প্রতিবছরই মহা বরকতময় রাত শবে বরাত আমাদের জন্য আশীর্বাদ এবং রহমত নিয়ে আসে। কারণ মহান আল্লাহ আমাদের জন্য এই রজনীতে ভাগ্য নির্ধারণ করেন। পাথর প্রতিবছর শবে বরাতের রাতে মানুষের সারা বছর তার ভাগ্যে কি রয়েছে তা নির্ধারণ করা হয়। তাই এরাতে আমাদেরকে বেশি বেশি নফল এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে ভালো ভালো জিনিস চাইতে হবে। আজকের পোস্টে আমরা শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানব।
শবে বরাত: শবেবরাত শব্দটির অর্থ হচ্ছে সৌভাগ্যের রাত। এই রাতে মহিমান্বিত অতি পবিত্র পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের গুনাহ মাফ ও ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এই রজনীতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে বহু সংখ্যক বান্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে জান্নাতের ফয়সালা পান।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
শবে বরাতের রাত্রিতে বেশি বেশি নফল নামাজ কোরআন তেলাওয়াত জিকির-আজগার করার মাধ্যমে রাত্রিযাপন করতে হয়। যেহেতু এই রাত্রিতে নফল নামাজের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তাই এই রাত্রে দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়তে হবে। তবে একটা কথা বলে রাখি তা হচ্ছে শবেবরাতের জন্য নির্ধারিত কোন নামাজ নেই। শবে বরাত ছাড়াই অন্যান্য দিনে আমরা যেভাবে নফল নামাজ পড়ি ঠিক একই নিয়মে শবে বরাতের রাতে নফল নামাজ পড়তে হবে।
কুরআন হাদিসে শবে বরাতের নামাজের আলাদা কোন নিয়ম নেই। যেহেতু কোরআন হাদিসে শবে বরাতের আলাদা কোন নিয়ম নেই তাই আমরা এখানে শুধুমাত্র নফল নামাজ যেভাবে পড়ে সেভাবে শবে বরাতের নামাজ আদায় করার জন্য সকলকে উৎসাহিত করব।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত
ওলামায়ে কেরামগণ বলেন যে নিয়ত হচ্ছে মনের ব্যাপার তাই আমরা যে কোন এবাদতের ক্ষেত্রে মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করাকেই নিয়ত বলা হয়। এখন যেহেতু আমরা শবেবরাতের রাত্রিতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করব তাই এখানে আলাদাভাবে কোন নিয়তের কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ প্রত্যেক দুই রাকাত নফল নামাজের পূর্বে আমরা বাংলায় নিয়ত করতে পারি এভাবে যে, কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।
শবে বরাতের রাতে এবাদত করার নিয়ম
যেহেতু আল্লাহ পাক শবে বরাতের রাতে আমাদেরকে বেশি বেশি করে এবাদতে মশগুল থাকতে বলেছেন তাই আমরা এখানে কিছু নিয়ম বলে দিচ্ছি আশা করছি এটা অনুসরণ করলে রাত্রি যাপন সুবিধা হবে। রাত্রি যাপনের জন্য শুধুমাত্র নামাজের উপর নির্ভরশীল না হয়ে যদি আমরা অন্যভাবে করি তাহলে ভালো হয় যেমন- দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করার পর জিকির আজগার করতে পারি, কোরআন তেলাওয়াত করতে পারি। জিকির আজগের এবং কোরআন তেলাওয়াত করতে করতে কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আবারও দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারি। এভাবে করে এবাদত করতে থাকলে একঘেয়েমিতা চলে যাবে।
এছাড়াও শবে বরাতের রাতে আরো একটি এবাদত করা যায় সেটা হচ্ছে সালাতুত তসবি। সালাতুত তাসবিহ সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আমাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সালাতুল তাজবি আমার একটি নামাজ যেটা জীবনে একবার হলেও আদায় করতে হয়। তাই আমাদের উচিত এই শবেবরাতের বরকতময় রাতে সালাতুত তসবি নামাজ আদায় করে সময় অতিবাহিত করা।
যেহেতু শবে বরাতের রাত্রি কে ভাগ্য নির্ধারণের রজনী বলা হয় তাই এই রাত্রে এবাদত করার পাশাপাশি বেশি বেশি করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করা উত্তম।