মুক্তিযুদ্ধ দিবস |
১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস কেন? ইন্টারনেটে বিষয়টা নিয়ে অনেকেই অনুসন্ধান করেন। তাই ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস কেন পালন করা হয় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আমাদের বাংলাদেশের একটা জাতীয় মাছ হচ্ছে ডিসেম্বর মাস। এই মাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস হচ্ছে জাতীয় বিজয় দিবস 16ই ডিসেম্বর। কিন্তু ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পাশাপাশি এই মাসের প্রথম দিনেই মুক্তিযুদ্ধ দিবস রয়েছে যেটা আমাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটা দিবস। তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে কেন এক ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস পালন করা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
পহেলা ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস কেন সূচনা
সারা বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিনগুলোকে মনে রাখার জন্য বিভিন্ন দিবস উদযাপন করা হয়। আমাদের বাংলাদেশেও ব্যতিক্রম নয় এ দেশেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোকে মনে রাখার জন্য বিভিন্ন দিবসের আয়োজন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো সেগুলোকে জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হয়। যেমন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি। গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলোকে যদিও জাতীয়ভাবে পালন করা হয় কিন্তু ১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবসকে আসলে জাতীয়ভাবে পালন করা হয় না। তবে এটাকে বেসরকারিভাবে সারা বাংলাদেশে উদযাপন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের নমুনা ভাষণ
১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস কেন চলুন জেনে নেই
বর্তমান প্রজন্ম একটা সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেন ভুলে না যায় সে জন্যই এই মুক্তিযুদ্ধ দিবস উদযাপন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিজয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। এই মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে সারা জীবন মনে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ দিবস উদযাপন করা হয়। পরবর্তী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধ দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতে পারে এবং এই মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের ফলেই যে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ আমরা পেয়েছি সেটা জানতে পারে তার জন্যই মূলত মুক্তিযুদ্ধ দিবস উদযাপন করা হয়।
১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান
পাকিস্তানি হানাদার এর হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে বেশি যাদের অবদান রয়েছে তারা হচ্ছে একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী। তাই এই মুক্তিযুদ্ধাদের অবদানকে ছোট করে দেখার মত বিষয় নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে আমরা সারা জীবন মনে রাখতে চাই। সেজন্যই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস পালনের প্রধান এবং একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে এটি। আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তরে লালন করতে চাই। কত যে তাদেরকে মনে রাখার জন্য যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে এটি হচ্ছে সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি।
দেখুন আপনি হয়তো খেয়াল করবেন আমরা কিন্তু বিভিন্ন দিবস এলেই সেই দিবস সম্পর্কে আবেগ ঘন হয়ে পড়ি। কিন্তু যখন দিবসটা চলে যায় তখন আবার সেটাকে ভুলে যাই। সেজন্যই মূলত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে স্মরণ রাখার জন্যই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
১ ডিসেম্বর এর এই দিনে ইতিহাসে পাতায়
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা অবশ্যই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন এক ডিসেম্বর কেন মুক্তিযুদ্ধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবসের পাশাপাশি ইতিহাসের পাতায় আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা ঘটেছে সেই সম্পর্কেও এখন জানার চেষ্টা করব।
১ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশে যা ঘটেছিল
এক ডিসেম্বর ১৯৭১ কেন মুক্তিযুদ্ধ দিবসের সম্পর্কে ইতি মধ্যে আমরা অনেক কিছুই জেনেছি এবার এক ডিসেম্বর 1971 সালের এই দিনে বাংলাদেশে কি কি ধরনের গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানিরা সে সম্পর্কে জানব। ১ ডিসেম্বর এই দিনে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের গাজীপুরে অবস্থিত কালীগঞ্জ থানার বাহাদুর শাদী ইউনিয়নের খাল পাড়া গ্রামে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই দিন সেই গ্রামে অবস্থিত ন্যাশনাল জুট মিলে নির্মম গণহত্যা চালায় যেদিন ১৩৬ জন নিহত হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
এক ডিসেম্বর ১৯৭১ এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে দিনাজপুর দিঘির ময়দান এলাকায় পাকিস্তান বাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানিদের উপর হামলা চালায়। এই অভিমানে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিবাহিনীর পাঁচজন এবং ভারতীয় সেনাদের ৫০ জন আহত হয়েছিলেন।
শেষ কথা ১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস কেন
১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস কেন সে সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি আরো কিছু বিশেষ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি যারা এক ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ দিবস কেন এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করছিলেন তারা একটা সমাধান পেয়েছেন।