ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়
বর্তমান যুগে প্রত্যেকটি অনেক লোক ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগছেন । তাদের জন্য আজকে আমাদের এই আলোচনা ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক কিছু সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিশেষজ্ঞ দেখা যায় যে ভিটামিন ডি হরমোন শরীরের প্রোটিন তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারী ভূমিকা থাকে।
হরমোনের সমস্যা থেকে বাচ্চা থেকে বয়স্ক দের সবাই ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগে থাকেন। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে বাচ্চাদের রিকেট রোগ হয় মাথার খুলি বড় হতে পারে পা বেঁকে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন শরীরের প্রয়োজন। শরীরের ভেতরে উৎপাদিত হয় এরপর যা শরীরের ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে শীতকালে বেশি
শীতকালে ক্যালসিয়ামের প্রচুর পরিমাণে যথাযথ বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন 10 থেকে 15 মিনিটের সরাসরি সূর্যের আলো প্রয়োজন। আপনার শরীরে ভিটামিনের প্রয়োজন যদি হয় সে ক্ষেত্রে ঔষধ না খেয়ে কিছুক্ষণের জন্য রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকুন ভিটামিন ডি যুক্ত হবে। ভিটামিন ডি শরীরের জন্য যদি প্রয়োজন হয় তাহলে 30 মিনিট রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকুন ঔষধের থেকে বেশি কাজ করবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে রোদ্রে ।
করোনাকালের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে ভিটামিন ডি এর উপকারিতা অনেক বেশি। সবথেকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত হবে সেটা জেনে নিন সকালে নাশতা খাওয়ার পর দাঁড়িয়ে থাকুন 30 মিনিট শরীরে ভিটামিন ডি যুক্ত হবে।
কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা সকালে রোদ শরীরে লাগাতে পারেন না অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার না খেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন টি মিলে না যার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং খুব দ্রুত চেষ্টা করবেন সকালে শরীরের রোধ লাগানোর জন্য। এ কাজগুলো করার কারণে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত হবে। যারা বয়স্ক রয়েছেন তাদের জন্য হাড়জনিত ক্ষয়রোগ আটকাতে দারুন কার্যকারী ভিটামিন ডি এবং রোদ।
- ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি গুণ হলো অন্ত্রেক্যালশিয়ামের শোষণ ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। ১৮ মাস বয়স অব্দি শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি এর অবদান আছে।
- ছোট বাচ্চাদের ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে হাড় নরম হয়ে যায়। বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ লাগাতে হবে যার ফলে হাড় শক্ত।
- আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয় বা কমে যায় সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে।
- চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকে যে এসব কারণে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে রক্তের ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে বাংলাদেশে প্রচুর লোক ভুগছেন।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘনঘন অসুস্থ হয়ে যাওয়া শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে ভিটামিন ডি এর অভাবে যা অনেকটা সময় লেগে যায়
- অতিরিক্ত চুল এর সমস্যা দেখা দেয় ভিটামিন ডি এর অভাবে
- ভিটামিন ডি এর অভাবে অকালেই ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়
- ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মাথা ঘোরানো কোমর ব্যথা হাত পা জ্বালাপোড়া করা হাত পায়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি এসব লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে ভেবে নিতে হবে ভিটামিন ডি এর অভাবে কি সমস্যা হচ্ছে।
- তার শরীরে কতটুকু ভিটামিন রয়েছে তা তার নির্ভর করে বয়সের উপরে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক 1000 মাইক্রো গ্রাম ক্যালসিয়াম এর চাহিদা থাকে।
- অন্যদিকে দেখা যায় যে 70 এর যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় বয়স অনুপাতে ভিটামিন ডি এর থেকে 25 থেকে 100 মিলিগ্রাম।
- রোদের দেশেও কেন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়ঃ
- ডঃ মাহমুদা হোসেইন বলেছেন, শহরের বাইরে বের হওয়ার আশঙ্কা কমে যাচ্ছে দিনদিন তাই যে দেশে রয়েছে সে দেশ ভিটামিনের অভাব হয়। কিন্তু যারা বাহিরে বের হচ্ছেন তাদের ও পর্যাপ্ত সময় থাকে না কিংবা রোদে থাকলেও পেশার কারণে শরীরের সরাসরি রোদ পাচ্ছে না এর জন্য ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়ে পড়ে।
- তিনি আরো বলেছেন বিশেষ করে শহর এলাকা গুলোতে ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগে থাকেন অনেক লোক। শহর এলাকায় বাহিরে খোলামেলা জায়গা কম থাকার কারণে তাদের সরিলে লাগানো হয় না যার কারণে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়। ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই শরীরে সূর্যের আলো লাগাতে হবে।
- আবার এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা বাহিরে বের হচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে তেমন শরিলে লাগে না কারণ যানবাহনে তারা চলাচল করে থাকেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেকোনো কাজে ব্যস্ত থাকে যে জায়গায় আর কোন উপায় নেই যার কারণে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়।
- তবে গ্রাম অঞ্চলে ভিটামিন ডি এর কারণ শহর থেকে গ্রামে পুরোটাই ভিন্ন কারণ গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা মাঠে কাজ করে থাকেন যারা কৃষক রয়েছেন তাদের শরীরের সারাদিন রোদ লাগে কিন্তু তাদের কোন ভিটামিন ডি এর অভাব হয় না।
- আবার এমন কিছু লোক রয়েছেন যাদের শরীরে রোদ লাগার কোন উপায় থাকেনা। কারণ হাত ঢাকা থাকি এজন্য যার ফলে ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগে থাকেন তারা। বাংলাদেশে যারা কিষক বা অন্যান্য দেশে যারা কৃষক-শ্রমিক মাঠে কাজ করে ইত্যাদি তাদের ভিটামিন ডি এর অভাব হয় না।
- তিনি বলেছেন, করোনার শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্ক করেছেন যে ভিটামিন ডি'র ঘাটতি যেন না হয়। এই ঘাটতি আছে এমন কেউ করোনা আক্রান্ত হলেও তারা প্রভাব কিন্তু বেশি হবে।
রোদের মধ্যে কখন কিভাবে থাকতে হবে জেনে নিনঃ
- মাহমুদা হোসেন বলেছেন, সানলাইট বা সূর্যের আলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
- সকাল দশটার পর থেকে দুপুর 12 টা পর্যন্ত এই সময়টুকুর মধ্যে সূর্যের আলো আপনার শরীরে ভিটামিন ডি যুক্ত করবে। সকাল 10 টা থেকে দুপুর 12 টা পর্যন্ত ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে তাই এই সময়টুকু আপনাকে কমপক্ষে 30 মিনিট সময় বের করে তারপর শরীরের রোধ লাগাতে হবে যার কারণে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে না।
- তিনি বলেছেন, ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই কার্যকারিতা রোদ লাগাতে হবে অবশ্যই।
- এরপরে কাওসার আফসানা বলেন,
- বর্তমান যুগে বাংলাদেশের মানুষের শরীরে গরম তুলনামূলক কাল তাদের তুলনায় এখনকার মানুষের একটু বেশি সময় থাকতে হবে সূর্যের আলো থেকে পাওয়া ভিটামিন শরীরের যথাযথভাবে গ্রহণ করার জন্য।
- শিশুদের শরীরে কিছুটা উন্মুক্ত যুক্ত রাখা কিংবা মাঠে-ঘাটে কৃষক শ্রমিকরা খালি পায়ে কাজ করে তাদের ভিটামিনের অভাব হয় না কখনো তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত হয় শরীরে। শহর এলাকায় তেমন কোন কাজ নেই যে শহর এলাকার লোকজন যে কাজগুলো করে থাকে সেটি হচ্ছে ঘরের ভেতরে তারা কখনও বাহিরে কোন আলো-বাতাস পায় না যার ফলে শহর এলাকার লোকদের ভিটামিন ডি এর অভাব হয় অতিরিক্ত।
- অফিস-আদালত চাকরি ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি এই কাজ গুলো সাধারণত অফিসের ভিতরে রুমের ভিতর করা লাগে যার কারনে রোদ বা আলো-বাতাস লাগার কোন উপায় নেই শরীরে যার কারণে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়। এই সমস্যা গুলোর কারণে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি অভাব হবে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত করুন।
- ভিটামিন-ডি কেন প্রয়োজন জেনে নিনঃ
- আমরা প্রত্যেকটি মানুষ আমরা সবসময়ই চাই সুস্থ থাকার জন্য শুধুমাত্র ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রোগ হয়ে থাকে যার কারণে আমরা সুস্থ থাকতে পারিনা সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত করতে হবে। ভিটামিন ডি আমাদের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজন।
- ভিটামিন-ডি আপনাকে খুবই সুস্থ রাখবে এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনাকে খুবই অসুস্থ রাখবে তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কখনো হতে দিবেন না। ভিটামিন ডি এর অভাবে বাচ্চাদের রেকেট নামের একটি রোগ হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি এর অভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালেসিয়া নামে দুর্বল হাড়ের রোগ ভুগতে হয়।
- বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ভিটামিন-ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সকলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে থাকেন।
- আবার কোন কোন গবেষণায় দেখা যায় শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে তা সাধারণ সর্দি জ্বর ফুসফুস ইত্যাদি সাহায্য করে তবে তারা এ কথা বলেন গবেষণায় প্রাপ্ত সব ক্ষেত্রে এরকম হয় কিন্তু এরকমের রয়েছে। বৃষ্টির জন্য ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই দরকার।
জেনে নিন সূর্য কি ভিটামিন ডি এর একমাত্র উৎসঃ
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন ঔষধ। যখন সূর্য প্রখর থাকে। ঠিক তখনই পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মি ছড়ায়। এর বাইরে দুধ কুসুম সহ ডিম চর্বিযুক্ত খাদ্য ভিটামিন থাকে।
- মাহমুদা হোসেন বলেছেন, এর বাইরে ভিটামিন ডির দরকার হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
- মাহমুদা হোসেন বলেছেন বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক বেশি হয় বয়স্কদের রোদের যাওয়া উচিত ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য। বয়স্কদের ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে লাগাতে হবে শরীরে।
- ডক্টর কাউসার আফসানা বলেছেন, আপনি যদি সঠিক সময়ে নিয়মমতো প্রতিদিন সূর্যের আলো শরীরে লাগাতে পারেন সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর সমস্যা হবে না কখনো।
- যদি আপনি কাচের জানালা থেকে রোদ উপভোগ করতে চান তাহলে ভিটামিন ডি যুক্ত হবে না। আপনাকে সরাসরি বাহিরে গিয়ে সর্ব শরীর লাগাতে হবে যার ফলে ভিটামিন ডি যুক্ত হবে।
- যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার শরীরে সরাসরি রোদ না লাগবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার শরীরে ভিটামিন ডি যুক্ত হবে না। শরীরের রোধ লাগানোর ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ দিয়েছেন আপনি আপনার মুখে হাত পায়ে লাগানোর চেষ্টা করুন।
- যদিও শুধু খাবার থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় একটু কঠিন হতে পারে তবে মাছ ডিম ওদের মতো খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।