মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয়। আসসালামু আলাইকুম স্বাগতম আপনাকে নতুন আর্টিকেলে। অর্থাৎ কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র দেখবেন আসলে দেখা সম্ভব কিনা ইত্যাদি আলোচনা করা হবে। আপনি যদি মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র দেখতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক হেল্প ফুল হতে যাচ্ছে। তাহলে এই টপিক নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ডায়াল অপশনে চলে জান।সেখানে গিয়ে আপনারা ডায়েল করবেন*১৬০০# নাম্বারে। তারপরে আপনার ডায়াল অপশনে গিয়ে দেশ জিতেছিল সিলেক্ট করা আছে তা সিলেক্ট করে নিবেন। তারপর আপনাদের সামনে একটা ইন্টারফেস চলে আসবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। বাংলাদেশ প্রত্যেক 18 বছর বয়সি নাগরিক ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে পারবেন।
- আরো পড়ুনঃ সিয়াম ফরজ করার উদ্দেশ্য কি
ভোটার আইডি কার্ডের গুরুত্ব
আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ভোট দানের মাধ্যমে দেশের সরকার গঠিত হয় আর তিনি দেশ পরিচালনা করেন। আর এই ভোট শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা ব্যক্তিরা দিতে পারবে। তাহলে বুঝতেই পারছে এই জাতীয় পরিচয় পত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বানানো কতটা গুরুত্ব।
ডকুমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ বুঝতে পারছে। হঠাৎ করে আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের দরকার হতেই পারে। আর যখন দরকার হবে তখন যদি জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের সাথে না থাকে তখন আমরা কি করব? নিশ্চয়ই আপনাকে এজন্য ভোগান্তির শিকার হতে হবে তাইনা? আর সব সময় তো জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে রাখা সম্ভব না। তাই এই ভোগান্তির এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজে সমাধান তা হলো মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পত্র চেক করা বা দেখা।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র যদি আমরা চেক করতে পারি তাহলে আমাদেরকে সব সময় এটিকে সাথে রাখতে হবে না। কিন্তু আসলেই কি মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড দেখা সম্ভব? আপনার কি মনে হয় এটি সম্ভব? আপনার যায় মনে হোক না কেন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ এটি সম্ভব।
- আরো পড়ুনঃ ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি ?
আপনি খুব সহজে আপনার হাতে থাকা যেকোনো মোবাইল ফোন দিয়ে মোবাইল নাম্বার এর সাহায্যে জাতীয় পরিচয় পত্র দেখতে পারবেন। এটি খুব একটা কঠিন কাজ না। নিমেষের মধ্যে পড়ে অথবা ইন্টারনেটের সাহায্যে কাজটি করা সম্ভব।
জাতীয় পরিচয় পত্রের গুরুত্ব
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার আগে চলুন এটির গুরুত্ব জেনে নেয়া যাক
- ১. ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন।
- ২. নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করবে।
- ৩. উত্তোলন করতে পারবে সিম।
- ৪. বিভিন্ন ধরনের সেনসেটিভ একাউন্ট তৈরি করতে পারবে। যেমন ব্যাংক।
- ৫. সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবে। ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই হতে পারে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা
এবার চলুন এই বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক। মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র আপনি দুটি উপায় দেখতে পাবেনঃ
- * ইউএসএসডি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে।
- * ইন্টারনেটের সাহায্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে।
দুইটি পদ্ধতি অনেক সহজ আপনার কাছে যেটি বেশি ভালো লাগবে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ রইল।
ইউএসএসডি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে
*১৬০০# হচ্ছে ইউএসএসডি কোড। আপনি যদি কোন কোনরূপ ঝামেলা না গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড বের করতে চান তাহলে ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে বের করতে পারবেন। এটি অনেক সহজ পদ্ধতি। তবে এই পদ্ধতিতে আপনি শুধু ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দেখাতে দেখতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ছাড়া অন্য কিছু তথ্য দেখতে পারবেন না। আর শুধুমাত্র সেই ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখতে পারবেন যে নাম্বার দিয়ে সিম টি উত্তোলন করা হয়েছে।
অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে আপনাকে একটি কোড ডায়াল করতে হবে আর যে সিম দিয়ে কল করবেন সেই সিমের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখাতে পারবেন।
- আরো পড়ুনঃ ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২২
এভাবে আপনি খুব সহজেই ইউএসএসডি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে পারবেন।
ইন্টারনেটের সাহায্যে নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইট থেকে
এই পদ্ধতি ও খুব একটা কঠিন নয়। অনেক সহজ একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি টি আমার কাছে অনেক পছন্দনীয়। কেন না এই পদ্ধতিতে আপনি মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র পূর্ণাঙ্গরূপে বের করতে পারবেন।
অর্থাৎ ইউএসএসডি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বের করতে পারি। কিন্তু সেখান থেকে আর কোন তথ্য বের করতে পারিনা। তাছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্র টিকেট পৃন্ট বল করে নেওয়া সম্ভব না। তবে ইন্টারনেটের সাহায্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে আমরা অনেক সহজেই জাতীয় পরিচয় পত্রের পিডিএফ ভার্শন ডাউনলোড করে নিতে পারি। আর এখানে জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল তথ্য পেয়ে যাবে এছাড়াও এটিকে প্রিন্ট করে আরো অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারব।
নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে হলে অবশ্যই দিয়ে মোবাইল নাম্বার দিয়ে বের করবেন সেই মোবাইল নাম্বার দিয়ে নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইটের একটি একাউন্ট করা থাকতে হবে। আর যদি একাউন্ট করা না থাকে তাহলে পারবেন না। একাউন্ট করার না থাকলে একাউন্ট করে নিবেন তাহলে পরবর্তীতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে পারবেন। যদি অ্যাকাউন্ট করা থাকে তাহলে প্রথমে ভিজিট করে নির্বাচন কমিশনার এর ওয়েবসাইটে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিস্ট্রেশন
প্রকৃতপক্ষে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিস্ট্রেশন করা হয় না। জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিস্ট্রেশন করার জন্য মোবাইল নাম্বার এর প্রয়োজন হয়।
দেশের যে কোন 18 বছর বয়সে নাগরিক জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পায়। আর তার যে বয়স 18 তা প্রমাণ করার জন্য শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন পড়ে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা
জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ভোটার আইডি কার্ড দুটি একই বিষয়। কেউ একে ভোটার আইডি কার্ড বলে আবার কেউ জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড বলে। ইংরেজি যথাক্রমে ভোটার আইডি কার্ড বলা হয়। এখানে আইডি এর পূর্ণ আইডেন্টিটি।
আর্টিকেলে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম দেখানো হয়েছে সেই নিয়ম অনুসরণ করে আপনি সহজেই মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করে নিতে পারবেন। এর সম্পর্কে যদি আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। তাহলে আমরা আজকের এই আর্টিকেল থেকে শিখতে পারলাম মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র কিভাবে বের করা যায়। এবং আমরা কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করব সেটিও জানতে পারলাম।