমরা রোগগ্রস্ত হও বা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি মলমূত্র ত্যাগ করে আসে বা তোমরা নারীদেরকে স্পর্শ করে থাকো এবং পানি না পাও, তাহলে পাক-পবিত্র মাটি দিয়ে কাজ সেরে নাও। তার ওপর হাত রেখে নিজের চেহারা ও হাতের ওপর মসেহ করে নাও।  আল্লাহ তোমাদের জন্য জীবনকে সংকীর্ণ করে দিতে চান না কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে পাক-পবিত্র করতে এবং তাঁর নিয়ামত তোমাদের ওপর সম্পূর্ণ করে দিতে, হয়তো তোমরা শোকর গুজার হবে

(সুনানে তিরমিজি ১২৪)

(২) ব্যক্তি ও পানির মধ্যের দূরত্ব এক মাইল বা তার চেয়ে বেশি হওয়া।

(সুনানে দারুকুতনি ৭৩৪)

(৩) পানি ব্যবহারে রোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা অথবা প্রাণ বা অঙ্গহানির আশঙ্কা হওয়া।

সুনানে আবু দাউদ : ৩৩৬

---حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ خُرَيْقٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِي رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ هَلْ تَجِدُونَ لِي رُخْصَةً فِي التَّيَمُّمِ فَقَالُوا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُخْبِرَ بِذَلِكَ فَقَالَ قَتَلُوهُ قَتَلَهُمُ اللَّهُ أَلاَّ سَأَلُوا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ " . أَوْ " يَعْصِبَ " . شَكَّ مُوسَى " عَلَى جُرْحِهِ خِرْقَةً ثُمَّ يَمْسَحَ عَلَيْهَا وَيَغْسِلَ سَائِرَ جَسَدِهِ " ."

অনুবাদ:

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা আমরা কোন এক সফরে বের হলে আমাদের মধ্যকার একজনের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে সে সাথীদের জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি আমার জন্য তায়াম্মুমের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি পাও? তারা বলল, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম, তাই তোমাকে তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া যায় না। অতএব সে গোসল করল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলো। তিনি বললেনঃ এরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন। তাদের যখন (সমাধান) জানা ছিল না, তারা কেন জিজ্ঞেস করে তা জেনে নিল না। কারণ অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। ঐ লোকটির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্টে ছিল। আর যখমের স্থানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসাহ্ করে শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হত। হাসানঃ তবে তার এ কথাটি বাদেঃ ‘ঐ লোকটির জন্য যথেষ্ট ছিল ……।’ [৩৩৫]

(৪) পানি এত কম যে ব্যবহার করে ফেললে নিজে অথবা অন্যরা পিপাসা কাতর হয়ে পড়ার সম্ভাবনা।

(বায়হাকি আসসুনানুল কুবরা ১১৪৯)

(৫) পাশেই কূপ বা পুকুর আছে, কিন্তু পানি এত নিচে যে তা থেকে পানি উঠানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।

২: আল-বাক্বারাহ,:আয়াত: ২৮৬,

لَا یُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا١ؕ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَ عَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ١ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا١ۚ رَبَّنَا وَ لَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَى الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا١ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ١ۚ وَ اعْفُ عَنَّا١ٙ وَ اغْفِرْ لَنَا١ٙ وَ ارْحَمْنَا١ٙ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ۠

আল্লাহ কারোর ওপর তার সামর্থের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা চাপান না। প্রত্যেক ব্যক্তি যে নেকী উপার্জন করেছে তার ফল তার নিজেরই জন্য এবং যে গোনাহ সে অর্জন করেছে, তার প্রতিফলও তারই উপর বর্তাবে। (হে ঈমানদারগণ, তোমরা এভাবে দোয়া চাওঃ) হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না। হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে।     হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো। তুমি আমাদের অভিভাবক। কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো।

(বাদায়িয়ুস সানায়ে খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১৭৯)

(৬) পানি কাছেই আছে, কিন্তু দুশমন অথবা ভয়ংকর কোনো পশু-প্রাণীর কারণে পানি নিতে অক্ষম।

(বাদায়িয়ুস সানায়ে খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১৭৯)

 (৭) প্রবল ধারণা যে ওদু করতে গেলে ঈদ বা জানাজার সিলাত ছুটে যাবে, তখন তায়াম্মুম করা যাবে। কারণ সেগুলোর কাযা বা বিকল্প নেই।

(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১১৫৮৬)

(৮) তায়াম্মুম পবিত্র মাটি অথবা মৃত্তিকাজাত বস্তু দ্বারা করতে হবে। যেমন: পাথর, বালু, ধুলা ইত্যাদি।

৪: আন-নিসা,:আয়াত: ৪৩,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَقْرَبُوا الصَّلٰوةَ وَ اَنْتُمْ سُكٰرٰى حَتّٰى تَعْلَمُوْا مَا تَقُوْلُوْنَ وَ لَا جُنُبًا اِلَّا عَابِرِیْ سَبِیْلٍ حَتّٰى تَغْتَسِلُوْا١ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَوْ عَلٰى سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَیَمَّمُوْا صَعِیْدًا طَیِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَ اَیْدِیْكُمْ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُوْرًا

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের কাছে যেয়ো না। নামায সেই সময় পড়া উচিত যখন তোমরা যা বলছো তা জানতে পারো। অনুরূপভাবে অপবিত্র অবস্থায়ও     গোসল না করা পর্যন্ত নামাযের কাছে যেয়ো না। তবে যদি পথ অতিক্রমকারী হও, তাহলে অবশ্যি স্বতন্ত্র কথা। আর যদি কখনো তোমরা অসুস্থ হয়ে পড়ো, সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ মলমূত্র ত্যাগ করে আসে অথবা তোমরা নারী সম্ভোগ করে থাকো এবং এরপর পানি না পাও, তাহলে পাক–পবিত্র মাটির সাহায্য গ্রহণ করো এবং তা নিজেদের চেহারা ও হাতের ওপর বুলাও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ‌ কোমলতা অবলম্বনকারী ও ক্ষমাশীল।

তায়াম্মুম করার পদ্ধতি

(১) নিয়ত করা। 

(সহীহ বুখারী ১)

(২) পুরো মুখমণ্ডল এবং কনুই পর্যন্ত হাত মাসেহ করা। 

(সুরা নিসা ৪৩)

(৩) মাটি বা তায়াম্মুমের বস্তুর ওপর 

  • (অ) হাত আগে-পিছে ঘষা।
  • (আ) হাত ঘষার পর উভয় হাত ঝেড়ে ফেলা; ও
  • (ই) হাত ঘষার সময় আঙুলগুলো খোলা রাখা।

(সুনানে দারুকুতনি ৬৯৭)

(৪) উক্ত পদ্ধতিতে হাত প্রথমবার ঘষে নিয়ে সমস্ত মুখ এবং দ্বিতীয়বার ঘষে নিয়ে দুই হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।

(সুনানে দারুকুতনি ৭০১)

(৫) হাতের পুরো তালু অথবা বেশির ভাগঅংশ দ্বারা মাসেহ করা।

(সুনানে দারুকুতনি ৬৯৭)

(৬) কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে করা।

(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৬৯৬)

(৭) মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করার মাঝখানে অন্য কোনো কাজ না করা। 

(সুনানে দারুকুতনি ৭১২)

তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণসমূহ

(১) যেসমস্ত কারণে অযু ভঙ্গ হয় সে সমস্ত কারণে তায়াম্মুমও ভঙ্গ হয়।

(বাদাইউ সানায়ে খন্ড ১ পৃষ্ঠা ২০৭)

(২) যদি পানি পাওয়া যায় এবং ব্যবহারে সক্ষম হয়।  (বাদাইউ সানায়ে খন্ড ১ পৃষ্ঠা ২০৮)


হাফেজ মাওলানা মো: শফিকুল ইসলাম

আমি একজন সাধারন মুসলমান। বর্তমানে আমি হাফেজ ও দাওরা কমপ্লিট করার পর বিজনেস এর কাজে নিয়োজিত আছি। পাশাপাশি সরল মানুষ ব্লগে মাঝে মাঝে লেখালেখি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। অবসর সময়ে আমার বই পড়তে ভালোলাগে। ভ্রমন করতে বা ঘুরে বেড়াতে আমার বেশ ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads