স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ফাস্ট ফুড কেন এড়িয়ে চলা প্রয়োজন
আসসালামুয়ালাইকুম আজকের আলোচনা করেছে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ফাস্ট ফুড কেন এড়িয়ে চলা প্রয়োজন । বর্তমান যুগে কমবেশি সবারই স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে অনেক চিন্তিত এবং ভুগে থাকেন কারণ হচ্ছে আমরা ঘরের তৈরি খাবার না খেয়ে বরঞ্চ তার উল্টো কাজ করে থাকি সেগুলো হচ্ছে আমরা বন্ধুবান্ধবের সাথে আত্মীয়-স্বজনের সাথে যদি ঘুরতে যায় সেক্ষেত্রে আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফাস্ট ফুড আইটেমের খাবার গুলো খেয়ে থাকি।
এই খাবারগুলো আমরা অনেক নামিদামি এবং সম্মানীয় খাবার হিসেবে ধরে থাকি আসলে আমাদের জানা নেই যে এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। আমরা বাহিরে যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সে খাবার গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক যা আপনার ধীরে ধীরে অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন তাই যে কোন খাবার খেতে হলে ঘরে তৈরি করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বাহিরের যে খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি যেমন বার্গার পিৎজা, সিঙ্গারা, সমুচা, চিকেন ফ্রাই, চিকেন গ্রিল, পরোটা, চকলেট, চিপস, স্যান্ডউইচ, হটডগ ইত্যাদি খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক তাই এই খাবারগুলো কে এড়িয়ে চলতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে । বাহিরের যে খাবারগুলো আমরা কিনে খেয়ে থাকি সেই খাবারগুলো মুখরোচক খাবার কিন্তু খাবার গুলো আপনার শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক ।
এই খাবারগুলো ছোট-বড় সবারই পছন্দ খাবারআমরা জানি অতিরিক্ত জিনিস অতিরিক্ত ভালো নয় তাই আমরা এই বাহিরের খাবার গুলো থেকে এড়িয়ে চলব স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচার চেষ্টা করব। বাহিরের এই খাবারগুলো যতটা মজাদার ততটাই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এ খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস যুক্ত থাকে তেলে ভাজা খাবার পাশে যুক্ত খাবার ইত্যাদি যার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ফাস্ট ফুড কেন এড়িয়ে চলা প্রয়োজন কেন প্রয়োজন যেমন আপনার শরীরের বাড়তি ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে, শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিবে, লিভারের সমস্যা কিডনির সমস্যা, এই রকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এই আজেবাজে খাবার খাওয়ার কারণে তাই এই খাবারগুলো কে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করব ঘরে তৈরি করা খাবার খাওয়ার জন্য।
চলুন জেনে নেই স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ফাস্ট ফুড কেন এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
ফাস্ট ফুড কিঃ
ফাস্টফুড খাবার গুলো সাধারণত বাড়ির অন্যান্য খাবারের তুলনায় এই খাবারগুলো খুব দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। হোটেলে রেস্টুরেন্ট ক্যাফেতে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ের জন্য ফাস্টফুড বানানোর হয়।
এই খাবারগুলো মানুষের কাছে এতটা জনপ্রিয় যা বর্তমান যুগের বর্তমান যুগের লোকেরা অনলাইনে অর্ডার করে এ খাবারগুলো অর্ডার করে থাকেন এবং খেয়ে থাকেন কিন্তু এই খাবারগুলো সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই যে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে কতটা ক্ষতি হতে পারে যার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এই অবস্থা খাবারগুলো অতিরিক্ত তেলযুক্ত পাসি যুক্ত তাই এই খাবারগুলো খাওয়া একদমই উচিত নয়।
কেন এই ধরনের খাবার আসক্তি তৈরি হয়ঃ
ফাস্টফুড জাংক ফুড খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে তেলযুক্ত চিনিযুক্ত লবণযুক্ত অথবা ফ্যাট যুক্ত যুক্ত এসব নামের এক ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয় যার ফলে এই খাবারগুলো শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক। যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খাবারগুলো খেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে ডোপামিন হরমোন সমস্যা হবে নিশ্চিত যার কারণে বারবার এই ধরনের খাবার গুলো অবলম্বন বাড়তে থাকে।
ফাস্টফুডে কি কি স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে চলছেঃ
পিজ্জা বার্গার স্যান্ডউইচ সমসা সিঙ্গারা চিকেন বার্গার ইত্যাদি খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সুগার এবং ফ্যাটযুক্ত করা হয় যার কারণে খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে কিন্তু এই সুস্বাদু একদিন আপনার শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক হিসেবে কাজ করবে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সবথেকে কম থাকে যেমন ভিটামিন খনিজ ফাইবার এই খাবার গুলো কখনো যুক্ত করা হয় না যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারেন।
ফাস্ট ফুডে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন হতে পারে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায় দাঁতের ফাঁকে এসব খাবার আটকে থেকে ক্যাভিটির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে এসব খাবারে থাকা ফ্যাট এলডিএল কোলেস্টেরলের (ব্যাড কোলেস্টেরল) মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এ ধরনের খাবারে থাকা
উচ্চ মাত্রার লবণ, টেস্টিং সল্ট ও কৃত্রিম রঙ উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ওজন বেড়ে যায়, সেই সাথে বাড়ে ওবেসিটির সম্ভাবনাও হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় ফাস্ট ফুডে থাকা ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান শরীরে প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিডনিও
আপনি যদি নিয়মিত ফাস্টফুড খাবার খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি তার কিছুটা এই উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে আমরা জানতে পেরেছি আমরা কতটুকু ধারণা করি এই খাবার নিয়মিত খাওয়ার ফল আসলে তার চেয়েও ভয়ানক হতে পারে শুধু বড়রা নয় ছোটদেরও এই সমস্যাগুলো হতে পারে তাই ছোট-বড় সবার ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য এ খাবারগুলোকে এড়িয়ে চলা খুবি দরকার কারণ এই খাবারগুলো আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক তাই এই খাবারগুলো কখনো খাওয়ার অভ্যাস করুন করবেন না।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর জন্য কিভাবে এড়িয়ে চলবেন ফাস্টফুড খাবার গুলো কেঃ
বর্তমান যুগে আমাদের জীবনের লাইফে বা খুব সহজ করার জন্য আমাদের এই পদ্ধতি আমরা ফাস্টফুড খাবার গুলো খেয়ে থাকি অল্পসময়ের মধ্যে কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যে খাবার গুলো খেয়ে থাকি সেগুলো খুবই মারাত্মক তাই যে কোন কিছু খাওয়ার আগে আপনাকে চিন্তা করে খেতে হবে বরঞ্চ বাহিরে খাবার না খেয়ে আপনি ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন সারা জীবন সুস্থ থাকবেন শরীর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিকর খাবার ঘরে তৈরি করে ফেলতে হবে বাহিরে যে খাবারগুলো থেকে কিভাবে এড়িয়ে চলবেন সেই পরামর্শ আপনাদেরকে দেব আপনারা সকলে জেনে নিন।
আমরা যখন বাহিরে যাব বা কোথায় ঘুরতে যাব তখন আমরা সেই ঘর থেকে তৈরি করে খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব আবার অনেকেই 3030 কিছু ফল টক দই বাদাম সেগুলোর রেখে দিতে পারে সেই খাবারগুলো সঙ্গে নিয়ে যায় ক্ষুধা মিটানোর জন্য বাহির থেকে আমরা যে খাবার গুলো খেয়ে থাকি সেই খাবারগুলো না খেয়ে বরঞ্চ আপনি আপনার সঙ্গে অর্থনীতির রূপরেখা বানিয়ে তার ভালো হওয়ার চেষ্টা করুন আপনি যে খাবারগুলো ঘরে তৈরি করে নিয়ে খাবেন সে খাবারগুলো আপনার ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করবে বরঞ্চ সবথেকে ভালো একটি কাজ করবে সেটা হচ্ছে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পূরণ করতে পারবেন।
বাহিরে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় অবশ্য আপনাকে ব্যাগের মধ্যে এক বোতল পানি নিতে হবে। পানির পিপাসা দূর করার জন্য এক বোতল পানি আপনার সঙ্গে সবসময় থাকা খুবই জরুরী।
আপনি আপনার খাবার তালিকায় মাছ টক দই দিয়ে মুরগির মাংস কাঠ বাদাম কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম নিজের মত রুটিন এইসব খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন এতে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে এই খাবার গুলোতে হাতিল ফুর্নিতুরে মানে খুঁজে পাবেন।
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সকালের খাবারের জন্য ফাইবার যুক্ত খাবার থাকে। ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। যার কারনে আপনার বাহিরের ফাস্টফুড খাবার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
মোবাইলে কথা কওয়ার সময় কম্পিউটার ও টিভির সামনে বসে আজেবাজে যে খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি সেই খাবারগুলো থেকে এড়িয়ে চলুন ভালো কিছু খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনের ঘরে বানানো খাবার তৈরি করে দিবেন অবশ্যই। বাচ্চাদেরকে কখনো বাহিরের কোন খাবার খেতে দেবেন না ঘরে তৈরি করে খাবার খাওয়ানো হবে না।
আজকের আলোচনাতে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আমরা ফাস্টফুড খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক ক্ষতিকারক বিষয়েসম্পর্কে জানতে পেরেছি । যে খাবারগুলো খুবই সম্মানীয় এবং খুবই মুখরোচক মজাদার খাবার হিসেবে চেয়ে থাকি সে খাবার গুলো আমাদের ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য খুবই মারাত্মক । তাই এখন থেকে এসব খাবারগুলো থেকে কিভাবে এড়িয়ে চলব সে চেষ্টা সবারই করা খুবই জরুরি