শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয়

শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয়

শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক   আশা করি আপনার অনেক ভালো আছেন। আজ আমরা শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি আজ আমরা আপনাদের সামনে। শীতের সময় প্রায় সময় দেখা যায় যে লোকেরা একা একা বসে বসে কি জানি ভাবেই। ভাবতে ভাবতে তারা যেন ভাবনার স্রোতে ভেসে যায়। তবুও তাদের ভাবনা শেষ হয় না। তাদের মন খারাপ আরো বেড়ে যায়। কিন্তু  শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয়ে জানার জন্য অনেকেই আগ্রহী। তাই আজ আমরা আপনাদের সাথে শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আমাদের এই আর্টিকেল।
 
শীত মানেই উৎসবের ঋতু। পৌষ পার্বণ, নতুন বছর, পিকনিক, ঘোরাঘুরি লেগেই থাকে। এত আনন্দের মাঝেও মনজুরে কেন যেন মন খারাপ জাঁকিয়ে বসে কারোর উপর। হঠাৎ মনের কোণে ভিড় জমায়  অজানা মন খারাপের গল্প। উদাসীন হয়ে থাকে মন।
 
মন খারাপের এই বিষয়টি কি আপনার সঙ্গে প্রায়ই ঘটে? জেনে অবাক হবেন, আপনার নয় অনেকেরই হয়ে থাকে। উইন্টার ডিপ্রেশন  বা  উইন্টার  ব্লুজ বলা হয়।  ঠান্ডা পড়লেই সৃষ্টি হওয়া মানসিক অবসাদ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় , বলে সিজনাল  অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার।

কেন হয় এমন?

শীতকালে মন খারাপ হওয়ার এই বিষয়টি সূচনা হয় শীত প্রধান দেশে। আমাদের দেশে শীতকালে মাঝেমধ্যে রোদের দেখাও মেলে। কিন্তু শীতপ্রধান দেশে এদের দেখা মেলে না। শীতে যেসব দেশে আলো কমে আসে। সঙ্গে থাকে ঝিরঝির বৃষ্টি, বরফপাত, ভীষণ ঠান্ডা। ঠাণ্ডা দীর্ঘ শীতের  এই মাসগুলোতে অবসাদ চলে আসে। বহুদিন সূর্যের আলো না দেখায় মন খারাপ হতে শুরু করে।
 
শীতকালীন  মন খারাপের এই বিষয়টি আর শীতপ্রধান দেশে  সীমাবদ্ধ নেই। পৃথিবীর নানা ভৌগলিক অবস্থান এ থাকা মানুষের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়েছে। শীতকালে কোন কাজকর্মই আমাদের মন বসেনা। যার ফলে কোন কাজকর্ম আমাদের ভালো লাগে না।শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয়ে আরো আলোচনা করা হচ্ছে।

 উপসর্গ কি?

শীতের অবসাদের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল;-
ক্লান্তি: অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, বেশি করে খাওয়ার ইচ্ছা, ওজন দ্রুত বেড়ে যাওয়া ,সব কিছু থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা ,ভাবনাচিন্তা ইত্যাদি।

করণীয় কি

শীতকালে অবসাদে ভুগতে কাছের মানুষ, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। ভালো লাগে এমন কাজ করুন। পাশাপাশি কিছু যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

ত্রিকোনাসন

আসনটি করতে  পা দুটো  ফাক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাত দুটি দুইপাশের লম্বা করে রাখুন। এবার বা পাশে শরীরটাকে বেঁকিয়ে বা হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল কে স্পর্শ করুন। এ সময় ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাটুভাঙ্গা চলবে না।1 থেকে 10 অব্দি গুড নুন। এরপর দুটি হাত না ভেঙ্গে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙ্গুলে স্পর্শ করুন। তিনবার এই আসনটি করুন। এই আসনে মন শান্ত থাকবে। শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় আপনাদের যদি মন খারাপের মত কিছু হয় তাহলে আপনারা এই আসনটি করতে পারেন।

শীতকালীন অবসাদ এর চিকিৎসা কি?

আপনার পরিবারের কোনো সদস্য, বন্ধু, প্রিয় জন  অথবা আপনি নিজে যদি শীতকালীন অবসাদে ভুগছিলেন বলে মনে করেন সেক্ষেত্রে শুরুতে মনোবিদের পরামর্শ নিন। খুব মন খারাপ হলে কারও সঙ্গে কথা বলুন প্রাণখুলে। পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ হলে মনোবিদদের সঙ্গে কথা বলুন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এন্টিডিপ্রেসেন্ট খেতে পারেন।

কিভাবে বুঝবেন আপনি শীতকালীন অবসাদে আক্রান্ত?

ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, বেশি করে খাওয়ার ইচ্ছা, ওজন বেড়ে যাওয়া, সব কিছুতে আগ্রহ চলে আসা, ভাবনা-চিন্তার ব্যাঘাত ঘটে এবং mdash, শীতকালীন অবসাদের অন্যতম উপসর্গ ।এইসব ঘটনা যদি আপনাদের সাথে হয়ে থাকে তাহলে আপনারা বুঝে যাবেন যে আপনাদের শীতকালীন অবসাদ আক্রান্ত করেছে।

টিএইচ সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার

যে ঋতুতে সূর্য এর প্রভাব কম থাকে, মূলত সেই সময় মানসিক অবসাদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। শীতকালে শুধু দিন ছোট এবং রাত বড় ফলের সূর্যের আলো এই সময় কমই পাই  মানুষ। শীতকালে সারাদিন মেঘলা থাকে এবং খুব তাড়াতাড়ি সূর্য অস্ত্র  যাওয়ার কারণে মন খারাপ চেপে ধরে বেশি করে।  সিজনাল এফেক্টিভ  ডিসঅডার আসলে মস্তিষ্কের জৈব রাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
 
একটু একটু করে শীত পড়তে পড়তেই একেবারে জাঁকিয়ে শীত ধুঁকছে বঙ্গে। শীতকালে যেমন বড়দিন, পৌষ পারব, বিয়ে বাড়ি,, নতুন  বছর থাকে,দশীতকাল দূরে থাক কিনছি মন খারাপ। অনেকেই আছেন যারা শীতকাল এলেই কেমন উদাসিন হয়ে পড়ে। কাজে গতি যেন তাদের  মন্থর হয়ে যায়। এত আলো, উৎসব উৎসব, উদ্দীপনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। 

মন খারাপের কারণ

অনেক সময় দেখা যায় যে শীতকালে আমাদের মন ভীষণ খারাপ থাকে। কারণ শীতকালে মনে হয় যে যে জায়গায় বসে থাকি সে জায়গায় সারাদিন বসে থাকতে ইচ্ছে করে। কারণ জায়গাটা যখন কোমল হয়ে যায় তখন আর ওই জায়গা থেকে উঠতে ইচ্ছে করে। তবুও দেখা যায় লোকেরা তাদের তাগিদে বিভিন্ন ধরনের কর্মের সাথে নিয়োজিত। তাই তাদের আর বসে থাকা হয়ে ওঠে না।
 
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বন্ধু-বান্ধবেরা কেউ কেউ তাদের বাসা থেকেই বের হয়না শীতের কারণে। যার ফলে বন্ধুবান্ধব পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। সারাদিন নিঝুম হয়ে কাটাতে হয় বাসা মধ্যেই। যার ফলে শীতকালে ঘনঘন আমাদের মন খারাপ হয় থাকে।
 
পরিশেষে এটাই বলার যে আপনারা যদি শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলে শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয়ে। কারন আমরা এই বিষয়ে আপনাদের যথেষ্ট ধারণা দিয়েছি। এবং বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করেছি আমরা এই আর্টিকেল। তাহলে আপনারা যদি শীতকালে কেন ঘনঘন মন খারাপ হয় এই বিষয়ে যদি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমাদের পড়বেন। 

Md:Aklacur Rahaman

মোঃএখলাছুর রহমান,আমি উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত আছি,আমি sorolmanus.com ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।আমার ব্যক্তিগত arnilofficial.com একটি তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকি।টেকনোলজির প্রতি আমি পাগল।বই পড়তে আমার ভালো লাগে।

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم

Ads

Ads