আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায়
এখন আপনার ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন kydএসপেস আইএমইআই নম্বর। তারপর সেন্ড করুন১৬০০২ নাম্বারে। ফিরতি মেসেজ বিটিআরসি থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার ফোনটি ইনফরমেশন তাদের ডাটাবেজে আছে কিনা। যদি বিটিআরসি ডাটাবেজে আপনার হ্যান্ডসেটটির ইনফরমেশন থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ফোনটি অফিশিয়াল
আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম। বর্তমানে আনঅফিসিয়াল ফোন একটা নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশে অবৈধ। সম্প্রতি বিটিআরসির নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেকের হ্যান্ডসেটটি অফিসিয়াল করে নিতে হবে। এজন্য আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিবন্ধন এর জন্য বিটিআরসির একটি পদ্ধতি রয়েছে।
- আরো পড়ুনঃ ইকামত কিভাবে দিতে হয় সঠিক নিয়ম
সম্প্রতি বিটিআরসির ঘোষণা অনুযায়ী আনঅফিসিয়াল হ্যান্ডসেটগুলো কে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈধ করে নিতে হবে। এই আর্টিকেল আমি আপনাদের জানাব কিভাবে আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ মোবাইল ফোন অফিশিয়াল করে নিবেন। এছাড়াও আমরা এর সাথে যুক্ত আরো কিছু বিষয় জেনে নিব।
মোবাইল ফোন অফিশিয়াল কিনা জানার উপায়
আপনার হ্যান্ডসেটটি অফিশিয়াল কিনা জানার একটি খুব সহজ উপায় রয়েছে। এজন্য আপনার ফোনের আইএমইআই নম্বর প্রয়োজন হবে। আপনার আই এম আইএমইআই নম্বর জানতে হলে আপনাকে আপনার ফোনে টাইপ করতে হবে*#০৬#। তারপর আইএমআই নম্বরটি কোথাও লিখে রাখুন।
অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য
অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। অফিসিয়াল ফোন হচ্ছে সেইসব ফোন গুলো যেগুলো বিটিআরসি ডাটাবেজে নিবন্ধন করা আছে বা হয়েছে। বিটিআরসি বিটিআরসির ডাটাবেজ ডাটাবেজে নিবন্ধনের ফোনকে বৈধ হয়। আর এই ডাটা ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার। আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায়।
অন্যদিকে যেসব ফোনগুলো বিটিআরসি ডাটাবেজে নিবন্ধন করা হয়নি কিংবা চোরাই ফোন সে গুলোকে আনঅফিসিয়াল ফোন বলা হয়। এই হ্যান্ডসেটগুলো অবৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করে সরকারকে টেক্সট না দিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়। নিবন্ধন না থাকার কারণে এই ফোন গুলো হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে হলে তা খুঁজে পেতে জটিলতা তৈরি হয়।
আনঅফিসিয়াল ফোনের সমস্যা ঝুঁকি
আনঅফিসিয়াল ফোনের সমস্যা বা ঝুঁকি রয়েছে অনেকগুলো ক্ষেত্রে। মানুষ সাধারণত মোবাইল ফোনের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা কম পাওয়ার কারণে আনঅফিসিয়াল ফোন কিনে থাকেন। আবার অনেক বিদেশ থেকেও নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে এই ফোন ফোনগুলো যেহেতু তাই আপনি ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি পাবেন না।
- আরো পড়ুনঃ কমলার খোসার 10 টি উপকারিতা
এজন্য কেনার পর হ্যান্ডসেটের যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তখন তাদের দায়ভার সম্পূর্ণ ক্রেতাকে বহন করতে হবে। এছাড়া যদি বা চুরি হয়ে সে কে জটিলতা তৈরি হয়। আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় আমাদের সবার জানা উচিত।
এখানে আরো একটি সমস্যা দেখা যায় আর তা হলো আপনার হারিয়ে বা চুরি হওয়া কোনটি দ্বারা যদি কোন অপরাধ সংঘটিত হয় সে ক্ষেত্রে আপনি ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ যেহেতু ফোনটি আপনি ব্যবহার করছেন সেতু প্রাথমিকভাবে অপরাধী হিসেবে আপনি বিবেচিত হবেন।
যদিও এই ধরনের অপরাধ অফিশিয়াল ফোন এর ক্ষেত্রেও হয়। কিন্তু যেহেতু আপনার আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি। যদি আপনার অফিসিয়াল বা বৈধ হত তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হতো।
আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে যে কোন সময় সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোন অফিশিয়াল করে নিতে হবে। নয়তো সিলছার সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তো এই রকম বেশ কিছু সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে আনঅফিসিয়াল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এজন্য সবথেকে উত্তম হচ্ছে আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় জানতে হবে।
আনঅফিসিয়াল ফোন কত দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে
কেউ যদি আনঅফিসিয়াল ফোন বিদেশ থেকে পাঠায় কিংবা নিয়ে আসে তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকবে। কিন্তু ফোনটি আপনাকে 10 দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। তাহলে সেটি অফিশিয়াল ফোন বলে বিবেচিত হবে। আবার যদি 10 দিনের মধ্যে নিবন্ধন না করেন তাহলে সেটি অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
- আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত
এজন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে সকল তথ্য জানানো হবে।
আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার নিয়ম
যাদের আনঅফিসিয়াল ফোন রয়েছে এবং যারা বিদেশ থেকে ফোন নিয়ে আসে কিংবা পাঠায়, তাদের ফোনটি কিভাবে অফিশিয়াল করতে হয় চলুন এবার সেই সিস্টেমটি দেখি।
* আনঅফিসিয়াল ফোন বিশেষ নিবন্ধনের জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি রেজিস্টার এর ওয়েবসাইটে।
* neirএর ওয়েবসাইট লিংক neir.btrc.gov.bd
* সেখানে গিয়ে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। সঠিক ভাবে আপনার ইনফরমেশন গুলো দিয়ে একাউন্ট খুলে নিবেন।
* তারপর আপনার নাম্বারে একটি ওটিপি আসতে পারে আসলে সেটি প্রদান করুন।
* এরপর আপনাকে নিয়ে যাবে লগইন পেজে। সেখানে আগের ইনফরমেশন গুলো দিয়ে লগইন করুন।
* এখন আপনার মূল কাজ শুরু। অর্থাৎ মোবাইল ফোন নিবন্ধন প্রক্রিয়া। এখানে বাম পাশে উপরে হ্যান্ডসেটের বিশেষ নিবন্ধ ক্লিক করুন।
* এখন আপনি যে আনঅফিসিয়াল কোনটি নিবন্ধন করতে চাচ্ছেন প্রথম এই ফোনটির আই এম ই আই নম্বরটি প্রদান করুন। আইএমইআই নম্বরের জন্য ফোন থেকে টাইপ করুন*#০৬#।
* আইএমইআই নম্বর দেওয়ার পরে এখন আপনাকে সেকেন্ড অপশনটি মার্ক করতে হবে। এখান আপনাকে জানতে হবে যে আপনি ফোনটি ঠিক কিভাবে পেয়েছেন। আপনি ক্রয় করেছেন নাকি উপহার প্রাপ্ত অথবা ই-মেইলে পেয়েছেন সেটি সিলেক্ট করুন।
* এরপরের অপশনে আপনার ফোনটি যেভাবে পেয়েছেন তার রশিদ আপলোড করুন।
* এখন সবকিছু আরেকবার চেয়ে দিয়ে নিচের জমা দিন এখানে ক্লিক করুন।
এখানে আপনার কাজ শেষ। এখন যদি আপনার মোবাইল ফোনটি এবং আপনি যে সব ডকুমেন্ট দিয়েছেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে তার স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। আর যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয় তাহলে তা আপনাকে এসএমএস এর মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মোবাইল নিবন্ধন চেক
মোবাইল ফোন নিবন্ধন চেক এই বিষয়ে উপরে আনঅফিসিয়াল ফোন অফিশিয়াল করার উপায় এই পর্বে আলোচনা করেছি। তার পর সংক্ষেপে বলছি। যে মোবাইল ফোনের নিবন্ধন চেক করবেন সেই ফোনটি চালু করে মেসেজ অপশন এ যান তারপর টাইপ করুন ফোনের 15 ডিজিটের আই এম আই নম্বরটি।
- আরো পড়ুনঃ সরকারি অনুদান পাওয়ার উপায়
এবার পাঠিয়ে দিন 16002 এই নাম্বারে। মেসেজ আপনাকে জানিয়ে ফোনটি নিবন্ধন করা কিনা । মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পেতে ফোনে টাইপ করুন*#০৬# এই নম্বরে।
অবৈধ ফোন বৈধ করার উপায়
অবৈধ ফোন বৈধ করার উপায় এর বিস্তারিত আলোচনা করেছি উপরে আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় মোবাইল ফোন নিবন্ধন এই পর্বে। কিছুটা উপরে গিয়ে দেখে নিতে পারেন ।
আপনি যদি সরকার অনুমোদিত কোন শোরুম কাস্টমার কেয়ার থেকে হ্যান্ডসেট কিনেন তাহলে সেটি অফিসিয়াল ফোন বলেই গণ্য হবে। যদি ও আপনি কেনার আগে চেক করে নিবেন । আর কখনোই আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ ফোন কিনবেন না। যদি আপনার কাছে আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ ফোন থেকে থাকে তাহলে তা দ্রুত অফিশিয়াল বা বৈধ করে নিন। আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে। তাই আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় আমরা জানতে পারলাম।
আশা করি আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় মোবাইল ফোন নিবন্ধন এর বিষয়টি আপনাদের ভাল ভাবে জানাতে পেরেছি। তারপর যদি কেউ কোথাও কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আনঅফিসিয়াল ফোন কে কিভাবে অফিশিয়াল করা যেতে পারে।তাই কোন কষ্ট না করে আপনাদের আনঅফিসিয়াল ফোন আপনার আপনারা নিজেরাই অফিশিয়াল এবং মোবাইলে নিবন্ধন করে নিতে পারেন যার ফলে আপনার আনঅফিসিয়াল ফোন টি অফিসিয়াল হবে এবং বৈধ বৈধতার স্বীকৃতি পাবে।